Tag: West Bengal

West Bengal

  • RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাত দখলের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার মহিলারা। উমা আসছেন। পিতৃপক্ষের অবসান করে সূচনা হল দেবীপক্ষের। চারদিকে পুজো পুজো গন্ধ। এই আবহে নির্যাতিতার বিচারের দাবি ভোলেননি সাধারণ মানুষ। তাই তো মহালয়ার দিনে দিকে দিকে উঠল বিচারের দাবি। কোথাও ভোর দখল (RG Kar Protest) করলেন মহিলারা, কোথাও আবার নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁর উদেশেও তর্পণ (Tarpan) করা হল।

    বিচারের দাবিতে হল গণতর্পণ (RG Kar Protest)  

    মহালয়া দিন সকালবেলায় ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে বেহালা থানার উল্টো দিকে আরজি করে নির্যাতিতার (RG Kar Protest) খুনের ঘটনা পথ নাটিকা করে দেখালেন জোকা ইএসআইয়ের জুনিয়র ডাক্তাররা। পথচলতি মানুষ সবাই সেই নাটক দেখলেনও। মহালয়ার তিথিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ নিবেদন চলছে। পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণের ভিড়েও এ দিন উঠল নির্যাতিতার বিচারের দাবি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় এদিন গণতর্পণ নিবেদন করেন একদল মানুষ।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    বিচার চেয়ে ভোর বেলায় মিছিল

    দেবীপক্ষের সূচনাতেই নতুন করে আন্দোলনের চিত্র শ্রীরামপুরে। দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় মহিলারা। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে শুরু হয় মিছিল (RG Kar Protest)। শেষ হয় শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাটে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগ দেয় এই প্রতিবাদ মিছিলে। অন্যদিকে, মাতৃ পক্ষের সূচনাতেই রাত্রি বারোটার পর মশাল জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান করলেন মেদিনীপুর শহরের একদল মানুষ। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন সাধারণ মানুষ। পথনাটিকা, আদিবাসী নৃত্য, কবিতা, আবৃত্তি, স্ট্রিট পেন্টিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হন মেদিনীপুর শহরের মানুষ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক এভাবেই প্রতিবাদে বিভিন্ন মাধ্যমে রাস্তায় থাকবেন বলেই শপথ নিলেন শহরে মানুষ।

    ভোরবেলায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পদযাত্রা

    আলিপুরদুয়ারেও (RG Kar Protest) এদিন ভোরদখল করা হয় আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের তরফে। মহালয়ার ভোরে আলিপুরদুয়ারে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শুরু হয় ভোর দখল। ভোর ৪ টা থেকে এই কর্মসূচি চলে। আরজি করকাণ্ডে বিচার চেয়ে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজ ভোর দখলে নামে। বহু মহিলা এদিন এই ভোরদখলে অংশ নেন। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়েও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখা যায়। “পুজোয় আছি, প্রতিবাদেও আছি” বন্ধু সমাজের ডাকে এক অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। দুর্গার ছবিতে ধূপ-ধুনো-মোমবাতি জ্বেলে ভোর দখলের মাধ্যমে মহালয়া পালন করা হয়। চুঁচুড়া অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে বকুলতলা তর্পন ঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়।

    শহরজুড়ে মিছিল

    বুধবার ভোরে নদীয়ার নবদ্বীপ শহরেও নাগরিক সমাজ ও প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে ভোর দখল (RG Kar Protest) করা হয়। এদিন ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা থেকে শহরের ব্যস্ততম এলাকা রাধাবাজার মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। পরে, শহর জুড়ে এক প্রতিবাদী মিছিলও হয়, যার  শহরের পাঁচমাথা মোড়, সরকার পাড়া হয়ে বুড়োশিবতলা এলাকায় সমাপ্তি হয়। এদিন মিছিল থেকে একাধারে যেমন নির্যাতিতার বিচারের বিলম্ব নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান ওঠে, পাশাপাশি সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই আবহে মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে বই প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক পেপার’। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দফতরে। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি গত তেরো বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক জয়ন্ত গুহ ও ডাক্তার মধুছন্দা কর। যে ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য এফআইআর নেয়নি, সেরকম কিছু ঘটনাও ‘ব্ল্যাক পেপার’-এ উঠে এসেছে।

    কী বলছেন শমীক ভট্টাচার্য?

