Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-শাসিত ওড়িশা এগিয়ে। এগিয়ে রয়েছে ছত্তিশগড়ও। তাদের পিছনে রয়েছে গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডও। সব শেষে রয়েছে তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সাম্প্রতিক ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স প্রতিবেদন থেকেই এই তথ্য মিলেছে।

    পিছিয়ে বাংলা 

    ন’টি মানদণ্ডের নিরিখে করা হয়েছে বিচার। তাতেই দেখা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডের ঢের পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং পাঞ্জাব। এই চার রাজ্যকে পিছিয়ে পড়া এবং সব চেয়ে খারাপ পারফর্মিং রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি গত কয়েক বছরে কোনও উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) মতে, পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে পরিকাঠামো তৈরি-সহ মূলধনী খাতে খরচে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিজের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। কর বাবদ আয় ও কর ছাড়া অন্যান্য আয়– দুই ক্ষেত্রেই। এই রাজ্যগুলিকে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে বলেও বলা হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে।

    দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে (NITI Aayog)

    দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে কার রাজকোষের অবস্থা ২০২২-’২৩ সালে কেমন ছিল, তা নিয়ে রাজকোষের স্বাস্থ্য সূচক প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। রাজকোষের স্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে মোট ১৮টি রাজ্যকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সারিতে রয়েছে ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট। আর চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই শেষ সারির রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হিমশিম খাচ্ছে। রাজ্যের নিজস্ব আয় খুবই কম। দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। সেই ঋণ শোখ করার ক্ষমতা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। তুলনায় সামনের সারিতে থাকা রাজ্যগুলির পরিকাঠামো তৈরিতে রাজ্যের জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ খরচ করছে। রাজস্ব আয়ের সামান্য অংশ ঋণের সুদ মেটাতে খরচ হচ্ছে তাদের।

    আরও পড়ুন: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্টে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাঁড়ির হাল। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের মোট খরচের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরিতে খরচের হার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিন শতাংশে নেমে এসেছে। যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও পাঁচ শতাংশের বেশি ব্যয় হত। মূলধনী খাতেও খরচের ভাগ কমেছে। সেটাও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। সেই তুলনায় সামাজিক খাতে খরচের হার বেশি হলেও, তা-ও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। বিরোধীদের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে (West Bengal) গিয়ে রাজ্যের হাঁড়ির হাল করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    জানা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং গোয়া আর্থিক সতর্কতা, সঠিক ব্যয় ব্যবস্থাপনা, অধিক রাজস্ব সংগ্রহ এবং নিম্ন দেনার ভার প্রভৃতি কারণে ঠাঁই করে নিয়েছে তালিকার ওপরের দিকে। ঝাড়খণ্ডের অনেক সূচকে উন্নতি, বিশেষত মূলধনী ব্যয় ও রাজস্ব সংগ্রহের গুণগত মানে অগ্রগতি, তার আর্থিক দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং সম্পদের আরও ভালো বরাদ্দের চেষ্টাকেও প্রতিফলিত করে। পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি ক্রমবর্ধমান ঋণ, অযৌক্তিক ব্যয় এবং অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। পাঞ্জাবের ভর্তুকি নির্ভরতা এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ঘাটতি তাদের আর্থিক চাপে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

    একইভাবে, কেরালার কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং ভর্তুকির ওপর উচ্চ ব্যয় এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অব্যবস্থাপনা তাদের ঠেলে দিয়েছে তালিকার চতুর্থ সারিতে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অবস্থার তীব্র অবনতি ঘটেছে, যা বাড়তি রাজস্ব ঘাটতি এবং হ্রাসপ্রাপ্ত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী। তবে, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড তাদের আর্থিক স্থায়িত্ব উন্নত করতে যেসব সংস্কার করেছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার এবং উন্নয়ন ব্যয়ের বৃদ্ধিও।

