Tag: West Bengal

West Bengal

  • Suvendu Adhikari: ‘‘শাদ রাদির মতো জঙ্গি ভোট দিল কীভাবে?’’ বাংলায় এনআরসি-র দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘শাদ রাদির মতো জঙ্গি ভোট দিল কীভাবে?’’ বাংলায় এনআরসি-র দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলায় এনআরসি চালুর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে নানা কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে জঙ্গিযোগের উদাহরণ দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি ভোটার রয়েছে। না হলে শাদ রাদির মতো জঙ্গি ভোট দিল কীভাবে? তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডে, গুজরাটে এনআরসি হয়েছে।মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। এনডিএ শাসিত রাজ্যে এনআরসির কাজ চলেছে।’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আমি তো মনে করি সমস্ত দল মিলে এনআরসির দাবি তোলা দরকার। আসুন না সবাই মিলে বলে… উত্তরাখণ্ড করেছে, গুজরাট করেছে, অন্য স্টেট করছে, মহারাষ্ট্র শুরু করেছে কাজ। আপনাকে আমি জিজ্ঞাসা করছি, শাদ রাদি ভোট দিল কীভাবে! হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ অসম, বাংলার পুলিশ নয়, সে দুবার ভোট দিল। বাংলাদেশের জঙ্গি সে দুবার ভোট দিল কীভাবে? স্বাভাবিকভাবে এই রাজ্যে অবৈধ ভোটার আছে। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই।’’

    গতকাল রবিবার ভবানীপুরে হাজির ছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    গতকাল রবিবার অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্মেলন করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। সেখানেই হাজির ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এখানেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘সমস্ত দল মিলে এনআরসি-র (NRC) দাবি করা উচিত। ভারতীয় নাগরিক হলেই ভোটার লিস্টে নাম উঠবে। আধার কার্ড থাকবে। এটাই করুন না। উত্তরাখণ্ড করেছে, গুজরাট করেছে, মহারাষ্ট্র শুরু করেছে। অন্য রাজ্যও করছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এই কাজ শুরু করেছে। আমাদের বাংলা বর্ডারিং স্টেট। আমাদের পাশেই বাংলাদেশ-নেপাল-ভূটান। আমরা এনআরসি করে কে ভারতীয় নাগরিক আর কে নয় তা চিহ্নিত করে দিই।’’ প্রসঙ্গত, বিজেপি অনেক দিন ধরেই দাবি করছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এখানে ভোটার লিস্টে নাম তুলে দিচ্ছে তৃণমূল। এবার সেই ইস্যুতে ফের একবার সরব হলেন শুভেন্দু।

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

  • Pet Cat Funeral: কার্ড ছাপিয়ে ডিকুর শ্রাদ্ধ, পাত পেড়ে খেলেন স্থানীয়রা

    Pet Cat Funeral: কার্ড ছাপিয়ে ডিকুর শ্রাদ্ধ, পাত পেড়ে খেলেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরোহিত উচ্চারণ করে চলেছেন বলুন, “নমো মধু বাতা ঋতায়তে…”। শ্রাদ্ধকর্ত্রী ছলছল চোখে সেই মন্ত্র আওড়াচ্ছেন। আদরের ডিকুর (Pet Cat Funeral) শ্রাদ্ধ শেষ হল বৈদিক রীতি মেনে। ভূরিভোজ খেলেন আত্মীয় পরিজনেরা। ডিকুর উদ্দেশে পিণ্ড দিতে গিয়ে হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন শ্রাদ্ধকর্ত্রী সুপর্ণা সিনহা। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি পাড়ার ঘটনা।

    ডিকুর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ (Pet Cat Funeral)