    জানা গিয়েছে, বিজেপি (BJP) পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মমতার আমলে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলাম, সেখানে সকলেরই এক যুক্তি ছিল, ‘ধানতলা-বানতলা সরকার আর নেই দরকার’। ২০১১ সালের পর মানুষ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের পর আমরা কী পেয়েছি আর পাইনি? তা নিয়েই আজ ব্ল্যাক পেপার বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে।

    নারী নির্যাতনে রাজ্যকে দেশের মধ্যে শীর্ষে নিয়ে যায় মমতা সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার বাংলাকে (West Bengal) নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়। ২০১১-তে এ রাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ২৯,১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১২ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০,৯৪২। পর পর দু’বার নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিআরবি-কে তথ্য পাঠাতেই নিষেধ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেকেই বলছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বাংলা (West Bengal)। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বুকে তখনও আলো (Electricity) আসেনি। লোডশেডিং-এর গল্প তখনও অজানা। তখন সন্ধ্যা নামতেই সর্বত্র অন্ধকার ঘুলঘুলি। রাস্তাগুলিতে আলোর লেশমাত্র থাকত না বিকেলের পর থেকে। ঊনিশ শতক শুরুর আগে শহরের রাস্তায় কোনও পথ-বাতি ছিল না। সন্ধ্যা নামলেই দরজা বন্ধ হত গৃহস্থের। কলকাতায় তখনও আলো ছিল না, আলো থাকলেও সন্ধ্যাবেলা শুধুমাত্র গৃহস্থের বাড়িতে রেড়ির বীজের তেলে প্রদীপ জ্বলত। পরে, শহরে এল গ্যাসবাতি। তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, লন্ডনের পর কলকাতা শহরে জ্বলল আলো।

    মশাল ভরসা (Electricity)

    কলকাতার (Kolkata) রাস্তা জুড়ে তখন অন্ধকারের মালা। সন্ধ্যার অন্ধকার নামলেই সব যেন নিস্তব্ধ, নীরব। তা বলে কি রাতে কারোর বাইরে বেরোনোর দরকার পড়ত না? তখন উপায় কী হত! পাটকাঠির ওপর মশাল জ্বেলে নিতেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। সাধারণত কেউ অসুস্থ হলে বা কেউ বিপদে পড়লে প্রয়োজন পড়ত এই মশালের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকজন একসঙ্গে বের হতেন, নইলে মশাল হয়ে উঠত সন্দেহের কারণ।

    গ্যাসবাতির আলো জ্বলত কলকাতায়

    কলকাতার আগে যে শহরের রাস্তায় আলো জ্বলে (Electricity) উঠেছিল, সেটা হল লন্ডন। ১৮০৭ সালে লন্ডনের রাস্তায় প্রথম গ্যাসবাতির আলো জ্বলে। ১৮২২ সালের ২২শে মার্চ একটি বাংলা দৈনিকে প্রথম লন্ডনের রাস্তায় আলো জ্বলার খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে লেখা হয়-“ইংলণ্ড দেশে নল দ্বারা একপ্রকার কল তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বায়ু নির্গত হয়ে রাত্রিকে আলোকিত করে।” দৈনিক পত্রিকাটির খবর কলকাতা শহরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে, আলোড়নের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল প্রায় পঞ্চাশ বছর। ১৮৫৭ সালের জুলাই মাসে কলকাতার রাস্তায় আলো আসে। সে আলো ছিল গ্যাসবাতির আলো। শোনা যায়, কলকাতা পুরসভার মুটে সন্ধ্যা হতে না হতেই মই নিয়ে ল্যাম্পপোস্টে উঠত, তারপর ভালো করে কাপড় দিয়ে মুছে গ্যাস ভরত, তারপর দেশলাই দিয়ে আলো জ্বালাত। রাস্তার ঝলমলে দিনের গল্প শুরু তখন থেকেই। আলো জ্বালাতে ব্যবহার করা হত কয়লার গ্যাস। সেই গ্যাস আসত ওরিয়েন্টাল গ্যাস কোম্পানি থেকে। পরে, পাইপলাইনের মাধ্যমে উচ্চবিত্তের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল গ্যাসবাতি। আর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল মূলত শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে।

