Tag: West Bengal

West Bengal

  • Sukanta Majumdar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দিন, দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) জানিয়ে দিলেন, এই প্রতিবাদে চিকিৎসকদের পাশে রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীর ভাষণে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত আরজি কর নিয়ে সরব হন। ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন। তারপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন (Sukanta Majumdar)

    রবিবার সুকান্তর সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিজেপি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে’ জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের যে আন্দোলন, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের আবহে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) যে দাবি তুলেছেন, তা বৈধ। সেই দাবি দ্রুত পূরণ করা উচিত।” বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে রাজ্য সরকার দাবি পূরণের কথা জানালেও পরে তা থেকে সরে এসেছে। এর পরেই বিজেপি কর্মীদের জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে পাশে থাকার ডাক দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর বক্তব্য, “আমরা প্রথম থেকেই নিজেদের দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি চিকিৎসকদের আন্দোলনকে (Junior Doctors Protest) সমর্থন করে এসেছি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আরও বেশি করে সমর্থন দেওয়ার কথা মনে হল। সেই হিসেবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।”প্রেস বার্তায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “সমস্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের উৎসাহ দিচ্ছি আন্দোলনের পাশে আপনারা থাকুন। সেই সঙ্গে বাংলার মানুষদের কাছেও অনুরোধ করছি সবরকমভাবে এই আন্দোলনের শরিক হোন। আমাদের ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কালো শক্তির হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে। এই সময় এই কালো শক্তি বাংলার ওপর ছেয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    ঠিক কী বলেছিলেন ভাগবত?

    দশেরা উৎসবের সভায় আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মুখে আরজি করের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “আরজি করের ঘটনা আমাদের সকলের কলঙ্ক। এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। আর ঘটলে সকলকে একসঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সেখানে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।” কলকাতায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদেরও সমর্থন করেছেন আরএসএস প্রধান। তাঁর মন্তব্য, “পুরো দেশ আজ ডাক্তার ভাইদের পাশে রয়েছে।”

    আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors Protest) দেবাশিস হালদার জানিয়ে দিয়েছেন, দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁদের সমর্থন জানানো যাবে না। তাঁর কথায়, “দলীয় স্বার্থ দূরে সরিয়ে রেখে, দলের পতাকা, ব্যানার ছেড়ে একেবারে সাধারণ নাগরিক হিসাবে কেউ এখানে আসতে চাইলে, এই আন্দোলনে আমাদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে দাঁড়াতেই পারেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দল যদি দলীয় স্বার্থ নিয়ে এই আন্দোলনের অংশ হতে চায়, তা হলে সেটা হতে দেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Habra Rape: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    Habra Rape: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলাকে ধর্ষণ (Habra Rape) করার অভিযোগ ওঠে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক কর্মীর বিরুদ্ধে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল আগেই। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। সালিশি সভায় মিটমাট করার জন্য দেওয়া হচ্ছিল ‘চাপ’। তা সত্ত্বেও ধর্ষণের অভিযোগ সালিশি সভায় না মিটিয়ে থানায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তার জেরেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় (Habra) ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার মূল পান্ডা কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। ওই কর্মী, তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ও নির্যাতিতার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Habra Rape)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতা কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। ওই কর্মী পুলিশের গাড়ির চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে মহিলা জানান, মাস ছ’য়েক ধরে তিনি ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দু’জনের আত্মীয়তা আছে। ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ (Habra Rape) করে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার দুই ছেলেমেয়ে। শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণে মহিলা বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ২টো নাগাদ অভিযুক্ত পুলিশকর্মী (Kolkata Police) তাঁর ঘরে ঢোকে। মহিলা মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানান, ধর্ষণের পরে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, গ্রামে সালিশি ডেকে বিষয়টি মেটানোর জন্য ‘চাপ দেওয়া হয় অভিযুক্তের তরফে। তবে তাতে রাজি না হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মৃতার পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতার পরিবারের দাবি, পুরো বিষয়টা ধামাচাপা (Habra Rape) দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল দিনের পর দিন। কিন্তু কোনওভাবেই বিষয়টা মিটমাট করেননি নির্যাতিতা। সেই কারণেই খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের স্ত্রী পুরো বিষয়টাই জানতেন। মৃতের ভাই বলেন, “আমার দিদিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই পুলিশ আমার দিদির স্বামী, ধর্ষণে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্মী এবং তাঁর পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। আসলে বিয়ের পর থেকেই আমার দিদিকে তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। বাধ্য হয়ে দিদি ভাড়া বাড়িতে চলে গিয়েছিল। এ বারে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী এবং তার পঞ্চায়েত সদস্যা স্ত্রী মিলে দিদির স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দিদিকে খুন করেছে।”

