Tag: West Bengal

West Bengal

  • Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: ২ হাজার বন সহায়ক নিয়োগে অনিয়ম! নতুন প্যানেল তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বনসহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কার্যত মেনে নিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ মাস পরে বর্তমান প্যানেল বাতিল ঘোষণা হবে। এবং মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে নতুন প্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এর তদন্ত হওয়া দরকার।

    ২০২১ সালের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় পুরোনো দলে ফিরে গেলে এনিয়ে তদন্ত এগোয়নি। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কোনও নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বরং এসএমএস করে জানানো হয়েছিল কারা পাশ করেছেন। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানায়, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। নির্দেশ, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, কোনও নিয়মই মানা হয়নি। নিয়োগ তালিকার বিশদ তথ্যের জন্য তাঁরা আরটিআই করেন, সেখানে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতেও ধরা পড়ে গলদ। আরটিআইয়ে দেখা যায়, বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ করা হয়েছে ২ জনকে। যোগ্যতা বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছে ৩ জন।

    নিয়োগের খুঁটিনাটি

    জানা গেছে, বন সহায়ক কোনও স্থায়ী পদ নয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের তরফে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রায় ২ হাজার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। কলকাতা, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়ি- এই পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের জন্য ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বয়সসীমা ছিল ১৮-৪০ বছর এবং সরকারি নিয়মে যেমন বয়সের ছাড় থাকে, সেটিও প্রযোজ্য ছিল। জানা গেছে, নিয়োগের মেয়াদ ছিল এক বছরের। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই চাকরির মেয়াদ বাড়নো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    KLO: মালদায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্মারকলিপি কেএলও লিঙ্কম্যানদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মালদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবজোয়ার সভাতে যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। আজ সন্ধ্যায় এই জেলায় পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরে তাঁর দ্বারস্থ হতে এবার জেলা প্রশাসনকে আর্জি জানাল কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা। প্রসঙ্গত, এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি আন্দোলন চালিয়েছে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই প্রদেশেই। নব্বইয়ের দশক থেকে মালদায় মাথা চাড়া দেয় কেএলও-রা (KLO)। সরকার এবং প্রশাসনের খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছাতে তারা নিয়োগ করে লিঙ্কম্যান। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন কেএলও (KLO) লিঙ্কম্যানরা মূলস্রোতে ফিরলে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কয়েকজনের মাত্র চাকরি হয়েছে বটে কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ফাঁকা আওয়াজই থেকে গেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চেয়ে তাঁরাই স্মারকলিপি দিল জেলা শাসকের অফিসে।

    আরও পড়ুন: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতি টানছে ভারত-চিন! রিপোর্ট আইএমএফের

    কী লেখা রয়েছে ওই স্মারকলিপিতে?  

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও মেলেনি চাকরি। বুধবার সকালে এই মর্মে মালদা জেলাশাসক দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন কেএলও (KLO) এর লিঙ্কম্যানরা। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পেয়ে মালদার হবিবপুর, বামনগোলা সহ চারটি ব্লকের কেএলও লিংকম্যান হিসেবে কাজ করা যুবকরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো প্রায় ৪৩ জন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এখনও প্রায় ৭২ জন বঞ্চিত। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিতে তাঁরা তাঁর সাক্ষাত প্রার্থী। বুধবার সকালে ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জনৈক অরুণ সরকার।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বন‍্‍ধকে (BJP Bandh) কেন্দ্র করে দিনভর অশান্ত হয়ে রইল ময়না। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, ১ মে রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খুনের ঘটনার এখনও অবধি কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ময়না জুড়ে চলছে বন‍্‍ধ (BJP Bandh)। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ জেলার পরিস্থিতি।

    ময়না বন‍্‍ধ (BJP Bandh)…

    সকাল থেকেই দফায় দফায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ময়নার বিভিন্ন এলাকা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, জেলা জুড়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা অবধি চলবে অবরোধ। পুলিশ জোর করে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ তুলতে গেলে বন‍্‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে অবরোধ শুরু করে। সরকারি অফিসগুলোতে বাঁধা হয় দলীয় পতাকা। পটাশপুর থেকে ময়নার অন্নপূর্ণ বাজার জায়গায় জায়গায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) তুলতে আসা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ধস্তাধস্তি বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। লাঠি চার্জের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল দিলীপ ঘোষ

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল হন দিলীপ ঘোষ। বনধ (BJP Bandh) অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এদিন ২০৫ পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার রাতুলা বাজারে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমেত অসংখ্য বিজেপি কর্মী তৃণমূলের খুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথ অবরোধে সামিল হন।

    দিনভর দাপালেন অশোক দিন্দা..

