Tag: West Bengal

West Bengal

  • ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বড় তথ্যপ্রমাণ হাতে এল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি নিজের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর ব্যবহার করা সেই ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর (ED) গোয়েন্দারা।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি? (ED)

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED)। বাদ যায়নি শ্যালিকার বাড়ি। সেই তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ। ইতিমধ্যেই সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে দুর্নীতির তথ্য। সূত্রের খবর, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই মেল। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কাও করছে এজেন্সি। কোনও প্রমাণ মুছে হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি-র দাবি, তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ল্যাপটপে হয়তো রাখা হত যাবতীয় হিসেব। তাই, হিসেব বহির্ভূত আয়ের হিসেব এবং একাধিক নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ থেকে পাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-ও

    প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন অনেক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে সে সব অভিযোগ সামনে এলেও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়, নতুন করে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সন্দীপের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় নতুন ভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। এবার সিবিআই-এর পাশাপাশি সন্দীপের হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজেও টিএমসিপি নেতাদের ‘থ্রেট কালচার’-এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় কারচুপির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে নম্বর দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাক্তন ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও একজন আরএমও রয়েছেন।

     কীভাবে চলত থ্রেট কালচার? (North Bengal Medical)

    আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অভিযোগ, টিএমসিপি নেতাদের হাতের পুতুল হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) কর্তৃপক্ষ। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (Siliguri) এতদিন চলে এসেছিল পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপি, নকলে মদত দেওয়ার ঘটনা। কলেজ অনুষ্ঠানে টাকা তোলার জন্য জুলুম ও হুমকি দেওয়া হত। সেই টাকার কোনওদিন অডিট হয়নি। ৫২ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে ৮২ করে দেওয়া হয়েছিল।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে একথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল। এই দু’জনের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। রাতে সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল পদত্যাগ করলেও আশ্চর্যজনকভাবে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

     প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

    আন্দোলনের (North Bengal Medical) চাপে সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। থ্রেট কালচারের হুমকি নিয়ে তদন্ত কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই তিন আধিকারিক সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ ছাত্র নেতা। আধিকারিকদের মধ্যে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল ও আরএমও নিলাব্জ ঘোষকে আপাতত ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। অধ্যক্ষ বলেন, তিন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, শাহিনুল ইসলাম ও রিতুরম্ভ সরকার, সোহম মণ্ডল, জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশি চক্রবর্তী, শ্রীজা কর্মকারকেও বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোহম মণ্ডল সহ যাদের নম্বর কারচুপি করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের খাতা ফের মুল্যায়ন করা হবে। এদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ইন্টার্ন। অরিত্র ও তীর্থঙ্কর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ঐশি, শ্রীজা ও জয় লাকড়া তৃতীয় বর্ষের পার্ট-১ এর ছাত্র।

    অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে?

    অন্যতম অভিযুক্ত টিএমসিপির বরখাস্ত নেতা অভীক দে এখানে অবৈধভাবে অডিটোরিয়াম (North Bengal Medical) দখল করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছিলেন। অধ্যক্ষ সেই অনুষ্ঠানে থেকেছেন। অভীকের হাত থেকে কেকও খেয়েছেন তিনি। সেকথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাতেই প্রশ্ন, অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে? এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘এখানে সবাই আমার অধস্তন। তাই আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ রয়েছে, তার সবটাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘‘আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসছি না। তাঁর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পরই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নারায়ণপুরে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর আর কয়েকশো বিঘা জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পরে বেলেঘাটা, নিউটাউনেও তাঁর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) নতুন ঠিকানার হদিশ পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। সেখানে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে সন্দীপের ফ্ল্যাট। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন আবাসনের আবাসিকরা? (Sandip Ghosh)

    আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন সন্দীপ, সেই সময় ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার ‘সবিতা রেসিডেন্সি’ নামে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে ফ্ল্যাটটি। তবে এই ফ্ল্যাটে তিনি (Sandip Ghosh) নিয়মিত যেতেন না বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। এক আবাসিকের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বদলি হয়ে আসার পর একবার মাত্র ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন সন্দীপ। আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘গত চার বছরের মধ্যে একবারও চোখে দেখিনি ডাক্তারবাবুকে (সন্দীপ)। তবে অনেকের মুখে জেনেছিলাম, এই আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটে না এলেও আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসের খরচ অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন সন্দীপ। ইলেকট্রিকের বিলও অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন, এমনটাই জানিয়েছেন আবাসিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ফ্ল্যাট!

    জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের পার্কিং লটে একটি গ্যারেজ রয়েছে সন্দীপের নামে। তবে বর্তমানে গ্যারেজটি ইসলামপুরের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, গোরাবাজারের ফ্ল্যাট ছাড়াও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ২০০০ স্কোয়ার ফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) নামে। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, নতুন হাসপাতালে (মেডিক্যাল কলেজ) থাকার সময় ডাক্তারবাবু গোরাবাজের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তখন আমার দোকানে জিনিসপত্র কিনতে আসতেন। সেই সময় তাঁকে দেখেছিলাম। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর তাঁকে দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar Incident: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার সুপ্রিম শুনানির পর নবান্নে  সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আরজি করে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পরিবার মিথ্যা কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে পাল্টা নিশানা করলেন নির্যাতিতার মা। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    টাকা দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন (RG Kar Incident)

    নির্যাতিতার মা (Sodepur) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে এসে আমাদের বলেছিলেন, আপনারা তো একটা টাকা পাবেন। মেয়ের স্মৃতির জন্য কিছু একটা তৈরি করে রাখবেন। আমি তখন বলেছিলাম, যখন আমার মেয়ে বিচার (RG Kar Incident) পাবে, তখন আপনার দফতরে গিয়ে সেই টাকা নিয়ে আসব। আর পুলিশের থেকে আমাদের কাছে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’’ নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর লোকজন এই আন্দোলনকে গলা টিপে হত্যা করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে যেভাবে গলা টিপে মারা হয়েছে, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে, ঠিক সেই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনের গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছেন। কারণ, আন্দোলনটা থেমে গেলে তিনি নিজের জায়গায় ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবেন।’’ অভয়ার মায়ের কথায়, ‘‘যতদিন না বিচার পাব, ততদিন আমরা পথে থাকব, আন্দোলনে থাকব।’’

    কাজে ফেরা নিয়ে সরব নির্যাতিতার মা?

    ডাক্তারদের আন্দোলন (RG Kar Incident) থেকে কাজে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে আবেদন জানিয়েছেন তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘ডাক্তারেরা যদি নিজেদেরকে নিরাপদ না মনে করেন তাহলে তাহারা কীভাবে কাজে যোগ দেবেন?’’ ডাক্তারদের আন্দোলনে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তা নিয়ে মা বলেন, ‘‘হাসপাতালে অনেক ক্রিটিকাল রোগী মারা যান। আমার মেয়ে যখন হাসপাতালে রোগী দেখত, তখন ওর কাছেই জানতাম। কিন্তু, তার সঙ্গে আন্দোলনের কী সম্পর্ক?’’

    উৎসবে ফেরা নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার মা?

    রাজ্যের মানুষকে উৎসবে ফেরার যে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার কাছে অমানবিক মনে হচ্ছে, কারণ আমি তো মেয়ের মা। আমি তো সন্তান হারিয়েছি, তাই আমার অমানবিক মনে হচ্ছে। গোটা দেশের মানুষ যদি ভাবে উৎসবে ফিরবে তাহলে তারে ফিরতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা আমার মেয়েকে (RG Kar Incident) নিজের পরিবারের সদস্য বলে মনে করছেন। তাঁরা যদি উৎসবে ফিরতে পারেন, আমার কিছু বলার নেই। আমার বাড়িতেও দুর্গাপুজো হত, মেয়ে ঘরে করত। কিন্তু আমার বাড়িতে আর কোনওদিন দুর্গাপুজোর আলো জ্বলবে না। আমার ঘরের বাতি নিভে গিয়েছে। আমি কি করে মানুষকে বলব উৎসবে ফিরতে?’’ মায়ের প্রশ্ন ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে যদি এমন ঘটনা ঘটত তাহলে কি উনি একথা বলতে পারতেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) দেখবেন না, এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। এই মন্দিরে মা কালীর জগৎজোড়া খ্যাতি। বর্তমান মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছরের আশপাশে। কিন্তু, তার আগেও এখানে মায়ের নিত্য পুজো হত। বহু ভক্তের সমাগম হত। মন্দিরের পাশ দিয়ে তখন আদি গঙ্গায় টলটল করত জল। নৌকা পথে বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসতেন। আর এখন মাকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন।

