Tag: West Bengal

West Bengal

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    NITI Aayog: আর্থিক পারফর্ম্যান্সে দেশের ‘লাস্ট বয়’ তৃণমূলের বাংলা, বলছে নীতি আয়োগ রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-শাসিত ওড়িশা এগিয়ে। এগিয়ে রয়েছে ছত্তিশগড়ও। তাদের পিছনে রয়েছে গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডও। সব শেষে রয়েছে তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সাম্প্রতিক ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স প্রতিবেদন থেকেই এই তথ্য মিলেছে।

    পিছিয়ে বাংলা 

    ন’টি মানদণ্ডের নিরিখে করা হয়েছে বিচার। তাতেই দেখা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া এবং ঝাড়খণ্ডের ঢের পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং পাঞ্জাব। এই চার রাজ্যকে পিছিয়ে পড়া এবং সব চেয়ে খারাপ পারফর্মিং রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলি গত কয়েক বছরে কোনও উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) মতে, পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে পরিকাঠামো তৈরি-সহ মূলধনী খাতে খরচে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিজের রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। কর বাবদ আয় ও কর ছাড়া অন্যান্য আয়– দুই ক্ষেত্রেই। এই রাজ্যগুলিকে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে বলেও বলা হয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে।

    দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে (NITI Aayog)

    দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে কার রাজকোষের অবস্থা ২০২২-’২৩ সালে কেমন ছিল, তা নিয়ে রাজকোষের স্বাস্থ্য সূচক প্রকাশ করেছে নীতি আয়োগ। রাজকোষের স্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে মোট ১৮টি রাজ্যকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সারিতে রয়েছে ওড়িশা, ছত্তিশগড়, গোয়া, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট। আর চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই শেষ সারির রাজ্যগুলির রাজকোষ ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হিমশিম খাচ্ছে। রাজ্যের নিজস্ব আয় খুবই কম। দেনার বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। সেই ঋণ শোখ করার ক্ষমতা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। তুলনায় সামনের সারিতে থাকা রাজ্যগুলির পরিকাঠামো তৈরিতে রাজ্যের জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ খরচ করছে। রাজস্ব আয়ের সামান্য অংশ ঋণের সুদ মেটাতে খরচ হচ্ছে তাদের।

    আরও পড়ুন: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    নীতি আয়োগের (NITI Aayog) রিপোর্টে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাঁড়ির হাল। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের মোট খরচের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরিতে খরচের হার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিন শতাংশে নেমে এসেছে। যা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও পাঁচ শতাংশের বেশি ব্যয় হত। মূলধনী খাতেও খরচের ভাগ কমেছে। সেটাও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। সেই তুলনায় সামাজিক খাতে খরচের হার বেশি হলেও, তা-ও জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। বিরোধীদের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে (West Bengal) গিয়ে রাজ্যের হাঁড়ির হাল করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার।

    জানা গিয়েছে, ওড়িশা, ছত্তিশগড় এবং গোয়া আর্থিক সতর্কতা, সঠিক ব্যয় ব্যবস্থাপনা, অধিক রাজস্ব সংগ্রহ এবং নিম্ন দেনার ভার প্রভৃতি কারণে ঠাঁই করে নিয়েছে তালিকার ওপরের দিকে। ঝাড়খণ্ডের অনেক সূচকে উন্নতি, বিশেষত মূলধনী ব্যয় ও রাজস্ব সংগ্রহের গুণগত মানে অগ্রগতি, তার আর্থিক দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং সম্পদের আরও ভালো বরাদ্দের চেষ্টাকেও প্রতিফলিত করে। পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি ক্রমবর্ধমান ঋণ, অযৌক্তিক ব্যয় এবং অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহের সমস্যায় জর্জরিত রয়েছে। পাঞ্জাবের ভর্তুকি নির্ভরতা এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান রাজস্ব ঘাটতি তাদের আর্থিক চাপে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।