    বন‍্ধের সমর্থনে একের পর এক বাজার, পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার আবেদন জানান দিন্দা। তিলখোলা পঞ্চায়েত অফিসে কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে দেখে পঞ্চায়েত কর্মীদের গেট বন্ধ রেখে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়েও তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেন। পরে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন দিন্দা। অবস্থান বিক্ষোভের পর বাইক ব়্যালি করে ময়নার বিডিও অফিসের উদ্দেশে যেতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাকে। দলীয় কর্মীর বাইকে চেপেই তিনি বিডিও অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন দেড় দিন পার হয়ে গেলেও বিজেপি কর্মীর খুনিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে অশোক দিন্দা বলেন, এখানে বিজেপি নেতাকে যে ভাবে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানো হবে। আমরা বার বার বলেছিলাম অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। সেখানে অখিল গিরি-সহ অন্যরা বলছেন এটা পারিবারিক ঘটনা। এর পেছনে বড় মাথা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেও এদিন চলল আয়কর দফতরের হানা। বুধবার সকালে মালদার তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। জানা গেছে, প্রথমে তাঁর হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। পরে তাঁরা পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) নেতার মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লীর বাড়িতে। তল্লাশির সময় দুটি বাড়িই ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কেন এই হানা, তা এখনও জানা যায়নি, তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শাসক দলের বদান্যতায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে হেমন্ত শর্মার সম্পত্তি, তাই এদিন তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অবশ্য এখনও অবধি কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়েও মৌসম নূরের সফর সঙ্গী হতে দেখা যায় হেমন্ত শর্মাকে। শোনা যায়,  জঙ্গল থেকে পাহাড় যখনই ঘুরতে গেছেন মৌসম নূর, তখনই তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন এই হেমন্ত শর্মা। এবার মৌসম ঘনিষ্ঠ হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম মালদার রাজনীতি। 

    কী বলছে বিরোধীরা?

    বিরোধীদের অভিযোগ এই হেমন্ত শর্মার অবস্থা সাধারণ আর পাঁচটা লোকের মতোই ছিল! প্রথম থেকেই তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের হবিবপুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। মৌসম তৃণমূলে যোগদান করার পরেই হেমন্ত শর্মাকে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে। আর এরপর থেকেই হেমন্ত শর্মার উত্থান চোখে পড়ার মতো। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উল্কার গতিতে আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হতে থাকে হেমন্তর। তাঁর এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, হবিবপুর ব্লকের বাড়ি বাদ দিয়েও মালদা শহরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু মালদা নয়, হেমন্তর সাম্রাজ্য গড়িয়েছে কলকাতা অবধি। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এই হেমন্ত শর্মার নামে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজেই এদিন হেমন্তর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ৭ দিনে খুন (BJP Murder) ৩ বিজেপি নেতা। পশ্চিমবঙ্গে যে আইনের শাসন একেবারেই নেই তা নিয়ে বহুবার সরব হয়েছে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের বর্তমান হিংসার চিত্র প্রমাণ করছে, বিরোধী দলের দাবি মিথ্যা নয়। এমনটাই বলছে কোনও কোনও মহল। একদিকে, রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ২ বছর পূর্তি পালন করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের উপর নামে লাগামছাড়া সন্ত্রাস। প্রায় ১ লক্ষের ওপর বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া হয়। ২৫ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। পরিসংখ্যান বলছে ভোট পরবর্তী হিংসায় ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটে (BJP Murder)। লুট, সন্ত্রাস, মহিলাদের ওপর নির্যাতন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। বিজেপি ইতিমধ্যে তাই ২ মে’ কালা দিবস হিসেবে পালন করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শহিদদের উদ্দেশে তর্পণও করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হয়নি এতটুকু। ফের একবার শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাস।

    ১ মে রাতে ময়নায় খুন (BJP Murder) হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া

    বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আজ ময়না জুড়ে বন‍্‍ধ চলছে ১২ ঘণ্টার । 

    ২৯ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন জামুড়িয়ার বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ

    গত ২৯ এপ্রিল জামুড়িয়ায় শুটআউটে মৃত্যু হয় বিজেপির কনভেনর রাজেন্দ্র কুমার সাউয়ের। গাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বলছেন, শনিবার দুপুরে জামুড়িয়ার বোগরা এলাকায়, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্জন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ এই সাদা গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সন্দেহ হওয়ার গাড়ির কাছে যান স্থানীয়রা। তখনই দেখা যায়, গাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। 

    ২৭ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন

    গত ২৭ এপ্রিল নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেদিন, গভীর রাতে অভিযান চালানোর সময় গুলি চালায় পুলিশ। নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের খুড়তুতো ভাই এবং একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে জানা যায়। বারবার পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এই ঘটনা বিজেপির আনা অভিযোগকেই সত্য প্রমাণ করল বলে মনে করছেন, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল এক ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী (Fake Candidate)। জানা গিয়েছে ওই চাকরি প্রার্থীর নাম বাপ্পা দেবনাথ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়। সূত্রের খবর, জাল নথি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন এদিন তিনি (Fake Candidate)। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পর্ষদ কর্তারা। ধৃতকে (Fake Candidate) বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল এই ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ?

