Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত ৯ মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে নিহত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    নিহত মৎস্যজীবীদের পাশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এফবি বাবা গোবিন্দ নামক একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারে মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ৮ জন বেঁচে ফিরলেও বাকি ৯ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টি নেবে। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবার এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি জানতে পারলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য ভাতার বেশিরভাগ টাকাই পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেও রাজ্য সরকার নিজেদের নাম দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যে প্রচার করে। আমি এখানে এসেছি কোনও রাজনীতি করতে নয়, কোনও পতাকা নিয়ে আসিনি। রাজ্যের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”

    তৃণমূলকে তুলোধনা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে আসার সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আমি চিনি তাঁকে। আমি বলেছি আগে পঞ্চায়েতে জলের ব্যবস্থা করতে তারপর বড় বড় কথা বলতে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেনি। সব সময় মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করেছে। গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মানুষকে হেনস্থা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই করতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা মানুষ মারার ও লুট করার যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যব্যবস্থা লুটের আখড়া (Sukanta Majumdar)

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ময়না তদন্ত করতে গেলে টাকা দাবি করা হয়। এনিয়ে কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালে গন্ডগোল হয়। এই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “শুধু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নয়, পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এক অবস্থা। কোনও রোগী মারা গেলে ময়নাতদন্ত করতে গেলে বলে দশ -পনেরো হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে বডি সেলাই করবে না। এই তৃণমূল সরকারের (Trinamool Congress) আমলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটা লুটের আখড়ায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই সরকারের আমলে মানুষ হাসপাতালে গেলে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। হাসপাতালে ডাক্তাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল তো এই রাজ্যটাকে মানুষ খুনের যন্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। মানুষ হাসপাতালে গেলে বাঁচবে, না মরবে তার কোনও ভরসা নেই।”

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের পাশে সুকান্ত

    এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মামনি বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালিকা মেয়ের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি মৃত মামনি বর্মনের নাবালক ছেলেকেও এক লক্ষ টাকার চেক দেবেন বলে জানালেন। মৃত বিজেপি নেত্রীর নাবালক ছেলে এবং মেয়ের পড়াশুনা এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবেই মোট দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে বিজেপি নেত্রী মামনি বর্মনের মৃত্যু হয়েছে দিন কয়েক আগে। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর কারণে তার পরিবার থেকে সেদিনই বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু, সেই মামলায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দলের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে টলিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার জল গড়াল এবার হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। মূলত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। তৃণমূল কাউন্সিলরের মদতে ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Calcutta High Court)

    আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলের ডাক দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল (Calcutta High Court) হয়। টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকাতেও একটি মিছিল হয়। অভিযোগ সেখানে অতর্কিত হামলা করেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর এবং তাঁর লোকজন। আগাম অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন হামলার সময় পুলিশ ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এক আন্দোলনকারী বলেন, “প্রণব রায়, গোড়া রায় নামে গুন্ডারা এসে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রত্না শূর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলা সংগঠিত করিয়েছেন। বাচ্চাদের মহিলা, বয়স্কদেরও মেরেছে।”আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ (Calcutta High Court) অস্বীকার করেন। রত্না শূর বলেছিলেন, “কালো গেঞ্জি পরা একটা মেয়ে তাঁকে ‘চটি চাটা চটি চাটা’ বলে আঙুল তুলে ধমকাচ্ছিল।” তিনি এও বলেন, “আমার নেতৃত্বে হামলা হচ্ছে। আমার নেতৃত্বে হলে তো আমার ১০০ লোক জড়ো করার ক্ষমতা রয়েছে। এই সব তো আমি জানিই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    Weather Update: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আগে রাজ্যে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,  দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত। এই ঘুনাবর্ত থেকে আন্দামান পর্যন্ত অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে শুক্রবারই নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়লেও পুজোর মধ্যে খুব বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।

    দক্ষিণবঙ্গে কোথায় কোথায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    দেশ থেকে বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হয়েছে। তবে, বাংলা থেকেই এখনই যাচ্ছে না বর্ষা। তার সঙ্গে হাত ধরেছে নিম্নচাপের আশঙ্কা। তাই মা দুর্গার আগমন ঘটবে বৃষ্টিস্নাত বাংলাতেই। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু-তিন দিন মেঘলা আকাশ থাকবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা সহ সব জেলাতেই বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি কয়েক পশলা হতে পারে। শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি আছে। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা ও পরিমাণ বাড়বে। এদিন কলকাতা আংশিক মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। দিনের যেকোনো সময়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই বৃহস্পতিবার রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং এই দুই জেলাতে। বাকি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২.৪ ডিগ্রি বেড়ে ২৮.২ ডিগ্রি হয়। দিনের তাপমাত্রা বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের জেরে স্বাভাবিকের তুলনায় ২.২ ডিগ্রি কমে ৩১ ডিগ্রি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও আন্দোলন জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এই আবহের মধ্যে এবছরের পুজোয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা ঘোষণা করল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজো কমিটি। ইতিমধ্যেই পুজো কমিটির কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে, পুজোতে আর কী কাটছাঁট করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

