Tag: West Bengal

West Bengal

  • Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) চোখরাঙানি আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের উৎসব আর আলোর রোশনাইয়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মানুষের মহামারির গুরুত্ব! বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো কি করোনা মোকাবিলায় সবরকমভাবে সেজে উঠতে পেরেছে?

    করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়েছিল, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট কতখানি জরুরি। কৃত্রিম অক্সিজেন ছিল একমাত্র হাতিয়ার। রোগীকে সুস্থ করতে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য আলাদা আর্থিক বরাদ্দ ও করে।

    কাজ কতখানি এগিয়েছে?

    রাজ্যের সব হাসপাতাল তো দূর অস্ত। কলকাতার (Covid 19) সব সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ থাকে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম অক্সিজেনের জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালের ভরসা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হলো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার হাসপাতাল। তাই ডেঙ্গি হোক কিংবা করোনা, সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ থাকে এই বেলেঘাটা আইডি-তেই। তাই নিজের হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা মিটিয়ে, আরেক হাসপাতালে কৃত্রিম অক্সিজেন পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, কাজ অনেকটাই বাস্তবায়িত হলেও চাহিদা পূরণের জন্য এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএস, এসএসকেএম কিংবা আরজিকরের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো এখনও কৃত্রিম অক্সিজেন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, যদি ফের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি ২০২০-২১ সালের মতো হয়, তাহলে রাজ্যে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা, রাজ্যে সচেতনতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। চিনে করোনার (Covid 19) প্রকোপ বাড়তেই কেন্দ্র সতর্ক করেছে। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু কলকাতায় মাস্ক উধাও। অতিরিক্ত জনসমাগমেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য। বড়দিনের উৎসব হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দেই। পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, গত দুদিন শহর থেকে জেলা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। কোথাও মাস্ক পরার রেওয়াজ নেই। প্রশাসনের তরফেও কোথাও নজরদারি নেই। তাই করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

    সংক্রমণ বাড়লে রাজ্য সামাল দিতে পারবে তো?

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো হয়েছে। আলাদা করে করোনার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের টিকা ঘাটতি অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অধিকাংশ মানুষের নেই। তবে, চাহিদা তৈরি হলেও জোগান দেওয়ার ক্ষমতা আপাতত রাজ্যের নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও করোনার (Covid 19) টিকা তাদের কাছে মজুত নেই। ফলে, টিকা না পেলে করোনা প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    আপাতত উৎসবে মজে থাকা বাঙালির আগামী বছর কেমন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে করোনা (Covid 19) প্রস্তুতি ছিটেফোঁটাও নেই। সময় মতো কেন্দ্রকে টিকার প্রয়োজনীয়তাও জানাতে পারেনি রাজ্য। তাই সবরকম টিকা ও ভাণ্ডারে নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জনসচেতনতাই রেহাই দিতে পারে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার আর অকারণ ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনার ঢেউ আটকাতে পারে। কিন্তু বড়দিনের জনপ্লাবন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর সভা! কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমের নলহাটিতে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনায় দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজে বেনিয়ম-সহ শাসক দলের নেতাদের একাধিক দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে নলহাটির হরিপ্রসাদ হাই স্কুল ময়দানে বেলা দুটোয় সভার আয়োজন করেছে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা। ‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূল ছাড়লেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    শুভেন্দুর সভার ঠিক আগে দল ছাড়লেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই নেতা আচমকা দল ছাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা তুঙ্গে। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন তিনি। সেই সময়ে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। দলবদলের জেরে নলহাটি পুরসভা কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন বিপ্লব। তিনি বলেন, “আমি ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ থেকে আমি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করব। আমি রাজনীতির লোক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালবাসি। কিন্তু দীর্ঘদিন দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না।” অন্য দলে যোগ দেবেন কিনা, সেই প্রশ্নে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই বিপ্লব ওঝা বলেন, “রাজনীতি যখন করি তখন অনেক রাস্তা খোলা থাকছে।” এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতেই যোগ দিতে চলেছেন বিপ্লব। 

