Tag: West Bengal

West Bengal

  • Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কতদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে শনিবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে এদিন কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “কতদিন ওকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা ব্যানার্জি? এবার ওকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন।” শুক্রবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তৃণমূলের আমলে সন্ত্রাস সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, বলে দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তবে রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোনওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভাইপো আড়ালে থেকে রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”

    মমতাকে প্রশ্ন দিলীপের (Dilip Ghosh)

    নবজোয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদান নিয়ে খোঁচা দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কথায়, “জঙ্গলমহল কি অভিষেক একা সামলাতে পারছেন না? কতদিন ওঁকে কোলে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ওঁকে একটু রাস্তায় ছাড়ুন। উনি ওঁকে পাঠিয়েই বুঝে গেছেন কতটা দম আছে। পুলিশ, এনভিএফ, সিভিক পুলিশ এইসব দিয়ে ভিড় করাতে হচ্ছে। পার্টির লোক কিছু নেই। কিছু কাটমানি খোর, গুন্ডা বদমাশ আছে। তাও কেউ রাস্তা আটকাচ্ছে, কেউ চোর বলছে। এরকম জননেতা বাড়ির ল্যাবরেটরিতে তৈরি। এদের দিয়ে সমাজের কিস্যু হবে না।”

    আরও পড়ুুন: রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন, জেনে নিন মেগা অনুষ্ঠানের সূচি

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “অভিষেক এরকম ডায়লগ গত বারও দিয়েছিল। এবারেও এতো লোক এসে মমতার হাতে পায়ে ধরছে। বলছে আপনি আসুন, মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়ান। উনি সাহস পাচ্ছেন না। কারণ উনি জানেন, মোদিজি যা করছেন, দেশের স্বার্থে করছেন। সাধারণ মানুষ খুব খুশি ২০০০ টাকার নোট বাতিলে। এই নোট বাজারে দেখা যায় না। কারও কারওর বাড়িতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও লুকানো আছে। এবার সেগুলো বেরোবে। তাই মানুষ খুশি। যাদের ভয় আছে, ইলেকশনের টাকাটা জলে চলে গেল, তারাই প্রতিবাদ করছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Incident: এগরা বিস্ফোরণের পর পুলিশি ‘সক্রিয়তা’! রাজ্যে উদ্ধার ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি 

    Egra Incident: এগরা বিস্ফোরণের পর পুলিশি ‘সক্রিয়তা’! রাজ্যে উদ্ধার ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধার বাংলায় নতুন কিছু নয়। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, সন্ত্রাস করতেই শাসক দলের মদতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠে বোমা তৈরির কারখানা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এগুলো যে বাড়বে তাও দাবি করেছে বিরোধীরা। এগরায় (Egra Incident) বোমা বিস্ফোরণে পরে নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসনও। উদ্ধার হয়েছে ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। মুখ্যমন্ত্রীও ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন যে এনআইএ তদন্ততে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, ‘‘বাংলা কি ক্রমশ মুঙ্গেরের পথেই হাঁটছে?’’ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে একের পর এক অস্ত্রকারখানা গজিয়ে উঠেছে রাজ্যে।

    সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ কোথায় কোথায় মিলেছে?

    চলতি বছরের মার্চ মাসেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এ অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল, সেখানে অস্ত্রের কারবার চালানোর অভিযোগে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতারও করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ। তার কয়েক মাস আগে ওই জেলার কুলতলিতে অস্ত্র কারখানার সন্ধান মেলে। সুন্দরবনের মাটির দেওয়াল এবং টিনের ছাউনির একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্রসহ কারখানার মালিক মহিউদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। ওই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলারই বারুইপুরের জীবনতলাতে অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। মালদায় সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় একজন ব্যক্তিকে, নিজের লিচু বাগানের আড়ালে  অস্ত্র কারখানা চালানোর অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হাওড়ার জেলার টিকিয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকাতেও বড়সড় রকমের নিয়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। মালদার কালিয়াচকে, পুকুরের মধ্যে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা কিংবা হাড়োয়ায় খড়ের বস্তায় কারবাইন লুকিয়ে তা পাচার করা এসব ঘটনা গত এক বছরের মধ্যেই রাজ্যে ঘটেছে।