    নীতি আয়োগ (NITI Aayog) কর্তৃক প্রকাশিত ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স রিপোর্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যা মূলত নীতিগত সংস্কারকে পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। এটি রাজ্যগুলোকে টেকসই আর্থিক অনুশীলন গ্রহণে উৎসাহিত করে এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, এটি একটি বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট যা দেখায় যে কোন রাজ্য কোন দিকে এগোচ্ছে। আমি মনে করি, এটি একটি সূচক হিসেবে কাজ করে, যা সমস্ত মানদণ্ডে তথ্য প্রদান করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: প্রজাতন্ত্র দিবসে সংঘাতের আশঙ্কা! ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে অ্যালার্ট জারি বিএসএফের

    BSF: প্রজাতন্ত্র দিবসে সংঘাতের আশঙ্কা! ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে অ্যালার্ট জারি বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে ফাঁকা এলাকায় কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিএসএফ (BSF)। এই আবহের মধ্যে এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) বাংলাদেশ সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই, সেই আশঙ্কা থেকেই সেখানে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হল। বাংলাদেশ সীমান্তে অরাপেশন অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি সীমান্তে দফায় দফায় মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএসএফের স্পেশাল ডিজির।

    ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সতর্কতা জারি (BSF)

    দেশের উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সূত্রের খবর, অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তা নিয়েই চলছে চাপানউতোর। এমনিতেই কয়েকদিন আগেই সীমান্তে কাঁটাতার দিতে গিয়ে রাজ্যের একাধিক জেলায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-র বাধার মুখে পড়েছে বিএসএফ। এমনকী, বাংলাদেশিরা এসে সীমান্তে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। তবে, বিএসএফের (BSF) কড়া অবস্থানের ফলে বিজিবি পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে, ফের তারা সীমান্তে গন্ডগোল পাকাতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কও কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করার নির্দেশ বিএসএফের। বাহিনীর পূর্বাঞ্চলে কমান্ডের এডিজি তথা স্পেশ্যাল ডিজি রবি গান্ধি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবক’টি সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বর্ডার আউট পোস্টগুলিকে সতর্ক করেছেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। এই নির্দেশ নামাকে বিএসএফের পরিভাষায় নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপস অ্যালার্ট’ (OPS ALERT)।

    নির্দেশনামায় কী কী বলা হয়েছে?

    বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ও ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বিএসএফের। এতে নিরাপত্তার আরও কড়াকড়ি ও বর্ডার (BSF) আউটপোস্টগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। এই অপস অ্যালার্ট চলাকালীন প্যাট্রলিং সহ আরও অন্যান্য সক্রিয়তা বাড়াতে বলা হয়েছে। নির্দেশনামায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, সীমান্তে বারবার মহড়া চালাতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করতে হবে। প্রয়োজনে রাতে বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। বিএসএফ সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ওপার থেকে উস্কানি আসতে পারে। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের তরফে বলা হয়েছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের ভালো করে বোঝাতে হবে। আর সেই দায়িত্ব নিতে হবে বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকদেরই। ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্পেশাল ডিজি একাধিক বর্ডার আউট পোস্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এদিনের নির্দেশনামায় আরও বলা হয়েছে, একাধিক অংশ রয়েছে যেখানে কাঁটাতার নেই। সবথেকে বেশি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে অরক্ষিত এলাকায়। আগামী সাতদিন এই এলাকাগুলিকে পাখির চোখ করে সবথেকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কোনওভাবেই কোনও ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতেও বলা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই বা নদী রয়েছে সেখানে নজরদারি বাড়াতে হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অ্যালার্ট জারি রাখতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা বিক্ষোভের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা বেড়েছে। বাড়ছে অনুপ্রবেশে। শুধু তাই নয়, ইদানিং দেখা যাচ্ছে দেশজুড়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি থেকে শুরু করে সইফ আলি খানকে ছুরি মারার ঘটনাতেই বেআইনিভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশের বাসিন্দাদের হাত রয়েছে। আনসারুল্লা বাংলার মতো জঙ্গি যোগ থাকা আল কায়দা গোষ্ঠীরও সক্রিয়তা বেড়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকারের আমলে পাকিস্তানের সক্রিয়তা বেড়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রভাব বাড়াচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত এই মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুব সংবদেনশীল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে শিয়ালদা আদালত। যদিও সেই রায়ে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। হাইকোর্টের সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে তারা। শুক্রবার হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার এই মামলাটি শুনানির দিনও এদিন জানিয়ে দেন।