    আরও পড়ুন: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    একুশের নির্বাচনের পর সব জেলার মতো বীরভূমেও বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা বসে গিয়েছেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, অনুব্রতহীন বীরভূমের দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী এখন ঠিক কি বার্তা দেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Narendra Modi: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    Narendra Modi: ঝটিকা সফরে শুক্রবার শহরে প্রধানমন্ত্রী! বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর শেষে চার ঘণ্টার ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাঁর শহরে আসার কথা। ওই দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জাতীয় গঙ্গা পরিষদ (ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল)-এর বৈঠকেও তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের কর্মসূচির একটি তালিকা সামনে এসেছে।

    অরাজনৈতিক সফর মোদির

    শুক্রবার, সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন মোদি। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মোদি পৌঁছবেন রেস কোর্সের মাঠে। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা হাওড়া স্টেশন। রাজ্যের প্রথম ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের সূচনা তাঁর হাতেই হওয়ার কথা। হাওড়া থেকে ‘বন্দে ভারত’ যাবে নিউ জলপাইগুড়ি।  ৩০ মিনিট হাওড়া স্টেশনে কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল ১০.৩০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এ এসে পৌঁছাবেন। ওখানে শিশুদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির এ বারের সফর একেবারেই অরাজনৈতিক। এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। আগে রাজ্য বিজেপির তরফে হাওড়ায় একটি সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি  

    একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি

    হাওড়া থেকে গার্ডেনরিচে ভারতীয় নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ে যাবেন মোদি। সেখানে তিনি নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানেই ‘নমামি গঙ্গে’ এবং ‘ডিডব্লিউএস’-এর একটি প্রদর্শনীতে তাঁর হাজির থাকার কথা। ‘নমামি গঙ্গে’র কাজ কেমন চলছে তা-ও খতিয়ে দেখার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে মোদির যাওয়ার কথা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে। শেষ বার ২০১৯-এর ডিসেম্বরে কানপুরে গঙ্গা পরিষদের বৈঠক হয়। সে বার পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ড অনুপস্থিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ওই পরিষদের সভাপতি। পরিষদের সদস্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সেই বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এরপর দুপুর দু’টো ১৫ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে দিল্লি রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    Covid 19 Update: ফের করোনা-ঢেউয়ের ভ্রুকুটি! রাজ্যে কোভিড নজরদারিতে বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণনস্বরূপ নিগমকে এ নিয়ে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। চিনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা শুনে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের স্বাস্থ্য দফতরকে একটু খবর রাখতে বলব। চিনে যে ভাবে ছড়াচ্ছে… যাঁরা এই রোগটি সম্পর্কে বোঝেন, তাঁদের নিয়ে একটি টিম গঠন করুন।’’ মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়ে দেন, ওই দলে কারা কারা থাকবেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই টিমটাকে নেতৃত্ব দেবেন স্বাস্থ্যসচিব। থাকবেন ডিএম, ডিএইচএসও।’’

    রাজ্যে করোনা নজরদারিতে নতুন কমিটি

    চিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এ রাজ্যেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এ নিয়ে তিনি একটি কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো নজরদারি কমিটিও গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই ওই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে। এ ছাড়াও ওই কমিটিতে করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোভিড বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনার বাড়বাড়ন্তর পরই পরামর্শ কেন্দ্রের

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসতে পারে ওই কমিটি। কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি নজরে রেখে ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে, এই বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো নিয়মের উপর আবার জোর দেওয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পৌনে তিন বছর পর গত শনিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন করোনা আক্রান্তের হদিস মেলে। মৃত্যুও হয় এক জনের।

    কেন্দ্রের সতর্কতা

    কোভিডের চোখ রাঙানিতে উদ্বেগ বাড়ছে জাপান, কোরিয়া ও আমেরিকায়। বিপদের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও। চিনে যে ওমিক্রন সাব ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেই বিএফ.৭-র হদিশ মিলেছে এ দেশে। ওড়িশার একজন, আর গুজরাটে দু’জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নয়া প্রজাতির ভাইরাস। স্রেফ রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা নয়, এদিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ফের কিছু কিছু বিধিনিষেধ জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রিপোর্ট পজিটিভ হলেই, নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Bengal BJP: রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার আর্জি সুকান্ত-শুভেন্দুর! আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গকে বরাদ্দ টাকা দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে, এমনই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তবে তার দিনক্ষণ জানাননি তিনি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যকে শীঘ্র ১০০ দিনের কাজের  টাকা দেওয়ার আবেদন জানান  বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজে  টাকা দেওয়ার আবেদন 

