Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

  • Partha Chatterjee: ফের মুখ ফেরাল এসএসকেএম? অসুস্থ বোধ করায় পার্থকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে, তারপর…

    Partha Chatterjee: ফের মুখ ফেরাল এসএসকেএম? অসুস্থ বোধ করায় পার্থকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ বোধ করায় শনিবার বিকেলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে গেল জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন চিকিৎসা শেষে এসএসকেএম থেকে ফের প্রেসিডেন্সি জেলেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর এসএসকেএম থেকে বেরনোর সময় প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘দলের সাথে আছি, দলের সাথেই ছিলাম’! 

    আরও পড়ুন: হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    জেল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে শারীরিক অসুস্থতার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানান পার্থবাবু। এর পর ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ পার্থবাবুকে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে রওনা হয় ৩টি গাড়ির কনভয়। চারটে নাগাদ কনভয় পৌঁছয় SSKM হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পিছনে সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির সামনে গাড়ি থেকে নামানো হয় তাঁকে। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জানতে চান শরীর কেমন? জবাবে ক্লান্ত, বিমর্ষ পার্থ বলেন, ‘শরীর ভালো নেই।’ এর পর হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিছু ক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে বার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।

    আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিবের শরীরের ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম। পা ফুলেছে তাঁর। শরীরে অস্বস্তি রয়েছে। তাই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা ভাবা হয়। এসএসকেএমে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। শনিবার বলে অন্যদিনের তুলনায় হাসপাতালে ভিড় কম ছিল। তবুও নিরাপত্তায় ফাঁক রাখা হয়নি। নিরাপত্তার খাতিরে জরুরি বিভাগের পিছনের গেট দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ঢোকানো হয়। মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।

  • SSC Scam: পার্থর ‘আপনজনের’ ঘরে চাকরি বিক্রির ২০ কোটি, ইডির তল্লাশিতে ফাঁস রাঘব বোয়ালদের যোগ

    SSC Scam: পার্থর ‘আপনজনের’ ঘরে চাকরি বিক্রির ২০ কোটি, ইডির তল্লাশিতে ফাঁস রাঘব বোয়ালদের যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) তল্লাশিতে নেমে চক্ষু চড়কগাছ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এক প্রেস বার্তায় ইডি (ED) জানিয়েছে, বিপুল নগদ উদ্ধারের জন্য টাকা গোনার মেশিন (Note counting machine) আনা হয়েছে। এগুলি এসএসসির চাকরি বিক্রির টাকা হতে পারে।

    [tw]


    [/tw]
     
    ইডি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিনভর শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary), তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, পার্থের ‘আপনজন’ অর্পিতা, প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকান্ত আচার্য, চন্দন মণ্ডল, পার্থবাবুর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা অধিকারী, এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র সরকার, অলোক কুমার সরকারের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এঁদের সবার সঙ্গে এসএসসি দুর্নীতির যোগ আছে বলে ইডির দাবি।

    আরও পড়ুন: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    ইডি জানিয়েছে, অর্পিতাদেবীর বাড়ি থেকে ২০টি ফোন পাওয়া গিয়েছে। কেন এগুলি ফোন তিনি ব্যবহার করতেন তাও তদন্ত করে দেখছে ইডি। নগদ টাকা গোনার জন্য ইডি ব্যাঙ্ককর্তাদের সহায়তা নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু শেল কোম্পানি, বিদেশি মুদ্রা (Foreign Exchange), ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছে ইডি। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) স্কুল শিক্ষক নিয়োগ (Teacher recruitment) নিয়ে লাগাতার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইকে (CBI) । গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তদন্ত করছে সিবিআই। ইডি দাবি করেছে, সিবিআইয়ের তদন্তের সূত্রেই বেআইনি লেনদেনের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এসএসসি-টেট দুর্নীতি (Primary TET scam) মামলায় আরও চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

