Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরে অভিযুক্ত জেহাদিরা! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লক্ষ্মী প্রতিমা ভাঙচুরে অভিযুক্ত জেহাদিরা! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের মূর্তি ভাঙার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু, পশ্চিম বাংলায় এখন সেই কালচাল চলে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে লক্ষ্মীপুজো মণ্ডপে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হুগলির চন্দননগরে লক্ষ্মীমূর্তি (Lakshmi Puja) বিকৃত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    লক্ষ্মীপুজোয় ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ (Suvendu Adhikari)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বজবজ বিধানসভার একটি দুর্গাপুজো কমিটির মা লক্ষ্মীর ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মা লক্ষ্মী প্রতিমা জেহাদিদের দ্বারা আক্রান্ত হল। বাংলাদেশের মতো একই পদ্ধতিতে এখন পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ নির্বিকার।” সেইসঙ্গে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। কারণ, যে এলাকায় সেই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু, তা অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে পড়ে। আর সেজন্য কটাক্ষ করে ‘লক্ষ্মীপুজোয় ডায়মন্ড হারবার মডেল’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটার প্রেক্ষিতেও আলাদাভাবে কিছু বলেনি পুলিশ। শুভেন্দু অবশ্য পুলিশকেও আক্রমণ শানিয়েছেন। দাবি করেছেন যে হাত গুটিয়ে বসে আছে পুলিশ। একটি ভিডিও পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “কয়েক বছর আগে এই একই জায়গায় দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় আজ পর্যন্ত প্রশাসন কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কেউ গ্রেফতার হয়নি।

     

    মমতাকে আক্রমণ

    ”হিন্দুদের ‘জাগ্রত’ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তোষণের রাজনীতির জন্য হিন্দুদের ওপরে ক্রমাগত ঘটে চলা এই অন্যায় অত্যাচারের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হিন্দুদের বলব যে এবার জাগ্রত হন, নাহলে এরপর নিজের ঘরেও পুজো-অর্চনা করতে পারবেন না।” উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় শুভেন্দু অভিযোগ তুলেছিলেন যে কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি পুজো মণ্ডপে অশান্তি পাকানো হয়েছে। পোস্ট করে তিনি দাবি করেছিলেন যে মণ্ডপের মধ্যে একদল লোক ঢুকে পড়েছিলেন। পুজো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন তাঁরা।

    চন্দননগরেও লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুর, প্রতিবাদ বিজেপির

    এক দিন আগেই, চন্দননগরেও মা লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুরে কড়া প্রতিবাদ জানায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি। বুধবার তারা এক্সবার্তায় লেখে, “সোমবার গভীর রাতে, হুগলির চন্দননগরের ডুপ্লেক্সপট্টি কুমোর পাড়ায় কিছু “ভোট-ব্যাঙ্ক” গুণ্ডা মা লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুর করে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে, শিল্পী শিবু পাল কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার ভোরে প্রতিমাটি পুনর্নির্মাণ করেন। কিন্তু বাংলা আর কতকাল এমন যন্ত্রণা সহ্য করবে? চোপড়ার টিএমসি বিধায়ক মহিলাদের চাবুক মারার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ইসলামিক নীতির আহ্বান থেকে শুরু করে, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সবাইকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার আহ্বান এবং কৃষ্ণনগর, শ্যামপুর, বাউরিয়া এবং মেটিয়াবুরুজে দুর্গাপূজা উদযাপনের ওপর সাম্প্রতিক হামলা, মনে হয় যেন বাঙালিরা তাদের অধীনে বাস করছে। ধর্মীয় মৌলবাদের কবল।”

    Late Monday night, some “vote-bank” hooligans vandalized the idols of Maa Laxmi in Duplexpatti Kumor Para, Chandannagar, Hooghly. In record time, artist Shibu Pal rebuilt the idol by early morning today on Kojagori Laxmi Purnima. But how much longer can Bengal endure such pain?… pic.twitter.com/XlsD9aorHY

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। পুজোর মধ্যেও তাঁরা জোরদার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এবার পুজো মিটতেই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন।