    এর আগে, দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা না দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যদিও তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল মিথ্যা প্রচার করছিল। বলা হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্র। এর জবাব দিতেই একশো দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে রাজ্যকে দেওয়ার জন্য গিরিরাজের কাছে দরবার করেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির দুই নেতা। বৈঠকে ওই প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড়া হবে বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এছাড়াও গিরিরাজ আশ্বাস দেন এত দিন ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে যাঁরা টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং যে সব সরকারি কর্মীর সহায়তায় ওই ভুয়ো কার্ড বানানো হয়েছে, সেই সরকারি কর্মী ও উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকের পরে সুকান্ত জানান, ওই টাকা কাদের পাঠানো হত, এখন পর্যন্ত কত টাকার নয়ছয় হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন গিরিরাজ। 

    আরও পড়ুন: শাহী সাক্ষাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, তুলে ধরলের তাঁর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনেক পাকা বাড়ির মালিককেও গৃহহীন দেখানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানান সুকান্ত ও শুভেন্দু। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কী ভাবে তৃণমূলের নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে তা আমরা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। সব শুনে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্নীতিতে যুক্ত সরকারি অফিসার, কর্মীদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হবে।’’ অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় প্রকৃত প্রাপকদের নাম নেই। তার বদলে পাকা বাড়ি রয়েছে এমন তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের নাম আছে। এ নিয়ে গিরিরাজকে লিখিত ভাবেও কিছু তথ্য সুকান্তরা তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

     

  • Health Selection Committee: নিরপেক্ষ ব্যক্তি কাম্য! স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ন্যায্য নিয়োগের বার্তা হাইকোর্টের

    Health Selection Committee: নিরপেক্ষ ব্যক্তি কাম্য! স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ন্যায্য নিয়োগের বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ নিয়ে এবার সমস্যায় রাজ্য সরকার। জেলা স্তরে রাজ্যের গঠন করা ২৮ জনের মনোনয়ন কমিটি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির (CJI) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। আদালতের যুক্তি, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাজ্য যে মনোনয়ন কমিটি গঠন করেছিল, তার  শীর্ষে কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা দরকার ছিল।

    মামলাকারীর দাবি

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী (Contractual Worker) নিয়োগে দুর্নীতি  (Corruption) হয়ে থাকতে পারে এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন পীযূষ পাত্র। আবেদনকারী দাবি করেছেন যে বিভিন্ন জেলায় গঠিত সমস্ত বাছাই কমিটিতে রাজনৈতিক নেতা, বিধায়ক বা শাসক দলের মন্ত্রীরা চেয়ারপারসন হিসেবে রয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতি ও অসদাচরণ ঘটতে পারে। শাসক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠদেরও নিয়োগ করা হতে পারে।

    রাজ্যের দাবি

    মামলাকারীর আবেদনের বিরোধিতা করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএস মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজনীতিবীদদের নিয়োগ বা নির্বাচন বোর্ডের মাথায় রাখতে কোনও বাধা থাকতে পারে না। বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেছেন এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আইন বিরুদ্ধ কাজ হয়েছে বলে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই তরফের কথা শুনে আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে আবেদনকারীর দেওয়া তালিকাটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে মন্ত্রী, বিধায়ক এবং শাসক দলের (টিএমসি) নেতারা ২৮টি স্বাস্থ্য জেলায় জেলা-স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। আদালতের যুক্তি, একজন ছাড়া আর কেউ স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নন। বিষয়টি যেহেতু চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত তাই ন্যায্য নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। এই বোর্ডে থাকা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একমাত্র ব্যক্তি হলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি একজন চিকিৎসক ও তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা স্বাস্থ্য পরিষেবার চেয়ারম্যান। এরপরই মঙ্গলবার আদালত এই কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি নতুন জেলা কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান করে নির্বাচন কমিটি নতুন করে গঠন করতে হবে। তাতেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব।

