Tag: West Bengal

West Bengal

  • Cyclone Mocha: আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা! জানেন কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা?

    Cyclone Mocha: আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা! জানেন কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার সকালেই নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই নিম্নচাপই পরবর্তী সময়ে আরও গভীর হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আন্দামান নিকোবরে সতর্কতা

    আইএমডি জানিয়েছে, ৮ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এর প্রভাব পড়বে, বলে অনুমান আবহবিদদের। এই নিম্নচাপের প্রভাব আন্দামান নিকোবরে পড়তে শুরু করবে আগামীকাল থেকেই। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলবর্তী এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের জন্য। রবিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভেসেল চলাচল ও সমুদ্রপাড়ে কোনও কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ।

    ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এটি আরও ঘনীভূত হবে। এর পর এটি প্রায় উত্তর দিকে আরও ঘনীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা। তবে ঘূর্ণিঝড় কোন পথ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘূর্ণিঝড়টি একেবারে তৈরি হলে তারপরেই এর গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা মিলবে।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় শীর্ষে বাংলা! উদ্বেগজনক রিপোর্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির পর সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখছেন আবহবিদরা। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ঘিরে তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিধাননগর এলাকায় গাছ কাটা শুরু হয়েছে। দুর্যোগ সামলাতে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশাতেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। সে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে আগাম প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলেও বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। উল্টে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue-Malaria: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় শীর্ষে বাংলা! উদ্বেগজনক রিপোর্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    Dengue-Malaria: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় শীর্ষে বাংলা! উদ্বেগজনক রিপোর্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় ২০২২ সালে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের পরিসংখ্যান প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আক্রান্তের নিরিখে ২০২২ সালে, দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal)। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২২ এ পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গি (Dengue) ও ম্যালেরিয়া (Malaria) মিলিয়ে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    উদ্বেগজনক রিপোর্ট

    গত বছর রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ২৭১ জন। যা আগের বছরের তুলনায় আক্রান্তর সংখ্যা ৮ গুণেরও বেশি। পাশাপাশি সরকারি মতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখেও দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গত বছর মোট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৬৩ জন। ডেঙ্গিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। তবে বাংলার থেকে সংখ্যার নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে ইউপি। সেখানে ২০২২ সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। ম্যালেরিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার। পড়শি রাজ্যে গত বছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বাঙালি। 

    আরও পড়ুন: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    তথ্য গোপনের অভিযোগ

    এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অভিযোগ করেছিল, বাংলার স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার তথ্য কেন্দ্রকে দিচ্ছে না। ফলে বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি মাসে এই অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগও উঠেছিল গত বছর। বিতর্কের পর বাংলার স্বাস্থ্য ভবন সেই রিপোর্ট পাঠায় দিল্লিকে। তারপরই দেখা যায় বাংলা এই দুই মশাবাহিত রোগে সবার উপরে রয়েছে। গত বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাংলায় উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তরুণ-তরুণীদের মৃত্যু পরিস্থিতিকে বিপর্যয়ের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল রাজ্যে। সেই আঁচ গিয়ে পড়েছিল বিধানসভাতেও। বিধানসভার অধিবেশনের মাঝেই একদিন প্রথমার্ধ্বে ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। মুলতুবি প্রস্তাব পাঠের অনুমতি দিলেও, এনিয়ে আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ । 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    Krishna Kalyani: ২০-ঘণ্টা জেরার পর ভোররাতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়ে রওনা গোয়েন্দাদের! কোথায় গেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে আয়কর-ইডির জোড়া হানার ২৪ ঘণ্টা পার। সূত্রের খবর, রাতভর তল্লাশির পরে বৃহস্পতিবার ভোরে বিধায়ককে নিয়ে তাঁর সুদর্শনপুরের অফিসে যান আয়কর আধিকারিকরা। এখনও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ম্যারাথন তল্লাশি যখন চলছে তখন অভিযোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপির একাংশের দাবি, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani), তাঁর গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা।

