Tag: West Bengal

West Bengal

  • Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদকে ডাংগুলি কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এনিয়ে মমতাকে তুলোধনা করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, জোচ্চুরি করেছেন মমতা। এরপাশাপাশি, মমতার পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬,০০০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রায় ১ বছর পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের সেই রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া জালিয়াতিতে কলঙ্কিত হয়েছে।

    কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ওই ভদ্রমহিলা আসলে জোচ্চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। ব্যাপক জোচ্চুরি করেছিলেন। ধরা পড়ে গেছেন। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে এখানে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমি তো মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ত্যাগ করা দরকার। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন। আমাদের দফা এক দাবি এক মমতার পদত্য়াগ। মমতা যদি তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করেন তো ভালো নাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাড়াতাড়ি তাঁকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এদের দুর্নীতির জন্য় এত ছেলের সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছু ছেলে যারা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছিল তাদেরটাও গেল। অথচ এটা আলাদা করা যেত। এটা আজও আলাদা করা যায়। আমরা ক্ষমতা পাই তাহলে আমরা করে দেখিয়ে দিতে পারি।’’

    এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, ‘‘এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন কৌশল যেটা ছিল সাড়ে ৫ হাজার ৬ হাজারের মতো চাকরি কেনার বিষয়টি ধরতে পেরেছিলাম। আমার রায়ে তাদের বাদ দিয়েছিলাম। তারপর তাঁকে যারা অ্যাডভাইস দিলেন কিছু প্রাক্তন জজ আছেন আরও কয়েকজন আছেন তাদের নাম বলতে চাই না এখন, তারা অ্যাডভাইস করলেন আপনি যারা ঠিকভাবে চাকরি পেয়েছেন আর টাকা দিয়ে পেয়েছেন তাদের জটটা ছাড়াবেন না। এতে বাধ্য় হবে সকলের চাকরি রেখে দিতে। কিন্তু তারা তো জানেন না যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু বাবু বলেছেন এদের এখনও ধরা যায়। কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এটা সুপ্রিম কোর্ট ধরা পড়েছেন।’’

    নবান্ন থেকে কী বলেছিলেন মমতা?

    প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের রায় বের হওয়ার পরেই মমতা বলেছিলেন, ‘‘প্রথম হাইকোর্টে যিনি এই জাজমেন্ট দিয়েছিলেন তিনি এখন জুডিশিয়ারি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। সম্ভবত না, সত্যিই হয়েছেন! সাম গাঙ্গুলি না ড্যাংগুলি! আমি ঠিক জানি না তাঁর আসল নামটা! পরে জেনে নেব! আজ তাঁরা কোন মুখে বড় বড় কথা বলেন? তাঁদের দায়বদ্ধতা নেই? দায়বদ্ধতা ছিল না? আমি বিশ্বাস করি, এটা বিজেপি করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)।

    যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব

    প্রাক্তন বিচারপতির (Abhijit Gangopadhyay) কথায় ‘‘সেগ্রিগেশন (আলাদা ) করা সম্ভব তো ! আমি আজও এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, সেগ্রিগেশন করা সম্ভব। আমরা ক্ষমতায় আসব, সেগ্রিগেশন করে দেখিয়ে দেব। উনি তো রেকর্ড লুকিয়ে ফেলতে পারবেন না। সে-রেকর্ড হাইকোর্টের কাছে আছে। আমার বেঞ্চেই তো ছিল সেই রেকর্ডগুলো। আমার উপরে ওনার এত রাগ একটাই কারণে, ওনার জোচ্চুরিটা প্রথম ধরেছিলাম আমি।’’

    সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ

    গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, সেই সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত হল, ‘‘আমি আমার জয় হিসেবে দেখছি না। দুর্নীতির পরাজয় হিসেবে দেখছি। পশ্চিমবঙ্গে এবার দুর্নীতি করার আগে দুবার ভাববে।’’ যাঁরা যোগ্যভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের জন্যও আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। এক্ষেত্রে  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত, ‘‘দুশ্চিন্তা করবেন না। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিজেপি আপনাদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে।’’

  • Teachers Recruitment Case: বাতিল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Teachers Recruitment Case: বাতিল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল সুপ্রিম কোর্টে (Teachers Recruitment Case)। বাতিল হয়ে গেল রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি। বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বলল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ (Teachers Recruitment Case)

    ২০১৬ সালের এসএসসির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘ শুনানির পর সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে শেষ হয়েছিল এই মামলার শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেই মতোই ঘোষণা করা হল রায়।

    যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি

    ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালের এসএসসি পেয়ে যাঁরা চাকরি করছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত সবাই বেতন পাবেন (Teachers Recruitment Case)।ফেব্রুয়ারিতেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেই মতোই ঘোষিত হয় রায়।

    সিবিআইয়ের বক্তব্য

    সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে (Supreme Court)। অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। তাই ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের এই মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকা উচিত। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, এতজন শিক্ষকের চাকরি এক সঙ্গে বাতিল করা হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিলের রায়ে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বালিল করে রায় দিয়েছিল। যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল (Teachers Recruitment Case)।

    মামলায় নানা জটিলতা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দফায় দফায় মামলা করেন চাকরিহারারাও। প্রাথমিক শুনানির পরে গত বছরের ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল (Supreme Court)। চাকরি বাতিলের এই মামলায় নানা জটিলতা ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাইয়ের সমস্যা। কারা যোগ্য, অযোগ্যই বা কারা, সেটা কীভাবে বাছাই করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরও মেলেনি। শুনানির শেষ দিন পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু আসল উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা যায়নি। তাই কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এসএসসিকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ ও প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই (Teachers Recruitment Case)।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘স্পনসর’ খোদ রাজ্য সরকার!

    গত ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জিজ্ঞেস করেছিল নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কিনা। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হলে কী কী সমস্যা হতে পারে, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় প্রধান বিচারপতির এজলাসে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, যাঁরা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সেই সময় তিনি নিয়োগের পুরো প্যানেলই (Supreme Court) বাতিল করতে সওয়াল করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, এই দুর্নীতি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে কেউ অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বের করতে না পারে। এত বড় নিয়োগ দুর্নীতির ‘স্পনসর’ খোদ রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা এখন আর শুধরে নেওয়ার অবকাশ নেই তাই নতুন করে পরীক্ষার কথাও বলা হয়েছে (Teachers Recruitment Case)।

  • Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হিন্দু বাঙালিরা এক হোন। ঠিক এই ভাষাতেই হিন্দু ঐক্যের (Hindu Unity) আহ্বান জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সভায় যোগদান করে হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিলেন অভিনেতা। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর ভাষণে ছিল আগাগোড়াই হিন্দুত্বের ছোঁয়া। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু বলি, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।’’

    বারাকপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আয়োজন করে বসন্ত উৎসব

    এদিন সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিলে আয়োজন করেছিলেন বসন্ত মিলন অনুষ্ঠান। সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন মিঠুন। এছাড়াও বারাকপুরে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সমেত ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ডল ও জেলাস্তরের বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না – করবেন আমরা জানি না

    মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সভা ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল একেবারে তুঙ্গে। গোটা সভাগার ছিল ভর্তি। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসি, নির্বংশ করে দেব। সেজন্য কিছু না ভেবে জিতুন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আঘাত নেমে এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস জমানার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও। এই আবহে নিজের ভাষণে মিঠুন, মমতা ও ইউনূসের শাসনকে এক করে দেখাতে চাইলেন।

    এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন

    বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে ৯ শতাংশ হিন্দু এখনও ভোট করে না, তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট করুন। নইলে আসন্ন নির্বাচনে, যদি আমরা জিততে না পারি, তাহলে হিন্দু বাঙালি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য খুবই কষ্টের দিন আসতে চলেছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।’’

    হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তারই প্রতিধ্বনি মহাগুরুর গলায়!

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এই আবহে হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলা, শহরতলিতে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই পোস্টারও সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভায় বার্তা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ঐক্যের। দিনকয়েক পরেই রয়েছে রামনবমী। সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবারের রামনবমীকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রামনবমীর উৎসবকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা সংঘ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বারুইপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রামনবমী নিয়ে। বারুইপুরের সভা থেকেই ভালো করে রামবনবমী পালনের বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হিন্দুরা জেগে গেছেন। এবার বড় করে রামনবমী হবে, তারপর পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। ঠিক এই আবহে হিন্দু ঐক্যের বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও (Mithun Chakraborty)।

  • Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দুদের দোকান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে। এই আবহে মোথাবাড়ি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব (West Bengal)। মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্য। সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ লুট ও হিংসা শুরু করে মৌলবাদীরা।

    গ্রেটার বাংলাদেশের অভিসন্ধি ক্রমশই প্রকাশ্যে, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুকান্তর দাবি, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।’’ সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্ট করা ভিডিওতে বেশ কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেই ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড।

    হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে গাড়ি, দাবি সুকান্তর

    ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙে লুট করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’’

    পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মোথা বাড়িতে যখন ভয়ঙ্করভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এটাই হল (মালদার মোথাবাড়ি হিংসা) নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতির মূল্য। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।’’

    মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকে নিধিরাম সর্দার বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে ‘নিধিরাম সর্দারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !’’

    আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে, বললেন বিরোধী দলনেতা

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা। নিজের সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ওই অঞ্চলগুলির নামও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিও মোথাবাড়ির সাম্প্রদায়িক হিংসার সাথে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে ওই ভিডিওটি পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে। উগ্র মৌলবাদীরা রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নিজের রাজ্যের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি তিনি উদাসীন।’’

  • BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্ত। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে তৃণমূল। এনিয়ে কৃষ্ণনগরের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি,  ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রহমান শেখের নির্দেশে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বাদ দিচ্ছে তৃণমূল।

    তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের মালব্যর

    মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে।’’ এক্ষেত্রে অমিত মালব্য সীমান্ত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বিজেপি যে স্থানগুলিতে শক্তিশালী সেখানেই এমনটা করছে প্রশাসন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘নদিয়া, যেখানে বিজেপির সংগঠন শক্ত, সেখানে আব্দুল রহমান শেখের থেকে একটি অনুরোধ পেয়ে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সেদিনই ভোটার তালিকা থেকে ৯৮ জন হিন্দুর নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।’’ তাঁর নিজের দাবির স্বপক্ষে অর্ডারের ছবিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কার্যকলাপ চলছে। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিডিও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মুসলিমরা তাঁকে ব্যাপকভাবে রাজ্যে ভোট দেয়। হিন্দুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’’

    সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আবদুর রহিম শেখ তিনি নাকি তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট, না কী নেতা আছেন! তিনি টুসি ঠাকুর, অমিত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, কমলা মণ্ডল, সবিতারানি সরকার এই ভাবে একা ৯৭টা নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রথমত, এভাবে অভিযোগ করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বিডিওকে বহিষ্কার করতে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সাদা কাগজে দরখাস্ত দিলে যদি বিডিও তার তদন্ত করেন এবং এই হিন্দু ভোটারদের ডিস্টার্ব করেন, তাহলে আমরা এই বিডিওকে সাসপেন্ড করার জন্য বলব। কারণ, এই কাজটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাজ নয়। এটা ইসিআইয়ের কাজ। বিডিও তাঁর লিমিটেশন ক্রস করছেন। এটা হচ্ছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে। আমরা কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের এই ৯৮ জনকে নিয়ে ধর্নাও দেব, কোর্টেও যাব। এই বিডিওর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। এই ৯৮ জনকে আবেদন করব, রেসপন্স করবেন না। এটা যথার্থ ফর্ম নয়।’’

    পরিকল্পনা করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার ছবি সহ প্রমাণও তুলে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় উঠে আসে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা। পরিকল্পনা করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। এনিয়ে শাহি দরবারে অভিযোগও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বেশ কিছু হিন্দু ভোটারদের কাছে নট ইন্ডিয়ান বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এবার একসঙ্গে একটা বড় অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একদিকে যেমন হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বানানোর চক্রান্ত

    সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর স্বপ্ন দেখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আরও মারাত্মক একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা অঞ্চলের বাসিন্দা শহিদুল বিশ্বাস, তার নাম রয়েছে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়।’’ সুকান্তর মতে, ‘‘শুধু একজন শহিদুল নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীদের সম্মানের সঙ্গে ভোটার তালিকায় সংযোজিত করেছে তৃণমূল।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবদল করেছেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এই আবহে হলদিয়াতে গিয়ে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘কোনও সনাতনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পারে না, পারে না, পারে না….সরস্বতী পুজো, মহকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলার পর কেউ ভোট দেবে না। মানুষ প্রস্তুত এই রাজ্য মোদীজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’’ শুভেন্দ অধিকারী বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে বিজেপি মায়েদের ৩০০০ টাকা দেবে। যার মধ্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি। এক লক্ষ টাকার নয় বরং তিন লক্ষের বাড়ি দেবে। প্রতিবছর এসএসসি হবে, সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে। হাতে পায়ে ধরে টাটাকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

    এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কণ্ঠে এদিন উঠে আসে বাংলাদেশ ইস্যু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এখনও যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে। ২৬-এ যদি তৃণমূল যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোভ দেখিয়ে, মুসলিমদের জুটিয়ে আমাদের কিছু হিন্দুকে এদিক-ওদিক করে জিতে যায়। তাহলে একই অবস্থা এই অবস্থা হবে। জাত-পাত-রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখো।’’

    ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে

    মমতাকে তো দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিবাল যেমন দিল্লিতে একটার সঙ্গে একটা মদ ফ্রি করেন। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারের লাইসেন্স দিয়ে মদময় করেছেন মমতা। মদের প্রভাব যদি কারও উপর পড়ে তাহলে নারীদের উপর। ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। আমরা পুরো সাংগঠনিক জেলা ডাকিনি (Haldia)। আজ প্রচুর মানুষ এসেছেন। সবাই একাট্টা হয়েছেন।’’

    শুধু বাড়ি থেকে বের হবেন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,‘‘২০১৯-এ ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ। এবার পড়েছে ৬৬ শতাংশ। দিল্লিতে ১০ শতাংশ লোক বাড়তি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তাতেই ঝাঁটা সাফ। শুধু বাড়ি থেকে বেরবেন। তারপর কী করতে হয় আপনারা জানেন। আমার বলার দরকার নেই। শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ১০ লক্ষ ছাপ্পা আছে। কেশপুরেও ছাপ্পা আছে। এখানেও আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা আছে। এখানে অভিজিৎবাবুকে ঢুকতে দেয়নি। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক।’’

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল (Temple Vandalised)! এতদিন বাংলাদেশে হামলা চালানো হচ্ছিল হিন্দুদের মন্দিরে। ভাঙচুর করা হচ্ছিল, প্রতিমা, বিগ্রহ। এবার (West Bengal) সেই একই ঘটনা ঘটল এপার বাংলায়ও। এর আগেও যে এ রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে তা ছিল কখনও সখনও। বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের পর বস্তুত এ রাজ্যে আছড়ে পড়েছে মন্দির ধ্বংসের ঢেউ। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমা। একটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, আর একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। যেহেতু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আশঙ্কায় ঘটনা দুটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল, তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    সুকান্তর পোস্ট (Temple Vandalised)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তিটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, মূর্তি ভাঙার আগে মন্দিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্খচূড়া বাজার এলাকায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে (Temple Vandalised) পোস্টে লিখেছেন সুকান্ত।

    হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের ওপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে – প্রস্তুত থাকো।”

    পোস্ট শুভেন্দুরও

    এদিকে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রতিমা পোড়ানো হয়েছে তমলুকের শ্রীরামপুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন একটি মন্দিরে। এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (মমতাকে হারানোয় এখন এই নামেই সবাই ডাকছেন শুভেন্দুকে) শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া ও হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত। তাঁর আরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদেরও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি কালী মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বসিরহাট থানার অধীনে শঙ্খচূড়া বাজারের কালী মন্দিরে দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তাঁর দাবি (Temple Vandalised), মন্দিরে হামলার ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহানুর মণ্ডলের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যও নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে– বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শঙ্খচূড়া বাজারে দেবী কালীর একটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হয়তো আবারও এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেবেন বা এমনও দাবি করতে পারেন যে, এটা হিন্দুদেরই একটা চক্রান্তের অংশ।” তাঁর প্রশ্ন, গত পাঁচ দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখবেন?

    মন্দিরে হামলা হয়েছে আগেও

    বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা। গত বছরও হাওড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছিল ৫টি মন্দিরে। ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে সেবার রেল অবরোধও হয়েছিল। সেবারও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেবার তিনি সাফ বলেছিলেন (Temple Vandalised), দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।

    শুভেন্দুর তোপ

    সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছিলেন, “গত রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি সনাতনী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা রেল অবরোধ করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অনুরোধ করছি দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করুন। সঙ্গে শান্তি ফেরাতে দ্রুত শান্তি ফেরান। যারা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, গণপরিবহণকে প্রভাবিত না করে তাদের প্রতিবাদ করতে দিন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গা ছাড়া ভাবের জন্যই তারা সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা করার সাহস পাচ্ছে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেরই ডিএনএ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শরীরে। তাদেরও হাতিয়ার সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূলের প্রয়োজন একটি বিশেষ(Temple Vandalised) সম্প্রদায়ের ভোট। এ রাজ্যের ওই সম্প্রদায়ের ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটই পড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে। তৃণমূল তাদের তুষ্ট করতে গিয়েই নানাভাবে তোল্লাই দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বিশেষ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের এহেন বাড়বাড়ন্ত!