    মামলার শুনানি সোমবার! (CBI)

    সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই কলকাতার হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে মামলা করার ক্ষেত্রে বুধবার সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়েছিল। সে দিনও তারা আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে তা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিচারপতিরা জানান, আগামী সোমবার, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের আবেদনের সঙ্গে সিবিআইয়ের মামলাটিও শোনা হবে। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সিবিআই যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভয়ার বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, সঞ্জয়কে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। তারপর এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে যান তাঁরা। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সঞ্জয়েরও মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, দিল্লির সদর দফতরের সিদ্ধান্ত মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    রাজ্যের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই

    রাজ্য যে উচ্চ আদালতে গেল, তা তারা আদৌ করতে পারে কি না, তা নিয়ে আদালতেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই (CBI)। আইনজীবীদের একাংশের মতে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের যে আবেদন জমা পড়েছে হাইকোর্টে, তাতে সিবিআই-ই প্রথম পক্ষ হতে চাইছে বলেই এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, বুধবার তার শুনানিতেই সিবিআই জানায়, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য কী ভাবে আবেদন করতে পারে। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল (সিবিআইয়ের আইনজীবী) রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য, সিবিআইও এই মামলায় দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তিই চেয়েছিল। এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই কিংবা দোষী হাইকোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী (পিপি) দেবাশিস রায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সিবিআই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি

    আরজি করের ঘটনায় কেন সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড দিল না শিয়ালদা আদালত? বিচারক অনির্বাণ দাস শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। ভারতী ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। তাই তাঁকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে। এই ঘটনাতেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সময়ে চার্জশিট দিতে না-পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সন্দীপ অবশ্য আরজি কর সংক্রান্ত অন্য মামলায় বন্দি। ধর্ষণ-খুন মামলাতেও পরবর্তী চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI)। ফলে, সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘ভোট গেম করছেন মমতা’! আগ বাড়িয়ে রাজ্য মামলা করায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা

    RG Kar Incident: ‘ভোট গেম করছেন মমতা’! আগ বাড়িয়ে রাজ্য মামলা করায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) আদালতের রায় বের হওয়ার পর রাজ্যের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা। বিশেষ করে মমতার সরকার আগবাড়়িয়ে এই ঘটনায় মামলা করার ঘটনা একেবারেই তাঁরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বরং, তৃণমূল সরকারের এই অতিসক্রিয়তার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। আরজি করকাণ্ডে মামলা করে অভয়ার পরিবারের কাছে আসার বার্তা দিতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টে তার বিপরীত হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। মমতার (Mamata Banerjee) অতিসক্রিয়তাকে একেবারেই নাপসন্দ অভয়ার বাবা-মায়ের। এদিকে, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে আজ, শুক্রবার কলকাতায় মিছিল করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। যাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ভোট গেম করছেন মমতা (RG Kar Incident)

    পাঁচ মাস পর আরজি কর মামলার রায় (RG Kar Incident) বেরলেও তাতে তুষ্ট নন মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। রায় বের হওয়ার আগেই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে অপরাধী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলাকে ‘ভোট গেম’ বলেই উল্লেখ করলেন অভয়ার বাবা। হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবারের তরফে সম্মতি ছাড়া রাজ্যের এই মামলা করার অনুমতি আছে কি না। তাঁরা সম্মতি দেবেন কি না, এই প্রশ্ন করায় অভয়ার বাবা বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।” রায় বের হওয়ার পর মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গে অভয়ার বাবা বলেন, “এত সক্রিয়তাই বা কেন! রায়ের কপি পড়ে উঠতে পারলাম না, ওঁরা মামলা করে দিলেন! এক মাস তো সময় ছিল। উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো বলেন খেলা হবে, সবসময় খেলা করছেন। এটাও খেলা। মুখ্যমন্ত্রী অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। এটা একটা ভোট গেম তো বটেই।” তাঁর দাবি, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা

    সঞ্জয়ের কী হল, তা নিয়ে আপাতত চিন্তিত নন অভয়ার (RG Kar Incident) বাবা-মা। তাঁদের দাবি, আর কেউ যুক্ত থাকলে, তাদের নাম যাতে সামনে আসে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলা মেনশন করা হয়েছে। বুধবার শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে, আগামী ২৯ জানুয়ারি শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, সোমবার আরজি করের রায় ঘোষণার পর সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসি দিয়ে দিতাম।” এবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন অভয়ার বাবা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে অত ব্যস্ত হতে হবে না। উনি করেছেন… আর ওঁকে ব্যস্ত হতে হবে না।” সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা তিনি বলেন, “মুখে ওই সব কথা উনি বলতে পারেন। ওঁর সিপি-এসিপি উপস্থিত থেকে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে। উনি সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন না প্রথম থেকে?” এরপর তিনি জানান, রায়ের কপি হাতে আসার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন উচ্চ আদালতে আদৌ তাঁরা যাবেন কিনা।

    অভয়ার পরিবারের সঙ্গে পথে শুভেন্দুও

    প্রসঙ্গত, তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কর্তব্যের (RG Kar Incident) গাফিলতির অভিযোগে আগেই তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তারপর পদত্যাগের দাবিতেও সরব হন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে বিনীত গোয়েলকে পদ থেকে সরানো হয়। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে, শুক্রবার অভয়ার পরিবারকে সঙ্গী করে উত্তর কলকাতায় মিছিল করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। কলেজ স্ট্রিট থেকে মহম্মদ আলি পার্ক পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার কথা। পরিবারকে সঙ্গী করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথে নামা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    Malaria: সঙ্গম করলেই মরবে স্ত্রী মশারা, ধ্বংস হবে বংশ, ম্যালেরিয়া রুখতে নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করতে জিনতত্ত্বের নতুন প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বার্কিনা ফাসো ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেও নাকি সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। ‘নেচার’ জার্নালেরই একটি বিভাগ ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-এ এই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    কীভাবে ধ্বংস করবে ম্যালেরিয়ার মশার বংশ? (Malaria)

    এমনিতেই হাজার চেষ্টা করেও ম্যালেরিয়ার (Malaria) মশার বংশ ধ্বংস করা যায়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা যে রক্ষাকবচ তৈরি করেছেন, তা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস মশারা দিনে দিনে তাদের চরিত্র বদলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। রাসায়নিক স্প্রে, কীটনাশক প্রয়োগ করে সাময়িক ভাবে তাদের রুখে দেওয়া হয়তো সম্ভব, কিন্তু তাতে সুদূরপ্রসারী ফল মেলে না। রাসায়নিকের প্রভাব কেটে গেলে ফের স্বমহিমায় ফিরে আসে তারা। তাই মশা মারতে আর কামান না দেগে বরং জিনবিদ্যাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর নতুন পদ্ধতিটি আগের পদ্ধতিগুলির চেয়ে অনেকটাই আলাদা। জানা গিয়েছে, এমন কিছু ছত্রাক আছে, যারা মাটিতে বা জলে জন্মায় এবং কীটপতঙ্গের শরীরে ঢুকলে বিষক্রিয়া করতে পারে। এদের বলে ‘এন্টোমোপ্যাথোজেনিক ফাঙ্গাস’। এই প্রজাতির কিছু ছত্রাককে নিয়েই গবেষণাটি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছত্রাকগুলিকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে। এর পর সেগুলিতে জিনগত বদল ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যাতে সেগুলি প্রাণঘাতী বিষ তৈরি করতে পারে। পুরুষ মশার শরীরে এই ছত্রাকের রেণু ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে! ‘জেনেটিক মিউটেশন’-এর কারণে ছত্রাক কেবল বিষই তৈরি করবে না, পুরুষ মশার শরীরে ঢুকে তাদের চরিত্রও বদলে দেবে। পুরুষ মশার শরীরে ঢুকবে মারণ ছত্রাকের রেণু। তাই বয়ে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী মশাদের আকৃষ্ট করে প্রেমের জালে ফাঁসাবে পুরুষেরা। মিলন হলেই সর্বনাশ। সঙ্গমের পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে স্ত্রী মশারা।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন গবেষকরা?