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ একাংশের ইন্টারভিউ চলছে এখন। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে দুপুরের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী (Fake Candidate)। ইন্টারভিউয়ে তাঁর যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তাঁর ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের জানান, নথি যাচাইয়ের সময়ই ওই ভুয়ো টেট উত্তীর্ণকে ধরে ফেলা হয়। তাঁকে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছতে দেওয়া হয়নি, যাঁরা নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন, বাপ্পা দেবনাথের সার্টিফিকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে পুরো বিষয়টি বলা হয়। এরপর নথির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়, সেখানেই ধরা পরে যায় আসল সত্য। জানা গেছে, ওই প্রার্থীর (Fake Candidate) রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’ আপাতত পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে।

    ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ কী বলছে?

    ভুয়ো প্রার্থীর (Fake Candidate) অবশ্য দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এবার ভাতিজা রুমাল মাথায় দিয়েছিল, কিন্তু টুপি পরেনি। সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু আর নন্দীগ্রামে সনাতনীদের গুঁতোয় এই পরিস্থিতি।’’ প্রসঙ্গত, ইদের দিন একই স্থানে মমতা বন্দোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেদিনই পাল্টা সভা করার ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির। এদিনের সভায় ভালই ভিড় হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন বগটুইয়ের মিহিলাল শেখ।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    রেড রোডের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারবাদ, তোষণবাদ, দুর্নীতিবাদের চাষ করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে বিকাশবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। সংখ্যালঘু মানুষরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাদের কাজের ব্যবস্থা করেনি। এমএসডিপি-র টাকায় ব্যাপক চুরি, দুর্নীতি হয়েছে।’’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি-র ভয় দেখাচ্ছেন। অশান্তি লাগিয়ে, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদের নমাজের মঞ্চেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির বার্তা দিয়েছেন। সংখ্যালঘুরা রাজ্যের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী বাইরের রাজ্যে রয়েছেন।’’ এঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও কিছুর বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’

    এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এর আগেও রিষড়াকাণ্ডের পর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, ‘‘একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।’’ শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় এনআরসির কথা বলছেন, বলছেন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্তি লাগিয়ে এনআরসির জুজু দেখিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘ইদের দিন ধর্মীয় সভা থাকলেও, সেই সভাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সভায় পরিণত করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রাই তিহাড় যাত্রার পথ প্রশস্ত করে দেবে তৃণমূল নেতাদের, এমনটাই মত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বাঁকুড়ায় সাফ জানালেন, নবজোয়ার যাত্রা নয়, এই জোয়ারেই তিহাড় যাত্রা নিশ্চিত হবে। তৃণমূলে আর নবজোয়ার আসবে না বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘‘বড় মস্তান ছিল লক্ষ্মণ শেঠ বা কেষ্ট মণ্ডল-রা। দেখেছেন তো কী হাল হল তাদের। এবার তৃণমূলের নবজোয়ার আনতে গিয়ে না এই জোয়ারে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হয়ে যায়।’’

    ইন্দাসের সভায় শেখ হামিদকে পাল্টা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় সভা সমাবেশ করছেন শুভেন্দু। শুক্রবার তিনি হাজির ছিলেন বাঁকুড়াতে। বিকেলে ইন্দাসের শাসপুরে দলের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই তিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদকে একহাত নেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের এক সভায় ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ শুভেন্দুকে ‘ইতিহাস’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার পাল্টা নিজের দলের কর্মীদের খাতা কলমে তা লিখে রাখার নিদান দেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর আজ হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা একসময় ঘরছাড়া ছিলেন। তাঁদের তেল, নুন আমি দিতাম। এখন সাধারণ হক যদি বন্ধ করা হয়, বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি তাঁর দায়িত্ব নিলাম।

    চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা বিরোধী দলনেতার

    শুভেন্দু বলেন, জাল ওএমআর শিট সব বেরিয়ে এসেছে। কোনো তথ্য ও প্রমাণের পরিবর্তন হবে না। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কথা দিচ্ছি, হকের চাকরি হবে। তার জন্য লড়াই চলছে, লড়াই চলবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের পতন হবেই, আর যাঁরা রোদ, ঝড়, জল, মাথায় নিয়ে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের লড়াই বৃথা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lightning Death: রাজ্যের ৫ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১৫ জনের, আজ আকাশ থাকবে কেমন?