    গ্যাসবাতিকে হারিয়ে শহরে এল বিদ্যুৎ

    গ্যাসবাতির একচেটিয়া রাজত্বে হানা দেয় বৈদ্যুতিক বাতি। প্রথম বিদ্যুতের আলো (Electricity) এল ১৮৭৯ সালের ২৪ জুলাই। পি ডব্লু ফ্লিউরি অ্যান্ড কোম্পানি এ শহরে প্রথম বিদ্যুতের আলো জ্বালে। বছর দুয়েক পরে ১৮৮১ সালের ৩০ জুন গার্ডেনরিচের কটন মিলে ৩৬টি বাল্ব জ্বালায় ‘দে শীল অ্যান্ড কোম্পানি’। এ সবই চলছিল পরীক্ষামূলকভাবে। বড় পরিবর্তনটা এল আর কয়েক বছর পরে। ততদিনে টমাস আলভা এডিসনের সৌজন্যে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তখন ১৮৮৯ সাল। বৈদ্যুতিক বাতির রমরমা শুরু হয় তারপর থেকে। ১৮৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কলকাতায় প্রথম যে রাস্তা বৈদ্যুতিক আলোর সংস্পর্শে এসেছিল, তা হল হ্যারিসন রোড বর্তমানে যা মহাত্মা গান্ধী রোড। প্রায় তিন বছর ধরে এই রাস্তায় আলো বসানোর কাজ চলেছিল। ১৮৯৫ সালে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক লাইটিং অ্যাক্ট পাশ করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার। তারপর বৈদ্যুতিক আলোকে আজ পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৮৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি একুশ বছরের জন্য শহরকে আলোকিত করার লাইসেন্স পেয়েছিল ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেডের এজেন্ট কিল্বার্ণ অ্যান্ড কোম্পানি। কোম্পানির কাজকর্ম অবশ্য চলত লন্ডন থেকেই। মধ্য কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটের কাছে ইমামবাগ লেনে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়।

    লন্ডনের মতো এই শহরে ছিল বিদ্যুতের দাম

    তখন কলকাতায় বিদ্যুতের (Electricity) দাম ছিল লন্ডনের মতোই। প্রতি ইউনিট এক টাকা। বিদ্যুত এসে কলকাতাকে অনেকটা বদলে দেয়। হাত পাখার জায়গা নেয় ইলেকট্রিক ফ্যান। ঘোড়ায় ট্রানা ট্রামের বদলে শুরু হয় বিদ্যুৎচালিত ট্রাম। কিন্তু, তখনও অনেকে বিদ্যুতের বদলে গ্যাসবাতির পক্ষে রায় দেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা শহরে বসে ঘরোয়া ভোটাভুটির আসর। গুরুসদয় রোডের নাম তখন ছিল বালিগঞ্জ স্টোর রোড। সেখানে, গ্যাসবাতি নাকি বিজলিবাতি, এ নিয়ে হয় ভোটাভুটি। তাতে বিজলিবাতি হেরে যায়। উজ্জ্বলতা এবং খরচের দিক থেকে গ্যাসবাতি অনেকের পছন্দ। কিন্তু, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ,  ততদিনে সকলে এটাও বুঝে যান, কলকাতা শহরে নতুন যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের যুগ। রবীন্দ্রনাথের কথায় “কেরোসিনের আলো পরে যখন এল তার তেজ দেখে আমরা অবাক।” ১৯৩৩ সালে সিইএসসি-র সদর দফতর কলকাতায় চলে আসে। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস। পরবর্তীকালে, কলকাতা শহরতলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁচ্ছে যায় বিদ্যুৎ। কলকাতা শহরে গ্যাস বাতি আসার পর খুব বেশিদিন রাজত্ব করতে পারেনি। তবে, কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ আসার পর শতাধিক বছর ধরে এই শহরের রাজপথ আলোকিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chaterjee: আরও বিপাকে পার্থ! প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করল সিবিআই, ধৃত অয়নও

    Partha Chaterjee: আরও বিপাকে পার্থ! প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করল সিবিআই, ধৃত অয়নও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে বছর দুয়েক আগে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে পেশ করার পর তাঁকে ওই মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রোমোটার অয়ন শীলকে আদালতে তোলার পর গ্রেফতার করল সিবিআই। আপাতত জেলেই থাকবেন দু’জন।

    আদালতে কী জানালো সিবিআই? (Partha Chaterjee)