    গবেষকরা বলেন, “ছত্রাক পুরুষ মশার শরীরে তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ, পুরুষ অ্যানোফিলিস মশা বাহকের (Malaria) কাজ করবে। ছত্রাক বয়ে নিয়ে গিয়ে তারা স্ত্রীদের আকৃষ্ট করবে। সঙ্গমের পরেই স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার শরীরে ঢুকে যাবে সেই ছত্রাকের রেণু। আর এর পরেই রোগ ছড়াবে দ্রুত। ছত্রাক শরীরে ঢোকার ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হবে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার।” আমেরিকা ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এই পরীক্ষা করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতি সম্পর্কে চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের মত, “জিনগত রূপান্তর ঘটিয়ে মশার বদল আগেও করা হয়েছে। যদিও সার্বিকভাবে সব জায়গায় এর প্রয়োগ হয়নি। মারণ ছত্রাক ঢুকিয়ে মশার সঙ্গম ঘটানোর প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে তা হল প্রথম বিষয়, দ্বিতীয়ত সেই মশা কামড়ালে মানুষের শরীরে কী প্রভাব পড়তে পারে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। গবেষণাটি পরীক্ষার স্তরেই আছে। সেটির বাস্তব প্রয়োগ শুরু না হলে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    এর আগেও পরীক্ষায় কী ফল মিলেছিল?

    জিনগত প্রযুক্তি (Malaria) ব্যবহার করে এর আগেও মশা (Mosquito) ধ্বংসের চেষ্টা করেছিল ব্রাজ়িল সরকার। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল অবধি চলেছিল ওই পরীক্ষা। একটি ব্রিটিশ সংস্থা ব্রাজ়িল সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ওই শহরে সাড়ে চার লক্ষ পুরুষ মশা ছাড়ত, যাদের জিনগত রূপান্তর ঘটানো হয়েছিল। ফলে, ওই পুরুষ মশার সঙ্গে সঙ্গম করলে স্ত্রী মশা বংশবিস্তারের ক্ষমতা হারাবে। যদি বা অপত্যের জন্ম দিতে পারে, তা বেশি দিন বাঁচবে না। কিন্তু সেই পরীক্ষা সফল হয়নি। প্রথম প্রথম স্ত্রী মশারা ফাঁদে পড়লেও পরে নাকি সতর্ক হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানান, জিনগত ভাবে রূপান্তরিত পুরুষ মশাদের এড়িয়ে চলত স্ত্রী মশারা। তবে এ বার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পূর্বের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের এই উপায় এবার সফল হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর পরই মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আদালত তথ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করে রায় দিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর এই অতি উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে অভয়ার বাবা-মা এই ঘটনায় হতবাক। বিরোধীরাও এই অতি উৎসাহের পিছনে প্রকৃত দোষীদের যে মুখ্যমন্ত্রী আড়াল করার চেষ্টা  করছেন তার অভিযোগ তুলেছে। কারণ, সঞ্জয়ের ফাঁসি হয়ে গেলে সমস্ত কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে। তাই, মমতা এতটা সক্রিয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। খোদ অভয়ার বাবা- মাও মুখ্যমন্ত্রীর অতি সক্রিয়তা ভালোভাবে নেননি। 