    শুধু তাই নয়, এই ভোটের স্বার্থেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যারা বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহ ভাঙচুর করছে কিংবা মন্দির অপবিত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ব্যবস্থা নিতেও শোনা যায়নি বলেও দাবি সনাতনীদের একাংশের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের এই বিশেষ ভোটারদের (West Bengal)। যে ভোটারদের ‘দাক্ষিণ্যে’ বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Temple Vandalised)।

  • Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ল ৩ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে, এভাবেই আরও কয়েক ডিগ্রি করে নিয়মিতভাবে বাড়তে পারে পারদ। এর ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝিতেই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) একজন অভিজ্ঞ আধিকারিকের। তাঁর কথায়, যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে আবহাওয়ার ওপর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।

    বাড়তেই থাকবে পারদ (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে। আজ শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি। কলকাতার আজকের তাপমাত্রা ৩১.২ ডিগ্রি। তবে তা অনুভূত হচ্ছে ৩৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে আগামিকাল, রবিবার তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে আগামী সপ্তাহেই

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, রাজস্থানে সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। মরুরাজ্য থেকে আরব সাগর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর জেরেই অসম, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের মতে, ধীরে ধীরে গরম হচ্ছে হাওয়া। আগামী সপ্তাহের শুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে পৌঁছতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। কিন্তু বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে। আজ শনিবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে।

    ২ মার্চ ঢুকবে ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি হবে দেশের একাধিক রাজ্যে (West Bengal)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, ২ মার্চ আরও একটি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে নতুন করে। যার প্রভাবে রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, কেরালা, তামিলনাডু, পুদুচেরি, অরুণাচল প্রদেশ ও লক্ষদ্বীপেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে কর্নাটকেও। মৌসুম ভবন জানিয়েছে, কঙ্কন, গোয়া, কেরালাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    Mahakumbh: মহাকুম্ভের আকাশে বাতাসে ‘জয় শ্রী রাম’, ধ্বনি তুলছেন বাঙালি ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। ইতিমধ্যেই সেখানে রচিত হয়েছে ইতিহাসও। পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে ৬০ কোটি মানুষ নিজেদের পুণ্যস্নান সেরেছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেই প্রয়াগরাজেই এবার বাঙালিরা তুলছেন জয় শ্রী রাম ধ্বনি (Jai Shri Ram)। যা বর্তমান সময়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পশ্চিমবঙ্গ (Mahakumbh) থেকে আগত ভক্তরা দলে দলে প্রয়াগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলছেন এবং মহা কুম্ভের বিভিন্ন সেক্টর পরিদর্শন করছেন- এই দৃশ্যই ধরা পড়ল। একইসঙ্গে হর হর গঙ্গে, ব্যোম বাম ভোলে ধ্বনিও উঠছে সেখানে।

    মমতার মন্তব্য মানতে পারেনি হিন্দু সমাজের বড় অংশ (Mahakumbh)

    কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের তীর্থযাত্রীদের মহাকুম্ভে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়ার পিছনে কাজ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) মৃত্যুকুম্ভ বলে তোপ দেগেছেন। এতেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের বড় অংশ অসন্তুষ্ট বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার বাঙালিরা কুম্ভে গিয়ে ধ্বনি তুললেন জয় শ্রী রাম। অর্গানাইজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল রবিবার আসানসোল থেকেই দু হাজারেরও বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন ৪০টি বাসে করে পবিত্র প্রয়াগরাজে। কুম্ভ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় উন্মাদনা নজরে পড়ছে। এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

    সমাজমাধ্যমে কড়া নজর যোগী সরকারের

    জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সমাজমাধ্যমে কড়া নজর রেখেছে। যাতে সেখানে মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) নিয়ে কোনও রকমের গুজব ছড়িয়ে না পড়ে। এ নিয়ে ডিজি প্রশান্ত কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ৫০টা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মহাকুম্ভ সম্পর্কে এবং গুজব ছড়াচ্ছে নানা রকম, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাই।’’ মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজি সেখানকার ভক্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। সরকারের দুই উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি থেকে, তা একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। প্রতিদিনই এক কোটি ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সাধু-সন্ন্যাসী। তাঁরা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আখড়া থেকে এসেছেন।’’

LinkedIn
Share