    আন্দোলন আরও তীব্র হবে (Junior Doctor)

    জানা গিয়েছে, ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন (Hunger Strike) শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) অনিকেত মাহাতও। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনিকেত, অনুষ্টুপ, পুলস্ত্য এবং তনয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আরজি কর, নীলরতন সরকার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ঘটনাচক্রে, অনশনকারীদের মধ্যে আরজি করের কেউ রইলেন না। গত ১১ অক্টোবর রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আরও দুই জন যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। আর মঙ্গলবার সেই তালিকা আরও বাড়ল। যে নতুন দু’জন অনশনে যোগ দিলেন তাঁরা হলেন স্পন্দন চৌধুরী এবং রুমেলিকা কুমার। রুমেলিকা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিনের জুনিয়র ডাক্তার। স্পন্দন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। অনশনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের আন্দোলনের ৬৫-৬৬ দিন হয়েছে। দাদা-দিদিরা অনশন করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে বলছি আমাদের আন্দোলন চলবে।” রুমেলিকা বলেন, “আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ উত্তরবঙ্গের সৌভিক

    অনশনরত উত্তরবঙ্গ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ভর্তি করানো হল আইসিসিইউতে। প্রায় ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। অনশনমঞ্চেই পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয় সৌভিকের। তার পরই তাকে আইসিইউয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, সৌভিকের রক্তচাপ এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়ন্ত্রিত। জানা গিয়েছে, সৌভিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় গত ৬ অক্টোবর থেকে। সোমবার মেডিক্যাল টিম তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল। তাতে জানা যায়, রক্তচাপ নামছে সৌভিকের। তার পরেও অনশন চালিয়ে যান তিনি। এর আগে অনশনরত অলোক বর্মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক, ইএনটি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) সন্দীপ মণ্ডল।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে। মূল অভিযুক্ত হিসেবে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এবার কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তা জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

    কী কী জানতে চাইল কোর্ট? (Supreme Court)

    আরজি করের নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে খুনের মতো বীভৎস কাজ একজন সিভিক যে একা করতে পারে, তা মানতে নারাজ অনেকেই। বারবার সুর চড়িয়েছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। সন্দেহ দানা বেঁধেছে নাগরিক মহলের বড় অংশের মধ্যে। কিন্তু, কিছুদিন আগেই সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিককেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়েছে সিবিআই। এরই মধ্যে এবার সিভিকদের নিয়ে কৌতূহলী হতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। রাজ্যে কত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ার আছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অভিযুক্তকেই বা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়, জানতে চান তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের আইনি অধিকার কার, সিভিক ভলান্টিয়ারের যোগ্যতা, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, দৈনিক নাকি মাসিক টাকা পান তাঁরা, এর বাজেটই বা কোথা থেকে আসে ইত্যাদি নানান প্রশ্ন। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইন বলে নিয়োগ করা হয়, মোট কত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কীভাবে তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনই এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    সিভিকদের ডিউটিতে নিষেধাজ্ঞা!

    হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতে পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিয়মিত নির্যাতিতার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান সলিসিটর জেনারেল। আরও কিছু জায়গা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান। রাজ্য জানায়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ প্রায় ৯৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। যে টুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা শেষ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। যদিও রাজ্য সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, কাজ শুরু হলেও, এখনও প্রায় কিছুই হয়নি বলে দাবি করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ

    এরই মধ্যে রাত্রের সাথি প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ (Supreme Court) করতে দেখা যায় আইনজীবী করুণা নন্দীকে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলেই চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আউটডোরে ডাক্তার না থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে তান্ডব চালালেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। হামলা চালানো হল হাসপাতালের সুপারের অফিসেও। মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনার পুরো দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে জানালেন বিজেপির (BJP) জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BJP)

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ আন্দোলন এবং অনশন চলছে। গত সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে সিনিয়র ডাক্তাররা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবুও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার এবং মঙ্গলবার আউটডোরে রোগী দেখেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, এদিন সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। সকাল থেকে রোগীদের লাইন ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীরা। অভিযোগ, সেসময় সাইক্রিয়াটিক বিভাগের কর্মীদের তরফে রোগীদের সুপারের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তারপরই একদল রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সুপারের অফিসে গিয়ে  তাণ্ডব চালান। ওয়েটিং রুমের সেন্টার টেবিল উল্টে দেয়। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। বাঁধা দিতে গিয়ে উত্তেজিত রোগীদের হাতে নিগৃহীত হন এক বেসরকারি সিকিউরিটি কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে আটক করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা!