    বিচারকের রায়কেও মুখ্যমন্ত্রী মানছেন না! (RG Kar Incident)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) রায় বের হওয়ার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “আরজি কর মামলার রায়ে রাজ্য উচ্চ আদালতে যাবে। সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চাইছে রাজ্য। ফাঁসি হলে সান্ত্বনা পেতাম। আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসির সাজা দেওয়া হত।” সাধারণত, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা-মায়ের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কারণ, তিনি তাঁদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন। কিন্তু, বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা বলেছেন, “তাহলে কি উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) শিয়ালদা আদালতের বিচারককেও মানছেন না? বিচারক যে রায় দিলেন সেটা তিনি মানছেন না? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই। তাহলে তিনি বিচারকের বিরুদ্ধেই তদন্ত করুন। সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দিতেই হবে এই মনোভাব প্রথম দিন থেকেই কেন? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে চাই। পিছনে যারা জড়িত রয়েছে সেটাকে বের না করে সঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন, কারণটা কী? ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অন্য লোকও উপস্থিত ছিল। সিএসএফএল (ফরেন্সিক রিপোর্ট)- ও বলেছে ওইরকম জনবহুল জায়গায় একজনের পক্ষে ঢুকে গিয়ে একটা মেয়েকে ওভাবে মেরে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। উনি কি ফাঁসি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চান যে আমরা বিচার দিয়ে দিলাম। আমরা চাইছি আরও তদন্ত হোক, যারা যারা জড়িত তাদের সামনে এনে কঠোরতম শাস্তি হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে, ঠিক করে তদন্ত হোক

    অভয়ার মা (RG Kar Incident) বলেন, “সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে। যে চারজনের সঙ্গে আমার মেয়ে ডিউটিতে ছিল তাদের সিবিআই বা পুলিশ (যে চারদিন ছিল) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। পাঁচজন একসঙ্গে ডিউটি করছে, হঠাৎ হাসপাতালে ডিপার্টমেন্টের মধ্যে একজন ধর্ষণ, খুন হয়ে গেল, আর কেউ কিছু জানল না, এটা তো কেউই বিশ্বাস করবে না। আমিও করি না, প্রথম দিন থেকেই। আমাদের তাড়াতাড়ি আসতে বলে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। এদিকে ভিতরে সিপি, এসিপি সবাই উপস্থিত। পরে ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়,অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, দেবাশিস সোম সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাচ্ছিলেন। আমার মেয়ের দেহ যেখানে ছিল সেখানে সবাই উপস্থিত। কোনও কর্ডন নেই। মাছের বাজার হয়ে গিয়েছিল। এগুলো তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরই অংশ। তদন্তটা ঠিক করে হোক। কারা কারা যুক্ত সেটা সামনে আসুক।”

    ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

    অভয়ার মা আরও বলেছেন, “আমরা মেয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলাম। আমাকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে গ্রিন করিডর করে মেয়ের দেহ (RG Kar Incident) বাড়ি নিয়ে গেল। আমরা তখন টালা থানায় বসে। পুলিশ আমাদের গাড়ি থেকে নামতেও দেয়নি। এফআইআর লিখতেও দেয়নি। প্রথমে ৭ জন পুলিশ ছিল। পরে প্রায় ২০০ পুলিশ হয়ে গিয়েছিল। পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি চলে এসো। নাহলে ওকে শ্মশানেই নিয়ে চলে যাব। বাড়ি গিয়েও কিছু করতে পারিনি। ২ কিলোমিটার অবধি পুলিশ। আমাদের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিল। দ্রুত দেহ শ্মশানে নিয়ে লোকাল এমএলএ, লোকাল কমিশনার তাঁরা দেহ চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেন। লোকাল এমএলএ লোকাল কমিশনারের পিঠ চাপড়ে বলছিলেন ‘ওয়েল ডান বয়’। এটা কি কারও নির্দেশ ছিল? কারও নির্দেশ ভালোভাবে পালন করা হচ্ছিল বলেই কি ‘ওয়েল ডান বয়’ বলা হচ্ছিল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের রয়ে গিয়েছে। কোথাও একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এই অদৃশ্য শক্তিটা আমরা বের করতে চাই। তারপর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

