Tag: West Bengal

West Bengal

  • Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘খরচের অডিট হচ্ছে না’, দুর্গাপুজোর অনুদান মামলায় রাজ্যকে নোটিশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে একের পর এক ক্লাব তৃণমূল সরকারের দেওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলির কয়েকটি ক্লাব ছাড়াও অনুদান ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতার একটি ক্লাবও। আর এবার সেই অনুদান নিয়েই রাজ্যকে নোটিশ দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর অনুদান দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রতি বছর বাড়ছে সেই অনুদানের অঙ্ক। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজো সংগঠনগুলির সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আগামী বছর অনুদান বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) অনুদান নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, পুজোর অনুদান বেড়েছে। কিন্তু, খরচের বিষয়ে সঠিকভাবে অডিট হচ্ছে না। অনুদানের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, আদৌ পুজোয় খরচ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘অনেক ক্লাব নাকি অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছে!’ অডিটের বিষয়ে রাজ্যকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    ফের পুজোর অনুদান ফেরাল ক্লাব

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই পুজোর অনুদান (Durga Puja Grant) বয়কট করার ঘোষণা করেছে রাজ্যের সাতটি ক্লাব। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল পূর্ব বর্ধমানের কালনার ‘পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি’র। অনুদান প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা করেছে তারা। সংহতির দুর্গাপুজো এ বার ২৭তম বছরে পা দিল। ক্লাবের তরফে কালনা থানার আইসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বছর সরকারি অনুদান তারা নেবে না। ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ওই চিঠিতে লিখেছেন, “চলতি বছর অনিবার্য কারণে আমরা এই অনুদান গ্রহণে অপারগ। বরং এই অর্থমূল্য আপনারা গরিব কল্যাণে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করলে তৃপ্তি পাব।”

    তালিকায় একাধিক ক্লাব

    প্রসঙ্গত, কলকাতার আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান (Durga Puja Grant) এর আগে হুগলির চারটি ক্লাব উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সরকারি অনুদান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। একই সুরে অনুদান বয়কট করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    RG Kar Protest: বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর ‘অতিসক্রিয়’ পুলিশ, কাঁচরাপাড়ায় ছাত্রীকে মার তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) রাজ্যজুড়ে রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান সাধারণ মানুষ। কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায়। আর সেই একই ধাঁচে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    বিচারের দাবিতে রাত দখলে সামিল হন সাধারণ মানুষ, তখনই পুলিশের অতিসক্রিয়তার ছবি ধরা পড়ল বারাসতে। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চাইতে বুধবার রাতে বারাসত কলোনি মোড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বসে তাঁরা ছবি আঁকছিলেন। আচমকা পুলিশ সেখানে আসে। এক পুলিশ আধিকারিক অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের হিন্দিতে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় এক আন্দোলনকারী ওই পুলিশ আধিকারিককে বাংলায় কথা বলতে বলেন। আর ঠিক সেই সময়ই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই আন্দোলনকারীর ওপর চড়াও হয়। বাকিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের রোষের মুখে পড়েন সকল আন্দোলনকারী। সকলের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। জোর করে রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয়। আন্দোলন চলাকালীনই টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তোলা হল গাড়িতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বাংলায় পুলিশ আধিকারিককে কথা বলতে বলার জন্য এভাবে আমাদের ওপর পুলিশ হামলা (RG Kar Protest) চালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা মহিলা পুলিশের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কলোনি মোড়ে যে অবরোধ করেছিলেন তার কোনও অনুমতি ছিল না। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকার ফলে প্রচুর পচনশীল জিনিস ট্রাক আটকে ছিল। চালকরা অবরোধ তুলে নেওয়া বা রাস্তার একটি লেন ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বলেন। কোনওভাবেই তাঁরা কথা শুনছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেফতার করে।