    প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন (Santosh Mitra Square)

    এলাকার কয়েক হাজার মা-বোনেদের হাতের জ্বলন্ত প্রদীপ শিখায় মাকে আবাহন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যে ৭টা থেকে ৯টা এই প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান হবে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হবে, যাতে পশ্চিমবঙ্গে অভয়া-নির্ভয়াদের পুনরাবৃত্তি না হয়। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলে খ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) আয়োজন নিয়ে প্রতি বছরই আগাম কৌতূহল থাকে। গত বছর এখানেই করা হয়েছিল রামমন্দির। পুজো উদ্বোধনে এসেছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এবারেও জাঁকজমকের প্রস্তুতি ভালোই ছিল। জানা গিয়েছিল, আমেরিকার লাস ভেগাস শহরের বিখ্যাত স্ফিয়ারের অনুকরণে আলোর গোলক থিমে সাজবে মণ্ডপ। কিন্তু, এবছর পুজোর আগে বদলে যায় শহরের পরিস্থিতি।

    আরও পড়ুন: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি

    আরজি কর কাণ্ডে নৃশংস ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে রব ওঠে বিচার চেয়ে। বিতর্ক তৈরি হয় ‘উৎসব’ নিয়েও। এমনিতেই রাজ্যের একাধিক ক্লাব পুজোয় সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) বাড়তি আকর্যণ। প্রশ্ন ওঠে, এই আরজি করের ঘটনার মাঝে এবার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কি তাহলে উৎসবে মাতবে? ৩০ সেপ্টেম্বর পুজোর উদ্বোধনের দিন দেখা যায়, মায়ের আগমনে প্রতিবাদের ছবি। চিকিৎসক ধর্ষণ- খুনের বিচার চেয়ে সন্ধ্যা দখল করেন এলাকার মহিলারা। ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি। তবে পুজোর আগেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে, তাই প্রথমেই বাদ পড়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পুজোর ক’টা দিন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় বিরোধী শিবিরের এই পুজোয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর রেলব্রিজের কাজ। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। মোদি সরকারের উদ্যোগে অবশেষে নসিপুর রেল ব্রিজের ওপর দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও আজিমগঞ্জ স্টেশনে রেলের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজিমগঞ্জ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে জমি জটে আটকে থাকার পর অবশেষে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ।

    তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ! (Murshidabad)

    ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নসিপুর (Murshidabad) রেল ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এরপর ২০০৫ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে শিয়ালদা সেকশনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে এই রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়। তবে, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। ২০২২ সালে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালে সেই কাজ শেষ হয়। চলতি বছরেই রেল লাইনের  ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নসিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা- লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নসিপুর। এই ব্রিজের (Nashipur Rail Bridge) ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে। শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো যাবে। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। তাঁদেরকে ঘুর পথে যেতে হবে না। এমনকী, নসিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে এই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: ‘রোগী-ডাক্তার একই পক্ষ, বিপক্ষ সরকার’! বিচারের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

     রেল ব্রিজ চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা মিলবে?

    শুধু মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেন চালু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়াবাসীও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ‘মেমু’ ট্রেন উদ্বোধন করার পর কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল শুরু হল। প্রথম পর্যায়ে আজিমগঞ্জ কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নসিপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে। পরবর্তীকালে এক্সপ্রেস ট্রেনও চলবে বলে রেল সূত্রে খবর। এতদিন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের মানুষকে উত্তরবঙ্গে যেতে হলে হাওড়া কিংবা ব্যান্ডেল যেতে হত। আজিমগঞ্জ নসিপুর রেলব্রিজের সংযোগ স্থাপনের ফলে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে।

    মোদি বড় উপহার দিলেন

    এই ট্রেন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এতদিন ধরে সবাই রাজনীতি করে গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কেউ ট্রেন চালু করার সদিচ্ছা দেখায়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় উপহার দিলেন। এর ফলে বহু মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।” এই ট্রেন চালু হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ ও একাধিক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হল এই এলাকার মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Durga Puja: আচমকা ইংরেজরা কেন জাঁকজমক করে দুর্গাপুজো করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন?