    কাদের আড়াল করতে সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার ফাঁসির দাবি প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সঞ্জয়ের চরম শাস্তি আমরাও চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত তাড়া কেন? কারণটা, খুবই পরিষ্কার। সঞ্জয় যেন মুখ খুলতে না পারে। সঞ্জয় বারবার এক আইপিএসের কথা বলছে। যদি সঞ্জয় বিবেক কুমারের নাম বলে, সন্দীপ ঘোষের নাম বলে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়ে যাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না সঞ্জয় মুখ খুলুক। সে কারণেই সঞ্জয়কে তড়িঘড়ি ফাঁসিতে ঝোলাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা! সফল হল মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান, পরিষেবা চালু কবে?

    Kolkata Metro: শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা! সফল হল মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান, পরিষেবা চালু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের আওতায় শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার মধ্যে প্রথম ট্রায়াল রান চালানো হয়। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে ছোটানো হয় মেট্রোর রেক। এই প্রথম ট্রায়াল রান সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, সব মাপকাঠিই পূরণ হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম ট্রায়াল রানের সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) জিএম পি উদয়কুমার রেড্ডি-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা (Kolkata Metro)

    এদিন ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের কেবিনে ছিলেন মেট্রো (Kolkata Metro) রেলের জেনারেল ম্যানেজার তথা কলকাতা মেট্রোর চেয়ারম্যান পি উদয়কুমার রেড্ডি। মঙ্গলবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় ট্রায়াল রান। সেই মেট্রো এসপ্ল্যানেড পৌঁছয় ১১টা ৩১ মিনিট নাগাদ। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার দূরত্ব পেরোতে সবমিলিয়ে ১১ মিনিট সময় লাগে। ট্রায়াল রান শেষে উদয়কুমার সকলকে শুভেচ্ছা জানান। পরে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (কেএমআরসিএল) এবং অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রথম ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় এই রুটে মেট্রো চালুর বিষয়ে আশাবাদী সকলেই। খুব শীঘ্রই শিয়ালদা এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    কবে চালু হবে পরিষেবা?

    হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবায় যে অংশ মাটির নীচ দিয়ে যাবে, সেখানে দু’টি সুড়ঙ্গ (Kolkata East West Metro) রয়েছে। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ শিয়ালদামুখী (Sealdah) সুড়ঙ্গের কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। লাইন পাতাও শেষ। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রোর খালি রেক প্রায়ই যাতায়াত করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়। শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ওই সুড়ঙ্গ কাটার সময় সমস্যা হয় বৌবাজারের কাছে। ২০১৯ সালে অগাস্ট মাসে সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নামে বৌবাজার এলাকায়। তড়িঘড়ি বন্ধ করতে হয় কাজ। ওই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার। ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবরে ওই অংশ কাজ করার সময় দফায় দফায় কাজ বন্ধ করতে হয়। জল ঢুকে পড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে। বার বার বিপত্তির কারণে এত দিনেও শিয়ালদা এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা চালু সম্ভব হয়নি। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা সুড়ঙ্গপথে জুড়লেই হাওড়া ময়দান থেকে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে বৌবাজারের ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নীচ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে মেট্রো ছুটল। সব ঠিক থাকলে, চলতি বছরের প্রথমার্ধেই যাত্রী পরিষেবা শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর, যা সল্টলেক থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত, তাকে গ্রিন লাইনও বলা হয়। কলকাতায় মেট্রোর এই গ্রিন লাইনের অধীনেই দেশের মধ্যে প্রথম বার জলের নীচ দিয়ে মেট্রো ছুটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-শাসিত ওড়িশা এগিয়ে। এগিয়ে রয়েছে ছত্তিশগড়ও। তাদের পিছনে রয়েছে গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডও। সব শেষে রয়েছে তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সাম্প্রতিক ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স প্রতিবেদন থেকেই এই তথ্য মিলেছে।

