Tag: West Bengal

West Bengal

  • West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    West Bengal Weather: মকর সংক্রান্তির আগেই বিদায় শীত? কলকাতায় পারদ উঠল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মকরসংক্রান্তি। আর তার আগেও রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত (West Bengal Weather)। শহর কলকাতায় পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা বাড়ল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকর থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল কলকাতার আকাশ। বেলা বাড়লে মেঘ কেটে পরিষ্কার হয় আকাশ। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। 

    শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) সূত্রে খবর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি করে বেড়েছে। যদিও উত্তরের জেলাগুলিতে তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হয়নি। কয়েকটি জেলাতে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও এখনও কার্শিয়াং এবং দার্জিলিঙের মতো জেলায় শীতের দাপট কমেনি। 

    কী জানাল হাওয়া অফিস? 

    হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। মৌসম ভবনের খবর, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে পারছে না রাজ্যে। পরিবর্তে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সংক্রান্তির সময় ঠান্ডার আমেজ পাবে না বাঙালি। কমছে পিকনিকের সংখ্যাও। শীতে কাঁপতে কাঁপতে নলেন গুড়ের পায়েস এবং পিঠে খাওয়ার মজাও মাটি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    উত্তরবঙ্গে (West Bengal Weather) আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা। আগামী চার-পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা মোটামুটি একই রকম থাকবে। শনি ও রবিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং এ হাল্কা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

         

  • PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ১০টি জেলায় আবাস-পরিস্থিতি ঘুরে দেখার জন্য আবার পাঁচ-পাঁচটি অনুসন্ধানী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহেই রাজ্যের দু’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) রূপায়ণের পদ্ধতিতে বঙ্গের কয়েকটি জেলায় ফের ‘গরমিল’-এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেটাই খতিয়ে দেখতে আসছে ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর্স’ দল। 

    রাজ্যকে চিঠি

    আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ছেন। তাই আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। মোট ১০টি জেলায় যাবে তারা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি এসেছে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ বার ১০টি জেলায় গরমিলের অভিযোগ যাচাই ছাড়াও জেলাশাসক, জেলা পরিষদের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি অনুসন্ধানে ২ জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

     ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলকে সর্বতোভাবে যেন সহযোগিতা করে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নিয়মবিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের থেকে সর্বাধিক সাত দিনের অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম কিস্তিতে প্রত্যেক উপভোক্তা ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। কমবেশি ১১ লক্ষ উপভোক্তার ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির জন্য থাকার কথা প্রায় ৬৬০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    এই প্রকল্পে মোট খরচের ৬০% দেয় কেন্দ্র, ৪০ ভাগের দায়িত্ব রাজ্যের। সেই অনুযায়ী প্রথম কিস্তির বরাদ্দ হিসেবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা প্রায় ৩৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা প্রায় ২৬৪০ কোটি। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    BJP: বিজেপির গঙ্গাপুজোয় ‘না’ পুলিশের, ‘কর্মসূচি হবেই’, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গঙ্গাপুজোর (Ganga Puja) আয়োজন করেছে বিজেপির (BJP) নমামি গঙ্গা শাখা। এজন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পুলিশের। যদিও ওই পুজোর অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও অবশ্য এদিনের কর্মসূচি বাতিল করছে  না বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কর্মসূচি হবেই।