    কালীঘাটের আদি কথা (Kalighat Temple)

    কথিত আছে, কালীঘাটে (Kalighat Temple) দেবী সতীর পায়ের চারটে আঙুল পড়েছিল। এই মন্দিরে দেবীর পদতলে রয়েছে রুপোর তৈরি মহাদেব। দেবী কালী ডানহাতে অভয় আর বর দেন। তাঁর ডানদিকের দুটি হাতের একটিতে রয়েছে অভয় মুদ্রা। অন্যটি বরমুদ্রা। দেবীর বামহাতে আবার রয়েছে খড়্গ এবং বামদিকের নীচের হাতে ঝোলানো রয়েছে মুণ্ড। এই দেবী হলেন চামুণ্ডা। তাঁর হাতে যে খড়্গ রয়েছে, সেটা হল জ্ঞানখা। তিনি সেই খড়্গ দিয়ে অজ্ঞানতা নাশ করেন। কালীক্ষেত্র দীপিকা অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের মধ্যভাগে ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক দেবী কালীর পুজো করতেন। তিনি তাঁর জামাই আগমাচার্য ভবানীদাস চক্রবর্তীকে কালীঘাটের মন্দির হস্তান্তরিত করেছিলেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যর কাকা রাজা বসন্ত রায় এখানে মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন। পরে, দেবীর মন্দির জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৮০৯ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা এখানে মন্দির তৈরি করে দেন। এমনটাই দাবি, এই মন্দিরের সেবায়েত হালদার পরিবারের। কালীঘাটে দেবীর মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শ্যামরায়ের মন্দির। যা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়ির সদস্যরা। দেবীর মন্দিরের সামনের নাটমন্দির ১৮৩৫ সালে  তৈরি করেছিলেন আন্দুলের মহারাজ কাশীনাথ রায়। পঞ্জাবের তারা সিং এসে আবার গঠন করেছিলেন কালীঘাটের দেবী কালীর ভৈরব নকুলেশ্বরের মন্দির। এছাড়াও অন্যান্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীরাও এই মন্দিরের চারপাশ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। বিহারের মুঙ্গেরের ব্যবসায়ী গোবর্ধন দাস যেমন বানিয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরের আশপাশের রাস্তা। ১৮৪৩ সালে বৈষ্ণব উদয় নারায়ণ মণ্ডল কালীঘাট মন্দির চত্বরে বর্তমান শ্যামরাই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে মদন গোপাল কোলে শ্যামরাই মন্দিরের জন্য একটি দোল মঞ্চ স্থাপন করেছিলেন।

    পুকুর থেকে উঠেছিল কালীর মূর্তি!

    এই মন্দিরের পূর্বদিকে একটি পুকুর আছে। এই পুকুর কুণ্ডপুকুর নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, সেই পুকুর থেকেই উঠে এসেছিল কালীঘাটের দেবী কালীর মূর্তি। রানি রাসমণিও নিত্যদিন কালীঘাটের এই মন্দিরে যাতায়াত করতেন। এখানে দেবীর মুখমণ্ডল একটি কষ্টিপাথরের শিলাখণ্ড। পাইকপাড়ার রাজা ইন্দ্র চন্দ্রসিং বাহাদুর দেবীর প্রতিদিনের ভোগের খরচ বহন করতেন। নেপালের জং বাহাদুর দেবীকে রুপোর ছাতা দিয়েছিলেন। প্রথমে দেবীর ছিল রুপোর হাত। পরে, বানানো হয় সোনার হাত। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের রাজা সন্তোষ রায়ের থেকে প্রতিদিন কালীঘাট মন্দিরে ভোগের জিনিসপত্র আসত।  বর্তমানে পালাদার বা দেবীর সেবার ভার যাঁর ওপর পড়ে, তিনিই ভোগের খরচা বহন করেন। কোনও প্রাচীন তন্ত্রেও কালীঘাটের উল্লেখ নেই। কেবল মহানীল তন্ত্রে “কালীঘাটে গুহ্যকালী” বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বাবু গৌরদাস বসাক বলেছেন, পঞ্চদশ শতাব্দীতে কালীঘাটের কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ১৫৪৪ সালে যে চণ্ডীকাব্যে গঙ্গাতীরের বর্ণনা করেছেন, সেখানে কালীঘাটের বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়।

