Tag: West Bengal

West Bengal

  • RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    RG Kar Rally: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rally) সুবিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের ডাকে মধ্যমগ্রামে সামিল হলেন নির্যাতিতা পড়ুয়া চিকিৎসকের আত্মীয়রা। এর আগেও এই ইস্যুতে মধ্যমগ্রামে আন্দোলন হয়েছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহিলারা। প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়েছে। ফের মধ্যমগ্রামে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন।

    প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতা চিকিৎসকের আত্মীয়রা (RG Kar Rally)

    আরজি করের ঘটনার পর ১৪ অগাস্ট রাতে মহিলাদের রাস্তা দখল থেকে শুরু করে লাগাতার মধ্যমগ্রাম (Madhyamgram) প্রতিবাদের (RG Kar Rally) আওয়াজ তুলেছে দিনের পর দিন। কখনও ছোট জমায়েত, কখনও কয়েকশো মানুষের জমায়েত হয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চেয়ে সরব হয়েছে। অন্যান্য দিন এই প্রতিবাদ জমায়েত মধ্যরাতে হলেও রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন কয়েকশো সাধারণ মানুষ। অরাজনৈতিক এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন রুদ্রনীল ঘোষ। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ এর আগেও মধ্যমগ্রামে এই প্রতিবাদী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। 

    মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় তিন দিন ধরে চলা এক অরাজনৈতিক অবস্থান বিক্ষোভের শেষ দিনে এসেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। সেই দিনই ঘোষণা হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর ফের জমায়েত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর কথা হয়েছিল। সেইমতো এদিন কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন। এই মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়দের মধ্যে কাকিমা, মামা-মামী হাজির হয়েছিলেন। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা এসে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়। এদিন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার কাকিমা। তিনি বলেন, ‘‘ দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। আমরা সেই দাবিতেই রাস্তায় নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছি।’’ আন্দোলনকারীরাও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    পরিকল্পিতভাবে খুন

    প্রতিবাদের শামিল হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই আরজি করের (RG Kar Rally) নির্যাতিতাকে খুন করা হয়েছে। তাই, তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে এত দেরি হচ্ছে। মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। দোষীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল সরকার। পুলিশ দিয়ে মানুষের প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার আবেদন, পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু হন। জল কামানের প্রয়োজন নেই, বাংলার  মা-বোনেদের চোখে অনেক জল আছে। দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন সকলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    North 24 Parganas: ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি কর ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে কয়েকদিন আগে দলীয় কর্মীদের ‘ফোঁস’ করার নিদান দিয়েছিলেন। এই আবহের মধ্যে আরজি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করছেন, তাঁদের মা-বোনের বিকৃত ছবি বাড়ির দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) অশোকনগরের তৃণমূল নেতা অতীশ সরকার ওরফে ঝঙ্কু। তাঁর এ হেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (North 24 Parganas)

    মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সমাবেশে বক্তৃতা করতে গিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাকে কামড়াবেন না। কিন্তু, ফোঁস তো করতে পারেন।” দলনেত্রীর সেই ‘ফোঁস’ প্রসঙ্গ টেনে অশোকনগরের তৃণমূল নেতা অতীশ সরকার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। এক দলীয় কর্মসূচি থেকে অতীশ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোঁস করতে বলেছেন, সাবধান হয়ে যান। আমরা যদি পাড়ায় পাড়ায় ফোঁস করতে শুরু করি, তবে বাড়ি থেকে বার হতে পারবেন তো?” মমতার বিরোধিতা করলে ফল ভালো হবে না, এমন হুমকিও দেন অশোকনগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অতীশ। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। রবিবার সেখানেই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক পথসভা থেকে অতীশ বলেন, “আমরা যদি ফোঁস করি, তবে আপনার বাড়ির মা-বোনদের কুৎসা রটিয়ে যদি দরজায় টাঙিয়ে দিয়ে আসি, তা হলে সেই পোস্টার খুলতে পারবেন না। ওই দিন আর বেশি দূরে নেই। আমি এখানে দায়িত্ব নিয়ে বলে গেলাম।” অতীশের মন্তব্য প্রসঙ্গে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আমার এবং আমাদের জেলা সভাপতি কাকলি ঘোষদস্তিদারের কথা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    ‘তৃণমূলের গুণধর লুম্পেন বাহিনী’, কটাক্ষ সুকান্তর

    বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অতীশের ওই বক্তব্যের অংশ এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন। সেখানে অতীশকে ‘তৃণমূলের গুণধর লুম্পেন বাহিনী’ বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত।

    <

    কী বলল বিজেপি?

     বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “রাজনীতি করলে এই ধরনের কথা বলার অধিকার কোথা থেকে এসেছে। পুলিশের (North 24 Parganas) উচিত ওদের গ্রেফতার করা।” রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র এবং কনভেনার দীপ্তিমান বসু জানিয়েছেন, এ ভাবে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে আন্দোলন রোখা যাবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আবহের মধ্যেই রাজ্যের (West Bengal) দুই হাসপাতালে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। একটি বীরভূমে, অপরটি হাওড়াতে। বীরভূমের ইলামবাজার স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে এক নার্সকে শনিবার রাতে শ্লীলতাহানি (Crime Aganist Woman) করে এক রোগী-এমনটাই অভিযোগ। অন্যদিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতালে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে।

    বীরভূমের ঘটনা 

    শনিবার রাতেই বীরভূম জেলার ইলামবাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (West Bengal) এক নার্সকে এক রোগী কর্তব্যরত অবস্থায় শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আরজিকরের ঘটনার পরেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যে সে অর্থে গড়ে ওঠেনি এই ঘটনাই তার প্রমাণ, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন ওই নার্স স্যালাইনের বোতল দেখাশোনা করছিলেন। তখনই ওই নার্সকে শ্লীলতাহানি করেন ওই রোগী, এমনটাই অভিযোগ। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমকে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র ডাক্তারের নির্দেশ পালন করছিলাম। সেই সময় আমাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। শুধু তাই নয়, আমার গোপনাঙ্গেও হাত দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অশ্লীল শব্দও প্রয়োগ করেন ওই রোগী।’’ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

    হাওড়া জেলা হাসপাতালের ঘটনা (West Bengal)

    একইভাবে হাওড়াতে এক নাবালিকাকে জেলা হাসপাতালে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ (Crime Aganist Woman) উঠেছে এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিল ওই নাবালিকা। সিটি স্ক্যানের ঘরে ওই নাবালিকাকে যখন ঢোকানো হয় তখন তার পরিবারের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয় না অভিযুক্ত। সিটি স্ক্যানের ঘরেই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই (West Bengal) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ‘‘এই ঘটনাই প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা ঠিক কতটা!’’ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

     RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদ জানানোয় সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদারের ফোন নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা সরকারে (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছেন সাংবাদিক। এই ঘটনাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ওই সাংবাদিক। এতে ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদার।

    নাগরিক সমাজের আওয়াজ দমন (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ে রয়েছে মৌলিক অধিকার, এখানকার ১৯ (এ) ধারাতে বাক-স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আরজি কাণ্ডের পর থেকেই নাগরিক সমাজের আওয়াজকে দমন করতে মমতা সরকার (Mamata Banerjee) একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে, যা সংবিধান বিরোধী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিজিৎ মজুমদারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সামনে এল। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অগাস্ট সাংবাদিকের এয়ারটেলের নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেই দিনই ট্যুইট করেন অভিজিৎ এবং জানান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কথামতো এয়ারটেল তাঁর ফোন নং ব্লক করে দিয়েছে।

    কী বললেন সাংবাদিক?

    এরপরেই এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ওই সাংবাদিক। এয়ারটেল তাঁকে জানায়, সন্দেহজনক গতিবিধির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে অভিজিৎ লেখেন, ‘‘হয়তো কলকাতার ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে (RG Kar) আমি বেশি কথা বলে ফেলছিলাম, তাই আমার মুখ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (Rashtrapati Award) পেতে চলেছেন শ্যামনগর শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মারিক। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জাতীয় শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি ইছাপুর বিধানপল্লি এলাকায়। তাঁর এই পুরস্কার পাওয়ার খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়।

    প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা (Rashtrapati Award)