    কাঁচরাপাড়ায় নাবালিকার প্রতিবাদীর ওপর হামলা

    বুধবার রাতে কাঁচরাপাড়ায় (RG Kar Protest) এক প্রতিবাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়ার গান্ধী মূর্তির পদদেশে ‘রাত দখলের’ কর্মসূচি চলছিল। সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছিল কাঁচরাপাড়া সারদা দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌ সরকার। জানা গিয়েছে, প্রতিবাদ চলাকালীন মদ্যপ অবস্থায় একদল যুবক সেখানে হাজির হয়। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়। হাত মুচড়েও দেয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে সে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  যুবকরা সকলে তৃণমূলের দলবল বলে জানিয়েছেন নাবালিকার বাবা। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

    আক্রান্ত ছাত্রীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত ছাত্রী বলে, “আমি ওদের পরিচয় জানি না। হঠাৎ করে এসে মাইক কেড়ে নেয়। আমি সেই মাইক চাইতে গেলে ঘিরে ধরে। আমায় ঘিরে ধরে। ওরা সকলে মদ্যপ অবস্থায় ছিল।” অপরদিকে, আহত নাবালিকার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। স্লোগান দিচ্ছিল। হঠাৎ করে গান্ধীমোড়ে তৃণমূলের মিছিল থেকে আসা একটি ছেলে ওর হাত মুচড়ে দেয়। ওর মা আমায় ডেকে নিয়ে গেল। আমি যাই ওইখানে। ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করি এই কাজটা কি ভাল করলেন? একটা মেয়ের হাত মুচড়ে দিলেন। আবার আপনারাই বলছেন জাস্টিস চাই? সঙ্গে সঙ্গে আমায় মারতে এল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নম্বর দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রদের একটানা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সুদীপ্ত শীল। টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসকদের বদলির হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডিনের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডিন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।

    আন্দোলনের চাপে ডিনের পদত্যাগ! (North Bengal Medical)

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। চিকিৎসক অভীক দে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সরব হন ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ঘেরাও হন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, ডিন এবং অতিরিক্ত ডিন। অবিলম্বে হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন মূলত অভীক দে-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয় কলেজে। শুধু তাই নয়, অভীককে মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) ঢুকতে না দেওয়ার দাবিও জানান জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    এরই মধ্যে, অভিযোগ ওঠে যে, বিশেষ একজন ছাত্রনেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এই অভিযোগেই ছাত্র-ছাত্রীসহ অধ্যাপকরা ঘিরে ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। পরে, সন্দীপ সেনগুপ্ত স্বীকার করে নেন যে অভীক দে-র ফোন যেত তাঁর কাছে। ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে এরপরেই পদত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    কী সাফাই দিলেন ডিন?

    মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম। তাই তাঁদের বক্তব্যকে অনুধাবন করতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। পরীক্ষা নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। আমি পরীক্ষক ছিলাম না। তাই, সেই দায় আমার নয়। তবে, আমাদের আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “আমি দায়ভার নিয়ে নয়, ছাত্রদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলা যখন পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ছবি এঁকে, গান গেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। আচমকা শাসক দলের কর্মীরা দল এসে জল ঢেলে সব ছবি আঁকা মুছে দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদীরা রীতিমতো চমকে যান এই আকস্মিক হামলায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরের চৌপতিতে বুধবার গণতান্ত্রিক লেখক সংগঠন এবং ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচির (RG Kar Protest) আয়োজন করা হয়েছিল। বহু সাধারণ মানুষ তাতে শামিল হয়েছিলেন। রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদের প্রতীকী ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। অভিযোগ, কর্মসূচি চলাকালীন আচমকা ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় তৃণমল নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদীদের মারধর করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবাদীদের কথা কাটাকাটিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। অভিযোগ, রাস্তায় আঁকা প্রতিবাদের ছবি জল ঢেলে মুছে দেন তৃণমূল কর্মীরা।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে আয়োজকদের এক জন বলেন, “গণসংগঠনের তরফে আমরা আরজি করের প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। গান-বাজনা-আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। বহু বিশিষ্ট নাগরিক প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। কোনও রাজনৈতিক ঝান্ডা ছিল না। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে আমাদের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিচার চেয়ে রাস্তায় ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। তাও মুছে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    ঘটনার নিন্দায় বিরোধী দলনেতা

    ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মাথাভাঙায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে (RG Kar Protest) কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এবং তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে।” এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ ন্যায়ের জন্য আলো জ্বালাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তৃণমূল এই মোমবাতির আলোর তাপ সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা জোর করে আলো নেভানোর চেষ্টা করছে। এমনকী, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিবাদীদের ছবিকেও মুছে ফেলছে।”

    সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    এক্স হ্যান্ডলে মাথাভাঙার ঘটনার (RG Kar Protest) নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূল গণতন্ত্র-বিরোধী এবং মানবতা-বিরোধী বলে আক্রমণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদের রেশ এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও (North Bengal Medical) দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটল। অভিযোগ খোদ অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা এবং ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে। পরীক্ষায় কারচুপি, ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকিতে মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে তৃণমূলের নামে ছাত্র সংসদ পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে বুধবার তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন।

     অধ্যক্ষকে ঘেরাও কেন? (North Bengal Medical)

    রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন তৃণমূলের ছ’জন ছাত্রনেতার নামে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, হস্টেলে ঘর বণ্টন নিয়ে দাদাগিরি, অনৈতিকভাবে টাকা তোলার অভিযোগ করেন। ওই  ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সংসদ বাতিলের দাবিতে অধ্যক্ষ ও ডিনকে ঘেরাও করেন আন্দোলন রত জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করকাণ্ডে বিতর্কিত তৃণমূল ছাত্র নেতা অভীক দের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকারকে অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে বরখাস্ত করার জোরালো দাবিও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    কে অভীক দে?

    নির্যাতিতা কাণ্ডে যে সব ভিডিও ভাইরাল হচ্ছিল, সেখানে সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হল। এই অভিক দে-র বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ।

     দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ!

    জুনিয়র ডাক্তারদের (North Bengal Medical) ঘেরাও আন্দোলনের মাঝে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে দুর্নীতির অভিযোগে চেপে ধরেন অধ্যাপক চিকিৎসকরাও। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক এসকে রায়ের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ও ডিন কীভাবে পরীক্ষায় কারচুপির পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমাদেরকে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, নকল না ধরার জন্য। ফেল করা এক ছাত্রীকে পাশ করানোর জন্য সন্দীপ সেনগুপ্ত দিনের পর দিন নানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ট্যাবুলেশন শিটে হোয়াইটনার দিয়ে প্রকৃত নম্বর মুছে উত্তরের লবির ছাত্রদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ৫২ নম্বর বাড়়িয়ে ৮০!

    এই অভীকের বিরুদ্ধে শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা নয়, ডিপার্টমেন্টাল হেডরাও সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একজন ছাত্র নেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এক অধ্যক্ষ বলেন, “নম্বর ধরে ধরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাকলে ফাইল দেখাব।” এদিন ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা ঘিরে ধরেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। তাঁরা জানতে চান নম্বর বাড়ানোর পিছনে কে যুক্ত। প্রথমে ডিন মানতে না চাইলেও পরে আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে কার্যত মুখ খোলেন তিনি। ডিন অফ স্টুডেন্স বলেন, “কোনও-কোনও সময় অভীক দে-র ফোন আসত। তবে বারবার ফোন এলে আমি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যেতাম। অভীক ছাড়া কেউ ফোন করত না। তবে যতক্ষণ হলে ছিলাম, ততক্ষণ কড়া গার্ড দিয়েছি।” পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন নাম বলুন নাম। তখন আবার ডিন বলেন, “আমি অ্যাপোলজি চেয়ে বলছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল স্যরের কাছেও ফোন আসত। অভীক ছাড়া ফাইনাল ইয়ারে শাহিন সরকার ফোন করেছিল। আর কেউ নেই।” যদিও, প্রিন্সিপাল বলেন, “আমার কাছে কোনও ফোন আসত না।” আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা একটি ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করেন এখানে পরীক্ষা হল থেকে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical)  অভীকের অবাধ বিচরণ ছিল। সেই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের জন্মদিনে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন অভীক। কলেজ ক্যাম্পাসেই সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল। এরপর মাধা নিচু করে চুপ করে বসে থাকেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA:  ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    TMC MLA: ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে  তাঁর নামে শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। সাদা কাগজের ওপর কালো কালিতে লেখা দু’টি লাইন-‘বিধায়ক তুমি দূর হটো, চুঁচুড়ার নারীদের সম্মান বাঁচাও’। বুধবার সকাল থেকেই হুগলির চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নজরে পড়েছে এই পোস্টার। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে (TMC MLA)