    Kolkata Durga Puja: আচমকা ইংরেজরা কেন জাঁকজমক করে দুর্গাপুজো করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবাবি আমলে দুর্গাপুজো (Kolkata Durga Puja) হত। তবে সেই সংখ্যাটি ছিল হাতে গোনা। ইংরেজ কোম্পানির আমলে দুর্গাপুজো জাঁকজমক রূপ পায়। আচমকা ইংরেজরা কেন দুর্গাপুজো জাঁকজমক করতে উদ্যোগী হলেন, তা নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে চর্চা রয়েছে। তবে এটা ঠিক, রবার্ট ক্লাইভের সঙ্গে যুদ্ধে সিরাজউদৌল্লা হেরে যাওয়ার পর ব্রিটিশ কোম্পানির (British Company) হাতে চলে যায় শাসন ক্ষমতা। দুর্গাপুজো করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হত সেই সময়।

    পলাশীর যুদ্ধের স্মারক বাঙালির জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজো! (Kolkata Durga Puja)

    পলাশীর যুদ্ধের স্মারক উৎসব আজ বাঙালির জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে বললে কিন্তু ভুল বলা হবে না! তবে তার আগে জানতে হবে, শোভাবাজর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নবকৃষ্ণ দেবের কথা। পলাশীর যুদ্ধের আগে তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মুন্সি, পরে হয়েছিলেন সুতানুটির তালুকদার। পরবর্তীকালে তিনি ওয়ারেন হেস্টিংসের মুন্সি হয়েছিলেন। এমনকী ড্রেক সাহেব তেজাউদ্দীনকে কোম্পানির মুন্সির পদ থেকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছিল নবকৃষ্ণকে। পলাশীর যুদ্ধের ফলে কপাল খুলে গেল নবকৃষ্ণের। আর্থিকভাবে তিনি সমৃদ্ধশালী হলেন। ক্লাইভের তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধে কৌশলে জিতে বাংলার মুসলিমদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ইংরেজরা। হিন্দুদের একটি অংশ এই হারটাকে নিজেদের পরাজয় মনে করে ইংরেজদের ঘৃণা করতেন। স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এক পক্ষের মন জয় করার প্রয়োজন। আর সেই তাগিদেই হিন্দুদের দুর্গাপুজো রাতারাতি কোম্পানির পুজোয় পরিবর্তিত হয়ে যায়। গবেষকদের মতে, ইংরেজদের ‘তুষ্টিকরণ নীতি’-ই ছিল এর নেপথ্যের কারণ। ইংরেজরা তখনও এদেশে জাঁকিয়ে বসেনি, তারা তখন অনকাংশেই ব্যবসায়ী এবং এদেশের আধা-শাসক। যার ফলে তারা চাইছিল, এদেশের মানুষদের খুশি করতে। যে কারণে এদেশের যাবতীয় ধর্মাচারের পুরো-পৃষ্ঠপোষকতা করতে নিজেরাই এগিয়ে আসে তারা। তখনই দুর্গাপুজোগুলিতে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয় তাদের তরফে। তাই, দুর্গাপুজোয় (Kolkata Durga Puja) সামিল হলেন ইংরেজরা। এদেশের যাবতীয় ধর্মাচারের পুরো-পৃষ্ঠপোষকতা করতে নিজেরাই এগিয়ে আসে তারা। তখনই দুর্গাপুজোগুলিতে ইংরেজদের পক্ষ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয়।

    শরৎকালে দুর্গাপুজো

    এ দেশে তো বরাবর বসন্তকালে দুর্গাপুজোর (Kolkata Durga Puja) প্রচলন ছিল। শরৎকালে আয়োজিত হত নবপত্রিকা পুজো। তা হলে এটা কী হল? ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের বিজয়োৎসব পালন করার জন্য বসন্তকালের দুর্গাপুজোকে শরৎকালে টেনে নিয়ে এসে নবপত্রিকাপুজোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। কাজটা করলেন নবকৃষ্ণ দেব আর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ! মদত দিলেন ধূর্ত ক্লাইভ! আর আমজনতার দল সেই আমোদের জোয়ারে বয়ে গিয়ে নিজেদের এত বছরের সযত্নে লালিত সংস্কৃতির বিসর্জন দিয়ে ফূর্তির ফোয়াড়ায় গা ভাসালেন! অন্যান্য হিন্দু জমিদার বা ব্যবসায়ীরাও মহা উৎসাহে সেই ফুর্তিতে যোগদান করলেন!