    গঙ্গা আরতি…

    বারাণসীর ঘাটে ফি সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতি দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। গঙ্গা ভাঙন ও গঙ্গা দূষণ রুখতে বঙ্গ বিজেপির নমামি গঙ্গা শাখা বাবুঘাটে গঙ্গা পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ঠিক ছিল, এই উপলক্ষে বাজে কদমতলা ঘাটে বারাণসীর ধাঁচে হবে গঙ্গা আরতিও। বিজেপির এই কর্মসূচিতেই বাগড়া দিয়েছে পুলিশ। জানিয়ে দিয়েছে, গঙ্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। পুলিশের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যেই পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তা হবে। তাই বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি পালিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট হবে। পুণ্যার্থীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেও সমস্যার মুখে পড়বে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কলকাতায় ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত। পুলিশের একটা বড় অংশ সেখানে ব্যস্ত থাকবে। তাই বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    পুলিশের অনুমতি না মিললেও, কর্মসূচি বাতিল করছে না বিজেপি (BJP)। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের গঙ্গা আরতি করার কথা ছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। তিনি বলেন, এদের উদ্দেশ্য হল হিন্দুদের যে কোনও অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু আমরা সেখানে যাব। আমি গঙ্গা অরতি করব। পুলিশ তার মতো চেষ্টা করবে। কর্মসূচি হবে। বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অসহিষ্ণুতার রাজনীতির আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল রাজ্যের বর্তমান শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন পর্যন্ত বালিঘাটের দখলদারি ছিল, কয়লা খাদান, পাথর খাদানের দখলদারি ছিল। এখন মা গঙ্গাকেই দখল করে নিল তৃণমূল। তিনি বলেন, সরকার যেখানে ঘোষণা করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বলে দিয়েছেন গঙ্গা আরতি করবেন, সেই জন্য বিরোধী দল করতে পারবে না। বিজেপি (BJP) করতে পারবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    West Bengal: পড়ে আছে গ্রামীণ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে খরচের নির্দেশ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রায়ই গলা ফাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিয়ম করে কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে সস্তা হাততালিও কুড়োন। অথচ তথ্য বলছে, বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন সূত্রে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের (West Bengal) হাতে আসা টাকার প্রায় অর্ধেকই খরচ করতে পারেনি রাজ্য। মধ্য-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে ওই টাকা খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, টাকা ঢুকছে। প্রত্যেককে সচেতন করা হয়েছে, যাতে সময়ের মধ্যে খরচ হয়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, তা পূরণ করতে মুখ্যসচিব, জেলাশাসক সকলেই তৎপর।

    টাকার পরিমাণ…

    জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চলতি আর্থিক বরাদ্দের ৫০.৪৬ শতাংশ অর্থ এখনও খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৪৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টায়েড ফান্ডেই পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। পানীয় জল সরবরাহ ও শৌচালয় তৈরিতে এই টাকা খরচ করার কথা। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে আনটায়েড ফান্ডে খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের কম টাকা খরচ হয়েছে ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। ৫২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবিটাও প্রায় একই।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার

    মাঝ-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাকি টাকা খরচ না হলে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হবে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূলকে। তাই জারি হয়েছে দ্রুত টাকা খরচের ফরমান। পঞ্চায়েত দফতর টাইমলাইনে জেলাগুলিকে বলেছে, ৯ জানুয়ারির মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলিকে ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেওয়া যায় কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার (Human Rights)। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে বাংলায় আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানবাধিকার, বিশেষত মহিলা, দরিদ্র এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য কাজ করে এই সংস্থা। এই সংস্থাই গঠন করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটিই আসবে বঙ্গ দর্শনে। তদন্ত করবে মানবাধিকার  লঙ্ঘনের অভিযোগের। সংগঠন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রচুর অভিযোগ পেয়েছে তারা। সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ষণ, খুন, লুঠ, অগ্নিসংযোগের একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। এও জানিয়েছে, এসবের নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের হাত। সংগঠন জানিয়েছে, দ্য ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস খুন, ধর্ষণ, লুঠ, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অভিযোগ পেয়েছে। সরকারি মেশিনারি কাজে লাগিয়ে এসবই করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস…

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তাদের অভিযোগ, এ রাজ্যে মানবাধিককার (Human Rights) লঙ্ঘনের ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সংগঠন গড়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রাজপাল সিং, মহিলা ওমেন্স রাইটস ল ইয়ার চারু ওয়ালি খান্না, আইনজীবী ওম প্রকাশ ব্যাস, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং আইনজীবী রোজি টাবা।

    আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রাজ্যে যাবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। এটাই হবে স্বাধীন, উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সোসাইটি কমিটির প্রথমবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফর। কমিটির সদস্যরা কথা বলবেন যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের সঙ্গে। গোটা দেশে তাঁদের স্বর তুলে ধরা এবং তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াই কমিটির কাজ। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওই পাঠানো হয়েছিল ওই টিম। সেই টিম রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লিতেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নতুন বছরেই সাধারণের জন্য চালু হয়েছে এই ট্রেন। যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি হল মালদায়। দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু পাথরের হামলায় ভেঙে যায় ট্রেনের কাচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দ্রুত হামলার জায়গা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে বন্দে ভারত। তবে কে বা কারা এই ট্রেনকে টার্গেট করল, খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    কী ঘটেছিল

    ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। বাংলায় বন্দে ভারতের সূচনা লগ্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ট্রেনের চাকা গড়াতেই এমন কাণ্ড। রেল সূত্রে খবর, তখন সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে। এনজেপি থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশন পার করার সময়ে ট্রেনে সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরেছে। এরপর ট্রেন যখন মালদা টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। কিন্তু কারা এ কাজ করল? কেনই বা করল? তা স্পষ্ট নয়।  ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে ট্যুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। এই ঘটনা কি উদ্বোধনের দিনে জয় শ্রীরাম স্লোগানের প্রতিশোধ?’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, ট্রেনে পাথর ছোড়া একটা সামাজিক ব্যাধি। সারা বছর এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালান হয়। আরপিএফের সঙ্গে এটা জিআরপিরও দেখার কথা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রেলের তরফে এটা নিয়ে কথা বলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    Amit Shah: বছরের প্রথমেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ! জোড়া সভা বীরভূম ও আরামবাগে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম মাসেই বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সাংগঠিনক কাজেই বাংলায় আসছেন অমিত। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি হুগলির আরামবাগ এবং বীরভূম, এই দুই জায়গায় একই দিনে জোড়া সভা করবেন শাহ। এর আগে, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও বাংলায় একাধিক সভা করেছেন শাহ। ২০২৪-এর আগে বাংলাতে তাঁকে দিয়েই প্রচার শুরু করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। 

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন 

    ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি সাংসদ নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসাবে চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আাগমী, ১৭ জানুয়ারি শাহের সফরে যে ২ জায়গায় সভা করার কথা রয়েছে তার মধ্যে বীরভূম বিজেপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। গোটা জেলায় সেখানে তৃণমূলেরই একাধিপত্য। তবে আরামবাগের হিসাবটা আলাদা। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে এক চুলের জন্য জিতে যান তৃণমূল প্রার্থী আফরিন আলি। হুগলি জেলার একাংশে বিজেপির প্রভাব চোখে পড়ার মতো। এই জেলারই হুগলি আসনের সাংসদ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফলে সেখানে শাহের সভা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ‘বাবার মৃত্যুর সময়ও কর্তব্যে অবিচল ছিলেন মোদি’, স্মৃতির সাগরে ডুব ভিএইচপি নেতার

    রাজ্যে আসবেন মোদি-নাড্ডাও

    তবে শুধু শাহ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)-কেও বাংলায় প্রচারে দেখা যাবে। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি বছর এই তিন জনকে দিয়ে বাংলায় মোট ৩০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। এর মধ্যে শাহ এবং নাড্ডা, দু’জনে ১২টি করে সভা করবেন। মোদি বাংলায় সভা করবেন ৫টি। তাঁদের ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদেরও বাংলায় দেখা যেতে পারে আগামী দিনে। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে ২০১৯ সালে ১৮টি আসন দখল করে ২২টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। এ বার বিজেপি আরও বড় লক্ষ্য নিয়ে নামতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বাংলায় তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাওয়াই আশু লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির শিকড় এতটাই গভীর যে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যেরই দুর্নীতি দমন শাখা (Anti Corruption Branch)। সম্প্রতি রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (ACB) পাঁচ সদস্যের একটি দল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয়। তাদের নজরে রয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। সঙ্গে বিডিও ও সরকারি আধিকারিকও। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতিদমন শাখার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। 

    সক্রিয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা

    রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালে তৈরি করা হয় রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। উদ্দেশ্য, প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এমনকী, পুলিস-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের গ্রেফতারও করেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার।  এবার পুলিশকর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে একযোগে অভিযান শুরু করল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। 

    গত সোমবার শিলিগুড়িতে মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেউসার ফ্ল্যাটে হানা দেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ও নগদ টাকা। রেহাই পাননি মালদহের চাঁচলের আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুও। ইসলামপুরের আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে পুলিশকর্তা, বিডিও ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী, প্রাথমিক তদন্তে সেই অভিযোগের সত্য়তার প্রমাণ মিলেছে। এরপর অভিযুক্তদের যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। সেকারণেই এই তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