    মঙ্গলবার চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে মহিলা কর্মী বলেন, “মহিলাদের উনি (বিধায়ক) সম্মান করেন না। ওঁর মুখের ভাষা খুবই খারাপ। মহিলাদের কুকথা বলেন। ভিডিও কল এবং মেসেজ করেন মহিলাদের। এখন ধিক্কার মিছিল করছেন শহরে। কিন্তু উনিই তো মহিলাদের সম্মান দিতে জানেন না। কেন এত দিন অভিযোগ করা হয়নি?

    মহিলার দাবি, “মহিলারা ভয়ে অভিযোগ করেন না। আমরা ভয় পাই না। তাই অভিযোগ করি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। সময় মতো সেগুলো সামনে আনব। ২০১৬ সাল থেকে আমি ‘বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে’ কাজ করছি। পুরসভার কর্মী হওয়ার পরেও আমাকে বিধায়কের বাড়িতে কাজ করতে হত। শুধু আমি একা নই, স্বামীও বিধায়কের টুকটাক লেখালিখির কাজ করে দিতেন। মাস ছয় আগে বিধায়কের বাড়ির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি যত দিন নিজের সম্মান পেয়েছিলাম, তত দিন ওঁর সঙ্গে ছিলাম। যখন সম্মানহানি হল, তখন বেরিয়ে এসেছি। যখন আমি ওঁর কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি, তখনই আমায় চোর বদনাম দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন।” শুধু তিনি একা নন, অনেক মহিলাকেই কুপ্রস্তাব দিতেন ওই বিধায়ক, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, “আমার কাছে ভিডিও কলের চ্যাট আছে।” তবে তিনি আশাবাদী দল ব্যবস্থা নেবে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, “আমি দলকে জানিয়েছি।”

    ভিডিও পোস্ট লকেটের

    প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সজল ঘোষেরা সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লকেটের কথায়, “এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু (TMC MLA)! আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক, এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।” সজলের সমাজমাধ্যমেও একই পোস্ট ঘুরছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC MLA)। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,“ আমি নিজেই জানি না বিষয়টা। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে পারি না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। কী অভিযোগ আছে সব শুনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) জেরে উত্তাল সারা দেশ। রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসকে অন্যভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক শিক্ষকরা। মেডিক্যালের (Raiganj Medical) সহকারি অধ্যাপক ডাঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন।

    শিক্ষক দিবসে এবার উপোস (Raiganj Medical)

    রায়গঞ্জ মেডিক্যাল (Raiganj Medical) কলেজের চিকিৎসক শিক্ষক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবারের শিক্ষক দিবস অন্য বারের মতো নয়। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তার জেরে এবারের শিক্ষক দিবসে কোনও শিক্ষকের শুভেচ্ছা গ্রহণের নৈতিক অধিকার নেই। তাই এবারে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তথা আমরা শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারে শিক্ষক দিবসে উপোস করব। আমরা কোনও উপহার নেব না। পাশাপাশি ওইদিন বিকেলে আমরা শপথগ্রহণও করব।” তিনি আরও বলেন, নিজেদের কাছে শপথ নেব যে, শিক্ষাঙ্গনে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দুর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াব। আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়েই সমাজ শুদ্ধ হবে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    প্রতিবাদে সামিল শিক্ষকরাও

    চিকিৎসক শিক্ষকদের এমন অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও। রায়গঞ্জ (Raiganj Medical) সহ আশপাশের এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় ঘড়িমোড়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হওয়ার কথা। অনিরুদ্ধ সিন‍্‍হা নামে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সমাজ রাজপথের দখল নেবে। এই অন্যায় ও অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তাই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সবাই এতে সামিল হন।’’ আরেক শিক্ষক দীপাঞ্জন ঘটকের কথায়, ‘‘দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে মুখরিত একটা ব্যতিক্রমী শিক্ষক দিবসের লক্ষ্যে এটাই আমাদের প্রয়াস। সব ক্ষেত্রের শিক্ষকদেরই ভেদাভেদহীন উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ রায়গঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দেবযানী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তা নারকীয়! সকলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক তথা শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’ রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা রাখি বিশ্বাস চিকিৎসক শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কোনও উপহার গ্রহণ করব না বলে জানান তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Scam) চিকিৎসক পড়ুয়ার খুনের পাশাপাশি এই হাসপাতাল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে এই হাসপাতালে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর হাত ধরেই কাজের বরাত পেয়েছেন ঘনিষ্ঠরা। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আলিপুর আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? (RG Kar Scam)