    বুধবার সকালেই বিধায়কের বাড়িতে কড়া নাড়েন তদন্তকারী আধিকারিকরা 

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাত সকালেই কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) রায়গঞ্জের বাড়িতে কড়া নাড়েন আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি ও অফিস দুই জায়গা ঘিরে ফেলে ৪ গাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়কের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে বলে খবর। তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও এরপর যান গোয়েন্দারা। মালদার সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হেমন্ত শর্মার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। রায়গঞ্জের স্থানীয় মানুষজনের দাবি, সামান্য ব্যবসা থেকে আচমকা উত্থান হয় কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani)। বিজেপি বলছে, এটাই তো শাসক দলের আশীর্বাদ। বাংলো স্টাইল বাড়ি, বহুতল অফিস। আচমকাই গড়ে ওঠে সব ২০১৬-২০১৭ সালের পর। এখন সেই উত্থানের পিছনে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সেটাই এবার আয়কর ও ইডি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একই কথা হেমন্ত শর্মার ক্ষেত্রেও, মালদায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে তিনি বাড়ি করেছেন। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর।

    কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি-আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে মোক্ষম জবাব সুকান্তর…

    অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মোকাবিলা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের তরফ থেকে এই ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া হয়, ‘‘ওদের (বিজেপি) থেকে হয়ত দূরত্ব তৈরি হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর। তার জন্যই হয়ত এই হানা। তবে বারবার প্রমাণ হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র।’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, ‘‘স্পিকার তো বলেই দিয়েছেন কৃষ্ণকল্যাণী বিজেপির বিধায়ক। তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তো শুধু তৃণমূলকে টার্গেট করে না, বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করব”! ময়না-কাণ্ডে সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করব”! ময়না-কাণ্ডে সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে, ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করতে প্রস্তুত, বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “পুলিশের অপদার্থতার কারণেই এই খুন হয়েছে। এই সব কিছুর পর পুলিশ হামলার শিকার হলে আমাদের দায়ী করতে পারবেন না।”

    নিষ্ক্রিয় পুলিশ

    ময়নায় নিহত কর্মীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের তরফে নিহত নেতার পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একজন বুথ সভাপতি, বড় মাপের কর্মীকে হারালাম। আমরা লড়াই ছাড়ছি না। সৌমেন মহাপাত্র, সংগ্রাম দলুই, যেই হোক না কেন, এখান থেকে বিজেপির পতাকা নামাতে পারবেন না। আমরা একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানাব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য।’’ সুকান্ত আরও বলেন, “পুলিশ চাইলে তিন মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কর্মীকে বাঁচাতে পারতো। কিন্তু পুলিশ যায়নি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘সিআরপিসি, আইপিসি-র অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র’’! দাবি শুভেন্দুর

    ভাইপো বাঁচাও কর্মসূচি

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল ভাইপো বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে! তবে ভাইপো বাঁচবেন কি না সন্দেহ আছে! কেননা পুরো কেস জমে ক্ষীর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাঁচার সম্ভাবনা নেই। এবার তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একা পারছেন না নবজোয়ার কর্মসূচি সামলাতে। তাই তিনি আরেকজনকে ডেকে নিয়েছেন। আসলে যুবরাজের এত বাইরে ঘোরার অভ্যাস নেই তো! তৃণমূলে জোয়ার কোথায়, এখন তো ভাটা দেখতে পাচ্ছি।” সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না নবজোয়ার কর্মসূচিকে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামতে হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা ব্যালট লুঠ করছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিষ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কার্যত মেনে নিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ মাস পরে বর্তমান প্যানেল বাতিল ঘোষণা হবে। এবং মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এর তদন্ত হওয়া দরকার।

    ২০২১ সালের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় পুরোনো দলে ফিরে গেলে এনিয়ে তদন্ত এগোয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কোনও নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বরং এসএমএস করে জানানো হয়েছিল কারা পাশ করেছেন। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। নির্দেশ, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, কোনও নিয়মই মানা হয়নি। নিয়োগ তালিকার বিশদ তথ্যের জন্য তাঁরা আরটিআই করেন, সেখানে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতেও ধরা পড়ে গলদ। আরটিআইয়ে দেখা যায়, বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হয়েছে ২ জনকে। যোগ্যতা বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছে ৩ জন।