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর (Partha Chaterjee) বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এসএসসিতে নিয়োগের মামলায় সিবিআইও পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার করে পার্থ-অর্পিতাকে। এ বার তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় গ্রেফতার করা হল। অন্য দিকে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়নকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন সিবিআই জানায়, পার্থর ক্ষেত্রে জেল থেকে চিঠি এসেছে, তাতে বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ। তখন পার্থর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, “আমার মক্কেল অসুস্থ। দয়া করে পরশু শুনানি করা হোক।” সিবিআই যুক্তি দেয়, আমরা তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করতে চাই। আদালত তা মঞ্জুর করে। এবার তাঁকেও প্রাথমিকে নিয়োগ মামলাতে গ্রেফতার করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    পার্থ ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল

    উল্লেখ্য, পার্থর (Partha Chaterjee)  ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। ওই বছরেরই ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন হাইট্স’ আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে উদ্ধার করে ইডি। সঙ্গে প্রচুর টাকার গয়না। ইডির দাবি, অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা এবং ৫ কোটি ৮ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছিল। সঙ্গে সাতটি অন্য দেশের মুদ্রাও। ইডির দাবি, সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: মাওবাদী যোগে রাজ্যে এনআইএ তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক

    NIA Raid: মাওবাদী যোগে রাজ্যে এনআইএ তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে মাওবাদী-যোগের (Maoist) তদন্তে আসানসোলের ডিসেরগড়, পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকা সহ রাজ্যের ১০টি জায়গায় হানা দিয়েছিল এনআইএ (NIA Raid) । ২০২২ সালে প্রশান্ত বসু নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবারের এই তল্লাশি অভিযান বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসবাদও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তল্লাশিতে কী কী মিলল তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল (NIA Raid)

    প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর সোদপুরের পানিহাটি ও আসানসোলের দু’টি বাড়ি থেকে বেরোলেন এনআইএ-র (NIA Raid)  আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশির পর দু’টি বাড়ি থেকেই ফোন, ল্যাপটপ এবং হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। বেশকিছু নথি সহ মোট পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে দুই সমাজকর্মী সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লিশ্রী এলাকায়। এদিন সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত দু’টি ঠিকানায় তল্লাশি চলে। আসানসোলের বাড়িতে এনআইএ তল্লাশির পর সুদীপ্তা বলেন, “তল্লাশির নামে ঘর তছনছ করেছেন তদন্তকারীরা। হার্ডডিস্কটা নিয়ে যাওয়ার ফলে আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল। কারণ আমার একটাই কম্পিউটার ছিল। আমি সেখানেই লেখালিখি করতাম।” অন্যদিকে, পানিহাটিতে শিপ্রার বাড়ি থেকেও ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    রাঁচিতে তলব

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তদন্তকারী আধিকারিকদের (NIA Raid) কথা শুনে মনে হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। ১৫ অক্টোবর রাঁচিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে, আমরা তদন্তকারী অধিকারিকদের জানিয়েছি, কলকাতায় অফিসে ডেকে পাঠালে যাবেন, রাঁচি যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত

    বেহালার ফিলিপস আবাসন বা পরমা আবাসনে ৮০ নম্বর বাড়ি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর। পেশায় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। সকাল ছয়টা নাগাদ এনআইএ (NIA Raid) আধিকারিকরা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে আসেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি শেষে বেরিয়ে যান এনআইএ আধিকারিকরা। যাওয়ার সময়ে কিছু কাগজপত্রও নিয়ে যান তাঁরা। প্রসঙ্গত, মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। ইতিমধ্যে রাঁচিতে এনআইএ-র পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার তদন্তে যোগসূত্র পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গে। অসমে মাওনেতা সব্যসাচী গোস্বামী গ্রেফতার হওয়ার পরে নির্মলা নামে এক মাও নেত্রী কলকাতায় এসে বৈঠক করে আবার অন্যত্র চলে যান বলে সূত্র মারফত খবর পান এনআইএ গোয়েন্দারা। পানিহাটি, বীরভূম, যাদবপুর- সহ শহর কলকাতা জুড়ে সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নামে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    Durga Puja: ‘শিরদাঁড়া’য় আপত্তি, কোথাও পুজোর থিমের ঠাঁই হল আস্তাকুঁড়ে, কোথাও ঢাকল ত্রিপলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে আন্দোলনের মাঝে ‘শিড়দাঁড়া’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের হাতে প্রতীকী শিরদাঁড়া তুলে প্রশাসনের শিরদাঁড়া সোজা রাখার বার্তা দিয়েছেন। যা তাঁদের আন্দোলনকে এক নতুন মাত্রা দেয়। তারপর থেকে ‘শিরদাঁড়া’ ইস্যুতে রক্তচাপ বেড়েছে প্রশাসনের। এবারের পুজোয় প্রতীকী শিরদাঁড়াকে থিম করে মণ্ডপসজ্জার কথা ভেবেছিল শহর ও শহরতলির কয়েকটি পুজো কমিটি। প্রবল ‘পারিপার্শ্বিক চাপে’ পুজোর সেই শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে কোথাও মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। কোথাও আবার শিরদাঁড়া মডেল ঢাকা পড়ল ত্রিপলে।