    শিক্ষক দিবসে (Teachers Day) প্রতি বছরেই কেন্দ্রের তরফে দেশের সেরা শিক্ষকদের পুরস্কৃত (Rashtrapati Award) করা হয়। এ বছর জাতীয় শিক্ষক সম্মানের জন্য সারা দেশ থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবছর দেশের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে শ্যামনগরের শালবাগান জিএসএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০ বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা করছেন। শালবাগান জিএসএফপি স্কুলে তিনি ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাবার খবরে খুশির জোয়ার গোটা শ্যামনগর জুড়ে। শুক্রবার বেলায় জাতীয় শিক্ষককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্মৃতি ধর ও তাঁর স্বামী রতন ধর-সহ বিশিষ্ট জনেরা। স্কুল পড়ুয়া এবং অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    প্রধান শিক্ষকের জন্য গর্বিত সহকর্মীরা

    শ্যামনগর (Shyamnagar) শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহকর্মীরা বলেন, প্রশান্তবাবুর মতো শিক্ষকের অনেক আগেই এই পুরস্কার পাওয়ার দরকার ছিল। তাঁর মতো শিক্ষক সকলের কাছে আদর্শের। শুধু পড়াশুনা করানো নয়, প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা তিনি দেন। তাঁর মতো শিক্ষকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা চরম খুশি। তিনি শুধু স্কুলের নয়, গোটা এলাকার মানুষের কাছে গর্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    হরিহর ঘোষাল

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিষ্টির দোকানে রঙীন বোঁদে দেখে অভ্যস্ত আম বাঙালি। তবে, সাদা বোঁদের চল শুধু কামারপুকুর ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। কামারপুকুরে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মভিটেতে গিয়েছেন আর ঠাকুরের প্রিয় সাদা বোঁদে খাননি, এরকম ভক্ত নেই বললেই চলে। তাই, কামারপুকুরের সাদা বোঁদের (Sada Bonde) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। 

    সাদা বোঁদের ইতিহাস (Sada Bonde)

    কামারপুকুরের সাদা বোঁদে কে কবে প্রথম প্রস্তুত করেছিলেন তার সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। আদিতে কামারপুকুরে এই সাদা বোঁদে তৈরি করত কয়েকটি হাতে গোনা পরিবার। জানা গিয়েছে, ১৭৯৩-৯৪ সাল নাগাদ কামারপুকুরে সাদা বোঁদে তৈরি করতেন জনৈক মধুসূদন মোদক। অতীতে কামারপুকুরের স্থানীয় চাষিরা বরবটি চাষ করে পাকা বরবটির বীজের জোগান দিতেন। সেই বরবটির বীজ কলাইকে প্রথমে জলে ধুয়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নেওয়া হত। এর পর সেই শুকনো কলাইকে পিষে বেসন তৈরি করা হত। কামারপুকুরের সাদা বোঁদের প্রধান উপাদান হল রমা কলাইয়ের বেসন এবং আতপ চালের গুঁড়ো। তার সঙ্গে লাগে গাওয়া ঘি বা বনস্পতি ঘি ও চিনির রস।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    ঠাকুর রামকৃষ্ণ-মা সারদার প্রিয় ছিল সাদা বোঁদে

    রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে ছিল কামারপুকুরের মোদক বাড়ির পাশেই। একটি মত অনুসারে, মধুসূদন মোদকের পুত্র দুর্গাদাসের বাল্যবন্ধু ছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ। বালক গদাধর (ঠাকুর রামকৃষ্ণ) তাঁর বন্ধু দুর্গাদাসের বাড়িতে গেলেই সাদা বোঁদে (Sada Bonde) খেতেন। অন্য মতে, গদাধর দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্করের দোকান থেকে সাদা বোঁদে কিনে খেতেন। সেই থেকে আজীবন কামারপুকুরের সেই সাদা বোঁদে খেতে খুব ভালোবাসতেন ঠাকুর। রামকৃষ্ণ কথামৃতে কামারপুকুরের সাদা বোঁদের উল্লেখ রয়েছে। কামারপুকুর মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ সাদা বোঁদে খেতে ভালবাসতেন, এমন কোনও নথি মিশনের কাছে নেই। তবে, সারদা দেবীর সাদা বোঁদে ভীষণ প্রিয় ছিল। তিনি দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্কর মোদকের দোকানের বোঁদে খুব ভালবাসতেন। তিনি ভক্তদের সাদা বোঁদে বা জিলিপি খেতে দিতেন। সেই থেকেই কামারপুকুরের সঙ্গে সাদা বোঁদে আর মোদক পরিবারের নাম জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে অধিগ্রহণ করে নেন। ক্রমে কামারপুকুর ঠাকুরের ভক্তদের জন্য একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয় এবং ভক্তদের মাধ্যমে ঠাকুরের স্নেহধন্য কামারপুকুরের সাদা বোঁদের জনপ্রিয়তা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি?