    নবকৃষ্ণের দুর্গাপুজোয় ক্লাইভ

    রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে বাংলার অন্যান্য জমিদাররা মানেন। তাই নবকৃষ্ণ দেব ক্লাইভকে দিয়ে শরৎকালে দুর্গাপুজো (Kolkata Durga Puja) সারা বাংলা জুড়ে প্রচলন করার দায়িত্ব দিলেন। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধ হয়েছে। তার তিন-চার মাসের মধ্যেই যুদ্ধ জয়কে দুর্গাপুজোর মাধ্যমে বিজয় উৎসব করতে চাইলেন ক্লাইভ। আর সেটা হলও। অদ্ভুত ব্যাপার হল, ক্লাইভ নিজে খ্রিষ্টান আর মূর্তিপুজোর বিরোধী হয়েও স্রেফ রাজনীতির স্বার্থে ‘হিন্দু প্রেমিক’ সেজে নবকৃষ্ণের নবনির্মিত ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপুজোয় একশো একটাকা দক্ষিণা আর ঝুড়ি ঝুড়ি ফলমূল পাঠিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোর সময় তিনি নবকৃষ্ণের বাড়িতে উপস্থিতও ছিলেন। সেই পুজোয় কৃষ্ণচন্দ্র ও নবকৃষ্ণ-দুজনেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। নবকৃষ্ণ টাকা পেয়েছিলেন সিরাজউদ্দৌলার গুপ্ত কোষাগার লুট করে আর কষ্ণচন্দ্র ক্লাইভের প্রত্যক্ষ কৃপায়। ক্লাইভের সুপারিশে কৃষ্ণচন্দ্রের বার্ষিক খাজনা বরাবরের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে কমে গিয়েছিল। ফ্যানি পার্কস লিখেছিলেন, “ধনিক বাঙালীবাবুরা পূজার সময় যে পরিমাণ অর্থব্যয় করেন তার হিসেব নেই।”

    কোম্পানির দুর্গোৎসব ঘিরে ছিল প্রতিযোগিতা

    কোম্পানির দুর্গোৎসব (Kolkata Durga Puja) ঘিরে ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। যেমন, কার বাড়ির দুর্গাকে বেশি গয়না পরানো হয়েছে, কার বাড়িতে বাইরের প্রদেশের সুন্দরী বাইজি নাচবে, কার পুজোয় ইংরেজ রাজ-কর্মচারী হাজির থাকবেন, কিংবা কার বাড়ির পুজোয় অঢেল খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে, এমন হাজারটা বিষয়। এই বিষয়গুলি নিয়ে তখন সংবাদপত্রগুলিতে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হত। আর সাধারণ মানুষ মুখিয়ে থাকতেন এই প্রতিযোগিতার খবর পড়তে। ১৮২৯ সালে ‘সমাচার দর্পণ’ লিখছে, ‘প্রাক-কোম্পানি যুগের পুজো ছিল সর্বত্র প্রতিমা না হউক ঘটপটাদি এবং শ্রীশ্রীশালগ্রাম শিলাদির পুজো। আর পুজো। আর সে সময়ের আদর্শ মহারাজা হলেন কৃষ্ণচন্দ্র। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রথমত এই উৎসবে বড় জাঁকজমক করেন।’

    দুর্গাপুজোয় বিদেশ থেকে আসতেন শিল্পীরা!

    ১৮১৯ সালে ‘ক্যালকাটা জার্নাল’ লিখছে, ‘এই প্রেসিডেন্সিতে ইতিপূর্বে এ ধরনের পুজো কেউ কখনও দেখেনি। সুগায়িকাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল অর্থব্যয়ে আনা হচ্ছে।’ কলকাতার এই পুজোগুলিতে বাইজি নাচ ছিল মুখ্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত নয়, বিদেশ থেকে শিল্পীরা আসতেন। এ ব্যাপারে ১৮২৬ সালের গভর্নমেন্ট গেজেট লিখছে, ‘গোপীমোহন দেবের বাড়িতে নাচবার জন্যে সুদূর ব্রহ্মদেশ থেকে একদল সুন্দরী এবং সুগায়িকা নর্তকী আনা হয়েছে।’ দুর্গাপুজোর বাইজি নাচ ঘিরে ছিল এক বিরাট প্রতিযোগিতার আসর।