    একইভাবে, কেরালার কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং ভর্তুকির ওপর উচ্চ ব্যয় এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অব্যবস্থাপনা তাদের ঠেলে দিয়েছে তালিকার চতুর্থ সারিতে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের আর্থিক অবস্থার তীব্র অবনতি ঘটেছে, যা বাড়তি রাজস্ব ঘাটতি এবং হ্রাসপ্রাপ্ত রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী। তবে, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ড তাদের আর্থিক স্থায়িত্ব উন্নত করতে যেসব সংস্কার করেছে, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার এবং উন্নয়ন ব্যয়ের বৃদ্ধিও।

    নীতি আয়োগ (NITI Aayog) কর্তৃক প্রকাশিত ফিসক্যাল হেলথ ইনডেক্স রিপোর্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যা মূলত নীতিগত সংস্কারকে পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজ করে। এটি রাজ্যগুলোকে টেকসই আর্থিক অনুশীলন গ্রহণে উৎসাহিত করে এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, এটি একটি বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট যা দেখায় যে কোন রাজ্য কোন দিকে এগোচ্ছে। আমি মনে করি, এটি একটি সূচক হিসেবে কাজ করে, যা সমস্ত মানদণ্ডে তথ্য প্রদান করে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে শিয়ালদা আদালত। যদিও সেই রায়ে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। হাইকোর্টের সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে তারা। শুক্রবার হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার এই মামলাটি শুনানির দিনও এদিন জানিয়ে দেন।

    মামলার শুনানি সোমবার! (CBI)

    সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই কলকাতার হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে মামলা করার ক্ষেত্রে বুধবার সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়েছিল। সে দিনও তারা আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে তা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিচারপতিরা জানান, আগামী সোমবার, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের আবেদনের সঙ্গে সিবিআইয়ের মামলাটিও শোনা হবে। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সিবিআই যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভয়ার বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, সঞ্জয়কে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। তারপর এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে যান তাঁরা। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সঞ্জয়েরও মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, দিল্লির সদর দফতরের সিদ্ধান্ত মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    রাজ্যের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই

    রাজ্য যে উচ্চ আদালতে গেল, তা তারা আদৌ করতে পারে কি না, তা নিয়ে আদালতেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই (CBI)। আইনজীবীদের একাংশের মতে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের যে আবেদন জমা পড়েছে হাইকোর্টে, তাতে সিবিআই-ই প্রথম পক্ষ হতে চাইছে বলেই এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, বুধবার তার শুনানিতেই সিবিআই জানায়, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য কী ভাবে আবেদন করতে পারে। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল (সিবিআইয়ের আইনজীবী) রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য, সিবিআইও এই মামলায় দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তিই চেয়েছিল। এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই কিংবা দোষী হাইকোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী (পিপি) দেবাশিস রায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সিবিআই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি

    আরজি করের ঘটনায় কেন সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড দিল না শিয়ালদা আদালত? বিচারক অনির্বাণ দাস শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। ভারতী ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। তাই তাঁকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে। এই ঘটনাতেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সময়ে চার্জশিট দিতে না-পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সন্দীপ অবশ্য আরজি কর সংক্রান্ত অন্য মামলায় বন্দি। ধর্ষণ-খুন মামলাতেও পরবর্তী চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI)। ফলে, সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    CBI: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে সিবিআই, দায়ের মামলা, শুনানি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়েছে শিয়ালদা আদালত। যদিও সেই রায়ে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। হাইকোর্টের সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে তারা। শুক্রবার হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী সোমবার এই মামলাটি শুনানির দিনও এদিন জানিয়ে দেন।

    মামলার শুনানি সোমবার! (CBI)

    সূত্রের খবর, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই কলকাতার হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে মামলা করার ক্ষেত্রে বুধবার সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়েছিল। সে দিনও তারা আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার নতুন করে তা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিচারপতিরা জানান, আগামী সোমবার, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের আবেদনের সঙ্গে সিবিআইয়ের মামলাটিও শোনা হবে। প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় সিবিআই যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভয়ার বাবা-মা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, সঞ্জয়কে ধরেছে কলকাতা পুলিশ। তারপর এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে যান তাঁরা। এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভয়ার বাবা-মা ও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার সঞ্জয়েরও মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, দিল্লির সদর দফতরের সিদ্ধান্ত মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    রাজ্যের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই

    রাজ্য যে উচ্চ আদালতে গেল, তা তারা আদৌ করতে পারে কি না, তা নিয়ে আদালতেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই (CBI)। আইনজীবীদের একাংশের মতে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের যে আবেদন জমা পড়েছে হাইকোর্টে, তাতে সিবিআই-ই প্রথম পক্ষ হতে চাইছে বলেই এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, বুধবার তার শুনানিতেই সিবিআই জানায়, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্য কী ভাবে আবেদন করতে পারে। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল (সিবিআইয়ের আইনজীবী) রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য, সিবিআইও এই মামলায় দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তিই চেয়েছিল। এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই কিংবা দোষী হাইকোর্টের দ্বারস্থ না হলে, রাজ্য কী ভাবে এই আবেদন করতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল। সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী (পিপি) দেবাশিস রায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সিবিআই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি

    আরজি করের ঘটনায় কেন সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড দিল না শিয়ালদা আদালত? বিচারক অনির্বাণ দাস শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। ভারতী ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। তাই তাঁকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে। এই ঘটনাতেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু সময়ে চার্জশিট দিতে না-পারায় তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সন্দীপ অবশ্য আরজি কর সংক্রান্ত অন্য মামলায় বন্দি। ধর্ষণ-খুন মামলাতেও পরবর্তী চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে (CBI)। ফলে, সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণাতে এই মামলা শেষ হয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই আবহের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে বিএসএফ-এর সংঘাতের খবর সামনে আসছে বারবার। এমনকী কাঁটাতার দিতে গিয়ে একাধিক অরক্ষিত সীমান্তে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বিএসএফকে (BSF)। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে বার বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা। বিষয়টি যে যথেষ্ট অস্বস্তির, তা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা। যদিও তা প্রতিহত করতে সদা তৎপর বিএসএফ। নিত্যনতুন কৌশলে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তারা। জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের ধরার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখন বিএসএফের ১০২ ব্যাটালিয়নের হাতে। বসিরহাটে মোট ৩৩ কিমি দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তের মাত্র ১২ কিলোমিটার কাঁটাতার করা হয়েছে। বাকি অংশ এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই এলাকা দিয়ে যাতে অনায়াসে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তারজন্য উদ্যোগী হয়েছে বিএসএফ (BSF)। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টা টহল নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে বাহিনীর হাতে হাতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    নজরদারির জন্য কী কী পদক্ষেপ? (BSF)

    এমনিতেই কয়েকদিন আগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারে লাগানো হল কাচের বোতল। ফুলকাডা বুড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই লাগানো হয় কাঁটাতার। বিএসএফের সাহায্যে সেখানে কাচের বোতল লাগিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা ওই তার কেটে নিলে সশব্দে ভাঙবে কাচের বোতল। তাতে সতর্ক হবে বিএসএফ (BSF), দাবি স্থানীয়দের। কোচবিহার ছাড়াও মালদা, নদিয়া সহ সীমান্ত এলাকায় এখনও অনেক ফাঁকা জমি রয়েছে। সেই জমিতে কাঁটাতার দিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশিরা। তাতে মদত দিচ্ছে বিজিবি। মূলত, অনুপ্রবেশে মদত রয়েছে ইউনূস প্রশাসনের। ফলে, অনুপ্রবেশ রুখতে অন্য কৌশল নিয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, হ্যান্ড-হেল্ড থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম হল সেনাদের কাছে নজরদারির অন্যতম হাতিয়ার। এতে জড় বস্তু এবং শত্রু বাহিনীর মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য ধরা পড়ে। সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করার চেষ্টা করলে তা এই ক্যামেরায় ধরা পড়়বে। বিএসএফের (BSF) সূত্র জানায়, ক্যামেরাগুলো বিশেষ করে ঘন কুয়াশার সময় এবং রাতের টহল দেওয়ার জন্য কাজে লাগে। সীমান্তে নজরদারি রাখতে ক্যামেরা ছাড়াও নাইট ভিশন ডিভাইসও ব্যবহার করছে বাহিনী। আংশিক কাঁটাতার দেওয়া সীমানার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় একটি বিশেষ জাল যা লাগানো হয়েছে। একজন সিনিয়র বিএসএফ আধিকারিক বলেন, এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে জওয়ানরা সবমসয় টহল দেন। তারপরও রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার দিয়ে কোনও কিছু ফেলতে না পারে, তার জন্য জাল লাগানো হয়েছে। তাতে অনেকটাই কাজ হচ্ছে।

    চাষিদের বায়োমেট্রিক!

