Tag: West Bengal

West Bengal

  • Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দাপট কমে রাজ্যের আবহাওয়া (Weather Update) কিছুটা ঝরঝরে হয়েছিল। কিন্তু, সেটাও বেশিদিন আর স্থায়ী হল না। নতুন করে নিম্নচাপের জেরে আবার বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর রোদ-মেঘের খেলা চলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকেই ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে এই নিম্নচাপে বাংলায় ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের। নিম্নচাপে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায়। গুজরাট লাগোয়া আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা (Weather Update)

    আলিপুর (Kolkata) আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপটি তৈরি হবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর থাকা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে রাতলাম, দামহো, সিদ্ধি, চুর্ক, দিঘা হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া আছে। ২৯ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা। সমুদ্র উত্তাল হবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলা চলবে। হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল, বিশেষ করে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বেশ কয়েকটি জেলায়। ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাতেই থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং,কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বার বার তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী সকলেই এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠায় আরও বেশ একটা সুদৃঢ় প্রমাণ সামনে এসেছে। সেমিনার রুমের নীল রঙের একটা ম্যাট্রেসের ওপর পড়ে নির্যাতিতার দেহ। কিন্তু, তাঁর শরীরের ওপর কী রঙের চাদর ছিল? চাদরের রঙ বদলেছে বারবার। অন্ততপক্ষে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান ও জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া বয়ানে চাদরের রঙে পার্থক্য রয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে রহস্য তৈরি হয়েছে।

    চাদর রহস্য! (RG Kar Incident)

    আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের বয়ান অনুযায়ী, নীল রঙের ম্যাট্রেসের ওপর নির্যাতিতার (RG Kar Incident) শরীরে ছিল নীল রঙের চাদর। সেমিনার রুমের একটি ছবি পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও দেখা যায় নীল রঙের চাদর। কিন্তু, যখন বাবা-মা তাঁদের মেয়ের দেহ দেখতে পান, বদলে গিয়েছিল চাদরের রঙ! বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, চাদরের রঙ ছিল সবুজ। হাসপাতাল (Hospital) থেকে ফোন পাওয়ার পর ১২টা ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, মেয়েকে দেখতে পেয়েছিলেন দুপুর সাড়ে তিনটেয়। প্রশ্ন হল, তাহলে মাঝের সময়ে চাদর কি কেউ বদলে দিল?

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    মেয়ের দেহ সরিয়েছে!

    নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা বলেন, “আমরা যখন মেয়েকে দেখতে পাই। মেয়ে বেডের ওপর শুয়ে ছিল। পা দুটো ছড়ানো ছিল।  মেয়ের শরীরে সবুজ চাদর ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি নীল চাদর।” কেবল চাদরের রঙ নয়, মৃতদেহের অবস্থানও দুক্ষেত্রে দু’রকম। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “পাগুলো ছড়ানো ছিল। দুটো পা গদির ওপরে ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি একটা পা ম্যাট্রেসের বাইরে ডায়াসের ওপর রয়েছে। নিশ্চয়ই আমার মেয়ের দেহ কেউ সরিয়েছে।”

    সন্দীপকে গ্রেফতারের দাবি

    বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ফের সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছে সিজিওতে। পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গিয়েছে সন্দীপের। ওই তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar Incident) মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছিল। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা প্রশ্ন তুলছেন একজন বাদে কেন আর কেউ গ্রেফতার হল না। সূত্রের খবর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ হাতে আসেনি সিবিআইয়ের (CBI)। ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী নাকি ওই মৃত্যুর ঘটনার পিছনে আরও কেউ রয়েছে সেটাই এখন বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমারও প্রশ্ন, এখনও কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি? আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই এই প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসলে এই প্রশ্ন উত্তর আমার কাছে নেই। এর উত্তর সিবিআই ও আদালতের কাছে রয়েছে। তবে শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, টালা থানার আইসি, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ যাঁরা যাঁরা ওখানে ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    Rail Projects: মোদি সরকারের উপহার, নয়া ৩টি রেলপ্রকল্প পেল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার বড় উপহার দিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাজ্যের জন্য নতুন তিনটি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করে। এগুলি হল জামশেদপুর-পুরুলিয়া- আসানসোল (চান্ডিল- আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প, বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প ও সরডেগা-ভালুমুডা ডবল লাইন প্রকল্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্পগুলি (Rail Projects) বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