    তৃণমূল নেতৃত্বের সাফাই

    ধৃত ওই পঞ্চায়েত সদস্যা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত নয়। অন্য এক যুবক মহিলাকে ধর্ষণ (Habra Rape) করেছিল। খুনের অভিযোগও মিথ্যে বলে দাবি তাঁর। এলাকার তৃণমূল নেতা বাপি মজুমদার বলেন, “দল কোনও অন্যায় কাজ সমর্থন করে না। পঞ্চায়েত সদস্য দোষ করে থাকলে পুলিশ (Kolkata Police) পদক্ষেপ করুক। এখানে দল হস্তক্ষেপ করবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Droher Carnival: ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধের চিঠি রাজ্যের, ‘হতাশাজনক’, জবাব ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের

    Droher Carnival: ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধের চিঠি রাজ্যের, ‘হতাশাজনক’, জবাব ক্ষুব্ধ ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর, বিকেল ৪টের সময় রানি রাসমণি রোডে (West Bengal) ‘দ্রোহের কার্নিভালে’র (Droher Carnival) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ নাগরিক সমাজকেও সেই কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঠিক এই আবহে চাপে পড়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন ডাক্তারদের। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতায় পুজোর কার্নিভালও রয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কারণ উল্লেখ করেই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কারণ কি শুধু নিরাপত্তাজনিত? রাজ্যের যুক্তি এমন যুক্তি মানতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, আরজি কর ইস্য়ুতে মমতা সরকারের  (West Bengal) বিরুদ্ধে যেভাবে গণরোষ তৈরি হয়েছে, তাতে ভীত হয়েই রাজ্য সরকার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ বন্ধ করতে চাইছে। কারও কারও মতে, সরকারি কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভাল হলে দুটোর মধ্যে তুলনার জায়গা থেকে যাবে। আরজি করকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আবেগ যে জায়গায় গিয়েছে তাতে দ্রোহের কার্নিভালে জনসমাগম সরকারি কার্নিভালের থেকে বেশি হতে পারে। ফ্লপ খেতে পারে মমতা সরকারের কার্নিভাল। সেকারণেই কি এবার দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধে উঠে পড়ে লাগল সরকার?

    আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি

    মুখ্যসচিবের সেই ইমেলের পরই এ বার বিবৃতি সামনে এল সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-এর। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droher Carnival) না করার জন্য মমতা সরকারের এমন বার্তাকে ‘হতাশাজনক’ বলেই জানিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠানো ইমেলে গত ১১ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি নির্দেশের কথাও উল্লেখ ছিল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও জানিয়ে দিয়েছেন, আইনের সীমা ও হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই তাঁরা লড়াই জারি রাখবেন।

    কী বলছেন চিকিৎসক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক

    সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে যুগ্ম আহ্বায়ক চিকিৎসক পুন্যব্রত গুণ এবং চিকিৎসক হীরালাল কোনার বলেছেন, “আমরা এক বারও বলছি না সরকারের কার্নিভাল (পুজোর কার্নিভাল) বাতিল করার জন্য। উদ্‌যাপনের সাংবিধানিক অধিকারকে আমরা সম্মান করি। একই ভাবে আমাদেরও অধিকার রয়েছে উৎসবে বিঘ্ন না ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানানোর। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতিতে ১৫ অক্টোবর দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) ডাকা হয়েছে। সরকারের তা প্রত্যাহার করতে বলা আমাদের কাছে হতাশাজনক।”

    কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেতা দেবাশিষ হালদার?