    ঘটনাটি খুলেই বলা যাক। জলপাইগুড়ির সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মী সুপর্ণার শখ বিড়াল পোষা। বাড়িতে তাঁর অনেকগুলি বিড়াল রয়েছে। এই পোষ্যগুলির মধ্যে বুলেট, রকেট, জুলজুল, জামাই আর ডিকু অন্যতম। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই মৃত্যু হয় ডিকুর। প্রতিবেশীর বাড়িতে মেলে কম বয়সী ডিকুর দেহ। প্রিয় পোষ্যের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন সুপর্ণা। তখনই ঠিক করেন প্রিয় পোষ্যের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ করবেন তিনি। যোগাযোগ করেন পুরোহিতের সঙ্গে। রীতিমতো ১২ দিন যাবতীয় রীতি মেনে ১৩ দিনের দিন শ্রাদ্ধ করেন তিনি।

    ওঁ গঙ্গা লেখা কার্ড

    ওঁ গঙ্গা লেখা কার্ড ছাপিয়ে জানানো হয় আমন্ত্রণও। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চারজন পুরোহিত। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের পাশাপাশি হয়েছে গীতা-উপনিষদ পাঠও। শ্রাদ্ধশান্তি শেষে ছিল খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। ডিকু যেসব খাবার পছন্দ করত, সেগুলিই রান্না করা হয়েছিল এদিন। মেনুতে ছিল ভাত, মাছের মাথা দিয়ে বাঁধাকপির ঘণ্ট, বাটা মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া, টোমাটো ও কুল দিয়ে চাটনি, দুরকমের মিষ্টি এবং গঙ্গারামপুরের বিখ্যাত দই।

    সুপর্ণা বলেন, “পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে যেমন তাঁর আত্মার শান্তি কামনার জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়, ঠিক তেমনই ডিকুর মৃত্যুর পর আজ বাড়িতে নিয়ম মেনেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করি। ও তো আমার বাড়ির সদস্য ছিল।” তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে আরও অনেক বিড়াল আছে। আমি পশুদের খুবই ভালোবাসি। ওরা আমার সন্তানসম।”

    ডিকুর শ্রাদ্ধ করিয়েছেন পুরোহিত লিটন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “প্রিয় পোষ্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বেশ অন্যরকম ব্যাপার। যেভাবে মানুষের ক্ষেত্রে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়, বিড়ালেরও সেইভাবেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হল। জীবের প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে (Pet Cat Funeral)।”

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” রবিবার বর্ধমানে আরএসএস (RSS) কর্মীদের সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “অনেকেই আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন কেন শুধুমাত্র হিন্দু সংগঠনের ওপর এত জোর দেওয়া হয়। আমার উত্তর হল, দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ। হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” তিনি বলেন, “আজ কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান নয়। যারা সংঘ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে। যদি আমাদের উত্তর দিতে হয় যে সংঘ কী চায়, তবে আমি বলব যে এই সংঘ হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে চায়। কারণ দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ।”

    সংঘ প্রধানের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    সংঘ প্রধান বলেন, “ভারতের একটি প্রকৃতি আছে। তারা (সমাজের একটি অংশ) সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে বসবাস করতে পারেনি। তাই তারা একটি আলাদা দেশ তৈরি করেছে। হিন্দুরা বিশ্বে বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে জীবনযাপন করে। আমরা আজকাল বলি ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’। এবং হিন্দুরা বোঝে যে বৈচিত্র্যই ঐক্য।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “এখানে (ভারতে) কেউ সম্রাট বা মহারাজাদের স্মরণ করে না। কিন্তু এমন এক রাজাকে স্মরণ করে, যিনি পিতার প্রতিশ্রুতির জন্য ১৪ বছর বনবাসে গিয়েছিলেন, যিনি তাঁর ভাইয়ের খড়ম রেখে সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং ভাই ফিরে এলে রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।”

    হিন্দুর সংজ্ঞা

    তিনি বলেন, “এই বৈশিষ্ট্যগুলিই ভারতকে সংজ্ঞায়িত করে। যারা এই বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসরণ করে, তারা হিন্দু। যা পুরো দেশের বৈচিত্র্যকে একসঙ্গে ধরে রাখে। যা কারও কষ্টের কারণ হয়, তা আমরা করব না। শাসক, প্রশাসক এবং মহান ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করেন। কিন্তু দেশের কাজ করার জন্য সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরজি করকাণ্ডে যে তিনি মর্মাহত, তাও জানান ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরজি করে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের মা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহতের বিচার চান তিনি। আমি তাঁকে কথা দিয়েছি, তাঁকে সব রকম সাহায্য করব। কারণ এটাই এই মুহূর্তে সময়ের দাবি (RSS)।”

  • Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বিরাট অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।

    সমাজ মাধ্যমে লম্বা পোস্ট শুভেন্দুর

    এনিয়েই সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।’’

    এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে, দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’’ এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। ঘটনা গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। তার মধ্যেই আবার নয়া এক ওষুধ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    State Budget 2025: ‘নারী সুরক্ষা, লক্ষ্মী ভাণ্ডার, মহিলাদের জন্য কিছুই নেই’ রাজ্য বাজেটকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেটকে (State Budget 2025) বেকার বিরোধী বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুধবার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ও গ্রামোন্নয়নে এবার বরাদ্দ করা হলো ৪৪ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘এটি বেকার-বিরোধী বাজেট।’ ২০২৬ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিজেপি সরকারই তৈরি করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    মহিলাদের জন্য ভাবনা কোথায়

    এদিন, বিধানসভায় বাজেট (State Budget 2025) পেশ করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর বাজেট বক্তৃতা শেষ হতে না হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই বাজেট বেকার-বিরোধী। মহিলাদের জন্য একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। ডিএ বেড়েছে মাত্র চার শতাংশ। কেন্দ্রের সঙ্গে এখনও ফারাক অনেকটাই। সর্বোপরি যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এই দুর্মূল্যের বাজারে ঠকিয়েছে রাজ্য সরকার।’

    রাজ্য বাজেটে যা নেই

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর বৃষ্টিতে জলের তলায় যায় ঘাটাল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এই এলাকায় বন্যার সমস্যা দূর করার জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ঘাটালে তো জমি অধিগ্রহণই হয়নি, সেখানে আবার বরাদ্দ কীসের?’ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জল পান না। পাহাড়ের জনজাতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মতুয়াদের জন্য একটা বাক্য নেই। সুন্দরবনের কথা নেই। নতুন পে কমিশনেরও প্রস্তাব নেই।’

    নারী সুরক্ষার কথা নেই

    বুধবার রাজ্যের পেশ করা বাজেটে (State Budget 2025)  নারী সুরক্ষার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নেই বলে জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেন, মহিলাদের জন্য সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি বাজেটে। তুলনায় টানতে ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির কথা তুলে আনেন তিনি। এমনকি দিল্লিতেও বিজেপি মহিলাদের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা-ও স্মরণ করিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, রাজ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে ‘প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেবে বিজেপি। ২০২৬ সালের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরি করবে বিজেপি সরকারই।’

  • ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি (Ration Case) মামলায় ফের তৎপর ইডি (ED)। দিন কয়েক আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার নজরে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গোডাউনও।

    জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় (Ration Case)

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দুটি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফের তৎপর হল ইডি।

    হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা

    এদিন সকালে ইডির দফতর থেকে বিভিন্ন দিকে বেরিয়েছে একাধিক দল। সকাল সকালই একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দেয় তাঁর গোডাউনে। এছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতে চলছে ইডির (ED) অভিযান।

    ইডির আর একটি দল হানা দিয়েছে হাওড়ারই শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করেন পার্থেন্দু। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। এদিন যখন ইডির দল তাঁর বাড়িতে হানা দেয়, তখন অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।

    ২০২০ সালে নদিয়া থেকে ৭৬২ কিলো কালোবাজারির আটা উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই রেশন কেলেঙ্কারির তথ্য আসে পুলিশের হাতে। প্রথমে নদিয়ার তিনটি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পরে অভিযোগ ওঠে, রেশনের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ গম সরিয়ে ফেলে তাতে সরকারি ছাপ দিয়েই বিপুল টাকায় বিক্রি করা হত কালোবাজারে। এরই তদন্তভার পায় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়কে। গ্রেফতার (Ration Case) করা হয় বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য-সহ বেশ কয়েকজনকে (ED)।

  • TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন তিহাড় জেলে ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে ফিরেছেন গাঁয়ে (West Bengal)। তার পরেই তৃণমূলের কাজল শেখ গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরেরই অনুব্রত মণ্ডলের অন্তর্দ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash) চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। তার জেরে হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালি বিক্রির টাকার বখরা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। বোমার ঘায়ে পা উড়ে গিয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। নাম শেখ সাত্তার আলি। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন ও তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ।

    তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত (TMC Inner Clash)

    গত প্রায় দু’বছর ধরে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, মমতা ঘনিষ্ট অনুব্রত যতদিন জেলে বন্দি ছিলেন, ততদিন একপ্রকার শান্তই ছিল বীরভূম। তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন। অনুব্রত জেলায় ফিরতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    বেশ কয়েক জায়গায় অনুব্রত গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অনুব্রতর অবশ্য দাবি (TMC Inner Clash), বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে তৃণমূলের এই নেতা যে ঠিক বলছেন না, তা দাবি করেছেন তাঁর দলেরই একটি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল অনুব্রতের কাছের লোক। আর স্বপন, কালো শেখরা কাজল গোষ্ঠীর বলে জেলায় পরিচিত। বালির টাকার বখরা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তার জেরেই সোমবার রাতভর জেলায় হয় বোমাবাজি। যার জেরে পা খোয়ান তৃণমূলের সাত্তার।

    উজ্জ্বলের অভিযোগ, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্যেই সোমবার রাতে তৃণমূল নেতা কালো শেখের বাড়িতে জড়ো হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মহিবুল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁর দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা মজুত করা হচ্ছিল। যদিও কালোর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছিলেন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলের অনুগামীরা (West Bengal)। অশান্তি এড়াতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ (TMC Inner Clash)।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেশ কিছু সমাধানসূত্র বের করা বাকি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা ঠিক করতে হবে। ২০২১ এর পর যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তার জেরে আরএসএসেরও (RSS) সেভাবে শ্রী বৃদ্ধি হয়নি। তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পর পর বাধা। বাংলায় দুয়ারে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট। এই পরিস্থিতিতেই বঙ্গে দশ দিনের জন্য সফরে আসছেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা না হলেও অনুগামীদের আশা সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গে আসছেন মোহন ভাগবত। ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সংঘের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠক করবেন। সূত্রের খবর সেখানে আরএসএস এবং শাখা সংগঠনগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ১১ এবং ১২  ফেব্রুয়ারি সংঘের অখিল ভারতীয় টোলি অর্থাৎ জাতীয় স্তরের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় কর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে সংঘের নতুন প্রান্ত কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে মধ্য বঙ্গ প্রান্ত কর্তাদের প্রকাশ্য সম্মেলন হবে।

    কী বলছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ

    প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গে কোনওদিন কোনও সংঘপ্রধান ১০ দিনের জন্য আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই এর একটা সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যেভাবে রাজ্যে অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সমস্যা, জন্যবিন্যাসে বদল এসেছে, তা ভালোভাবে নেয়নি আরএসএস। তাই সমাজের কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করতে নির্দেশ আসার ইঙ্গিত রয়েছে সংঘ প্রধানের তরফে (Mohan Bhagwat)। সেই বার্তা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিয়েছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসু।

    ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের জন্য নির্ণায়ক লড়াই হতে চলেছে। তার জন্য এখন থেকেই সর্বশক্তিতে ঝাঁপানো প্রয়োজন। মনে করা হচ্ছে সেই দিশা দেখাতেই বঙ্গে আসছেন আরএসএস (RSS) প্রধান। তাঁর দেখানো পথেই বঙ্গ জয়ের রণকৌশলের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হতে চলেছে। শাখা সংগঠনগুলিতেও সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে (Mohan Bhagwat)।

LinkedIn
Share