    বাজি কারখানাগুলোতে তল্লাশি চলছে জোর কদমে

    বারাসাতে ইতিমধ্যে আড়াইশো কেজির অবৈধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ‌। জানা যাচ্ছে জেলায় জেলায় চলছে এই তল্লাশি অভিযান। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসত ব্যারাকপুর রোড সংলগ্ন আরিফবাড়ি ও টালিখোলা এলাকায় বাজি কারখানায় হানা দেয়। সেখান থেকে ২৫০ কেজি অবৈধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়েই পালিয়ে যায় মালিক। জানা গেছে, শুধু বারাসত নয়, দত্তপুকুর এলাকাজুড়েও বুধবার চলেছে তল্লাশি। একইভাবে তল্লাশির চিত্র দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে। মঙ্গলবারই হাবরা এলাকায় চলে তল্লাশি। সেখানেও পুলিশ উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বাজি। তারপরেই বুধবার বিকেলে বারাসত দত্তপুকুর এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানে চলছে এই অভিযান। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় বাজি উদ্ধারে পুলিশি সক্রিয়তা নজরে পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বাজিকারখানার মালিকদের তালিকা তৈরি করে অভিযানে নামে পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় একাধিক গোডাউনে। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, যদি প্রথম থেকেই এভাবে উদ্ধারের কাজে নামত পুলিশ তাহলে হয়ত এতগুলো প্রাণ এক রাতে যেত না।

    কী বলছেন প্রাক্তন আমলা?

    রাজ্যের এক প্রাক্তন আমলা বলছেন, ‘‘একটা সময়ে বেআইনি অস্ত্রের জন্য বিহারের নাম ছিল এখন বাংলাতেও মুঙ্গের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলা মুঙ্গের হয়ে গেছে কিনা বলা না গেলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    National Education Policy: রাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোদি সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যে সেই পথে হেঁটে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করল কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো বিশ্ববিদ্যালয়। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিও জানিয়ে দিয়েছে তাদের এই ঘোষণার কথা। দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি এই জাতীয় শিক্ষানীতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে গ্রহণ করেনি উপরন্তু এই নীতির বিরোধিতাও শোনা গেছে শাসকদলের বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তির মুখে। শিক্ষা মহলের একাংশ বলছে, ‘‘শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’ যাদবপুর কলকাতা, প্রেসিডেন্সি বা রবীন্দ্রভারতীর মতো রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। যদিও সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এখনও বের হয়নি তাই হাতে খানিকটা সময় আছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই পথে না হেঁটে গ্রহণ করে নিল জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy)। ইতিমধ্যে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর স্মরণে কলকাতায় পা রেখেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে দিনই তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছেন।’’ জাতীয় শিক্ষানীতিকে ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে বেশ কিছু রাজ্য তার মধ্যে এমন অনেক রাজ্য রয়েছে যেগুলিতে বিজেপি সরকার নেই।

    রাজ্যে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে কমিটি রিপোর্ট

    ইতিমধ্যে, উচ্চশিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে বলা হয় যে চলতি বছরেই চালু করতে হবে চার বছরের অনার্স কোর্স। এই নির্দেশিকার পরেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষার সংসদ, উপাচার্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চেয়ে পাঠায়। সূত্রের খবর তাতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই মত দিয়েছে যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) যেহেতু বেশিরভাগ রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাই চলতি বছরেই এ রাজ্যেও শুরু করা হোক। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট নাকি উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে জমাও পড়ে গিয়েছে কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে কিনা বা কবে থেকে হবে, এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আইএসসি, সিবিএসই-র পরীক্ষার ফল ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে তাই ইংরেজি মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জাতীয় শিক্ষানীতিকে গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে যতক্ষণ না উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কিছু জানানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    BJP West Bengal: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নবজোয়ার যাত্রা’ নাম দিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রমোদ ভ্রমণে বেরিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। এদিকে, নির্বাচনের আগে আমজনতার অভাব অভিযোগের কথা শুনতে পদযাত্রা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি (BJP West Bengal) যুব মোর্চা। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার গ্রাম সম্পর্কিত অভিযান সুসম্পন্ন হয়েছে। এরপর ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে নতুন অভিযান শুরু করবে।

    বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’… 

    এই অভিযান শুরু হবে জলপাইগুড়ি থেকে। জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে এই পদযাত্রা কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ও। এই পর্বে ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০০টি গ্রামে পৌঁছবে যুব মোর্চা। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই পদযাত্রা। ২০০টি গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের হাজারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ও পাঁচ হাজার গ্রামে ঘুরবেন যুব মোর্চার নেতারা। শুনবেন মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা। ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’ নামের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন যুব (BJP West Bengal) মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। যোগ দেওয়ার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যেরও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং নেতাও যোগ দেবেন ওই কর্মসূচিতে। কর্মসূচি যাতে সফল হয়, সেজন্য রাজ্যের ৪২টি লোকসভা এলাকার জন্য ৪২টি কমিটিও তৈরি করে ফেলেছে যুব মোর্চা।