    আ্ন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, যে কার্নিভালকে কোনওরকমভাবে ব্যাহত করা যাবে না। আমরা অবশ্যই সেটাকে মান্যতা দিই। যদিও আমরা মানসিকভাবে এই বিষয়টাকে মেনে নিতে প্রস্তুত নেই, যে বিচারহীনতার ৬৫ দিন কাটছে। অনশন চলছে। কিন্তু প্রশাসন কার্নিভালে মেতে উঠল, সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা পুলিশকে কোনও রকম সুযোগ দিতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার ধারগুলোতে মানববন্ধন করব।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ”দ্রোহের কার্নিভাল প্রত্যাহার করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।”

    অসুস্থ তিন জুনিয়র ডাক্তার

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের বিচার এবং হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলার রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা। চলছে আমরণ অনশন কর্মসূচি, সোমবারই তার দশম দিন। প্রসঙ্গত,  তিন জন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কলকাতার অনশনমঞ্চের দু’জন এবং শিলিগুড়িতে এক জন জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্তমানে। নিজেদের বিবৃতিতে এই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে চিকিৎসক সংগঠন জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য সরকার কার্নিভাল করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে তাঁরা ‘হতাশ’।

    কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Droher Carnival)

    বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার উদ্‌যাপনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।” আন্দোলনকারী চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “আমরা পেয়েছিলাম, দ্রোহের কার্নিভাল (Droher Carnival) প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা করা মুশকিল। একদিকে ফূর্তি চলবে, আরেকদিকে ধর্ষণ, লুঠতরাজ চলবে, যাঁরা প্রতিবাদ করবে, তাঁদেরকেই পুলিশ পীড়ন করবে, এটা হতে পারে না।” জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-এর দাবি, “সরকারি কোনও উদ্যোগে তো আমরা আপত্তি করছিল না। আপনাদের পুজোর কার্নিভালে আমরা আপত্তি করছি না আপনারা কেন করছেন? তাহলে রাজপথে হচ্ছে আন্দোলন। সেখানে কেন আপত্তি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিবাদের কার্নিভাল বন্ধ করতে যত না তৎপর ততটা তৎপর যদি সরকার অপরাধ দমনে করত তাহলে বাংলার এই অবস্থা হত না।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: দশমীতেও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, হল মোমবাতি মিছিল, উঠল স্লোগান

    RG Kar Protest: দশমীতেও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, হল মোমবাতি মিছিল, উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে। শুধু রাজ্যই (West Bengal) নয়, এই দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে দেশে-বিদেশে। পুজোর আবহেও জারি রয়েছে প্রতিবাদ। এবার এই প্রতিবাদ আরও জোরালো করতে বিসর্জনের মঞ্চকেই বেছে নিলেন প্রতিবাদী পুজো কমিটির সদস্যরা। কলকাতা শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা বিভিন্ন জেলার গ্রাম-মফস্সলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই পুজো কেটেছে এ বছর। বিসর্জনেও তা অব্যাহত। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিমা বিসর্জনে ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেল জেলায় জেলায়। কোথাও আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল হয়েছে। কোথাও আবার বিজয়া দশমীতে কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেললেন মহিলারা। আবার কোথাও আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুজো মণ্ডপে উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান।

    মোমবাতি মিছিল (RG Kar Protest)

    এবার আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচারের দাবিতে দশমীর রাতে মোমবাতি হাতে পথে নামলেন আসানসোলবাসী। মিছিলে ছিলেন মহিলা এবং পুরুষদের একাংশ। আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল নগরীর ২৪ নম্বর মোড়ে হয় এই প্রতিবাদ মিছিল। রাজ্যজুড়ে নির্যাতিতাদের বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করার পাশাপাশি মোমবাতি মিছিল করেন তাঁরা। ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগানও। অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডেকেছে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। সেই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ সকলকে শামিল হওয়ার কথাও জানালেন তাঁরা। দ্রুত এবং ন্যায় বিচারের দাবি জানানোর পাশিপাশি মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও সরব হন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শ্যামপুরে মণ্ডপে ভাঙচুর, দুর্গা প্রতিমায় আগুন, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    কালো শাড়ি পরে প্রতিবাদ