    কালীঘাটে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও আলীবর্দী

    ইতিহাসের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, নবদ্বীপপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নবাব সরকারের কাছে ১২ লক্ষ টাকা খাজানার দায়ে ঋণী হওয়ায় মুর্শিদাবাদে কারারুদ্ধ হন। নবাব আলীবর্দী খাঁ রাজার গুণগরিমা জানতেন। তাই, অন্যদের মতো তাঁকে কারাগারে না রেখে নিজের সভায় রাখতেন। একবার কৃষ্ণচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে নবাব আলিবর্দী নৌকা বিহারে যান। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব বাহাদুরকে নিজের জমিদার দেখানোর জন্য কলকাতা (Kolkata) পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখানে আদিগঙ্গায় নৌকা রেখে তাঁরা জঙ্গলে কিছুটা পথ হেঁটে একটি ছোট্ট কুটিরে এই কালী মূর্তি ও তাঁর উপাসককে দেখতে পান। রাজা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ব্রাহ্মণের সঙ্গে কথাবার্তায় জানতে পারেন, এটা সতী দেবীর অংশপীঠ। এই কালীর নামানুসারে স্থানের নাম কালীঘাট (Kalighat Temple)। ব্রাহ্মণ নিতান্ত নির্লোভী, কিছুমাত্র কাহারও সাহায্য প্রার্থী নন। কিন্তু, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাবকে অনুরোধ করে কালীর জন্য কিছু দেবোত্তর মঞ্জুর করতে বলেন। নবাব ব্রাহ্মণের নির্ভীকতা ও একাকী এই জঙ্গলে নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করতে দেখে আশ্চর্য হন। তিনি রাজার অনুরোধ মাত্র উক্ত প্রদেশ কালীর দেব সেবার জন্য প্রদান করিলেন। আর রাজাকেও তাঁর সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত করে দেন। তবে, অনেকে এই তথ্য মানতে চান না। অনেকে আবার বলেন, মহারাজা বসন্ত রায় নিজের গুরু ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারীকে ১৬ শতাব্দীতে কালীঘাটের ছয় শত বিঘা ভূমি দেবোত্তর দান করিয়াছিলেন, ইহাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ, উক্ত প্রদেশ সে সময় যশোহর-পতিদিগেরই দখলে ছিল। সাবর্ণ চৌধুরী কেশব রায়ের পুত্র সন্তোষ রায় কালীর বর্তমান মন্দির তৈরি করেছিলেন।

    কালীঘাট মন্দিরে মা সারদা

    জানা যায়, শ্রীমা সারদাদেবীও কালীঘাটে (Kalighat Temple) মা কালীকে দর্শন করতে এসেছিলেন। সে সময় তাঁরও অদ্ভুত দর্শন হয়েছিল। মন্দিরে সিঁদুর-আলতা দিয়ে পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে যখন এয়ো স্ত্রীদের মাথায় তিনি সিঁদুর দিয়ে দিচ্ছেন, পাশে দাঁড়ানো এক অপরিচিত কালো মেয়ের কপালেও তিনি সিঁদুরের ফোঁটা এঁকে দিলেন। মেয়েটির কপালে হাত দিতেই সে ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। সারদা মা বলে উঠলেন, কী মা ব্যথা পেলে? এই বলে মেয়েটির মুখের দিকে ভালো করে তাকাতেই দেখলেন মেয়েটির কপালের ত্রিনয়নে কিছুটা সিঁদুর পড়েছে। কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারালেন শ্রীমা। পরে মেয়েটিকে খোঁজ করেও আর পাওয়া গেল না। পরে, শ্রীমা নিজের ঘনিষ্ঠজনের কাছে সে কথা বলেছিলেন।