    Lightning Death: রাজ্যের ৫ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১৫ জনের, আজ আকাশ থাকবে কেমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালেও ছিল রোদ ঝলমলে আকাশ। কিন্তু দুপুর গড়াতেই পাল্টে যায় রাজ্যের কয়েকটি জেলার আবহাওয়ার রূপ। দুপুরের কালো মেঘ ঢেকে দেয় সূর্যের আলো। প্রথমে ঝোড়ো হাওয়া, তারপরই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। কোথাও হাল্কা, কোথায় আবার মাঝারি বৃষ্টির দাপট ছিল। গোটা রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু (Lightning Death) হয়েছে ১৫ জনের।

    বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু (Lightning Death)

    ঝোড়ো হাওয়ার দাপটের পাশাপাশি বজ্রপাতের ঘটনাও কমবেশি সব জেলায় দেখা যায় এদিন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু (Lightning Death) হয়েছে ১৫ জনের। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদে ৩ জনের, হাওড়া জেলায় ৩ জনের, পূর্ব বর্ধমান জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মৃতের সংখ্যা ২ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মৃত্যু (Lightning Death) হয়েছে ৩ জনের।
    মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের কাগ্রাম এলাকার মাঠে কাজ করছিলেন পাঁচজন। সেই সময় আচমকাই মাঠের উপর বাজ পড়ে। তাতে গুরুতর আহত হন পাঁচ জন। আহত অবস্থায় তাঁদের সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে দু’জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও সামসেরগঞ্জের লক্ষ্মীনগর থানায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক যুবকের।
    এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে মিলন বিশ্বাস ও ধীরাজ শর্মা-র। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার আমতা ও বানানে আরও তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বর্ধমানের কালনা, ভাতার, মঙ্গলকোটে পৃথক পৃথক ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন বোলপুরে শিলাবৃষ্টিও হয়। প্রকৃতির এই হঠাৎ পরিবর্তনে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলেছে রাজ্যের মানুষের। কিন্তু আচমকা বাজে প্রাণ কেড়ে নিল অনেকেরই (Lightning Death)।

    আগামী কয়েকদিন চলবে এমন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪/৫ দিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। শনি ও রবিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের ওপরের দিকের পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। তবে এই বৃষ্টি যে দীর্ঘমেয়াদি নয় সেটাও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রাও বাড়বে। তিন দিনে তিন-চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যেখানে বৃষ্টি বেশি হবে সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে অস্বস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা লন্ডন না হলেও তৃণমূলের রাজত্বে মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। বুধবার মালদার স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করে বন্দুকবাজের শাসানির প্রতিক্রিয়ায় এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    সুকান্তর দাবি

    সুকান্তের কথায়, কালিয়াগঞ্জের ভিডিওতে দেখা গেল, পুলিশকে জনতা পেটাচ্ছে। এখানে দেখা গেল স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। মালদার এক স্কুলে (Malda School) বুধবার পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি (Gunman in School)। সটান ক্লাসরুমে। হাতে পিস্তল। টেবিলে রাখা দুটি বোতল। বোতলের মাথাগুলি সাদা কাপড়ে মোড়া। পিস্তল উঁচিয়ে ভরা ক্লাসরুমে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। অতীতে মার্কিন মুলুকে এমন স্কুলের ভিতের বন্দুকবাজের হানার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্য বাংলার কোনও স্কুলে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। কর্নাটকে প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন করবেন। তা আদতে স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। তবে কলকাতা লন্ডন না হলেও মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাতে এরকম বন্দুকবাজের তাণ্ডব হয়। এখন সেটা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামেগঞ্জেও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখুন বাংলার আইন-শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি!”

    আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    দিলীপ ঘোষের মন্তব্য

    মালদায় স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলার পাড়ায় পাড়ায় যে খুন-ধর্ষণ হচ্ছে, সেটা কি দিল্লি করাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যখনই কোনও কাজে ব্যর্থ হন তখনই অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেন। উনি পুলিশমন্ত্রী হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। তাই এখন দিল্লির ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করছেন। এটা অযোগ্যতার প্রাথমিক লক্ষ্মণ। এভাবে উনি পার পাবেন না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share