    নিয়োগের খুঁটিনাটি

    জানা গেছে, বন সহায়ক কোনও স্থায়ী পদ নয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তরফে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বয়সসীমা ছিল ১৮-৪০ বছর এবং সরকারি নিয়মে যেমন বয়সের ছাড় থাকে, সেটিও প্রযোজ্য ছিল। জানা গেছে, নিয়োগের মেয়াদ ছিল এক বছরের। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই চাকরির মেয়াদ বাড়নো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মালদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবজোয়ার সভাতে যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। আজ সন্ধ্যায় এই জেলায় পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরে তাঁর দ্বারস্থ হতে এবার জেলা প্রশাসনকে আর্জি জানাল কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা। প্রসঙ্গত, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি আন্দোলন চালিয়েছে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই প্রদেশেই। নব্বইয়ের দশক থেকে মালদায় মাথা চাড়া দেয় কেএলও-রা (KLO)। সরকার এবং প্রশাসনের খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতে তারা নিয়োগ করে লিঙ্কম্যান। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা মূলস্রোতে ফিরলে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কয়েকজনের মাত্র চাকরি হয়েছে বটে কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ফাঁকা আওয়াজই থেকে গেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চেয়ে তাঁরাই স্মারকলিপি দিল জেলা শাসকের অফিসে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি টানছে ভারত-চিন! রিপোর্ট আইএমএফের

    কী লেখা রয়েছে ওই স্মারকলিপিতে?  

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও মেলেনি চাকরি। বুধবার সকালে এই মর্মে মালদা জেলাশাসক দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন কেএলও (KLO) এর লিঙ্কম্যানরা। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পেয়ে মালদার হবিবপুর, বামনগোলা সহ চারটি ব্লকের কেএলও লিংকম্যান হিসেবে কাজ করা যুবকরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো প্রায় ৪৩ জন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এখনও প্রায় ৭২ জন বঞ্চিত। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতে তাঁরা তাঁর সাক্ষাত প্রার্থী। বুধবার সকালে ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জনৈক অরুণ সরকার।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বন‍্‍ধকে (BJP Bandh) কেন্দ্র করে দিনভর অশান্ত হয়ে রইল ময়না। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, ১ মে রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খুনের ঘটনার এখনও অবধি কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ময়না জুড়ে চলছে বন‍্‍ধ (BJP Bandh)। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ জেলার পরিস্থিতি।

    ময়না বন‍্‍ধ (BJP Bandh)…

    সকাল থেকেই দফায় দফায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ময়নার বিভিন্ন এলাকা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, জেলা জুড়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা অবধি চলবে অবরোধ। পুলিশ জোর করে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ তুলতে গেলে বন‍্‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে অবরোধ শুরু করে। সরকারি অফিসগুলোতে বাঁধা হয় দলীয় পতাকা। পটাশপুর থেকে ময়নার অন্নপূর্ণ বাজার জায়গায় জায়গায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) তুলতে আসা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ধস্তাধস্তি বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। লাঠি চার্জের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল দিলীপ ঘোষ

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল হন দিলীপ ঘোষ। বনধ (BJP Bandh) অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এদিন ২০৫ পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার রাতুলা বাজারে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমেত অসংখ্য বিজেপি কর্মী তৃণমূলের খুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথ অবরোধে সামিল হন।

    দিনভর দাপালেন অশোক দিন্দা..

    বন‍্ধের সমর্থনে একের পর এক বাজার, পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার আবেদন জানান দিন্দা। তিলখোলা পঞ্চায়েত অফিসে কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে দেখে পঞ্চায়েত কর্মীদের গেট বন্ধ রেখে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়েও তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেন। পরে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন দিন্দা। অবস্থান বিক্ষোভের পর বাইক ব়্যালি করে ময়নার বিডিও অফিসের উদ্দেশে যেতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাকে। দলীয় কর্মীর বাইকে চেপেই তিনি বিডিও অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন দেড় দিন পার হয়ে গেলেও বিজেপি কর্মীর খুনিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে অশোক দিন্দা বলেন, এখানে বিজেপি নেতাকে যে ভাবে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানো হবে। আমরা বার বার বলেছিলাম অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। সেখানে অখিল গিরি-সহ অন্যরা বলছেন এটা পারিবারিক ঘটনা। এর পেছনে বড় মাথা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেও এদিন চলল আয়কর দফতরের হানা। বুধবার সকালে মালদার তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। জানা গেছে, প্রথমে তাঁর হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। পরে তাঁরা পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) নেতার মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লীর বাড়িতে। তল্লাশির সময় দুটি বাড়িই ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কেন এই হানা, তা এখনও জানা যায়নি, তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শাসক দলের বদান্যতায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে হেমন্ত শর্মার সম্পত্তি, তাই এদিন তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অবশ্য এখনও অবধি কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়েও মৌসম নূরের সফর সঙ্গী হতে দেখা যায় হেমন্ত শর্মাকে। শোনা যায়,  জঙ্গল থেকে পাহাড় যখনই ঘুরতে গেছেন মৌসম নূর, তখনই তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন এই হেমন্ত শর্মা। এবার মৌসম ঘনিষ্ঠ হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম মালদার রাজনীতি। 

    কী বলছে বিরোধীরা?