    এক সরকারি হাসপাতাল (RG Kar Scam) থেকে আরেক সরকারি হাসপাতাল। সন্দীপ ঘোষের সহচর ছিলেন বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা-রা। সন্দীপের সঙ্গেই হাসপাতাল বদল হত বিপ্লব-সুমনদের। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিতে এবার ত্রিফলা যোগের দাবি করল সিবিআই। আলিপুর আদালতে তাদের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে থাকাকালীন সন্দীপের সঙ্গে পরিচয় হয় ভেন্ডর বিপ্লব সিংয়ের। সন্দীপ ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপার পদে বদলি হতেই, সেখানে কাজ পেতে শুরু করেন বিপ্লব। তাঁর সূত্র ধরেই আরেক ভেন্ডর সুমন হাজরার সঙ্গে পরিচয় হয় সন্দীপের (Sandip Ghosh)। সুমনও ন্যাশনাল মেডিক্যালে বরাত পেতে শুরু করেন। এরপর সন্দীপ আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হওয়ার পর যাবতীয় টেন্ডার যেত বিপ্লব-সুমনের কাছে। আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির জাল তৈরিতে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল সন্দীপ-বিপ্লব-সুমনের। আদালতে নথি পেশ করে দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও দাবি করেন, ধৃত তিন জনের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। সেটা সামনে আসা দরকার।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    আরজি করে ‘বিগ স্ক্যাম’

    আলিপুর বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আদেশনামায় লিখেছেন, ‘‘কেস ডায়েরি যত্ন সহকারে খুঁটিয়ে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। এজেন্সিকে এই দুর্নীতির মানি ট্রেল ও কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’’ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আরজি করের (RG Kar Scam) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ-সহ তিন জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সুজিত কুমার ঝা-এর এজলাসে মামলাটি ওঠে। তবে সন্দীপের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানাননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তাঁদের আদালত চত্বরে দেখা মাত্রই ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে শোনা গেল চোর-চোর ও ধিক্কার স্লোগান। আদালত কক্ষ থেকে সন্দীপ-সহ চারজনকে বের করার সময়েও, ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। স্লোগানের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকে চড়ও মারেন একজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সন্দীপ ঘোষের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক সিবিআই’, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সন্দীপ ঘোষের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক সিবিআই’, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজভ্যালির মামলা ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে সিবিআই তদন্ত করেছিল। আরজি কর ইস্যুতে তদন্ত করছে সিবিআই। এমনকী, এই হাসপাতালের দুর্নীতি মামলার তদন্তভার রয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থার হাতে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এবার আরজি কর ইস্যুতে সন্দীপসহ সিবিআই হাতে থাকা মামলা ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করার আর্জি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখার সময় মঙ্গলবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা চাই সিবিআই এই রাজ্যের মামলা গুলো অন্য রাজ্যে নিয়ে যাক। যেমন রোজভ্যালির মামলা ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছিল। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলাও বাইরে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে শীঘ্রই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে অনুরোধ করে চিঠি লিখব।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারকেও এই বিষয়ে অনুরোধ করে বলব আপনারাও একই দাবি জানান।” শুভেন্দুর এই দাবি ঘিরেই বর্তমানে ফের নতুন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে কী মামলা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শুভেন্দু? তাঁর দাবি ঘিরে সেই জল্পনাই তীব্র হতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    সন্দীপ ঘনিষ্ঠরা পেতেন টেন্ডার!