    এদিন ঘটনার পরপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ি বিজেপি (BJP) সাংসদ জয়ন্ত রায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে ঘুরে সব খোঁজখবর নেন। এদিন সুপার অফিসে  হামলার ঘটনার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি যদি ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতেন তাহলে এই আন্দোলন চলত না। মানুষও পরিষেবা নিয়ে এধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটাতো না। এখনও যে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি তা এদিনের এই ঘটনায় প্রমাণ হল। আসলে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে লড়াই করছেন না। তাঁর লড়াই অন্যায়কে আড়াল করার। আরজি করকাণ্ডের অভিযুক্ত তাঁর কাছের লোকদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি অনমনীয় মনোভাব নিয়ে চলেছেন। এর পরিণতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। আগামীতে রাজ্য সরকারের নেতা মন্ত্রীদের এনিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে।’’

     কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘আমি অফিসে ছিলাম না। শুনেছি সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে রোগীরা সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এসে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। সে কারণেই এদিন তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অফিসে হামলা চালান। তবে, কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই (CBI) আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল। পুজো মিটতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবারই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই।

    আদালতে মিলল অনুমতি (CBI)

    বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই সিবিআই (CBI) তৎপর হয়। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর

    প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশিতে দু’জায়গা থেকে প্রচুর নগদ, সোনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল তারা।সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল। এবার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ হাসপাতালে ৭৭ জন ডাক্তার গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার থেকেই কাজ বন্ধ করেছেন তাঁরা। আরজি করকাণ্ডে বিচারের দাবিতেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

    চিঠিতে কী জানিয়েছেন ডাক্তাররা?(Kalyani Medical)  

    ইস্তফাপত্রে (Kalyani Medical) ডাক্তাররা লিখেছেন, “গত ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে বসেছেন। তাঁদের দাবিগুলি সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই। অনশনরত জুনিয়রদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। ওঁদের এই ভোগান্তি, এই যন্ত্রণা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে কাজ করার মতো মানসিক অবস্থাই নেই আমাদের কারও। জোর করে কাজ করলে আমাদের কাজে ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীদের জীবনসঙ্কট তৈরি হতে পারে। তাই আমরা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” যদিও চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দেন, গণ ইস্তফা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তির ব্যক্তিগত পদত্যাগপত্র না জমা দিে সেটা পদত্যাগপত্র নয়। একটা যৌথ চিঠি, অনেকের সংগ্রহ সম্বলিত, যাতে বিষয়ের উল্লেখ নেই। বিভ্রান্তি দূর করতেই সরকার এই অবস্থা জানায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে পালটা আইএমএ-র

    আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্যর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শব্দচয়নে যে কদর্যতার পরিচয় দিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। ওনার কাছে থেকে এই ধরনের ভাষা আমরা আশা করি না। উনি যে পদ্ধতিগত ইস্তফার কথা বলেছেন, সেই বিষয়ে উনি যদি আমাদের একটি নির্দিষ্ট প্রোফর্মা তৈরি করে দেন, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী একে একে সই করে ইস্তফা দেব।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি ক্ষেত্রে ৩৫০ জন এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ৪০০ জন ডাক্তার ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ অগ্নুৎপাতের মতো বিস্ফারিত হচ্ছে। রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রতি যে অসংবেদনশীল আচরণ করছে, তার পরিবর্তন না হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য সরকার তৈরি থাকুক।”

    আন্দোলনকারী ডাক্তাররা কী বললেন?