    বিরোধীদের অভিযোগ এই হেমন্ত শর্মার অবস্থা সাধারণ আর পাঁচটা লোকের মতোই ছিল! প্রথম থেকেই তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের হবিবপুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। মৌসম তৃণমূলে যোগদান করার পরেই হেমন্ত শর্মাকে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে। আর এরপর থেকেই হেমন্ত শর্মার উত্থান চোখে পড়ার মতো। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উল্কার গতিতে আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হতে থাকে হেমন্তর। তাঁর এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, হবিবপুর ব্লকের বাড়ি বাদ দিয়েও মালদা শহরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু মালদা নয়, হেমন্তর সাম্রাজ্য গড়িয়েছে কলকাতা অবধি। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এই হেমন্ত শর্মার নামে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজেই এদিন হেমন্তর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ৭ দিনে খুন (BJP Murder) ৩ বিজেপি নেতা। পশ্চিমবঙ্গে যে আইনের শাসন একেবারেই নেই তা নিয়ে বহুবার সরব হয়েছে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের বর্তমান হিংসার চিত্র প্রমাণ করছে, বিরোধী দলের দাবি মিথ্যা নয়। এমনটাই বলছে কোনও কোনও মহল। একদিকে, রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ২ বছর পূর্তি পালন করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের উপর নামে লাগামছাড়া সন্ত্রাস। প্রায় ১ লক্ষের ওপর বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া হয়। ২৫ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। পরিসংখ্যান বলছে ভোট পরবর্তী হিংসায় ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটে (BJP Murder)। লুট, সন্ত্রাস, মহিলাদের ওপর নির্যাতন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। বিজেপি ইতিমধ্যে তাই ২ মে’ কালা দিবস হিসেবে পালন করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শহিদদের উদ্দেশে তর্পণও করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হয়নি এতটুকু। ফের একবার শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাস।

    ১ মে রাতে ময়নায় খুন (BJP Murder) হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া

    বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আজ ময়না জুড়ে বন‍্‍ধ চলছে ১২ ঘণ্টার । 

    ২৯ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন জামুড়িয়ার বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ

    গত ২৯ এপ্রিল জামুড়িয়ায় শুটআউটে মৃত্যু হয় বিজেপির কনভেনর রাজেন্দ্র কুমার সাউয়ের। গাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বলছেন, শনিবার দুপুরে জামুড়িয়ার বোগরা এলাকায়, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্জন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ এই সাদা গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সন্দেহ হওয়ার গাড়ির কাছে যান স্থানীয়রা। তখনই দেখা যায়, গাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। 

    ২৭ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন

    গত ২৭ এপ্রিল নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেদিন, গভীর রাতে অভিযান চালানোর সময় গুলি চালায় পুলিশ। নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের খুড়তুতো ভাই এবং একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে জানা যায়। বারবার পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এই ঘটনা বিজেপির আনা অভিযোগকেই সত্য প্রমাণ করল বলে মনে করছেন, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল এক ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী (Fake Candidate)। জানা গিয়েছে ওই চাকরি প্রার্থীর নাম বাপ্পা দেবনাথ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়। সূত্রের খবর, জাল নথি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন এদিন তিনি (Fake Candidate)। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পর্ষদ কর্তারা। ধৃতকে (Fake Candidate) বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল এই ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ?

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ একাংশের ইন্টারভিউ চলছে এখন। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে দুপুরের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী (Fake Candidate)। ইন্টারভিউয়ে তাঁর যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তাঁর ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের জানান, নথি যাচাইয়ের সময়ই ওই ভুয়ো টেট উত্তীর্ণকে ধরে ফেলা হয়। তাঁকে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছতে দেওয়া হয়নি, যাঁরা নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন, বাপ্পা দেবনাথের সার্টিফিকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে পুরো বিষয়টি বলা হয়। এরপর নথির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়, সেখানেই ধরা পরে যায় আসল সত্য। জানা গেছে, ওই প্রার্থীর (Fake Candidate) রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’ আপাতত পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে।

    ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ কী বলছে?

    ভুয়ো প্রার্থীর (Fake Candidate) অবশ্য দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share