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সন্দীপ-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। সন্দীপ ছাড়াও সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে আফসার আলি, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিং নামে তিন ব্যক্তিকে। এরমধ্যে আফসার সন্দীপের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। বাকি দুজন ভেন্ডর হিসেবে পরিচিত। কোনও অজ্ঞাত কারণে হাসপাতালের বেশিরভাগ টেন্ডার তাঁরাই পেয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। যদিও শুনানির শুরু থেকেই সন্দীপকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক সুজিত কুমার ঝা অভিযুক্ত সকলেরই ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ফের রাজ্যজুড়ে রাত দখলের ডাক, আন্দোলনে সামিল হবে নির্যাতিতার পরিবারও

    RG Kar Protest: ফের রাজ্যজুড়ে রাত দখলের ডাক, আন্দোলনে সামিল হবে নির্যাতিতার পরিবারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচারের দাবিতে স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন রাত দখলের (Raat Dokhol) অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। আবারও পথে নামছে আমজনতা। সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানির আগের ফের রাত দখল করার ডাক কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়। ইতিমধ্যেই কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন এলাকা সহ গোটা রাজ্য জুড়ে বহু জায়গাতেই ফের রাত দখলের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এই কর্মসূচিকে স্বতঃস্ফূর্ত নাগরিক প্রতিবাদ হিসেবেই দাবি করা হচ্ছে।

    রাত দখলের ডাক সোশ্যাল মিডিয়ায় (RG Kar Protest)

    সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির আগের রাতে নিজ নিজ এলাকায় রাত দখলের (Raat Dokhol)  ডাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। লেখা হয়েছে, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা রাত জাগছে সেই জনতা।’ প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে বিচারব্যবস্থার দিকেও। প্রশ্ন এক, ‘২৬ দিন গেলেও ধর্ষণের বিচার নেই কেন?’ প্রশ্ন দুই, ‘কর্মক্ষেত্রে মর্যাদার প্রশ্ন আদালত কানে নেয় না কেন?’ প্রশ্ন তিন, ‘কেন্দ্রে আনা নতুন আইনে লিঙ্গ প্রশ্ন পিছনে কেন?’ ৪ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি শুরু রাত ১১টায়। নিজ নিজ এলাকায় মানববন্ধন (RG Kar Protest) গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগে, রাত ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘরে ঘরে আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    কোথায় কোথায় আন্দোলন?

    বুধবার রাতে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Protest) সুবিচার চেয়ে ফের সাধারণ মানুষকে পথে নামার আর্জি জানিয়ে সমাজমাধ্যমে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে কলকাতার ধর্মতলা, শ্যামবাজার, যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড, গড়িয়াহাট, লেক গার্ডেন্স লর্ডস মোড়, কলেজ স্ট্রিট, নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা গেট, বেহালা, সিঁথির মোড় সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আরজি কর কাণ্ডের কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলও হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, কল্যাণী, আসানসোল, বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর, শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখল (Raat Dokhol) কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ফের উঠবে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই আরজি কর কাণ্ডে হস্তক্ষেপ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগের শুনানিতে পুলিশি তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের বক্তব্য জানাবে রাজ্য সরকারও। শুনানির আগের রাতে রাজ্যজুড়ে ফের প্রতিবাদে সরব হবেন রাজ্যবাসী।

    রাত দখলে থাকবে নির্যাতিতার পরিবার!

    নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারও এবার পা মেলাবে ‘রাত দখল’ (Raat Dokhol) কর্মসূচিতে। তবে তাঁর বাবা-মা থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী জানাল পরিবার? নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, “রাত দখলে (RG Kar Protest) পরিবারের সদস্যরা থাকবে। আমরা যাব কি না, গেলে কখন যাব, এখনও ঠিক হয়নি। তবে, গেলে আরজি করেই যাব।” তিনি আরও বলেন, “সন্দীপ ঘোষ দুর্নীতি মামলায় ধরা পড়েছে। আমাদের মেয়ের ব্যাপারে তো ধরা পড়েনি। তাই এই নিয়ে কি বলব! খুব তাড়াতাড়ি খুন ও দুর্নীতির মামলায় সাফল্য সিবিআই পাবে বলেই আশা রাখছি। তবে আমার মেয়ে দুর্নীতির বলি হয়েছে বলেই মনে করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share