    কল্যাণী জেএনএম (Kalyani Medical) হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে থ্রেট কালচার চলছে, তার অন্যতম ভয়ঙ্কর রূপ হল কল্যাণী জেএনএম। বেশ কয়েকজনকে অপসারণ করার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই থ্রেট কালচারের সিন্ডিকেটের যারা মূল মাথা, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমরা রাজ্য সরকারকে গণইস্তফার মধ্যে দিয়ে একটি বার্তা দিতে চাইছি। আর আলাপনবাবু যেভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন, সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমরা এই ইস্তফা দিয়েছি। আমরা ওদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকারি হাসপাতালে চাকরি না করলেও ডাক্তাররা না খেয়ে মরবেন না।”

    আরও পড়ুন: পুলিশের ‘না’, তবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হচ্ছেই, আজ মানব-বন্ধন কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের

    জেলায় জেলায় আন্দোলন

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসে অনিকেত মাহাতো, আলোক বর্মার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা। আপাতত স্থিতিশীল অনুষ্টুপ। রক্তক্ষরণের কারণ সন্ধানে এন্ডোস্কপি হবে তাঁর। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বহরমপুরের নাগরিকরা। সকাল ৭টা থেকে বহরমপুর রবীন্দ্র ভবনের সামনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতেই এই প্রতীকী অনশন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের আবাসিকরাও। আবাসনের মূল গেটের সামনে প্রতীকী অনশনে। তাঁরা নিজেদের আবাসনের মূল গেটের সামনে বসে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। নাচ-গান, আবৃত্তির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। আবাসনের বাসিন্দা অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রও প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের পুলিশ যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগই দায়ের করতে চায় না! এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফরাক্কার ঘটনা প্রসঙ্গে এই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, আরজি কর বা জয়নগরের মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও পুলিশ দলদাসের মতো কাজ করেই চলেছে। কোথাও কোনও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগ কেউ করতে গেলে তা দায়ের করতে অস্বীকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে ফরাক্কায়? (Suvendu Adhikari)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর জন্য দিল্লি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফরাক্কায় দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল নির্যাতিতা। দাদুর বাড়ির কাছেই থাকে দীনু হালদার নামে ওই ব্যক্তি। সকালে গ্রামের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। পুজোর ফুল দেওয়ার বাহানায় শিশুকন্যাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ফরাক্কায়। তারপর বস্তা বন্দি করে সে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার রেল কলোনি। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ হয়রানি করে। ধর্ষণের অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: পুলিশের ‘না’, তবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হচ্ছেই, আজ মানব-বন্ধন কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের

    থানার আইসিকে সাসপেন্ড করার দাবি

    এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শিশুর বাবা-মা যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যান তখন তাঁদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এফআইআর যাতে দায়ের না করা হয় তারজন্য ভয় দেখানো হয়। পুলিশ প্রথমে মামলা দায়েরই করতে চায়নি। শিশুর বাবা-মাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহারও করা হয়। কিন্তু শিশুর পরিবার এবং গ্রামের লোকেদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে পুলিশ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। ফরাক্কা পুলিশ স্টেশনের আইসি নীলোৎপল মিশ্রকে সাসপেন্ড করার দাবি জানাচ্ছি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এই ধরনের অভিযোগ নিতে চাইছে না? তাহলে কি এনসিআরবি ডেটায় রাজ্যের অপরাধ কম দেখানোর এটা নতুন কোনও পন্থা?’’

    সঞ্জয় ছাড়া পেয়ে যেত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিষাদের মধ্যে আমরা পুজো কাটিয়েছি। সিবিআই ৫৮ দিনের মাথায় প্রাথমিক চার্জশিট দিয়েছিল। কারণ সঞ্জয় ৬০ দিনে জামিন পেয়ে যেত। সিবিআইয়ের প্রবক্তা হিসেবে বলছি না। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে বলছি। জুনিয়র ডাক্তাররা যেখানেই আন্দোলন করুন না কেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। সিবিআইয়ের ওপর যেমন আস্থা রাখছি তেমনি তাঁদের এই আন্দোলনের ওপরেও আস্থা রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকটা আন্দোলন শিষ্টাচার মেনে করছেন। তাঁরা মন খুলে দাবি করুন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত সুপ্রিম কোর্টের ওপর আস্থা রাখা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পুজো কার্নিভাল বয়কট করে পাল্টা মিছিলের ডাক, পতাকা ছাড়াই যোগের আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পুজো কার্নিভাল বয়কট করে পাল্টা মিছিলের ডাক, পতাকা ছাড়াই যোগের আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হওয়া পুজো কার্নিভাল (Carnival) বয়কটের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা হিসেবে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিলেন তিনি। বিকেল চারটে নাগাদ “মমতার কার্নিভাল বয়কট করুন”। নাম দিয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।