    প্রায় ১০০ বছর পর টনক নড়ল ব্রিটিশ কোম্পানির

    ১৮৩৩ সাল নাগাদ ডিরোজিওর ‘ইয়ং বেঙ্গল’ জোরদার আওয়াজ তুলল কোম্পানির সহায়তায় বাবুদের দুর্গোৎসবের বেহিসেবি খরচপত্তর নিয়ে। তারা বলল, দুর্গাপুজোয় (Kolkata Durga Puja) বাইজি নাচিয়ে আম খানাপিনা করে কোম্পানি সরকার এবং বাবুরা সাধারণ মানুষের কী এমন হিত সাধন করছে? শুধু তাই নয়। কলকাতার বড়মানুষদের কী কী বিষয়ে খরচ করা উচিত সে বিষয়ে তারা একটি ফর্দ অবধি পেশ করল। যার মধ্যে ছিল ‘বিলাতে গমনোপযুক্ত জাহাজ নির্মাণ’, ‘নানাবিধ শিল্প যন্ত্র স্থাপন” থেকে ‘চাষ বৃদ্ধি’র দিকে নজর দেওয়ার মতো যুগান্তকারী দাবি। এবার কোম্পানির টনক নড়ল। আর সে বছরই বের হল কোম্পানির বিখ্যাত ঘোষণা, হিন্দুদের মন্দিরাদি থেকে সরকারিভাবে হাত উঠিয়ে নিচ্ছেন তারা। এর ক’বছরের মধ্যেই ১৮৩৭ সালে বন্ধ হয়ে গেল হিন্দুর উৎসবে তোপ দাগানো আর দুর্গাপুজোর ধুমধাম। অবশেষে ১৮৪০ সালে এল বিখ্যাত ‘দশ নম্বরি আইন’। যে আইনের সহজ মর্ম ছিল, ‘নেটিভরা প্রজা, আমরা রাজা। তাদের ধর্ম তাদের, আমাদের ধর্ম আমাদের।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি তৃণমূল সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে।খোদ আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় রয়েছে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী শারদোৎসব সমিতি নামে একটি ক্লাব। পুজোয় (Durga Puja) সরকারি অনুদান তারা ফিরিয়ে দিয়েছে।

     পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য? (RG Kar Protest)

    এবার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর (RG Kar Protest) পুজো ৮০ বছরে পদার্পণ করছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুজোকে অন্যান্য বারের থেকে আলাদা করে উপস্থাপিত করার। কিন্তু পুজো হচ্ছে একেবারে নমো নমো করে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক রমেশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের দোরগোড়ায় এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করব না। ভৈরব মুখোপাধ্যায় লেনে আমাদের ক্লাবের পাশেই চায়ের দোকানে, পুরনো বাড়ির রোয়াকে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা বসেন, নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবও করেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকও ওই পাড়ায় আসতেন, বসতেন। তাঁর নৃশংস এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে ‘মানবিক এবং সংবেদনশীল’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমরা এ বার অনাড়ম্বর ভাবে পুজো করতে চলেছি।” তিনি আরও বলেন,” ইতিমধ্যেই স্থায়ী দুর্গা বেদিতে প্রতিমা এসে গিয়েছে। সপ্তমী এবং নবমীর দিন প্রতি বছর পঙ্ক্তিভোজন হয়। কিন্তু এ বার সে সব কিছুই হচ্ছে না। একই সঙ্গে হচ্ছে না সাংস্কৃতিক উৎসবও।” এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বার্তায় বলা হয়েছে, “দুয়ারে দুঃসময়।” আরজি করের উল্টো দিকের পাড়ায় শুধুই ‘পুজো’ হবে। ‘উৎসব’ নয়।

    আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    নির্যাতিতার বাড়়ির পাশের পুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান

    এর আগে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু পুজো কমিটি আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ রাজ্যের দেওয়া ‘দুর্গার ভান্ডার’ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ির পাশের পাড়ার পুজো কমিটিও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরজি করের একেবারে উল্টো দিকের পুজো কমিটির নামও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার চার বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে ধর্ষণ করার ঘটনায় ঐতিহাসিক রায় দিল আরামবাগ আদালত। ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আরামবাগ (Arambagh) আদালত। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে শিশুকন্যার দিদিমা সুশীলা মাঝিকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক কিষেণ কুমার আগরওয়াল। অপরদিকে, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের জেল হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। আদালতে এই রায়দান নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Arambagh)

    তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছিল এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারির। খানাকুলের (Arambagh) বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার বাবা তাঁর চার বছরের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ শিশুকন্যার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে খানাকুলেই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত শিশুকন্যার দিদিমা স্থানীয় ওই তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনার জন্য তাঁর নিজের নাতনিকে দিয়ে দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই তান্ত্রিক ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে, তার মৃতদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেয়। শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে টানা প্রায় ছ’বছর ধরে এই ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়া চলে। এই ঘটনায় একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন এই অভিযোগের রায়দান করেন বিচারক। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share