    আরও পড়ুুন: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত ২৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যাবে বিজেপির (BJP West Bengal) ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’। পদযাত্রা চলবে ২১ দিন ধরে। এই কর্মসূচি পালনের সময় বড় ধরনের কোনও সভা হবে না। যেহেতু পদযাত্রার মূল লক্ষ্য আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা শোনা, তাই হবে পঞ্চায়েত সভা কিংবা হাট সভা। কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপির সমর্থনে লেখা হবে দেওয়ালও। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘পদ্ম-বার্তা’। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই কারণে এই মাসের শেষের দিক থেকে দেশজুড়ে ৫১টি বড় জনসভা করবে বিজেপি (BJP West Bengal)। সেই জনসভার মূল লক্ষ্য, গত ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা। তার সঙ্গে অবশ্য ‘যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা’র কোনও সম্পর্কই নেই। তবে দুই কর্মসূচিই শুরু হচ্ছে মে মাসে। কী অদ্ভুত সমাপতন! 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    Primary Education: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক বদলির সিদ্ধান্ত পর্ষদের! কী বলা হল নির্দেশে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও ছাত্র অনুপাত বজায় রাখার জন্য বদলির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ মে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডগুলিকে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে একাধিক স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য নেই। কোন কোন জেলায় কোন কোন স্কুলে অনুপাতে সামঞ্জস্যতা নেই তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। সেই তালিকা ও বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের পাঠিয়েছে পর্ষদ। সেই তালিকা দেখেই বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরলেন গরিব বাবা! এটাই কি এগিয়ে বাংলার মডেল? কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সবার আগে বদলির তালিকা পর্ষদের দফতরে পাঠাতে হবে। পর্ষদ সেই তালিকায় সায় দিলেই তা কার্যকর করতে পারবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এ ক্ষেত্রে এক জন শিক্ষককে তিনি যে জেলায় শিক্ষকতা করছেন, তাঁকে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি করতে হবে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুলগুলিতে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। একই পথে হেঁটে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে বজায় রাখতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ওপর লেখা বই ‘ডেমোক্রেসি ইন কোমা’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতবর্ষে, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা।’’ তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গও। ‘‘সন্ত্রাসের মুখোশ খুলেছে যে সিনেমা, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন স্বার্থে বন্ধ করলেন?’’ সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার এই অবস্থার বদল একমাত্র বিজেপিই করতে পারে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও হল পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সরকারের আমলে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে গরু পাচার, জাল নোটের কারবার সমেত দেশবিরোধী শক্তির গতিবিধি বাড়ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দিল্লি। বিজেপি সভাপতির আজকের বক্তব্য তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের (TMC Violence) পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলকে বিঁধতে থাকেন তিনি। একশো দিনের কাজে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।  এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম.এম কুমার সমেত অন্যান্যরা।   

    কী বললেন জেপি নাড্ডা?

    বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে দু’বার তাঁর ওপর হামলা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলে গুন্ডারা (TMC Violence) ভাঙচুর করে তাঁর গাড়িও। গোটা ঘটনার জন্য, মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেককে দায়ী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘আমার কনভয়ে প্রথমে সেদিন বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হল। স্বাভাবিকভাবেই এতে গোটা কনভয় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করতে থাকল গাড়িগুলি। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালাল। নিরাপত্তা পাওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এমন হামলা হলে, সাধারণ মানুষের কী নিদারুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে!’’

    নিজের ১৫ মিনিটের বক্তব্যে এদিন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ১২৩টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি ধর্ষণ। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ধর্ষিতাকে তৃণমূলের গুন্ডারা (TMC Violence) হুমকি দিয়েছে যে অভিযোগ জানালে প্রাণ চলে যাবে।’’  তিনি দাবি করেন, রেকর্ড অনুযায়ী ৮০ হাজারের বেশি লোক ঘরছাড়া হয়েছিলেন, যারমধ্যে এখনও অনেকে ফিরতে পারেননি। ৫৭টি তরতাজা প্রাণ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেপি নাড্ডা।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব নাড্ডা

    ‘‘১০০ দিনের কাজ সমেত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তৃণমূল দুর্নীতি করে, অথচ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে টাকা আটকানোর।’’ শুক্রবার দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে এভাবেই বিঁধলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গরীব, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভেবে মোদিজী চালু করেছিলেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর হতে দিচ্ছেনা তৃণমূল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: দিঘায় পৌঁছল এনডিআরএফ-এর ৮টি টিম, ‘মোকা’ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য?