    বিএসএফ (BSF) দ্বারা নেওয়া আরেকটি পদক্ষেপ হল কাঁটাতারের এলাকার বাইরে জমি রয়েছে, সেই জমিতে যাওয়ার জন্য চাষিদের বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ শুরু করা। গ্রামবাসীরা যারা কৃষিকাজের জন্য তাদের জমিতে যেতে চান তাদের এখন তাদের বায়োমেট্রিক বিবরণ প্রদান করতে হবে, যা তাদের পাস করার অনুমতি দেওয়ার আগে রেকর্ডের সঙ্গে মিলে যায়। কৈজুরির স্থানীয় গ্রামবাসী নিমাই দাস বলেন,  “প্রতিদিন বিএসএফ আমার বুড়ো আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখার পর আমার জন্য গেট খুলে দেয়। উত্তেজনা সত্ত্বেও, অফিসার এবং জওয়ানরা সবসময় আমাদের সাহায্য করে।’’ আরা যাদের জমি নেই, অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে যান, তাঁদের আধার কার্ড জমা নেওয়া হয়। পরে, কাজ শেষ হলে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।

    সীমান্তে টহলরত কুকুর

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জওয়ানরাই নয়, টহলরত কুকুররাও নজরদারিতে তাদের ভূমিকা পালন করছে। জার্মান ম্যালিনোইস জাতের ম্যাক্স নামে প্রশিক্ষিত কুকুর রয়েছে। যার বয়স আড়াই বছর। তার একজন মাস্টার হ্যান্ডলার রয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে জওয়ানদের সতর্ক করে। জানা গিয়েছে, এই কুকুরটি বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। ফলে, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই কুকুরকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bengal Kumbha Mela 2025: ত্রিবেণীতেও কুম্ভমেলা, মুসলিম আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৭০০ বছর আগে

    Bengal Kumbha Mela 2025: ত্রিবেণীতেও কুম্ভমেলা, মুসলিম আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৭০০ বছর আগে

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুম্ভ মানেই চোখের সামনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে সেটা প্রয়াগের। তবে জানলে অবাক হবেন এই বাংলাতে এবারও কুম্ভ মেলার (Bengal Kumbha Mela 2025) আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, হারিয়ে যেতে বসা ‘ইতিহাস’কে ফের মানুষের সামনে ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মন কী বাতে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার এই কুম্ভ মেলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আর এই কুম্ভমেলার পুরানো ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলায় মুসলিম আক্রমণের আগে এই মেলার বাংলার মানুষ তথা দেশের মানুষের কাছে আলাদা গুরত্ব ছিল। এই ত্রিবেণীর সঙ্গমে স্নান করার জন্য সাধু-সন্তদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ত। প্রায় ৭০০ বছর পর আবার সেই ত্রিবেণীতে শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। 

    ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা কে বন্ধ করেছিলেন? (Bengal Kumbha Mela 2025)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রাচীনকালে ঋষিরা আধ্যাত্মিক সাধনা ও মুক্তিলাভের জন্য ত্রিবেণীতে (Bengal Kumbha Mela 2025) আসতেন। ৭০৩ বছর পর গঙ্গার আরও উপনদী, যমুনা এবং সরস্বতী (কুন্তি) সঙ্গমে আবার কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ৭০৩ বছর আগে জাফর খান গাজি ত্রিবেণীর (Tribeni) বিষ্ণু মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। সেই সময় থেকে ইসলামি আক্রমণের কারণে কুম্ভস্নান ও মেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১৩১৯ সালের পর ২০২২ সালে ত্রিবেণীতে খুব আনন্দের সঙ্গে একটি কুম্ভস্নানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ত্রিবেণী হল ‘মুক্ত বেণী’ (মুক্ত প্রবাহ) এবং প্রয়াগ হল ‘গুপ্ত বেণী’ (গোপন প্রবাহ)।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    দক্ষিণে প্রয়াগ হল এই ত্রিবেণী!