    আগের কমিটিতে যাঁরা ছিলেন

      জেলা চেয়ারপার্সন পদ
    আলিপুরদুয়ার মৃদুল গোস্বামী আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি
    বাঁকুড়া শুভাশিস বটব্যাল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, ছাতনা
    বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী
    বীরভূম চন্দ্রনাথ সিনহা তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রী
    বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা শ্যামল সাঁতরা তৃণমূল নেতা, বাঁকুড়া
    কোচবিহার  বিনয় বর্মণ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, মাথাভাঙা
    দক্ষিণ দিনাজপুর গৌতম দাস  প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
    ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা শঙ্কর নস্কর তৃণমূল বিধায়ক, ফলতা
    দার্জিলিং জিটিএ শান্তা ছেত্রী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ১০ দার্জিলিং এসএমপি গৌতম দেব  পর্যটন মন্ত্রী
    ১১ হাওড়া পুলক রায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী
    ১২ হুগলি দিলীপ যাদব তৃণমূল নেতা, পুরশুরা
    ১৩ জলপাইগুড়ি  মিতালি রায় তৃণমূল বিধায়ক, ফালাকাটা
    ১৪ ঝাড়গ্রাম চূড়ামণি মাহাতো তৃণমূল বিধায়ক, গোপীবল্লভপুর
    ১৫ কালিম্পং শান্তা ছেত্রী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ১৬ মালদা ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তৃণমূল নেতা, মালদা
    ১৭ মুর্শিদাবাদ জাকির হোসেন তৃণমূল বিধায়ক, জঙ্গিপুর
    ১৮ নদিয়া কল্লোল খাঁ তৃণমূল বিধায়ক
    ১৯ নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা শেখ সুফিয়ান তৃণমূল নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট
    ২০ উত্তর ২৪ পরগনা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী
    ২১ পশ্চিম বর্ধমান মলয় ঘটক আইনমন্ত্রী
    ২২ পূর্ব বর্ধমান স্বপন দেবনাথ তৃণমূল বিধায়ক, পূর্বস্থলি দক্ষিণ
    ২৩ পশ্চিম মেদিনীপুর অজিত মাইতি তৃণমূল বিধায়ক, পিংলা
    ২৪ পূর্ব মেদিনীপুর অখিল গিরি তৃণমূল বিধায়ক
    ২৫ পুরুলিয়া শান্তিরাম মাহাতো তৃণমূল নেতা, পুরুলিয়া
    ২৬ রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল বিধায়ক, রামপুরহাট
    ২৭ দক্ষিণ ২৪ পরগনা শুভাশিস চক্রবর্তী তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভা
    ২৮ উত্তর দিনাজপুর কানহাইয়া আগরওয়াল তৃণমূল নেতা, রায়গঞ্জ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Airport: তিনটি নয়া বিমানবন্দর পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, কোথায় কোথায় জানেন?

    Airport: তিনটি নয়া বিমানবন্দর পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, কোথায় কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি নয়া বিমানবন্দর (Airport) পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্তর্দেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতেই চালু হচ্ছে এই তিনটি বিমানবন্দর। এই তিনটি বিমানবন্দর হবে বার্নপুর, কোচবিহার এবং কলাইকুন্ডায়। গোটা ভারতে রয়েছে ৭০টি বিমানবন্দর। এর মধ্যে রয়েছে দুটি ওয়াটার এয়ারোড্রোম এবং ন’ টি হেলিপোর্ট।