    Cyclone Mocha: দিঘায় পৌঁছল এনডিআরএফ-এর ৮টি টিম, ‘মোকা’ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে মোকা (Cyclone Mocha)! হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরেই প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে মোকা। ১৪ মে রবিবার, দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছে এটি আছড়ে পড়তে চলেছে। ঝড়ের গতিবেগ শুনে চোখ কপালে উঠেছে ভারত, বাংলাদেশ সমেত মায়ানমারের প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছেছে এনডিআরএফের টিম।

    মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলায় কেন এত তৎপরতা?

    শুক্রবার সকালে আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ছিল মোকা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে মোকা (Cyclone Mocha)। শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। এই প্রবল গতির ঘূর্ণিঝড়ে বিপদের আশঙ্কা সর্বোচ্চ। তাই প্রশাসন কোনওরকমের ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

    এনডিআরএফের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা আটটি দল এবং ২০০ জন উদ্ধারকারীকে পাঠিয়েছি দিঘায়। আরও ১০০ জন উদ্ধারকারীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষত, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর, হলদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, কুলতলি, কাকদ্বীপ, উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মৎস্যজীবীদের আগে থেকেই সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ১১ মের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। দিঘায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মূল অফিসে খোলা হয়েছে জেলা পর্যায়ের কন্ট্রোল রুম। জানা গিয়েছে, জেলার ২৫টি ব্লক এবং ২২৩টি পঞ্চায়েতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কলকাতায় লালবাজারেও কন্ট্রোলরুম খুলে নজর রাখছে পুলিশ।

    আশঙ্কায় সুন্দরবন….

    আমফান বা ফণীর ভয়াল স্মৃতি এখনও তরতাজা সুন্দরবনের মানুষদের কাছে। এতেই বাড়ছে আশঙ্কা (Cyclone Mocha)। সুন্দরবনের প্রতিটি ব্লকেই খোলা হয়েছে একটি করে কন্ট্রোল রুম। সেখানে সারাক্ষণই থাকবেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। জানা গিয়েছে ওই অঞ্চলে আগামী এক সপ্তাহ সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকার স্কুলগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দুর্বল বাঁধ পরিদর্শনের পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথাও বলছে প্রশাসন।

    উত্তর-পূর্ব ভারতও প্রস্তুত মোকা (Cyclone Mocha) মোকাবিলায়

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Mocha) আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের সীমান্তে। তাই ভারতের ত্রিপুরা, মণিপুর এই সমস্ত রাজ্যে মোকার প্রভাব পড়তে পারে। মোকার প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যেই তা আঘাত হানতে পারে। এই কারণে ত্রিপুরা এবং মিজোরামে শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার কমলা সর্তকতা জারি করেছে। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, এনডিআরএফ, ত্রিপুরা পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানকার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। কোনওরকম বিপদের আশঙ্কা থাকলেই উদ্ধারকাজে প্রস্তুত রয়েছে এনডিআরএফ, এমনটাই জানা যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    Cyclone Mocha: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোরে জন্ম নিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ (Cyclone Mocha)। গতকাল পর্যন্ত ছিল গভীর নিম্নচাপ। আজ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘মোকা’। এমনটাই জানাল আবহাওয়া দফতর। উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোকার শেষ অবস্থান পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে। ১২ মে পর্যন্ত তা আরও শক্তি সঞ্চয় করতে চলেছে। ১৪ মে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ‘মোকা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। শুক্রবার আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।

    আগেই জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে সম্ভবত ল্যান্ডফল হবে ‘মোকা’-র। আগামী রবিবার বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমার সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়বে ‘মোকা’। আবহাওয়া দফতর অনুযায়ী, সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। 

    এদিকে, আজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রের অবস্থা খুবই খারাপ থাকবে। ঢেউয়ের উচ্চতা খুব বেশি হবে, শক্তিশালী হাওয়া ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এবং মাঝে মাঝে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘মোকা’র (cyclone mocha) সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। তবে, পরোক্ষ প্রভাব পড়বে এরাজ্যে। শুক্রবার থেকে সামান্য বদলাতে পারে পরিস্থিতি। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে ‘মোকা’র জেরে রাজ্যে চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রির আশেপাশেই।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনের

    ‘মোকা’র (cyclone mocha) কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। বাংলাদেশ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া….