    পিছিয়ে বাংলা 

    ন’টি মানদণ্ডের নিরিখে করা হয়েছে বিচার। তাতেই দেখা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডের ঢের পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং পাঞ্জাব। এই চার রাজ্যকে পিছিয়ে পড়া এবং সব চেয়ে খারাপ পারফর্মিং রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি গত কয়েক বছরে কোনও উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) মতে, পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে পরিকাঠামো তৈরি-সহ মূলধনী খাতে খরচে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিজের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। কর বাবদ আয় ও কর ছাড়া অন্যান্য আয়– দুই ক্ষেত্রেই। এই রাজ্যগুলিকে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে বলেও বলা হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে।

    দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে (NITI Aayog)

    দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে কার রাজকোষের অবস্থা ২০২২-’২৩ সালে কেমন ছিল, তা নিয়ে রাজকোষের স্বাস্থ্য সূচক প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। রাজকোষের স্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে মোট ১৮টি রাজ্যকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সারিতে রয়েছে ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট। আর চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই শেষ সারির রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হিমশিম খাচ্ছে। রাজ্যের নিজস্ব আয় খুবই কম। দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। সেই ঋণ শোখ করার ক্ষমতা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। তুলনায় সামনের সারিতে থাকা রাজ্যগুলির পরিকাঠামো তৈরিতে রাজ্যের জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ খরচ করছে। রাজস্ব আয়ের সামান্য অংশ ঋণের সুদ মেটাতে খরচ হচ্ছে তাদের।

    আরও পড়ুন: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্টে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাঁড়ির হাল। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের মোট খরচের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরিতে খরচের হার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিন শতাংশে নেমে এসেছে। যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও পাঁচ শতাংশের বেশি ব্যয় হত। মূলধনী খাতেও খরচের ভাগ কমেছে। সেটাও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। সেই তুলনায় সামাজিক খাতে খরচের হার বেশি হলেও, তা-ও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। বিরোধীদের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে (West Bengal) গিয়ে রাজ্যের হাঁড়ির হাল করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    জানা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং গোয়া আর্থিক সতর্কতা, সঠিক ব্যয় ব্যবস্থাপনা, অধিক রাজস্ব সংগ্রহ এবং নিম্ন দেনার ভার প্রভৃতি কারণে ঠাঁই করে নিয়েছে তালিকার ওপরের দিকে। ঝাড়খণ্ডের অনেক সূচকে উন্নতি, বিশেষত মূলধনী ব্যয় ও রাজস্ব সংগ্রহের গুণগত মানে অগ্রগতি, তার আর্থিক দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং সম্পদের আরও ভালো বরাদ্দের চেষ্টাকেও প্রতিফলিত করে। পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি ক্রমবর্ধমান ঋণ, অযৌক্তিক ব্যয় এবং অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। পাঞ্জাবের ভর্তুকি নির্ভরতা এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ঘাটতি তাদের আর্থিক চাপে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

    একইভাবে, কেরালার কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং ভর্তুকির ওপর উচ্চ ব্যয় এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অব্যবস্থাপনা তাদের ঠেলে দিয়েছে তালিকার চতুর্থ সারিতে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অবস্থার তীব্র অবনতি ঘটেছে, যা বাড়তি রাজস্ব ঘাটতি এবং হ্রাসপ্রাপ্ত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী। তবে, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড তাদের আর্থিক স্থায়িত্ব উন্নত করতে যেসব সংস্কার করেছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার এবং উন্নয়ন ব্যয়ের বৃদ্ধিও।

    নীতি আয়োগ (NITI Aayog) কর্তৃক প্রকাশিত ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স রিপোর্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যা মূলত নীতিগত সংস্কারকে পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। এটি রাজ্যগুলোকে টেকসই আর্থিক অনুশীলন গ্রহণে উৎসাহিত করে এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, এটি একটি বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট যা দেখায় যে কোন রাজ্য কোন দিকে এগোচ্ছে। আমি মনে করি, এটি একটি সূচক হিসেবে কাজ করে, যা সমস্ত মানদণ্ডে তথ্য প্রদান করে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share