    উদান…

    সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রক চালু করেছে রিজিয়নাল কানেক্টিভিটি স্কিম। নাম দেওয়া হয়েছে উড়ে দেশ কা আম নাগরিক (UDAN)। আম জনতা যাতে সস্তায় বিমান ভ্রমণ করতে পারেন, তাই এই স্কিম চালু করা হয়েছে। চারবার নিলাম হওয়ার পর ৪৫৩টি রুট চালু হয়েছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ৭০টি এয়ারপোর্ট, দুটি ওয়াটার অ্যারোড্রোম এবং ৯টি হেলিপোর্টও। জানা গিয়েছে, ২.১৫ লক্ষেরও বেশি উদান ফ্লাইট অপারেট করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এই ভ্রমণ উপভোগ করেছেন ১.১ কোটি যাত্রী।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড় যাত্রা’য় বেরিয়ে চায়ে মজে রাহুল, বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ফার্ম হাউসের মালকিন

    কোচবিহারে বিমানবন্দর (Airport) প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তবে রয়ে গিয়েছে জটিলতা। কোচবিহার বিমানবন্দরের লাইসেন্স নবীকরণ হবে না বলেও জানা গিয়েছিল। ওই বিমানবন্দর চালু করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। কলাইকুন্ডায় সেনাবাহিনীর বিমান ওঠানামা করে। এবার সেখানে হচ্ছে আস্ত একটি বিমানবন্দর। কারণ কলাইকুন্ডায় যেখানে সেনাবাহিনীর বিমান ওঠানামা করে, সেটি খড়্গপুরের কাছেই। এই খড়্গপুর রেলশহর নামে পরিচিত। জায়গাটি মিনি ইন্ডিয়া নামেও পরিচিত। তাই এখান থেকে বিমান পরিষেবা চালু হবে আদতে লাভবান হবেন স্থানীয়রাই।

    বার্নপুরেও বিমানবন্দর (Airport) চালুর দাবি দীর্ঘদিনের পুরানো। এটাও রেলশহর। এখানেও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ বসবাস করেন। তাই এখানে বিমানবন্দর হলে আদতে উপকৃত হবেন স্থানীয়রা। ঘুরে দাঁড়াবে এলাকার অর্থনীতিও। ভারত সরকার এই স্কিমে বরাদ্দা করেছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই টাকায় আনসার্ভড এবং আন্ডারসার্ভড এয়ারপোর্ট বা এয়ারস্ট্রিপগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এগুলিকে সংস্কার কিংবা পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    Amit Shah: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ  দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উঠবে বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামগ্রিক অবনতির কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবেন সুকান্ত। পাশাপাশি ভূপতিনগর সহ রাজ্যে যে যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে সে সম্পর্কেও অভিযোগও জানাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জানা যাচ্ছে, দলের সাংগঠনিক বিষয়েও অমিত শাহর (Amit Shah) পরামর্শ নিতে পারেন সুকান্ত।

    শাহ-সুকান্ত আলোচনা

    বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি হাজির হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কথা ছিল, তিনি বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন। কিন্তু তা হচ্ছে না। বুধবার আচমকাই সুকান্ত মজুমদারের কাছে নির্দেশ এসেছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে হবে। কী কারণে এই সাক্ষাতপর্ব তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনুমান, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্তর সঙ্গে কথা হবে শাহের। আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে যে দুর্নীতি একটা বড় ইস্যু হতে চলেছে তা স্পষ্ট। এছাড়া যেভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হচ্ছে তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেও হাতিয়ার করতে পারে বঙ্গ বিজেপি। সরকারি কর্মীদের ডিএ না পাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখছে বঙ্গ শিবির। সেই ইস্যুগুলি নিয়েই মূলত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০-র সভাপতিত্ব করার বিরাট সুযোগ পেয়েছে ভারত, ফের বললেন মোদি