    মশাল, শাঁখ নিয়ে মিছিলে শামিলের ডাক (Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে সিউড়ির বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু। সেখান তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “হিন্দুশাস্ত্রে এভাবে কার্নিভাল করে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় না। তাছাড়া বিষাদের মধ্যে রয়েছি আমরা। তার মধ্যেই দুর্গোৎসব চলছে।” প্রতিবাদস্বরূপ বিশিষ্ট নাগরিক-আমজনতাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিলে পা মেলানোর ডাক দিলেন তিনি। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পুলিশি অনুমতি মেলেনি। সুবোধ মল্লিক পর্যন্ত মিছিল হবে। মশাল, শাঁখ নিয়ে মিছিলে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। দলীয় পতাকা ছাড়াই এই মিছিলে নামার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন দলের বিধায়ক ও সাংসদরা। তবে, পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, যেহেতু ধর্মতলায় কার্নিভালের কর্মসূচি রয়েছে। দ্রোহ কার্নিভাল রয়েছে। সেই কারণে মিছিল যেন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত গিয়েই শেষ হয়ে যায়। তবে এই কথা পুলিশ বললেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    স্বাস্থ্য দফতর ঘেরাওয়ের ডাক

    এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “৯০ শতাংশ সাধারণ মানুষ যারা সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্যভবন এই পরিস্থিতি যদি সামাল দিতে না পারে তাহলে লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ঘেরাও করা হবে।” স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় এই অচলাবস্থার জন্য যে সমস্ত রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হবেন বিরোধী দলনেতা। জানাবেন, ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, কার্নিভালের পাশাপাশি ডাক্তারদের ডাকা দ্রোহ কার্নিভাল রয়েছে মঙ্গলবার। নির্যাতিতার ন্যায় বিচার ও নিজেদের সুরক্ষার দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। যদিও, সরকারের তরফে ডাক্তারদের আহ্বান করা হয়েছে ওই দিন অনেক বিদেশের অনেক গেস্ট থাকবে। ফলে তাদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেই কারণে ওই দিন যাতে দ্রোহ কার্নিভাল বাতিল করেন তাঁরা। তবে চিকিৎসকরাও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তাঁরা কোনওভাবেই বাতিল করবেন না দ্রোহ কার্নিভাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ডাক্তারদের বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই, স্বাস্থ্যভবনের মিটিংয়ে কাটল না জট

    RG Kar: ডাক্তারদের বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই, স্বাস্থ্যভবনের মিটিংয়ে কাটল না জট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আরজি করকাণ্ডের জেরে (RG Kar) স্বাস্থ্যের অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠকে গরহাজির স্বাস্থ্যসচিবই নারায়ণস্বরূপ নিগম। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ডাকে বৈঠকে বসেন ৬টি চিকিৎসক সংগঠনের মোট ১৮জন প্রতিনিধি। সেখান স্বাস্থ্যের দুর্নীতির একাধিক ইস্যু তুলে ধরেন চিকিৎসকরা (Doctor Meeting)। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্যসচিব। কেন তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত নেই, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনগুলির বৈঠকেও কাটল না জট।

    বৈঠকে কী হল? (RG Kar)

    জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের ১০ দিনের মাথায় ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের (RG Kar) ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। প্রত্যেক সংগঠনের ২জন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্যভবনে বেলা সাড়ে ১২ টায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে জানান হয়েছে, “সরকারের তরফে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। সরকার ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না। সরকার পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাও কোনও প্রস্তুতি ছাড়াও বৈঠক। স্বাস্থ্য সচিবকে ছাড়া কেন বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। হাসপাতালগুলিতে দুর্নীতি-চক্রের কথা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সমস্যা সমাধানের কোন লিখিত প্রতিশ্রুতি মেলেনি”।

    আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    স্বাস্থ্যসচিবের না থাকাটা হতাশাজনক

    বৈঠকে যোগদানকারী চিকিৎসকদের (RG Kar) পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যে সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি, যে বিষয়গুলো উঠে আসছে, গত কয়েক বছরের ঘটনাক্রম বৈঠকে উঠে এসেছে, সেখানে স্বাস্থ্যসচিবের না থাকাটা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যেও অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ। তাই সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে রেখেই প্রশাসন-সরকার সিনিয়র চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ কী সে বিষয়ে মতামত নিতে চাইছে। চিকিৎসক অভীক ঘোষ বলেন, “যে মানুষটার বিরুদ্ধেই এত অভিযোগ, যাঁর অপসারণের দাবি উঠছে, সেখানে নিশ্চয়ই তাঁর বক্তব্যটাও জরুরি ছিল। তাঁর না থাকাটা যথেষ্টই হতাশাজনক।” তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। সুপ্রিম শুনানির প্রস্তুতিতেই তিনি ব্যস্ত রয়েছেন।

    কী বললেন মুখ্যসচিব?

    জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) ১০টি দাবির মধ্যে সাতটি ইতিমধ্যেই মানা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বাকি তিনটি দাবি কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় কাজ হচ্ছে বলে জানান মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, “তিন দাবির বিষয়ে সরকারের কাছে সময়সীমা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এগুলির বিষয়ে সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয়।”

    বৈঠক শেষে হতাশ সিনিয়র ডাক্তাররা

    মঙ্গলবার কলকাতায় পুজো কার্নিভালের দিনই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা সেই দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানালেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের তরফে এক জন বলেন, “ওঁরা আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করছেন। আমরা অপেক্ষা করব ওঁদের জন্য।” বৈঠক থেকে বেরিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, “জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি পূরণের বিষয়ে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়নি সরকার। তাই সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর আর্জি জানালেও তা সম্ভব নয়।” তাঁদের এক জনের কথায়, “থ্রেট কালচারে অভিযুক্তেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা স্বাস্থ্য প্রশাসনে বিভিন্ন পদে বসে রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা কী, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এর পরে কী ভাবে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব”?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বলতে গিয়ে নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। সিঙ্গুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর অনশনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু।

    চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন (Suvendu Adhikari)

    নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা কেউ চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছেন না। এর আগে, যিনি ২৬ দিন অবস্থানে বসেছিলেন তিনি চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জালি নয়। এঁরা তো অরিজিনাল। সত্যিকারের অনশন করছেন। দীপক ঘোষের বই পড়বেন। তাতে বুঝতে পারবেন, সিঙ্গুরে ২৬ দিনের অনশনের কাণ্ড-কারখানা কী ছিল।” 

    আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে চিকিৎসা করেন!

    এসএসকেএম হাসপাতালে হামলার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “সরকার শক্ত হাতে এটার মোকাবিলা না করলে এই জিনিস কোনও দিন বন্ধ হবে না।” জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতার কথায়, “আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সার্ভিস রুল মেনে ডাক্তারদের পদত্যাগ করতে বলছেন। হাসপাতাল ছেড়ে ডাক্তাররা চলে যাক, তিনি এটাই চাইছেন। এঁরা বিদেশে ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? ৯০ শতাংশ লোক সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।” শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে। আমেরিকায় গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়াগুলিকে সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখতে হবে। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে জুনিয়র ডাক্তারের ওপর ভরসা করতে হয়। রাতে কিছু হয়ে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররাই তো সেবা দিয়ে মানুষকে বাঁচান। সরকারকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে হবে। ওঁদের দাবি তো সরকার পরিবর্তনের নয়! ওঁদের লড়াইয়ের ইস্যুগুলি হল সিন্ডিকেট বন্ধ করা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share