    রঘুনন্দনের প্রায়শ্চিত্ত তত্ব গ্রন্থে ত্রিবেণীর (Bengal Kumbha Mela 2025) উল্লেখ পাওয়া যায়। ইতিহাসের বিভিন্ন দলিল থেকে জানা যায়, সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থভূমি ছিল। জানা যায়, উত্তরে প্রয়াগ রয়েছে এলাহাবাদে। দক্ষিণে প্রয়াগ রয়েছে এই ত্রিবেণীতে। বিভিন্ন সাধু- সন্তর কথায়, এটাই কুম্ভের উপযুক্ত স্থান। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, শাক্ত সাহিত্য, সাধারণ বাংলা সাহিত্যেও এর উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গিয়েছিল কালের গর্ভে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বহু মানুষ আসেন এই ত্রিবেণীঘাটে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় এই কুম্ভস্নান ও মেলার কথা। বাংলা সাহিত্য ও কাব্যের মধ্যে তো এর উল্লেখ আছেই। ১৯৭৯ সালে এক বিদেশিনী এলান মরিনিসের (Alan Morinis) অক্সফোর্ডে জমা দেওয়া এক তথ্য থেকে এই কুম্ভের কথা জানা যায়।

    সাধু-সন্তরা গঙ্গাসাগর মেলা শেষে পদব্রজে ত্রিবেণীতে আসতেন!

    ইতিহাসবিদ অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার (Bengal Kumbha Mela 2025) সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার একটা যোগ ছিল। তৎকালীন সাধু-সন্তরা, গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পর পদব্রজে ত্রিবেণীতে আসত। মাঘ সংক্রান্তির দিন তাঁরা এখানে স্নান করতেন। এই দিনটাকেই অনুকুম্ভ হিসেবে ধরা হত ত্রিবেণীতে। সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থভূমি ছিল। পরবর্তীকালে মুসলিম আক্রমণের ফলে এখানকার মন্দির এবং তীর্থস্থান নষ্ট হয়ে যায়। পন্ডিতরা এখান থেকে চলে যান। ত্রিবেণী যেহেতু গঙ্গার মুক্তবেণী, সেই কারণে এই জায়গাটার আলাদা গুরুত্ব ছিল।”

    কোথায় কবে হবে এই কুম্ভ স্নান?

    ২০২২ সালে এই কুম্ভস্নান (Bengal Kumbha Mela 2025) ফের শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর এই কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হচ্ছে। চলতি বছরের আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বঙ্গীয় কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কুম্ভ স্নান চলবে। হুগলি জেলার ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে হবে এই কুম্ভ স্নান। আয়োজকদের দাবি, হাজার জনের বেশি সাধু আসবেন এবার। তার মধ্যে ২০০জনের বেশি নাগা। হুগলি জেলার ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে হবে এই মহাকুম্ভ স্নান। ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাংলার এই মহাকুম্ভে এবার স্নান করবেন বলে আশা আয়োজকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jal Jeevan Mission: কল আছে, জল নেই, ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে পিছনের সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Jal Jeevan Mission: কল আছে, জল নেই, ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে পিছনের সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের সমস্ত বাড়ি বাড়ি নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’- এর সূচনা করেছিল। ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’-এ (Jal Jeevan Mission) সব থেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক রিপোর্টেই এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

    প্রকল্পের অর্ধেক কাজ এখনও বাকি! (Jal Jeevan Mission)

    এই প্রকল্পে (Jal Jeevan Mission) পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে রাজ্যের গাফিলতিকে দায়ী করছে জলশক্তি মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক বাড়িতে এখনও পৌঁছায়নি নলবাহিত পানীয় জল। এখানেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে কবে পশ্চিমবঙ্গবাসী এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হিসেবে বাড়ি বাড়ি জল পাবে? জল জীবন মিশন ড্যাশবোর্ডে এক নজরে দেখা যায় যে পশ্চিমবঙ্গ এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের রাজ্যের মাত্র ৫৪ শতাংশ কভার করেছে। আর বাস্তবে যেখানে পাইপ লাইন বসানো হয়েছে, সেখানে জল পর্যন্ত পড়ছে না। কোথাও আবার সেই পাইপ লাইন পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়েছে। যেমন, হুগলির বেরাবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গোরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বেদানা ধাড়া। তাঁর বয়স ৬৪ বছর। তাঁর বাড়ির কাছে একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে একটি জং ধরা পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। তিন বছর আগে জাতীয় ‘জল জীবন মিশন’-এর অধীনে ভারতজুড়ে পরিবারগুলিতে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য এই পাইপ বসানো হয়েছিল। পাইপটি এখন অকেজো।