    এ নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘এর ফলে যেমন একদিকে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধা হবে, তেমনি সার্বিকভাবে হাওড়া-মুম্বই এবং হাওড়া-দিল্লি করিডরকে আরও শক্তিশালী করে তোলা যাবে।’’ পাশাপাশি রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব আরও বলেন, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ কমবে। সেটা যদি সবুজায়নের নিরিখে বিবেচনা করা যায়, তাহলে তিন কোটি নতুন গাছ বসানোর সমান।’’ এবিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন প্রধানমন্ত্রী (Rail Projects)। লেখেন, এর ফলে উপকৃত হবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য ও সহজ হবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ।

    জামশেদপুর-পুরুলিয়া-আসানসোল (চান্ডিল-আনাড়া-দামোদর) তৃতীয় লাইনের প্রকল্প

    এই প্রকল্পের (Rail Projects) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া এবং বর্ধমানে তৃতীয় লাইন তৈরির কাজ চলবে। এর পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলাতেও এই প্রকল্পের কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১২১ কিলোমিটার লাইন তৈরি হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর ফলে, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যও লাভবান হবে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২,১৭০ কোটি টাকা।

    রেলমন্ত্রীর মতে, ‘‘তৃতীয় লাইনের ফলে যাত্রীদের যেমন যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে, তেমনি পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সুবিধা হতে চলেছে। যেহেতু দুর্গাপুর-আসানসোল-বার্নপুরে শিল্প হাব রয়েছে, তাই সহজে সেখান থেকে পণ্য নিয়ে আসা যাবে। এছাড়া পর্যটকরাও যথেষ্ট লাভবান হবেন। কারণ ওই অংশের মধ্যেই চুরুলিয়া, মাইথন বাঁধ প্রকল্প এবং কল্যানেশ্বরী মন্দিরের মতো জায়গা রয়েছে।’’

    বারগড়-নোয়াপাড়া নতুন লাইন প্রকল্প (Rail Projects)

    ওড়িশার ধানের ভান্ডার বলেই পরিচিত বারগড়। রেলমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই নতুন লাইন তৈরি হওয়ার পরে পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভারতে সহজেই চাল পাঠানো সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে ২৯২৬ কোটি টাকা।’’

    সরডেগা-ভালুমুডা ডাবল লাইন প্রকল্প

    এই প্রকল্প নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওড়িশার সরডেগা এবং ছত্তিশগড়ের ভালুমুডার মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার ডাবল লাইন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১,৩৬০ কোটি টাকা খরচ হবে। ২৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে। হাওড়া-মুম্বই করিডরের ক্ষেত্রে ঝারসুগুড়া থেকে বিলাসপুর সেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সেকশনে (Rail Projects) এই নতুন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: দেহ লোপাটেও যুক্ত সন্দীপ ঘোষ? আরজি করের মর্গে গিয়ে তদন্ত সিবিআই-এর

    CBI: দেহ লোপাটেও যুক্ত সন্দীপ ঘোষ? আরজি করের মর্গে গিয়ে তদন্ত সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন। তার পরেই সোজা চলে যান মৃতদেহ সংরক্ষণের বিভাগে। সেখানে তাঁদের নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ওই বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এর আগে বেশ কয়েক বার আরজি করের ঘটনার তদন্তে জরুরি বিভাগের ভবনটিতে এসে অনুসন্ধান করতে দেখা গিয়েছে সিবিআইকে।

    কেন মর্গে সিবিআই? (CBI)

    আরজি করের মর্গ থেকে মৃতদেহ লোপাটের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের তদন্তেই এদিন হাসপাতালের মর্গে পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI)। আরজি কর হাসপাতালের মর্গের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ‘সন্দীপ ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আরজি করের ফরন্সিকের শিক্ষক দেবাশিস সোমও। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেহ পরীক্ষার কাজে যুক্ত থাকতেন তিনিও। ওই মামলার সূত্রে সন্দীপের পাশাপাশি সিজিও এবং নিজাম প্যালেসে ডেকে একাধিক বার জেরা করা হয়েছে দেবাশিসকেও। এ বার আরজি করের মর্গেও গেল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, মর্গের বিভিন্ন তথ্য এবং নথিপত্র যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার আরজি করের মর্গে গিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    সিবিআই দফতরে ফের সন্দীপ

    অধ্যক্ষ থাকাকালীন একটানা কয়েক বছর ধরে আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Incident) কলেজ হাসপাতালে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিন ফের একবার সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষকে। আরজি কর তদন্তে টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kazi Nazrul Islam: কাঁটাতার তাঁকে কাটতে পারেনি, আজ কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