    বিজয়া দশমীতে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে সিঁদুর খেলাই দস্তুর। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিমা বিসর্জনে ভিন্ন দৃশ্য মালদায়। রবিবার মালদা (RG Kar Protest) শহরের কেজে সান্যাল রোডের গাজোল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপে কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেলে প্রতিবাদ জানান মহিলারা। শিলিগুড়িতেও প্রতিমা বিসর্জনে প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে। মহানন্দার লালমোহন মৌলিক ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান তুলতে দেখা গেল মহিলাদের। গলা মেলালেন পুরুষরাও। এক মহিলা উদ্যোক্তা বলেন, “আমরা মা দুর্গার পুজো করেছি ঠিকই। কিন্তু এ বারের পুজো শুধুই আনন্দের ছিল না। আমাদের মনের কোণে বিষণ্ণতাও ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মেয়েরা আজ অসুরক্ষিত। আরজি করে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য বহু মানুষ আজ রাস্তায়। তার পরেও এই অন্যায়- অপরাধ থামেনি। আমরা মা দুর্গাকে সাক্ষী রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছি কালো শাড়ি পরে সিঁদুর খেলে। যত দিন না নির্যাতিতারা বিচার পাচ্ছেন, তত দিন এই আন্দোলন চলবে।”

    নিরঞ্জনে স্লোগান ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’

    অন্যদিকে, রায়গঞ্জের তুলসীতলার দশভুজা বারোয়ারী পুজো কমিটির সদস্যরা বুকে কালো ব্যাজ ও মাথায় কালো ব্যান্ড লাগিয়ে তিলোত্তমার মূর্তি সহযোগে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। ওই এলাকার পুরুষ, মহিলা, ছাত্র-ছাত্রীরা ছিলেন এই শোভাযাত্রায়। আড়ম্বরহীনভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। মহিলারা জানান, তারা যেমন উৎসব পালন করেছেন তেমনি আরজি করের ঘটনার সুবিচার চাইছেন। বিচারবিভাগের কাছেও তাঁদের দাবি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করুন। অন্যদিকে, জয়তী তলাপাত্র নামে আরও এক পুজো কমিটির সদস্যা জানান, যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার সুবিচারের দাবিতে কালো ব্যাজ পরে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিবছর প্রতিমা নিরঞ্জনের পর যে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এবার এবার তা করার মন মানসিকতা নেই। এদিন প্রতিবাদের পাশাপাশি পুজো কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলির কাছে দুর্গা কার্নিভালে অংশ না নিতে আবেদন জানান প্রতিবাদীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    IMA: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। একই মর্মে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইএমএ বেঙ্গলও। এবার দেশজোড়া ১২ ঘণ্টা অনশনের ডাক দিল আইএমএ (IMA)। পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আমরণ অনশনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশজুড়ে অনশনে বসবেন জুনিয়র ডাক্তাররা (IMA)

    রবিবার আইএমএ (IMA) (মুখ্য দফতর)-এর পক্ষ থেকে আইএমএ-র সমস্ত রাজ্য ও আঞ্চলিক শাখার প্রধানদের নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে, চিকিৎসক আন্দোলনের সংহতিতে এবার দেশ জোড়া কর্মসূচির পথে হাঁটছে তারা। তাতে নেতৃত্ব দেবেন আইএমএ জেডিএন (জুনিয়র ডক্টরস নেটওয়ার্ক) এবং সদস্যেরা। আগামী মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সমস্ত প্রান্তে অনশন পালন করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজের নিজের মেডিক্যাল কলেজ ও হস্টেলগুলিতে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। এ নিয়ে সংগঠিত আলোচনার জন্য রবিবার দুপুরেই আইএমএ-র রাজ্যশাখার প্রেসিডেন্ট ও সভাপতিদের নিয়ে একটি জরুরি মিটিংও ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দিল্লি থেকে আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট আরভি অশোকান এসে দেখে যান ধর্মতলায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অনশনমঞ্চ। নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনশন প্রত্যাহার করতেও অনুরোধ করেন। এর পরেই রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র বেঙ্গল শাখা কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেয়। রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যে প্রতীকী অনশন পালন করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