    আতপ চাল এবং রমা কলাই আজও ঢেঁকির সাহায্যে গুঁড়ো করা হয়। আগে ঘি দিয়েই তৈরি হত। এখন সেটি সাদা তেলে তৈরি হয়। সেই থেকে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়, যাকে খামি বলে। এটিকে ৪৫ মিনিট মতো মিষ্টির রসে ভিজিয়ে রাখা হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় সাদা বোঁদে (Sada Bonde)। গরমে ৫-৭ দিন বাইরে রাখলেও এই মিষ্টি নষ্ট হবে না।

    পরমহংসের ভোগে সাদা বোঁদে

    সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে কামারপুকুর-জয়রামবাটিতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। ভক্তরা ভ্রমণ শেষে এই কামারপুকুরের সাদা বোঁদে (Sada Bonde) সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যান। তাঁরা মনে করেন, তা না করলে ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কামারপুকুরের বাসিন্দারা সাদা বোঁদে নিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ। কামারপুকুরের বাসিন্দারা বাড়িতে অতিথি এলে সাদা বোঁদে দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন। বিবেকানন্দ মঠে রামকৃষ্ণ পরমহংসের (Ramkrishna Paramhans) ভোগে কামারপুকুরের সাদা বোঁদে দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মিষ্টির খোঁজে ঠাকুরের অনেক ভক্তরাই ছুটে এসেছেন, তার মধ্যে শ্রীম (কথামৃতের লেখক) অন্যতম। এই মিষ্টির চাহিদা এতটাই বেশি, যে মানুষ এসে খালি হাতে ফিরবেন না, এটি নিয়েই যাবেন। এমনকী কামারপুকুরে উৎসব, অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি সবকিছুতেই এই বোঁদের (Sada Bonde) চাহিদা খুব বেশি।

    বর্তমান অবস্থা

    জানা গিয়েছে, কামারপুকুরে মিষ্টির দোকানের সংখ্যা মোট কুড়িটি। তার মধ্যে তিনটি দোকান রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক সত্যকিঙ্কর মোদকের বংশধরদের। দোকানগুলি মঠ চত্বর, লাহা বাজার ও কামারপুকুর চটি এই তিনটি অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি মিষ্টির দোকানেই এই সাদা বোঁদে পাওয়া যায়। শীতের সময় অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ কামারপুকুরের পর্যটক সংখ্যা সব চেয়ে বেশি হয়। তখন চাহিদা মেটাতে মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা সাদা বোঁদের উৎপাদন বাড়িয়ে দেন। এই সময় প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ টন সাদা বোঁদে (Sada Bonde) তৈরি হয়। বছরের বাকি সময়টা দৈনিক ২-৩ টন সাদা বোঁদে উৎপাদন হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rally:  ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    RG Kar Rally: ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে বুদ্ধিজীবী-আইনজীবীদের মিছিল (RG Kar Rally) করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  শান্তিপূর্ণ মিছিলে যে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না, সেই বার্তা আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার কলকাতায় আরও একটি মিছিলের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামতে চেয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি বলে আদালতে দ্বারস্থ হতে হয়। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। অবশেষে আদালত মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে।

    মিছিল করা নিয়ে আদালতে আবেদন! (RG Kar Rally)