    বিজেপি সূত্রে খূবর, গুজরাট ভোটের ফল প্রকাশের পর শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সুকান্ত। গুজরাট নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় বেশ কয়েকমাস পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। এবার ফের বাংলার ওপর জোর দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই রাজ্যের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হতে পারে ২ জনের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vande Bharat Express: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    Vande Bharat Express: এবার বাংলাতেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) পেতে চলেছে বাংলা। এমনটাই জানালেন দার্জিলিং- এর সাংসদ রাজু বিস্ত। তিনি বলেন, “শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।” সোমবার শিলিগুড়ির একটি অনুষ্ঠানে রাজু বিস্ত বলেন, “যখন শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবে, তখন মানুষ অনেক দ্রুত নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। যা এই অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে।” সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি সাংসদ শংকর ঘোষ এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তবে রেলের তরফে সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি যে কবে পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল বা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জুটবে। চলতি বছর আরও তিনটি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মুম্বই সেন্ট্রাল-গান্ধীনগর, অম্ব অন্দৌরা-নয়াদিল্লি এবং মাইসুরু- বেঙ্গালুরু-চেন্নাই সেন্ট্রাল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    আগামী বছরের মধ্যে ৭৫টি বন্দে ভারত 

    উল্লেখ্য, চলতি বছর দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্ট এর মধ্যে সারা ভারত জুড়ে চলবে ৭৫ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর ঘোষণা করেন। ২০১৯ সাল থেকে ভারতে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আপাতত দেশজুড়ে বিভিন্ন রুটে পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। যারমধ্যে নয়া সংযোজন মাইসুরু-চেন্নাই রুটের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বাকি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলি চলে মুম্বই-আহমেদাবাদ, নয়া দিল্লি-বারাণসী, নয়াদিল্লি- বৈষ্ণোদেবী কাটরা এবং নয়াদিল্লি-উনা রুটে। হাওড়া এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের মধ্যেকার যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমবে। বর্তমানে কলকাতা থেকে এনজেপি পৌঁছতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। বন্দে ভারতে সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ প্রায় ২  থেকে ৩ ঘণ্টা সময় বাঁচবে।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। ট্র্যাক ও সিগন্যাল পারমিট থাকলেই একমাত্র এই গতিবেগে পৌঁছনো সম্ভব। ট্রেনটিতে ১৬টি কামরা রয়েছে। শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতোই আসন ক্ষমতা রয়েছে এই ট্রেনের। বন্দে ভারতে উভয় প্রান্তে অ্যারোডাইনামিক্যালি ডিজাইন করা ড্রাইভার কেবিন রয়েছে।

    প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার দিক থেকে ট্রেনটিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চেন্নাইয়ের ইনটিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে এই ট্রেন (Vande Bharat Express)। এই ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেমে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার কনসামশন কমিয়ে যাতে এর ব্যবহার সম্ভব হয় সেদিকেই নজর দিয়েছে আইসিএফ। শুধু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারই নয়, বন্দে ভারতে যাত্রী নিরাপত্তা ও যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    Suvendu Adhikari: ভূপতিনগর কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু এবারে তিনি এই বিষয়ে জানিয়ে সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চিঠিতে তিনি রাজ্যের একের পর এক বিস্ফোরণের কথা তুলে ধরেছেন। এমনকি চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে শুধু বোমা নয়, বন্দুক, গুলিও মজুত করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভূপতিনগর কাণ্ডে সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে তিনি ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ-র তদন্ত চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন।

    ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণ

    শনিবার শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ-সম্পাদকের সভার আগেই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। বিস্ফোরণে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও দুই। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উড়ে গেছে গোটা বাড়িটাই। আর এই নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর।

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর তার আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ। ফলে এই নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় এনআইএ-র দাবি করা হয়েছে ও অমিত শাহকে এই বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    একাধিক অভিযোগ চিঠিতে

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চার পাতার চিঠিতে উঠে এসেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বোমা, বারুদ, অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। তাই ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি তিনি রাজ্যে বোমা, অস্ত্র মজুতের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    এরপর তিনি (Suvendu Adhikari) মন্তব্য করেছেন যে, রাজ্য বোমা তৈরির ‘কুটির শিল্পে’ পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের একটি ভাষণের উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ওই ভাষণে সাংসদ সৌগত রায় বোমা তৈরির ফর্মুলা বলছেন। এছাড়াও তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদল রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। রাজ্য জুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

    শুভেন্দু লিখেছেন, এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। ফলে ভূপতিনগরের বিস্ফোরণে এনআইএ-র তদন্তের পাশাপাশি, রাজ্যের পরিস্থিতিকে নজরে রেখেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

LinkedIn
Share