    Kazi Nazrul Islam: কাঁটাতার তাঁকে কাটতে পারেনি, আজ কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবির বাঁশি থেমে গিয়েছিল সেই কবে! চারের দশকের একদম শুরুতে। তারপর দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের মৌন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান। জাতীয় কবির (Kazi Nazrul Islam) সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, নিপীড়িত মানুষের যন্ত্রণায় কেঁপে উঠত যাঁর অনুভব, যাঁর প্রেমিক সত্তায় লগ্ন হয়ে থাকত চোখের জল, তিনি তখন অন্য জগতের মানুষ। ১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট প্রয়াত হন কাজী নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী কবি (Poet) কাজী নজরুল ইসলামের আজ ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

    ফিরে দেখা নজরুল (Kazi Nazrul Islam)

    ১৮৯৯ সালের ২৪ মে ( ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক এবং অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল তাঁর কবিতা ও গানের মাধ্যমে সমাজের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। নজরুলের ছদ্মনাম ছিল ‘ধূমকেতু’। শিশু সাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন পুনর্জাগরণের ডাক। একজন বলিষ্ঠ নেতার মতোই সমাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন নজরুল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কবির সৃষ্টি

    নজরুল (Kazi Nazrul Islam) ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অগ্রসর মানুষ। ইসলামি গজলের পাশাপাশি লিখে গিয়েছেন শ্যামা সংগীত। বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয় নজরুলের দেখানো পথ ধরে। শুধু কবিতা ও গানেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি; লিখেছেন নাটক-উপন্যাস। তাঁর লেখা নাটক- রক্তকমল, মহুয়া, জাহাঙ্গীর, কারাগার, সাবিত্রী, আলেয়া, সর্বহারা, সতী, সিরাজদ্দৌলা, দেবীদুর্গা, মধুমালা, অন্নপূর্ণা, নন্দিনী, হরপার্বতী, অর্জুনবিজয়, ব্ল্যাক আউট ইত্যাদি। ১৯৩৪ সালে নজরুল-প্রকাশনার সবই ছিল সঙ্গীত-বিষয়ক।

    রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে শোকাহত নজরুল

     ১৯৪১ সালের ৭ অগাস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে শোকাহত নজরুল (Kazi Nazrul Islam) তাৎক্ষণিকভাবে রচনা করেন ‘রবিহারা’ ও ‘সালাম অস্তরবি’ কবিতা এবং ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে’ শোকসঙ্গীত। ‘রবিহারা’ কবিতা নজরুল স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করেন কলকাতা বেতারে, গ্রামাফোন রেকর্ডে। ‘ঘুমাইতে দাও’ গানটিও কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে স্বকণ্ঠে গেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর বছরখানেকের মধ্যেই নজরুল নিজেও অসুস্থ এবং ক্রমশ নির্বাক ও সম্বিতহারা হয়ে যান।

    বিরল রোগে আক্রান্ত হন কবি

    ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নজরুল (Kazi Nazrul Islam) বেতারে কাজ করছিলেন, তখন হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজী নজরুল ইসলাম দীর্যদিন ধরে (প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর) যে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার নাম পিক্স ডিজিজ (Picks Disease)। এই রোগটি খুবই বিরল ও এর ফলে কণ্ঠস্বর ও স্মরণশক্তি দুটোই আক্রান্ত হয়। সাধারণতঃ, এই রোগ Dementia বা Alzheimer’s রোগের সঙ্গে কমবেশি তুলনা করা যেতে পারে। তাঁর অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরূপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর, তাঁকে মূলত হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু, এতে তাঁর অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। সেই সময় তাঁকে ইউরোপে পাঠানো সম্ভব হলে নিউরো সার্জারি করা হত। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। দেশে ও বিদেশে কবির চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় বটে, কিন্তু কোনও সুফল পাওয়া যায় নি। ১৯৪২ সালের জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪টি বছর কবির এ অসহনীয় নির্বাক জীবনকাল অতিবাহিত হয়।

    বাংলাদেশে কবি

    ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে (Kazi Nazrul Islam) সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে নজরুলকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ দিয়ে ভূষিত করে। ২৯ অগাস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উত্তর পার্শ্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। কাজী নজরুলকে নিয়ে কবি অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন, “আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে/ ভাগ হয়নি কো নজরুল”। সত্যিই তো তাই। তিনি তো কেবল এপার বাংলার কবি নন। কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) ওপার বাংলারও কবি। বিদ্রোহী সত্তার আড়ালে তির তির করে বয়ে চলে তাঁর প্রেমিক সত্তা। মৌলিক সৃষ্টিই চির অমর করে রেখেছে কবিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) নিয়োগে ছাড়পত্র দিল হাইকোর্ট। ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হল। চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হবে কাউন্সেলিং। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৯ বছরের নিয়োগ-জট কাটল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Upper Primary Recruitment)

    আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। ২০১১ ও ২০১৫ সালের দুটি টেটের পরীক্ষার্থীরা এই পদের জন্য যোগ্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্সোনালিটি টেস্ট হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে নথি যাচাই করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বার বার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে,কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। তার পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।

    আইনজীবী কী বললেন?

    আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আফটার ইন্টারভিউ ওএমআর’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাতিল করা হয়েছিল, তাঁদের আবার মেধাতালিকায় ঢোকাতে হবে। সঙ্গে ১৪ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সেলিং করাতে হবে। কমিশনের পুরনো মেধাতালিকা ভুল ছিল।”

    কেন মামলা?

    উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের তা জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি কাউন্সেলিংয়ের সময়। তফশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে জট কাটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির ডাকা বাংলা বন‍্ধে (BJP Bangla Bandh) রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া-বর্ধমান শাখার হুগলির (Hooghly) মানকুন্ডু স্টেশন। ট্রেন আটকাতে এই স্টেশনে রেললাইনের ওপর নেমে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। উন্মত্ত কর্মীদের রেললাইন থেকে হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে বন‍্‍ধ সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলে বিজেপি। কর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP Bangla Bandh)

    বন‍্‍ধ সমর্থকরা এদিন হুগলি জেলার একাধিক রেল স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন। শ্রীরামপুর, চন্দননগর, হুগলি, হিন্দমোটর, কোন্নগর, ত্রিবেণী স্টেশনেও অবরোধ করা হয়। তাতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। কোথাও দেড় ঘণ্টা, কোথাও দুঘণ্টা অবরোধ চলে। বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে (BJP Bangla Bandh) সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনেও এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। দুটি লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। একটিতে দূরপাল্লার বালুরঘাট এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। জিআরপি ও আরপিএফ অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘক্ষণ হাওড়া-বর্ধমান মেন ও ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পুলিশ লাইন থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী-র‍্যাফ-উইনার্স টিম ও কমব্যাট ফোর্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপরেই কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মানকুণ্ডু স্টেশনের অবরোধ নিয়ে ট্যুইট সুকান্তর

    রেল অবরোধ (BJP Bangla Bandh) নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেন, বনধের সমর্থনে সাধারণ মানুষও সামিল হয়েছেন।

    <p

    পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা

    ট্রেন ছাড়া হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধও (BJP Bangla Bandh) করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। শ্রীরামপুরের পেয়ারাপুরের কাছে দিল্লি রোডের মোড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতিতে আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। শ্রীরামপুর থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে দুপক্ষকে বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: বন‍্ধের বিরুদ্ধে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ, মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    BJP Bangla Bandh: বন‍্ধের বিরুদ্ধে দায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ, মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বন‍্ধের (BJP Bangla Bandh) বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আদালতে মুখ পুড়ল সঞ্জয় দাস নামে এক আইনজীবীর। আইনজীবীর করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জনস্বার্থ মামলা করার জন্য মামলাকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে কড়়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বনধের বিরুদ্ধে মামলা (BJP Bangla Bandh)

    নবান্ন অভিযানে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ (BJP Bangla Bandh) ডাকা হয়। মঙ্গলবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বন‍্‍ধ ঘোষণা করেন। আর সেই বন‍্‍ধকে অবৈধ ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সঞ্জয় দাস। দেশের একাধিক হাইকোর্টের রায় উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, হঠাৎ করে ডাকা এই বন‍্‍ধ জনস্বার্থের পরিপন্থী। বুধবারই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। নিয়ম মেনে এদিন সকালে জনস্বার্থ মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। মামলাকারীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তিনি যে নিজেকে জনহিতকারী এবং জনদরদি হিসাবে তুলে ধরেছেন, সেই সংক্রান্ত কোনও কাজের উদাহরণ পেশ করতে পারবেন কি? মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন বা গরীব মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই সংক্রান্ত কোনও উদাহরণ দিতে পারেননি মামলাকারী আইনজীবী। এর পরই মামলাটি খারিজ করে মামলাকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    জনস্বার্থ মামলায় নিষেধাজ্ঞা, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    এদিন আদালতে (Kolkata High Court) শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই মামলার (BJP Bangla Bandh) মাধ্যমে আদালতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আইন প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করেছেন মামলাকারী আইনজীবী। হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় পরিবর্তনের আবেদন করে একটি মামলা করেছিলেন। তিনি বিচারপতি অমৃতা সিনহার আদালত থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলাগুলি সরানোর আবেদন করে মিথ্যা তথ্য আদালতে পরিবেশন করেছিলেন। সেই আবেদন আদালতের কাজে হস্তক্ষেপের সামিল। তাই, আদালত নির্দেশ দিচ্ছে, সঞ্জয় দাস কখনই আর কোনও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে পারবেন না। সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপের জন্য তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্ত্বেও ২ বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার মমতার পুলিশের