  • ED_CBI: পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ED_CBI: পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। কখনও কয়লা কেলেঙ্কারি, কখনও বা গরু পাচার মামলা (Cattle Smuggling Case)। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (ssc scam) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগেও। আদালতের নির্দেশে বাংলার এই সব মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI), ইডি (ED)।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেঁচো খুঁড়তে ইডি-সিবিআই এ রাজ্যে কোন কোন কেউটের সন্ধান করছে।

    ১) কয়লা কেলেঙ্কারিতে ৪ জন ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে।

    ২) অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ।

    ৩) অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীরও ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আজই তোলা হবে আদালতে

    ৪) অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়েছে।   

    ৫) কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরা করা হয়েছে।  

    ৬) প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশ।

    ৭) কয়লাকাণ্ডে পূর্বতন ও বর্তমান মিলিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ডসের চার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।   

    ৮) বীরভূমকাণ্ডে তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

    ৯) কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে জনৈক গুরুপদ মাজিকে।  

    ১০) গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি থেকে।

    ১১) ১৮৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।

    ১২) কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সাতটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এগুলি হল, বীরভূম হিংসা, ভাদু শেখে হত্যা, এসএসসি দুর্নীতি, তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড এবং হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড।

    ১৩) নির্বাচনোত্তর হিংসায় তারক সাহু হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে।

    ১৪) নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ৪ হেভিওয়েটকে।

    ১৫) মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

     

     

  • Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    Covid-19 in Bengal: প্রতিষেধকের বেড়া ভাঙছে ওমিক্রন, কিন্তু হুঁশ আছে কি রাজ্যের শাসক দলের?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের চোখরাঙানি রোজ বাড়ছে। ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট করোনা টিকার সুরক্ষা রেখাকে দূর্বল করছে। ২০ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২,৪৫৫ জন। অর্থাৎ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাদ নেই শিশুরাও। করোনা পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে।
     
    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিত্যদিন করোনার নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তাই অনেক সময় চিকিৎসা দেরিতে শুরু হচ্ছে। ফলে, জটিলতা বাড়ছে। এমনকি, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের যেভাবে শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, তা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে যেভাবে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো হল, তা গোটা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    গত দু’বছর রাজ্যের শাসক দল ২১ জুলাই, তাদের শহিদ দিবস ভার্চুয়ালভাবে সমাবেশ করেছিল। কিন্তু এই বছর ধর্মতলায় সভা হয়। বৃহস্পতিবারের এই সভা উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সোমবার থেকেই মানুষ কলকাতায় আসতে শুরু করেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকেন। দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখারও তোয়াক্কা তাঁরা করেননি। পাশপাশি বসে তিনদিন ধরে খাওয়া, ঘুম সব চলছে। এমনকি পুরসভার যেসব কর্মীরা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম স্যানিটাইজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেভাবে নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সেখানে শুধু স্যানিটাইজার ছড়িয়ে বিশেষ কাজ হবে না।
     
    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় তৃণমূলের লম্বা মিছিল ধর্মতলামুখী ছিল। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। অধিকাংশ নেতা, কর্মী, সমর্থক মাস্ক পরেননি। গত কয়েক মাস করোনা রুখতে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি অতিমারির জেরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়েও নানান জটিলতা তৈরি হয়েছে। আজকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রাজ্যের শাসক দলের সমাবেশ দেখে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, এই সমাবেশের জেরে আবার করোনা বাড়লে কি স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে? অসচেতন রাজনৈতিক কর্মসূচির খেসারত দেবে পড়ুয়ারা?

    আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের পর এবার বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ, চলবে আগামী ৭৫ দিন

    যদিও শাসক দল এই সব অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সভা করেছে। স্যানিটাইজ গেট তৈরি করা হয়েছিল। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো প্রথম সারির নেতারা সব সময় মাস্ক পরেই যাবতীয় কাজ করেছেন। তাঁদের মাস্ক পরতে দেখে কর্মীরা সচেতন হবেন। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “কয়েক লাখ মানুষ আজ এসেছিলেন। প্রত্যেকের মুখে তো মাস্ক পরিয়ে দিতে পারব না। তবে, করোনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা হয়নি।”

  • SSC Scam: এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে  গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?   