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা বাড়লেও তাপপ্রবাহেরও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী তিন দিন গরমে অস্বস্তিজনিত পরিবেশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া….

    দক্ষিণবঙ্গে আপাতত চলবে গরম। উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আন্দামানে বৃষ্টি….

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে ‘মোকা’র প্রভাবে আন্দামানে ভারী বৃষ্টি হবে। সঙ্গে চলবে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিস জানিয়েছে ‘মোকা’র প্রভাবে বাড়বে আন্দামানের সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা। মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে অসম, তামিলনাড়ু, সিকিম, অন্ধ্র উপকূলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘৪২০’ বলে কেন কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    Sukanta Majumdar: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘৪২০’ বলে কেন কটাক্ষ করলেন সুকান্ত মজুমদার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাবে তৃণমূল। এবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে, তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪০টি আসন পাবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বাবু (Sukanta Majumdar) এ বিষয়ে বলেন, স্বপ্ন দেখতে মানা নেই। স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন, কিন্তু তাঁর সবকিছু ৪২০ এর আশেপাশে ঘুরছে, বিধানসভায় ২৪০ আসন জিততে হবে, এদিক ওদিক করে নিলে ওটা ৪২০ হয়ে যাবে। আবার লোকসভায় ৪০ আসন পাবেন বলছেন, ওখানে মাঝখানে একটা ২ বসালে ৪২০ হয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা, প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। চিটিংবাজি বোঝাতে এখন রসিকতার সুরে অনেকেই এই ধারার উদাহরণ দেন।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এদিন হুগলির চন্ডীতলায় বালুরঘাটে সাংসদ আরও বলেন, যে সারা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভাঙন শুরু হয়েছে। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ এই দুই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাতেও মানুষ তৃণমূল ছেড়ে, দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কারণ মানুষ সম্মানের জন্য রাজনীতি করেন। তৃণমূলে থেকে কেউ চোর স্লোগান শুনতে চাইছে না। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের এই হিড়িক দেখা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গ কুড়মি আন্দোলন

    রাজ্যজুড়ে চলা কুড়মি আন্দোলনকে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি কটাক্ষ করে বলেছেন, এটি খলিস্তানপন্থী আন্দোলনের মতো। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেবে এই কুড়মিরাই। কুড়মিরা তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে, বলেও জানা বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর আরও সংযোজন, তাঁদের মধ্যে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা নেই। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে দেখা গেছে সোনালী গুহকে। যিনি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁর প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি সক্রিয় বিজেপি করেন না, উনার ব্যাপারে দল আগামীতে সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: উজ্জ্বল বিশ্বাসের ‘জিভ ছিঁড়ে নেওয়া’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: উজ্জ্বল বিশ্বাসের ‘জিভ ছিঁড়ে নেওয়া’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ডিএ আন্দোলনকারীদের নিশানা করতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস কৃষ্ণনগরে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু বললে তার জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হবে। রাজ্যের মন্ত্রী এখনও অবধি অনড় রয়েছেন তাঁর মন্তব্যে। এ প্রসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে রবিবার বাঁকুড়ায় বলেন, এবার সময় এসেছে এই ধরনের পাগলের মতো কথাবার্তা যারা বলে তাদের বুঝে নেওয়ার। প্রসঙ্গত শনিবারই, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী ডিএ-এর দাবিতে মিছিল করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন শান্তিনিকেতনের সামনে দিয়ে সেই মিছিল যাওয়ার সময় শোনা যায় চোর চোর স্লোগান। সেই সময়ই কৃষ্ণনগরে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এই ধরনের মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন,  এটাই হবে আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা, আসি যাই মাইনে পাই এই নীতি চলবে না। প্রসঙ্গত, এখনও অবধি নিজের মন্তব্যেই অনড় রয়েছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। উজ্জল বিশ্বাসের এহেন মন্তব্যে বিরোধী মহলের একাংশ বলছে, তবে কি গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করলেও নেমে আসবে শাসক দলের সন্ত্রাস?

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    টিএমসি খেদাও অভিযানের ডাক দিলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)

    অন্যদিকে বাঁকুড়াতে এদিন সকালে টিএমসি খেদাও অভিযানের ডাক দিলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল ভোট লুট করতে এলে বাঁশ দিয়ে মোকাবিলা করার নিদান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বাঁকুড়া বিজেপির শক্তঘাঁটি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে অভূতপূর্ব ফল করে এখানে তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাই এই জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে বাঁকুড়ার মাচানতলায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল এবং বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share