     প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি

    এর আগে প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়েছিল আইএমএ (IMA) বেঙ্গল। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন চলছে। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকেরা। তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারিও দেন আইএমএ রাজ্য শাখার চিকিৎসকেরা। জানিয়ে দেন, প্রশাসন উদ্যোগী না হলে চরম পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (এফএআইএমএ) থেকেও মমতাকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতেও ছিল হুঁশিয়ারি। দাবি না মানলে দেশ জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন এফএআইএমএ-র সদস্যেরা। এমন একের পর এক পদক্ষেপে সরকারের ওপর ‘চাপ’ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor:  কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    Junior Doctor: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার কলকাতার বড় পুজোগুলির প্রতিমা নিয়ে রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে পুজো কার্নিভাল। আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে এবং অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) প্রতি সংহতি জানিয়ে রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ডাকল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। চিকিৎসকদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চ এই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স।

    ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! (Junior Doctor)

    শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু জানেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলনের অন্যতম নেতা দেবাশিস হালদার বলেন, “এই রকম কর্মসূচির কথা আমার জানা নেই। ফলে, এবিষয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে পারব না।”গোটা পুজোয় পুলিশ বনাম আন্দোলনকারীদের সংঘাত লেগেই ছিল। ত্রিধারার মণ্ডপে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে ন’জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবারই তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। অনেকের মতে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত পুজো কার্নিভালের দিন চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের ডাকে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি করে দিল। কারণ, রানি রাসমণি রোড এবং রেড রোডের কার্নিভাল স্থলের দূরত্ব কয়েক মিটার বড় জোর। ফলে, প্রশাসন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের কর্মসূচিতে অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে নতুন সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’, জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চের তরফে শুক্রবার সকালে আন্দোলনকারী চিকিৎসক (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার নাগরিক সমাজকে সংহতির বার্তা নিয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলেই সমাবেশের ডাক দেন তাঁরা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যা থেকেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান ধর্মতলায়। সেই মঞ্চ থেকে শুক্রবার রাতে চিকিৎসক অনিকেত উপস্থিত জনগণকে অনুরোধ করেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আগামী রবিবার,একাদশীর দিন আপনারা ঘরে ঘরে অরন্ধন কর্মসূচি পালন করুন।” এছাড়া, রবিবার সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) -র বেঙ্গল শাখাও কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছে। ১০ দফা দাবিতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন চিকিৎসক। পরদিন যোগ দেন অনিকেত মাহাত, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আরজি করে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার থেকে অনিকেতের অবস্থা খানিক স্থিতিশীল হলেও এখনও পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে স্নিগ্ধারও। কিন্তু মনোবল কমেনি কারও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    RG Kar: আরজি করকাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে “রাতের মিটিং”! শহর ছাড়িয়ে গ্রামের দিকে পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) বিচারের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে, জুনিয়র ডাক্তরেরা ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে। এর মধ্যেই ‘রাত দখল, অধিকার দখল’ মঞ্চের সংগঠকেরা নতুন এক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিলেন। নাম ‘রাতের মিটিং’। এর আগে গত ১৪ অগাস্ট ‘মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।  

    ‘রাতের মিটিং’-এর উদ্দেশ্য কী? (RG Kar)