    SSC Scam: এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এসএসসি দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নেমে যেন গুপ্তধন পেল সিবিআই (CBI)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কমিশনের দফতর থেকে সমস্ত নথিপত্র, কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে তা পাঠানো হয়েছিল ফরেনসিক তদন্তের জন্য। দিন কয়েক আগে ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে গোছা গোছা জাল নিয়োগপত্র। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন এত ‘নকল’ নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল, কার নির্দেশে হয়েছিল এবং নিয়োগপত্র পাওয়া ব্যক্তিরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।

    তদন্তকারী দল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরি খোয়ানো শিক্ষক সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করতে শুরু করেছেন। তাতে তদন্ত অনেকটা এগিয়েওছে। বাড়তি পাওনা এসএসসি-র দফতর খেকে উদ্ধার হওয়া নথি। তদন্তকারীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়েছিল। হার্ডডিস্কে সবই মজুত ছিল। ফরেনসিক করাতেই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : মন্ত্রীই সর্বেসর্বা, ‘অবৈধ’ প্যানেলেও সম্মতি দিয়েছিলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিত বয়ান শিক্ষাসচিবের

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ২০১৬-১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০২১ সালেও নিয়োগ হয়েছে। প্যানেলের ভ্যালিডিটির কথা মাথায় রাখেননি কর্তারা। কারও নামে সুপারিশ এলেই নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তলিয়ে দেখা হয়নি আদৌ তিনি বা তাঁরা চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন কিনা। ফলে এই ধরনের সমস্ত নিয়োগপত্রের কোনও মূল্য আছে বলেই মনে করছেন না তদন্তকারীরা। একটি ফাইলেই ৩৬টি এমন নিয়োগপত্র পাওয়া গিয়েছে যেগুলি একেবারেই নকল। কার ইন্ধনে এই নিয়োগ হয়েছে, তা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন : এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    এসএসসি-র সাধারণ কর্মীরা অনেকেই বুঝে গিয়েছেন সত্যি কথা না বললে নিস্তার নেই। তাই তদন্তের কাজে কর্মীরা অনেকেই সহযোগিতা করছেন। রাঘব বোয়ালদের কাছে পৌঁছানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন তদন্তের খোঁজ খবর রাখা ব্যক্তিরা।

     

  • Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta Highcourt)। কিন্তু, একের পর এক “শ্রী”-প্রকল্পে বিপুল অর্থ খয়রাতি ও অনুদান দিতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারে আগে থেকেই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। ফলস্বরূপ, আদালতের নির্দেশমতো রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ সময়মতো মেটাতে পারেনি নবান্ন (Nabanna)। যার জেরে, আদালতের নির্দেশে বেতন আটকে যায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের শীর্ষ কর্তাদের। রোষে পড়তে হয়েছে রাজ্যকেও। 

    এর পরই টনক নড়ে মমতা (Mamata) প্রশাসনের। কিন্তু টাকা, সেটা আসবে কোথা থেকে? এই পরিস্থিতিতে বকেয়া মেটানোর টাকা তুলতে এবার রাজ্যবাসীর ওপরই কোপ ফেলল রাজ্যের শাসক শিবির (TMC)। চুপচাপ গ্রামে-শহরে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Government)।

    আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    সাধারণত, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (পিডিসিএল)-এর থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা গ্রাহকদের সরবরাহ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা সংক্ষেপে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL)। এর জন্য ইউনিট প্রতি পিডিসিএলকে ৪ টাকা করে দেয় ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    ২০২০ সাল থেকে নিজস্ব কয়লাখনি থেকে উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে পিডিসিএল। ফলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায়, পিডিসিএল ইউনিট প্রতি দাম ৫১ পয়সা কমিয়ে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু, গ্রাহকদের কোনও সুবিধা হয়নি। উল্টে এখন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি মাশুল চাপাল ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    প্রকাশ্যে আসা Tariff অনুযায়ী, গ্রামে ১০২ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা। এখন তা হচ্ছে ৫.৪৯ টাকা। শহরে এই পরিমাণ বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.৩০ টাকা। এখন হল প্রতি ইউনিট ৫.৫৩ টাকা। অর্থাৎ, সাধারণ পরিবারগুলির জন্য প্রতি ইউনিটে ২৩ পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। দাবি, দাম বাড়ার ফলে সংস্থার ৯৪২ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে। নবান্ন চাইছে, এই টাকা দিয়ে বকেয়া ডিএ মেটাতে। 

    আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    শুধু ডিএ বা মহার্ঘভাতাই আটকে রয়েছে তেমন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের একাংশের আরও অভিযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর টাকাও নাকি ঠিকমতো জমা পড়ছে না। এক্ষেত্রেও, কর্মীদের হকের টাকা জমা না করার দায়ে কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির দাবি করেছে। সরকারের যুক্তি, কর্মীদের বেতন দিতে গিয়েই নাকি সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এখানেই, দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন আন্দোলনকারী বিদ্যুৎকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেনার খরচ কমে যাওয়ার পরেও, বিদ্যুৎকর্মীদের টাকা মেটানো হচ্ছে না। উল্টে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে অতিরিক্ত আয় করছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। 

    তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে  রাজ্যে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) হত্যার প্রেক্ষিতে চলা রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে ৯ জুলাই কলকাতা সফর স্থগিত করেছিলেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তার পরেও প্রচারে বাদ পড়ছে না পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা আসছেন তিনি। তার আগেই অবশ্য পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি। সেখানে উপস্থিত হবেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীসহ সমস্ত বিধায়কেরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রৌপদী সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছবেন। পরের দিন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে চলে যাবেন বিজয়ওয়াড়া।

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জানান, ঝটিকা সফরে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছবেন আমাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। তিনি সোমবার উত্তরাখণ্ড দিয়ে প্রচার শুরু করবেন। দুপুরে সিকিমের জন প্রতিনিধিদের কাছে ভোট চাওয়ার জন্য আসবেন শিলিগুড়ি। সেখান থেকে কলকাতা। দমদম বিমানবন্দরে রাজ্যের বিভিন্ন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। তাঁর সফরসঙ্গী হবেন, দুই হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্রসিংহ শেখাওয়াত এবং সর্বানন্দ সোনওয়াল। থাকবেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।

    আরও পড়ুন: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    বিজেপি সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সকালে দ্রৌপদীদেবী স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারেন। এরপর ফিরে এসে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকের পরেই তিনি চলে যাবেন বিজয়ওয়াড়ায়। তাঁর সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিধানসভার স্পিকার কারও সঙ্গেই তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে। গত ৯ জুলাইয়ের সফরেও তেমন কোনও সম্ভাবনা ছিল না।

    ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক-সাংসদ যাতে দ্রৌপদী দেবীকে ভোট দেন তার অনুরোধ জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যৌথভাবে চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎই তাঁর অবস্থান বদল করে জানান, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী দেবীকে সমর্থন করতেন। অনেকেই মনে করছেন, আদিবাসী ভোট হারানোর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী এমন অবস্থান নিয়েছেন। বিজেপির অবশ্য দাবি, রাষ্ট্রপতি পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পছন্দের প্রার্থী ছিলেন ফারুক আবদুল্লা। উল্টোদিকে নরেন্দ্র মোদীজি (Narendra Modi) বেছে নিয়েছেন জনজাতি মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে। যা কিনা মোদীর মাস্টার স্ট্রোক হিসাবেই দেখছেন অনেকে।   

    আরও পড়ুন: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

  • TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

    আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

    রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

     

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

LinkedIn
Share