    BJP Bangla Bandh: শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্ত্বেও ২ বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার মমতার পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলায় তুলকালাম পরিস্থিতির প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ (BJP Bangla Bandh) ডাকে। সকাল ৬টা থেকে বন‍্‍ধ শুরু হয়। কোচবিহারে (Cooch Behar) বন‍্‍ধ পালন করতে গিয়ে আটক হন দুই বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP Bangla Bandh)

    এদিন সকালেই বিজেপির দুই বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং নিখিল রঞ্জন দে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসের সামনে আসেন। বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের নতুন বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে (BJP Bangla Bandh) বসেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাসের সামনে বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এরপরই আটক করা হয় তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মালদায় সরব বিজেপি সাংসদ

    অন্যদিকে, এদিন সকালে পুরাতন মালদার বুলবুলি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় উল্টোদিক থেকে তৃণমূলের একটি মিছিল আসে। তারা বনধের বিরোধিতায় মিছিল করছিল। দুই মিছিল সামনা-সামনি হয়ে যাওয়ায় সেখানে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সামনেই চলে ধাক্কাধাক্কি। একে অপরকে ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে দেন। প্রতিবাদে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পুরাতন মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কে বসে পড়েন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বুলবুলি মোড় থেকে পুরাতন মালদায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সাংসদের অভিযোগ, বুলবুলি মোড়ে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে’’, মমতার সরকারকে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে’’, মমতার সরকারকে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) পুলিশের হামলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে থাকা আন্দোলনকারীদের ওপর কীভাবে আক্রমণ চালাল পুলিশ? এতে জাতীয় পতাকাকে অপমান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজ্যপালের মতে, কলকাতার রাস্তায় যা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক ভাবে জয়ী সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

    জাতীয় পতাকার অবমাননা!

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার থেকে এটা প্রত্যাশা ছিল না। নিরীহ প্রতিবাদীরা সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক দলের ছিলেন না। তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। কিন্তু, তাঁদের ওপর আক্রমণ চালাল পুলিশ। ‘উই ওয়ান জাস্টিস’ স্লোগানে মুখরিত প্রতিবাদকারীদের জলকামান দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। লাঠিপেটা করা হয়েছে পুলিশ দ্বারা। তাঁদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিল। জল কামান চালিয়ে জাতীয় পতাকা ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন প্রতিবাদীরা। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। জাতীয় সম্মানকে অপমান করা হয়েছে। এটা শেষের শুরু। তা-ই হওয়া উচিত। বিদায় হিংসা, খুন। বাংলা হিংসামুক্ত হওয়া উচিত। এখানে সরকার অপরাধীদের রক্ষা করছে। এই খুনের খেলা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ কী পেল?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মানুষ কী পেল? লাঠিচার্জ, মারধর, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান! মনে রাখতে হবে, বিচার চেয়ে এই দাবি উঠে এসেছে কবিগুরুর বাংলায়। অথচ রবীন্দ্রনাথের বাংলায় তিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।’ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে নবান্ন চলো ডাক দিয়েছিলেন নিরীহ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু, তাঁদের ওপরে আক্রমণ চালানো হল। খুন, ধর্ষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সমস্তটাই বন্ধ করতে হবে। বাংলাকে অন্যায় অত্যাচার খুন, ধর্ষণ মুক্ত হতে হবে। এই নৃশংসতা ধ্বংসের খেলা বন্ধ করতে হবে। বিচারের দাবিতে, মানুষ সরব হয়েছেন। মানুষকে বিচার দিতেই হবে। বিচার পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। মনে রাখবেন সত্য এবং অপরাধ চিরদিন চাপা রাখা যায় না। একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। ঠিক তেমনি আরজি করে নির্যাতিতাও বিচার পাবেন। আমরা এই পরিবেশ থেকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share