    ‘শিরদাঁড়া’ মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে (Durga Puja)

    বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলের পুজো (Durga Puja) থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বাবারা পরিবারের শিরদাঁড়া’। উদ্যোক্তাদের দাবি, ‘বাবা’রা হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে পরিবারকে আগলে রাখেন। সন্তানকে মানুষ করতে প্রাণপাত করেন। সকল ঘাত- প্রতিঘাত সামলে পরিবারের গায়ে আঁচড় টুকু লাগতে দেন না। মেরুদন্ডকে সোজা রেখে নিঃশব্দে লড়াই জারি রাখেন। বাবাদের সেই সংগ্রাম আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানাতেই এই থিম। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। থিমের নকশাতে ছিল ৪০ ফুটের এই মেরুদণ্ডটি। সেই মতোই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন শিল্পীরা। মণ্ডপসজ্জার সামগ্রী দিয়ে মেরুদণ্ড তৈরি করে তা মণ্ডপে বসানোও হয়ে গিয়েছিল। আচমকা, তা সরিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, শিরদাঁড়া মডেলের ঠাঁই হয়েছে মণ্ডপের পিছনে আবর্জনার স্তূপে। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা যে কোনও রকমের বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। আরজি কর আবহে এই ‘শিরদাঁড়া’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে আমরা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা উৎসব নিয়েই থাকতে চাই।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    হাওড়ার সাঁতরাগাছির ক্লাবে ‘শিড়দাঁড়া’ ঢাকা পড়ল ত্রিপলে

    এ বার ৪১তম বর্ষে পা দিয়েছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। তাদের পুজোর থিম বাস্তবতা। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই তৈরি করা হয়েছে ২০ ফুট লম্বা প্রতীকী শিরদাঁড়া। প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে পুজোর মণ্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের মেরুদণ্ড। সঙ্গে মণ্ডপের গায়ে লেখা, ‘মা আমি ডাক্তার হতে পারলাম না’। মা দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকছে আয়না। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে এই প্রতীকী আয়না ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পী সৌরভ ঘোষ। পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এক চিকিৎসকের স্বপ্নকে বোঝাতে প্যান্ডেল জুড়ে মুখ বাঁধা ছোট ছোট থলি ব্যবহার করা হয়েছে। যে স্বপ্ন প্রতি দিন বাস্তবতার আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অন্যায় দেখে মানুষের নির্লিপ্ততা বোঝাতে ছোট ছোট মূর্তির চোখে কালো কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার সেই প্যান্ডেলে ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছিল শিরদাঁড়া। পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এরপরই পুলিশ আসে মণ্ডপে। এরপরই ত্রিপল দিয়ে তা ঢেকে ফেলা হয়।

    চিকিৎসকদের আন্দোলনেও ছিল শিড়দাঁড়া

    আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সেই শিরদাঁড়ার অনুষঙ্গ বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। শিরদাঁড়ার প্রসঙ্গ এসেছে সাহসিকতার প্রতিরূপ হিসেবে। প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে মিছিল (Durga Puja) করেছিলেন চিকিৎসকেরা। শুধু তা-ই নয়, কলকাতার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও চিকিৎসকেরা শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, চিকিৎসকের আন্দোলনের চাপেই বিনীতকে কলকাতার কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। পুজোর থিমেও সেই শিরদাঁড়া নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    NIA: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের একটি মাওবাদী নাশকতা এবং মাওবাদী সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে রাজ্যের (West Bengal) ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ (NIA)। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আসানসোল এবং পানিহাটিতে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সদস্যদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে জগদ্দলেও। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা পাল এবং শিপ্রা চক্রবর্তী নামের দুই মহিলার বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় হানা? (NIA)

    জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদী নাশকতার ফান্ডিং ও সংগঠন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে এ রাজ্যের সাত জায়গার নাম জানতে পারে এনআইএ (NIA)। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোদপুরের পল্লিশ্রী এলাকায় মানবাধিকার কর্মী শিপ্রা চক্রবর্তী ও তাঁর স্বামী মানবেশ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে। আসানসোলের দুটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। একজনের নাম অভিজ্ঞান সরকার, যিনি মূলত গবেষক হিসেবেই পরিচিত। যাদবপুরের এই প্রাক্তনী এর আগে সিঙ্গুর আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীকালে দেউচা পাচামি আন্দোলনের সময়েও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে, আসানসোলের সুদীপ্তা পাল, তিনিও একজন মানবাধিকার কর্মী। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। তল্লাশি অভিযান চলছে আসানসোলের ডিসেরগড় এলাকাতেও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তা এবং শিপ্রা নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কয়লাখনির শ্রমিকদের অধিকারের দাবিতেও সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। ‘অধিকার’ নামক একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। পরে ‘মজদুর অধিকার’ নামে একটি সংগঠন শুরু করেন এবং কয়লাখনির শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করেন। অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা।

    আরও পড়ুন: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    পাঁচিল টপকে বাড়িতে এনআইএ

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আসানসোলের একাধিক জায়গায় বাড়িভাড়া নিয়ে থেকেছেন সুদীপ্তা এবং শিপ্রা। বছর পাঁচেক আগে শিপ্রা আসানসোল থেকে চলে যান। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির পল্লীশ্রী এলাকায়। তবে শিপ্রা পানিহাটি চলে যাওয়ার পর ডিসেরগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন সুদীপ্তা। মঙ্গলবার সকালে পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লীশ্রী এলাকায় শিপ্রার বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। প্রথমে ডাকাডাকি করা হলেও ভিতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। পরে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

    এনআইএ আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এনআইএ (NIA) এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গেই মাওবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে। ‘আর্বান নকশাল’ হিসেবে তাঁরা চিহ্নিত। তাঁদের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের নাশকতার কী যোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় আইইডি বিস্ফোরণে আহত হন সিআরপিএফ জওয়ান। আহতদের রায়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময়ে সিআরপিএফের ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। তখনই তাঁরা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দেখতে পান। তাঁরা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বিস্ফোরণ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিক্যাল (Sagar Dutta Medical) কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার আচমকাই বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে ডেকোরেটর্সের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Junior Doctor)

    সাগর দত্তে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) আন্দোলন শুরু করেছেন। এদিন সেই আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। এদিন বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। খুলে সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। শেষে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান মঞ্চ থেকে নেমে রাস্তাতেই ওই গাড়ির সামনে ও পিছনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সন্ধ্যায় বাধ্য হয়ে খুলে ফেলা ফ্যান, লাইট নতুন করে ইনস্টল করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্ত দেখছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, ডেকোরেটর্স সংস্থার মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “না জানিয়ে ফ্যান, লাইট খোলা ভুল হয়েছে। আমার ভাই ইমরান খুলতে এসেছিল। আসলে আমাদের অন্য জায়গায় অর্ডার নেওয়া রয়েছে। সেজন্যই তা খোলা হয়েছিল, কারও কোনও চাপে নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এদিনের ঘটনার সঙ্গে কয়েক দিন আগে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন মঞ্চ থেকে সমস্ত ফ্যান, লাইট খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার মিল পাচ্ছেন সাগর দত্তের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমাদের আন্দোলন ভাঙতেই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, এই ধরনের চেষ্টা যত করা হবে, আমাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়বে। হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “যদি কেউ কিছু ভাড়ায় দেয় তা আচমকা খোলা যায় নাকি? আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা আমার কাছে এসেছিলেন। আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখার জন্য আমি কামারহাটি থানার পুলিশকে অনুরোধ করি। পরে, আবার ফ্যান, লাইট ইনস্টল করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে উঠে এল নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গ। এদিন সিবিআই দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন।

    শুনানিতে ২০০ জন আইনজীবী (Supreme Court)

    এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?

    সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক। ‘তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চশমার কারণে চোখে জখম হয়েছে। কিন্তু সে সময় কি তিনি চশমা পরে ছিলেন?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তুষার জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে চশমা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল পাশে।

    প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আর্জি

    এরপরই জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দেবাশিস সোমের ভূমিকা কী ছিল সেটা দেখা হয়নি। উনি উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ এবং মলয় চট্টোপাধ্যায় এবং কলেজের প্রধানের ঘনিষ্ঠ।” তুষার মেহেতা বলেন, “দেবাশিস সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে।” প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “কে দেবাশিস সোম?” এডুলজি জানান, আরজি কর নির্যাতিতার ফরেন্সিক টিমের অন্যতম ডাক্তার দেবাশিস সোম। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য পৌঁছে যান।” আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    কী নির্দেশ দিল কোর্ট?

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এবং ক্ষমতাসীন থেকে যাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে সিবিআই রাজ্যকে সহযোগিতা করবে, এরকম কোনও ব্যক্তির তথ্য তারা পেলে।”রাজ্যের তরফেও আদালতে আশ্বস্ত করা হয়, তদন্তকারী সংস্থা নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যত প্রভাবশালীই হোন, সিবিআই তাঁদের নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সাংসদকে খুঁজেই পাচ্ছেন না মানুষ’’, বন্যা-কবলিত ঘাটালে গিয়ে দেবকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলে বন্যা বিধ্বস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটাল সাব ডিভিশন। বন্যা দুর্গতদের মানুষের কাছে পৌঁচ্ছে ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি, তৃণমূল সাংসদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দেবের এলাকায় গিয়ে কটাক্ষও করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ (Sukanta Majumdar)

    বন্যা (Flood) বিধ্বস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রিপল, শুকনো খাবার বিলি করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। ঘুরে দেখলেন এলাকাও। পরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘাটালের সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজেই পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আমরা এখানে চাল, ডাল, শুকনো খাবার এবং ত্রিপল পলিথিন দিতে এসেছি।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘যেখানে খোদ আইএএস অফিসারের স্ত্রী সুরক্ষিত নন, সেখানে রাজ্যের সাধারণ মহিলারা কীভাবে রয়েছেন তা আপনারা বুঝতেই পারছেন।’’ ঘাটালের পাশাপাশি হুগলির আরামবাগের খানাকুল ২ ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ধান্যগোড়ি ও মাড়োখানা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এখনও বন্যার জল পুরোপুরি নামেনি। বাকি পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে জগৎপুর, রাজহাটি ১, পলাশপাই ১ ও চিংড়া পঞ্চায়েত এলাকার দু’তিনটি মৌজাতেও জল রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ফের গেরুয়া ঝড়, সমবায় ভোটে খাতাই খুলল না তৃণমূলের

    রাজ্যকে তোপ সুকান্তর

    দুর্গতদের ত্রাণ দিতে এসে বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘গত এক বছরে রাজ্যের কোথাও বাঁধ মেরামতি হয়নি। এক বছর আগেও বন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী ‘ম্যান মেড’ বলেছেন, এ বারও বলছেন। কিন্তু সেই ‘ম্যান মেড’ বন্যা আটকাতে কী কাজ করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না।’’ রাজ্যের নিজস্ব জলাধারগুলি থেকেও গত ১০ বছরে কোথাও পলি তোলা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    আরামবাগের মায়াপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দলীয় মঞ্চ থেকে কয়েকশো মানুষকে ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিলি করেন সুকান্ত। সেখান থেকে খানাকুলের বন্যাবিধ্বস্ত তালিত গ্রামে যান (Sukanta Majumdar)। সুকান্ত বলেন, ‘‘টাকা-পয়সার বিনিময়ে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের মদতেই এ সব হয়েছে। আমপানের ক্ষতিপূরণের জন্য পাঠানো হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সঙ্গে কী রকম সম্পর্ক রাখবেন, আগে সেটা ঠিক করুন।”  তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায়ের দাবি, “রাজ্য নদী সংস্কার করেছে, পলি তুলেছে, বাঁধেরও সংস্কার করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share