    উদ্যোক্তারা (RG Kar) বলেন, রাত দখলের (Agitation) কর্মসূচি মূলত প্রতিবাদের কর্মসূচি, ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর কর্মসূচি, ক্ষোভ প্রকাশের কর্মসূচি ছিল। সেটা ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু, সমস্যার আরও গভীরে যেতে হলে এক তরফা বক্তৃতা বা স্লোগানের বাইরে নিবিড় আলাপ-আলোচনা, পারস্পরিক আদানপ্রদান জরুরি। আমরা একটা মন্থন চাইছি। মেয়েরা মেয়েদের কথা খুলে বলবেন। নানা মেয়ের নানা সমস্যার কথায় আমরা পরস্পরকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে পারব এর মধ্যে দিয়ে নতুন দাবিও উঠে আসতে পারে। এই কাজটা বড় আকারের জমায়েতে বা সমাবেশে নয়, ছোট আকারের সভায় বা মিটিংয়েই সম্ভব। এই ভাবনা থেকেই আমাদের রাতের মিটিং। কর্মসূচি আপাতত কলকাতায় শুরু হলেও, জেলায় এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমির সামনে এবং শ্যামবাজার চত্বরে মেয়েদের নিয়ে ‘রাতের মিটিং’ করেছি। দু’জায়গাতেই ভালো সাড়া পেয়েছি। শ্যামবাজারে মিটিং হয়েছিল গত ৩ অক্টোবর। রাত ৯টা থেকে ১২টা। অ্যাকাডেমির সামনে মিটিং হয় ১ অক্টোবর রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। শ্যামবাজারের মিটিংয়ে ছিলেন। চৈতালির বক্তব্য, “রাতের মিটিংয়ে মেয়েরা তাঁদের নিজেদের কথা উজাড় করে বলেছেন। তবে, আরও ছোট ছোট এলাকায় এই ধরনের মিটিং করতে পারলে মহিলাদের সাহস বাড়বে। কারণ রাত যতটা পুরুষের ততটাই মেয়েদের।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা কী?

    যেখানে যেখানে রাত দখল হয়েছিল, সেই সব এলাকার সংগঠকদের (RG Kar) সঙ্গে যোগাযোগ করে বৃত্ত বড় করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে উদ্যোক্তাদের এক সদস্য প্রিয়স্মিতা বলেন, “সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা মানেই রাত। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা সেখানে ‘রাতের মিটিং’ করার পরিকল্পনা করছি। সূর্য ডোবার পরে হবে সেই কর্মসূচি। অর্থাৎ যেখানে যখন ‘রাত’ নামবে, সেখানে তখন হবে ‘রাতের মিটিং’। ঝাড়গ্রামের মতো জায়গাতেও ‘রাতের মিটিং’ করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যেখানে যেখানে ‘রাতের মিটিং’ হয়েছে, তাতে যোগ দিতে আসা মহিলাদের দেওয়া হয়েছে ২৫ দফা প্রশ্ন সম্বলিত ফর্ম। কোনও এলাকায় রাতে হাঁটতে ভয় হয়, কেন সেই ভয়, সে সব কারণ জানাচ্ছেন মহিলারা। সংগঠকদের তরফে বলা হয়েছে, শ্যামবাজারের ‘রাতের মিটিং’-এ যে মহিলারা লাগোয়া এলাকার বস্তি থেকে এসেছিলেন তাঁরা জানিয়েছেন, যেখানে যেখানে জুয়া-সাট্টার ঠেক চলে, সেখান দিয়ে রাতে চলাফেরা করতে তাঁদের আতঙ্ক লাগে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ, অবিলম্বে তার সুরাহা প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar), কলকাতা মেডিক্যাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। পাশাপাশি বেথুনের প্রাক্তনীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন।

    কী বার্তা দেওয়া হয়েছে? (RG Kar)

    ৭৫ জনের বেশি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই চিঠি বুধবার সকালে ইমেল (RG Kar) করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে বিনায়ক সেন, গৌতম ভদ্র, মৌসুমী ভৌমিক, বিভাস চক্রবর্তী, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী দেবলীনা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলামসহ শিক্ষা, চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদেরও। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, “আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর।” একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি (যেমন জয়নগর) এবং কোথাও কোথাও পুলিশই তেমন নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় (পার্ক স্ট্রিট থানার ঘটনা) সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশে বক্তব্য, “আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা

    বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে (Agitation) বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা। অনশনে অংশগ্রহণকারী এক বৃদ্ধা বলেন, “আমার বয়স ৮৩ বছর। এই বয়সেও আমি বিবেকের টানে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি বেথুন কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে পাশ করে বেরিয়েছি। তার পর ওই কলেজেই শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর। জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশন করছেন। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা করছি। এ ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাই।” আর এক অনশনকারী বলেন, “আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি।” অনশনে অংশ নিয়েছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষিকারাও। তাঁরা অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা দিতে ‘গণ ইস্তফা’র হুঙ্কার আরজি করের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) মধ্যে। প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর থেকে। এবার তা ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। এদিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও গণ ইস্তফা দিলেন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একইভাবে ৪০ জনেরও বেশি ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন।

    কলকাতা মেডিক্যালে গণ-ইস্তফা (Senior Doctor)

    কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই ‘গণ ইস্তফা’ দিচ্ছেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ‘গণ ইস্তফা’ দেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পর পর দু’দিন শহরের দুই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণ ইস্তফা’ দেওয়ায় নবান্নের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গণ -ইস্তফা?

    আরজি করকাণ্ডের সঠিক বিচার ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ একগুচ্ছ দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। সেই দাবি পূরণের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই জুনিয়র ডাক্তার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামীর হাতে প্রথম পর্বে ৩০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তাফাপত্র তুলে দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের অন্যতম সদস্য উৎপল  বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা বসেছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তাঁদের জীবন বাঁচাতে এবং রাজ্য সরকার নমনীয় হয়ে যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি পূরণ করে, তার বার্তা দিতে এই গণ ইস্তাফা (Senior Doctor) দিয়েছি।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনের কথা কেন ভাবছে না সরকার? এতেই বোঝা যায় আরজি করকাণ্ডকে রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে দু’-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কার্নিভালে যোগ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু, দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। কার্নিভালে (Carnival) যোগদানের জন্য ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর যোগদান করেছিল ১৪টি ক্লাব। আর এক সপ্তাহ বাকি নেই অনুষ্ঠানের। এবার অর্ধেকও যোগদানের সদিচ্ছা দেখায়নি। প্রশাসনের তরফে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি কার্নিভালে পড়েছে? (Durga Puja)

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি এবার তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কার্নিভালে পড়েছে? প্রতিবাদের জন্যই কি ক্লাবগুলি যোগদান করতে চাইছে না? এই প্রশ্ন জেলায় কার্নিভালের মাত্র কয়েক দিন আগে উঠেছে। বালুরঘাটে ওই অনুষ্ঠানের জন্য এখনও পর্যন্ত অল্প কয়েকটি ক্লাব আসবে বলে জানিয়েছে। কয়েকটি ক্লাব দোটানায়। বাকিরা নানা কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। যদিও, এগুলির পিছনে আরজি করের কোনও প্রতিবাদ নেই বলেই দাবি করছে ক্লাবগুলি। বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাব কার্নিভালে থাকছে না। ক্লাব সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, “এ’ বছর দশমীতে শহরে বড় শোভাযাত্রা (Durga Puja) এবং ভাসান করব। তাই কার্নিভালে যাওয়া সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এটা সম্পর্কিত নয়।” পাশাপাশি, বালুরঘাট সংকেত ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি নিলয় ভাদুড়ী বলেন, “আমরা কী করব, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করে অনুরোধও করতে হচ্ছে, ‘কার্নিভালে আসুন’ বলে।

    আরও পড়ুন: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “কী কারণ জানি না। তবে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, আরও কয়েকটি ক্লাব যোগদান করবে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই ছাড়। ৮৫ হাজার টাকার অনুদানের পরেও, একাধিক ক্লাব রক্তদানের মতো সামাজিক কাজ এবং কার্নিভালে উপস্থিত থাকতে চাইছে না। ক্লাবগুলির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, বালুরঘাটে দশমীর দিন ভাসানের (Durga Puja) ঐতিহ্য পুরনো। তা ভেঙে দু’-এক বছর কার্নিভালে যোগদানের উৎসাহ ছিল। কিন্তু, বছর বছর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়তি ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ। বাড়তি টাকা খরচ করতে চাইছে না পুজো উদ্যোক্তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share