    নির্যাতিতার মা-বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, “যেভাবে এক একটা দিন চলে যাচ্ছে তাতে মেয়েটা সুবিচার পাবে তো?” সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল (RG Kar Rally) করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানান বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবীদের একাংশ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। রবীন্দ্রসদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করতে চান তাঁরা। ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটারারি বেঙ্গল’-এর তরফে এই মিছিল হওয়ার কথা। আদালতে  শুনানি শুরু হলে, রাজ্য জানায় যে মিছিলের সময় নিয়ে আপত্তি আছে তাদের। সংগঠনের তরফে আইনজীবী বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। ৩ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক হাজার জনের মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু সময় বদলাতে চাইছে রাজ্য, কারণ ওই সময় অফিস ছুটি হয়। পরে, সময় ছাড়া রাজ্য কোনও আপত্তি না করায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে অনুমোদন দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিয়েছেন?

    মিছিলের (RG Kar Rally) অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, “মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জয়েন্ট কমিশনার আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি দেবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবেন তাঁরা। চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, শুধু সময় বেঁধে দিয়ে আপনি কি সেটা আটকাতে পারবেন?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়ায় বিস্ফোরণে দুজনের মৃ্ত্যু, এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বাঁকুড়ায় বিস্ফোরণে দুজনের মৃ্ত্যু, এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) লাউপাহাড়ি এলাকায় বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর উত্তোলনের জন্য ডিনামাইট নিয়ে যাচ্ছিলেন দু’জন। তা ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের! ঘটনার পর পরই শালতোড়া থানার পুলিশ জখমদের প্রথমে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা (Bankura)

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার ঝনকা গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল এবং আরও একজন তাঁদের বাইকে ডিনামাইট নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তা ফেটে গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।” এই পোস্ট করে তিনি রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার এবং বাঁকুড়ার এসপিকে ট্যাগও করেছেন। অনুরোধ জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা না এড়িয়ে যেতে এবং কড়া ব্যবস্থা নিতে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের দেহ পুড়িয়ে ফেলার জন্য তাড়াহুড়ো করছে পুলিশ। তাই এনআইএ-কে তদন্তভার নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি এই পোস্টের মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে, জয়দেব মণ্ডল শালতোড়া এলাকার অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর উত্তোলনের জন্য ডিটোনেটর সাপ্লাই করতেন। তৃণমূলকে দুষেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শালতোড়া এলাকায় অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণের ঘটনা আগের থেকে আরও বেড়েছে তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর কারণে! আর এই কাজের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও যুক্ত। গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। অনুগ্রহ করে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য এনআইএ-র ডিজি-র কাছে তিনি আর্জি জানান।”

    <

    বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারটি গ্রাম!

    শালতোড়ার (Bankura) বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, “বিস্ফোরণের আওয়াজ এতটাই ছিল যে অন্তত চারটি গ্রাম কেঁপে উঠেছে। যে ছবি দেখেছি তাতে স্পষ্ট, জয়দেব বিস্ফোরক নিয়েই যাচ্ছিলেন। পুলিশ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার আরজি কর (RG Kar) কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই নিয়ে রাজভবনের সূত্রে জানানো হয় যে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন রাজ্যপাল (West Bengal Governor)। আরজি কর কাণ্ডের আবহে সারা বাংলা যেভাবে উত্তাল হয়েছে, সেই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ব্যাখা করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগে গত ২০ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তখনও আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যে আন্দোলন, সে সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে।

    তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা (RG Kar) ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে

    এদিন রাজ্যভবনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের (West Bengal Governor) তরফে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, আরজি করের নিহত তরুণীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে হৃদয় বিদারক চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানান। এছাড়া, বাংলার পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিল ও জনরোষ প্রসঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির প্রতিনিধিরা আগেই রাজভবনে যান

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তারপরে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর অনেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বুধবার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছিলেন। মমতার মন্তব্য ‘বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে’, বলে অভিমত সুকান্তর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন সুকান্ত। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুলপড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    নির্যাতিতার পরিবার (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবাচ-মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে, মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি, অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।” এদিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি, তাকে খুন করারও চেষ্টা করেছিল। সে নিজেও একজন তৃণমূল কর্মী।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করতে চেয়েছিল। আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব। পাল্টা তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হলেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share