    মন্দিরে সোনার চূড়া

    দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। ধীরে ধীরে নতুন রূপে সেজে উঠছে সেই প্রাচীন মন্দির (Kalighat Temple)। রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে। মন্দিরের অন্দরসজ্জার জন্য সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। সেই সোনার চূড়া একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। বর্তমানে এই মন্দিরটি ৬টি ভাগে বিভক্ত-ষষ্ঠী তলা, নাট মন্দির, জোড় বাংলা, হারকাঠ তলা, রাধা কৃষ্ণ মন্দির এবং কুন্ড পুকুর। বর্তমানে যে মূর্তিটিকে পুজো করা হয় সেটি কষ্টি পাথরের তৈরি, যা সোনা ও রূপ দিয়ে কাজ করা। বর্তমান জিভটি প্রায় ২ কিলো ১৯১ গ্রাম রুপোর উপর ৫৫৮ গ্রাম সোনা দিয়ে মোড়া। মাকে দর্শন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের লাইন পড়়ে এই মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    Murshidabad: ডাক্তারের পর নার্স, নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর দেহ উদ্ধার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে হাসপাতালে ডিউটি করতে গিয়ে খুন হন চিকিৎসক পড়ুয়া। হাসপাতালের মধ্যে ধর্ষণ করে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আরজি করের সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে এক নার্স (Nurse) হস্টেল থেকে বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজে গিয়ে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। চারদিন পর গঙ্গা থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর এলাকায়। মৃতার বয়স ২৩ বছর। তাঁর বাড়ি বহরমপুর থানার কোদলা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর (Murshidabad) স্টেশন সংলগ্ন শিল্পতালুকের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। গত বুধবার তিনি হস্টেল থেকে নার্সিংহোমে ডিউটি করতে যান। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আর হস্টেলে ফেরেননি। অপহরণ হওয়ার দাবিও বাসা বেঁধেছিল নিকটজনের মনে। শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গঙ্গার ধারে কোদলা ঘাটে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বহরমপুর থানার পুলিশ এসে পচাগলা সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

    জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বহরমপুরের একটি হস্টেলে থাকতেন ওই নার্স। বুধবার রাত আটটার সময় ডিউটি শেষ করে তাঁর হস্টেলে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে তিনি সেদিন ফেরেননি। মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় অপহরণের দাবিও করেন মৃতের পরিবার। যদিও বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী সেতুতে একজোড়া জুতো দেখতে পায়। রাতে ওই এলাকায় গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার শব্দও শুনতে পান স্থানীয় গান্ধী কলোনির বাসিন্দারা। জুতো ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ রাত দেড়টা নাগাদ কোদলা থেকে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়মমাফিক চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর রাতেই হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখা হয়। রবিবার মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়।  

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    মৃতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    মৃতার মা বলেন, মেয়ের সঙ্গে বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শেষবার কথা হয়েছিল। পরে, হস্টেলে (Murshidabad) ফিরে ফোন করার কথা বলা হলেও মেয়ে আর ফোন করেনি। এরপর রাত ১০ টা নাগাদ মেয়েকে ফোন করলে মোবাইল সুইচড অফ পাই। থানায় অপহরণের অভিযোগ করি। চারদিন পর মেয়ের দেহ মিলল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। এই ঘটনার পিছনে তাদেরও গাফিলতি রয়েছে। আমরা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    RG Kar Protest: জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা রাস্তায় নেমে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সোমবার আরজি কর-কর মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহের মধ্যে জনতার মতামত জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ বসাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Juniro Doctor)। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী কী প্রশ্ন রাখা হয়েছে? (RG Kar Protest)

    ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। এমনিতেই আন্দোলন (RG Kar Protest) চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘অভয়া ক্লিনিক’- এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার জেলায় জেলায় সকাল ১০টা থেকে ‘অভয়া ক্লিনিক’- এর আয়োজন করা হয়েছে। সেই ‘অভয়া ক্লিনিক’ সংলগ্ন এলাকাতেই ‘আদালত’ বসাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষকে সেই ‘আদালতে’ উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা করতে এদিন অনেকেই ভিড় করছেন। জনতার কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথমেই জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আন্দোলন কোন পথে চলছে?’ একই সঙ্গে তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন কি না। ‘অভয়া ক্লিনিক’ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, তা জানতে চান তাঁরা। পাশাপাশি, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত এবং আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে ‘পুলিশ এবং সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে’ সাধারণ মানুষ কী বলছে তা জানতে চান তাঁরা।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    মানববন্ধন

    ‘অভয়া ক্লিনিক’ এবং ‘রাজপথে আদালত’ ছাড়াও রবিবার মানববন্ধনেরও (RG Kar Protest) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। রবিবার বিকেল পাঁচটায় মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও, মধ্যরাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসকের খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও কর্মসূচির আয়োজন করছেন। সেখানে শুধু চিকিৎসকেরা নন, সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন। আন্দোলনকারীরা আশাবাদী, রবিবারের কর্মসূচিতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    আদালতে কী হল?

    খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।”

    নির্যাতিতার মা কী বললেন?

    সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, “আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডে গণেশ পুজো ম্লান, ফ্লেক্স টাঙিয়ে বিচার চাইলেন উদ্যোক্তারা

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডে গণেশ পুজো ম্লান, ফ্লেক্স টাঙিয়ে বিচার চাইলেন উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) রাজ্য তথা দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা বিচার চেয়ে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যজুড়ে মেয়েরা রাত দখলের ডাক দিয়ে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদানও একের পর এক পুজো কমিটি ফিরিয়ে দিচ্ছে। এই আবহে এবার সোদপুর, পানিহাটি, পানশিলায় অন্যরকম গণেশপুজো দেখলেন এলাকার মানুষ। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সমব্যাথী হয়ে অধিকাংশ পুজো কমিটি এবার নমো নমো করে গণেশ পুজো সেরেছেন।

    গণেশ পুজোয় জাঁকজমক উধাও! (RG Kar Protest)

    নির্যাতিতার বাড়ি পানিহাটি পুরসভা এলাকায়। সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে অধিকাংশ দিনই বিভিন্ন সংগঠন অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথে (RG Kar Protest) নামছে। ফলে, পানিহাটি, সোদপুর, আগরপাড়ার মানুষ কেউ এই ঘটনাকে ঠিক মেনে নিতে পারছেন না। এমনিতেই প্রতিবছর এই এলাকায় গণেশ পুজোয় বিশেষ আয়োজন করেন বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো লেগেই থাকে। আর পুজো মানেই থিমের ছড়াছড়ি। গণেশ প্রতিমা কার কত বড় হবে, তা নিয়ে চলে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা। এবার সে সবই যেন উধাও। সোদপুর, পানশিলা এলাকা ঘুরে দেখা গেল, এবার অধিকাংশ পুজো হচ্ছে নমো নমো করে। প্রত্যেকটি পুজো কমিটি ব্যানার, ফেস্টুন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাইক বাজানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস

    পুজো উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    সোদপুরে (RG Kar Protest) পানশিলা গণপতি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চক্রবর্তী জানালেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনাটির প্রতিবাদে আমরা মাইক বাজানো বন্ধ রাখছি। হচ্ছে না কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।” সোদপুরে সাধুর মোড় পুজো কমিটিও প্রতি বছর জাঁকজমক করে গণেশ পুজো (Ganesh Puja) করে। হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এবার পুজো উদ্যোক্তারা আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে এলাকায় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। পুজো কমিটির কর্তা নান্টু দত্ত বলেন, “আর জি করের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এবার গণেশ পুজো করছি। কিন্তু, পুজোয় কোনও জৌলুস থাকছে না। কারণ, আমাদের কারও মন ভালো নেই। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বিচার চেয়ে আমরা ফ্লেক্স তৈরি করেছি। এলাকার একাধিক জায়গায় ফ্লেক্স টাঙিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা, বৃষ্টি কবে থেকে?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা, বৃষ্টি কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপের (Weather Update) জোড়া দাপটে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে ৩-৪ দিন ধরে। সোম ও মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হবে বাংলাজুড়েই। বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বঙ্গের ৬ জেলা। দু এক জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জেরে গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।

    যেতে মানা মৎস্যজীবীদের (Weather Update)

    আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। এই নিম্নচাপটি আপাতত অবস্থান করছে দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এটি খুব ধীরে ধীরে উত্তর দিকে এগোবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে উপকূলে। সমুদ্র হতে পারে উত্তাল। তাই মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মৎস্যজীবীদের রবিবার সকালের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে মানা মৎস্যজীবীদের।

    আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজভবন সংঘাত! মমতার ‘অপরাজিতা বিল’ রাষ্ট্রপতিকে পাঠালেন বোস

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    কলকাতায় রবিবার সকালে রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ থাকবে। চড়া রোদ ও সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে। বেলায় কখনও আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। স্বল্প সময়ের খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে। ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কোনও সম্ভাবনা নেই।  দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলা— পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলার অনেক জায়গায় রবিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হতে পারে। ১০ সেপ্টেম্বর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। সোমবার এবং মঙ্গলবার বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। মূলত উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    রবিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়বে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই। একইসঙ্গে অস্বস্তি ও বাড়বে। নিচের দিকের জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়তে পারে। এরপর আবার সোমবার ও মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি এই তিন জেলাতে। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই স্থানীয়ভাবে স্বল্প সময়ের জন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে প্রতিদিনই। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, সিকিম, ঝাড়খণ্ড এবং তেলঙ্গানায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share