    আরও পড়ুন: দলিত পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা! ৫ জন গ্রেফতার

    ২০১৯-এর ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জল জীবন মিশন প্রকল্প’ ঘোষণা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের (Jal Jeevan Mission) তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের হাত ধরে সমগ্র দেশের প্রায় ১৩ কোটি গ্রামীণ পরিবারের কাছে এই নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান বেশ খারাপ। বলা যেতে পারে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছনের সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রকল্পে বাস্তবায়িত করতে পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মতোই অর্থ জোগানো হচ্ছে। কিন্তু, কাজের গতির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্ত টপকে লুট! বাঁশপেটা করে বাংলাদেশিদের তাড়াল ভারতীয়রা, সেল ফাটাল বিএসএফ

    BSF: সীমান্ত টপকে লুট! বাঁশপেটা করে বাংলাদেশিদের তাড়াল ভারতীয়রা, সেল ফাটাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের ফাঁকা জমিতে কাঁটাতারের বেড়ার লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ (BSF)। কোথাও আবার কাঁটাতারের মধ্যে কাচের বোতল লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আবহে এবার মালদার শুকদেবপুর সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিল। জানা গিয়েছে, শনিবার বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফসল লুট করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএফের ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে হয়। কিন্তু, কর্তব্যরত জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোড়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। তাতেই দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন। সেই সময় মালদার শুকদেবপুর গ্রামের বাসিন্দারা হাতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে বাংলাদেশিদের ধাওয়া করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার একাধিকবার চেষ্টা হয়েছে। এর আগেও ভারতীয় সীমান্তের বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে পালিয়েছিল বাংলাদেশি নাগরিকরা। শনিবারও শুকদেবপুরে ঢোকার চেষ্টা করে ওপারের বাসিন্দারা। শুকদেবপুর সীমান্তে দেড় কিলোমিটার কাঁটাতার নেই। বিএসএফ যখনই কাঁটাতার লাগানোর চেষ্টা করেছে, তখনই বিজিবি বাধা দিয়েছে। মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গও বানাতে দেখা গিয়েছে ওপার থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওপারের সীমান্তের বাংলাদেশিরা এপারের সীমান্তে ঢুকে কৃষকদের ফসল লুট করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি সীমান্তের আম গাছও কেটে ফেলে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। তারপরই বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বিএসএফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। তাড়া খেয়ে পালায় ওপারের বাসিন্দারা। এর আগে সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বারবার বাধা দিয়েছে বিজিবি। কেন তারা বাধা দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে একাধিকবার সীমান্তে (BSF) উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সীমানা টপকে আচমকাই কিছু বাংলাদেশি ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দারাও ছুটে আসেন। এর পর বিএসএফ-এর (BSF) সঙ্গে মিলে স্থানীয়রাও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়া করেন। ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, মাঠের ওপর প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি চলছে। সামনের দিকে কয়েক জন দৌড়চ্ছেন। পিছু পিছু ছুটছেন আরও কয়েক জন। উর্দি পরিহিত বিএসএফকেও দেখা যায় ভিডিও-তে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটার পর থেকেই পড়শি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে সীমান্ত সংঘাতও। মালদার শুকদেবপুরের প্রায় এক কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই। সেখানে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া বসাতে গেলে বাধা দেয় বিজিবি। ওপারের সাধারণ নাগরিকরাও সীমান্তে এসে কাজে বাধা দেন। এপারের মানুষজনও জড়ো হন সীমান্তে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্য দফায় দফায় ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। বিজেবি দাবি করে, যে জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া তুলছে বিএসএফ, তা বিতর্কিত এলাকা। অন্য দিকে, বিএসএফ জানায়, নিজেদের ভূখণ্ডেই কাঁটাতারের বেড়া তোলা হচ্ছে। কিন্তু এসবের মধ্যে কাজ ভণ্ডুল হয়ে যায়। আর সেই আবহেই ফের তপ্ত হয়ে উঠল এলাকায়। একেবারে দিনের বেলা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। এর নেপথ্যে বিজেবি-র উস্কানি থাকতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে।

    পঞ্চায়েত সদস্যের কী বক্তব্য?