    সঙ্গত কারণেই তল্লাশি

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, এসিবি-র এই সক্রিয়তা আকস্মিক কিছু নয়। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, কিছু সরকারি আধিকারিক, এক শ্রেণির পুলিশকর্তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লেগেছে বলে বিরোধী শিবির যখন সরব, সেই সময়ে কালি মোছার পালা গতি পেয়েছে সঙ্গত কারণেই। দুর্নীতি ঠেকাতে তাই নিচু তলার পুলিশ আধিকারিক থেকে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এসিবি সূত্রের খবর,রাজ্য সরকারের ১৭ জন অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করেছে এসিবি। চলছে হানাদারিও। গত শুক্র ও শনিবার বর্ধমানের কেতুগ্রাম, বর্ধমান শহর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে এসিবি সূত্রের খবর। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন পুলিশ অফিসারও আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, গত সোমবার উত্তরবঙ্গে তিন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এসিবি-র তদন্তকারীরা কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি করতে পারেননি। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছে এসিবি।

  • Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    Covid 19: কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid 19) চোখরাঙানি আবার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের উৎসব আর আলোর রোশনাইয়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে মানুষের মহামারির গুরুত্ব! বড়দিনের উৎসবে সেজে উঠেছে কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলো কি করোনা মোকাবিলায় সবরকমভাবে সেজে উঠতে পেরেছে?

    করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়েছিল, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট কতখানি জরুরি। কৃত্রিম অক্সিজেন ছিল একমাত্র হাতিয়ার। রোগীকে সুস্থ করতে কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের তরফে হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকার সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্য আলাদা আর্থিক বরাদ্দ ও করে।

    কাজ কতখানি এগিয়েছে?

    রাজ্যের সব হাসপাতাল তো দূর অস্ত। কলকাতার (Covid 19) সব সরকারি হাসপাতালেও পর্যাপ্ত কৃত্রিম অক্সিজেন সরবরাহ থাকে না। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম অক্সিজেনের জন্য এখনও সরকারি হাসপাতালের ভরসা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সেখানেই রয়েছে অক্সিজেন প্লান্ট। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হলো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার হাসপাতাল। তাই ডেঙ্গি হোক কিংবা করোনা, সবচেয়ে বেশি রোগীর চাপ থাকে এই বেলেঘাটা আইডি-তেই। তাই নিজের হাসপাতালের রোগীদের চাহিদা মিটিয়ে, আরেক হাসপাতালে কৃত্রিম অক্সিজেন পাঠানো বেশ কঠিন হয়ে যায়।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, কাজ অনেকটাই বাস্তবায়িত হলেও চাহিদা পূরণের জন্য এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। এনআরএস, এসএসকেএম কিংবা আরজিকরের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো এখনও কৃত্রিম অক্সিজেন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, যদি ফের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি ২০২০-২১ সালের মতো হয়, তাহলে রাজ্যে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা, রাজ্যে সচেতনতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। চিনে করোনার (Covid 19) প্রকোপ বাড়তেই কেন্দ্র সতর্ক করেছে। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু কলকাতায় মাস্ক উধাও। অতিরিক্ত জনসমাগমেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য। বড়দিনের উৎসব হচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দেই। পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, গত দুদিন শহর থেকে জেলা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। কোথাও মাস্ক পরার রেওয়াজ নেই। প্রশাসনের তরফেও কোথাও নজরদারি নেই। তাই করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের। 

    সংক্রমণ বাড়লে রাজ্য সামাল দিতে পারবে তো?

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য বলছেন, ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড বাড়ানো হয়েছে। আলাদা করে করোনার জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের টিকা ঘাটতি অন্যতম সমস্যা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার প্রবণতা অধিকাংশ মানুষের নেই। তবে, চাহিদা তৈরি হলেও জোগান দেওয়ার ক্ষমতা আপাতত রাজ্যের নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও করোনার (Covid 19) টিকা তাদের কাছে মজুত নেই। ফলে, টিকা না পেলে করোনা প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: “মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে”, শীজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তুনিশার মা

    আপাতত উৎসবে মজে থাকা বাঙালির আগামী বছর কেমন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে করোনা (Covid 19) প্রস্তুতি ছিটেফোঁটাও নেই। সময় মতো কেন্দ্রকে টিকার প্রয়োজনীয়তাও জানাতে পারেনি রাজ্য। তাই সবরকম টিকা ও ভাণ্ডারে নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জনসচেতনতাই রেহাই দিতে পারে। মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার আর অকারণ ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনার ঢেউ আটকাতে পারে। কিন্তু বড়দিনের জনপ্লাবন সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share