    বৈষ্ণবনগর থানার (BSF) বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকদেবপুর এলাকার  পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় মণ্ডল বলেন, “এদিন শতাধিক বাংলাদেশিরা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে গ্রামের দুই বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল ও তপন ঘোষের জমির ফসল লুট করেছিল। শুধু তাই নয়, ওরা আমার বাগানের পনেরোটা আম গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই সীমান্তে বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্তব্যরত জওয়ানেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দেয়। কিন্তু, সেই সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হয়। তাতে দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন।” এই ঘটনায় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দিনের আলোয় যদি বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয় ওপার থেকে, তাহলে রাতের অন্ধকারে কী হতে পারে, ভেবে আতঙ্কিত অনেকেই। সীমান্তের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মত তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব! রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Weather Update: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব! রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে চলেছে রাজ্যে। ফলে, আগামী সপ্তাহেও জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না। শীতের আমেজ থাকবে জেলায় জেলায়। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে না। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলছে, শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী চার থেকে পাঁচদিন এই ছবিই দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। একই ছবি দেখা যাবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও।

    কুয়াশার দাপট কোথায়? (Weather Update)

    বৃষ্টি না হলেও কুয়াশার দাপট জারি থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া(Weather Update) অফিস। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে। মূলত, দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। তবে, উত্তরবঙ্গের জন্য থাকছে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। এর জেরে দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। সবথেকে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাতে। তবে এই জেলাগুলিতে রবি-সোমবার থেকে কুয়াশার দাপট কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়া দফতর বলছে, পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কতটা সিকিমের ওপর পড়ে তার ওপর নির্ভর করছে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি। অন্যদিকে, হাওয়া অফিস বলছে শুধু রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আশপাশের জেলাগুলিতে সামান্য পারদ পতন হতে পারে। তবে যা বড় মাত্রায় নয়। তার ফলে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা এখনই থাকছে না। উল্টে ২৪ ঘণ্টা পর থেকে কিছুটা হলেও চড়তে পারে পারদ। তবে এই একই রকমের ওঠানামা চলবে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    তাপমাত্রা বাড়বে!

    শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি বেশি। গত এক সপ্তাহে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। ফলে তাপমাত্রা নতুন করে বাড়তে পারে। জাঁকিয়ে শীত না-পড়লেও শীতের আমেজ রয়েছে কলকাতা এবং জেলাগুলিতে। সর্বত্রই থাকবে শুকনো আবহাওয়া। তবে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে বেশ কিছু জেলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারে কাচের বোতল লাগাল বিএসএফ

    BSF: অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারে কাচের বোতল লাগাল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশের আবহে সীমান্ত পেরিয়ে লাগাতার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এই আবহে সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের (BSF)। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার নতুন কৌশল নিল ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। কাঁটাতারের বেড়ায় লাগানো হল কাচের বোতল।। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারে লাগানো হল কাচের বোতল। ফুলকাডা বুড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই লাগানো হয় কাঁটাতার। বিএসএফ-এর সাহায্যে সেখানে কাচের বোতল লাগালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা ওই তার কেটে নিলে সশব্দে ভাঙবে কাচের বোতল। তাতে সতর্ক হবে বিএসএফ, দাবি স্থানীয়দের।

    কেন এমন ব্যবস্থা? (BSF)

    জানা গিয়েছে, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা (BSF) এপারে ঢুকতে গেলেই বিএসএফের লাগানো সেই বোতলে ধাক্কা লেগে আওয়াজ হবে। আর সেই শব্দই ‘বিপদ ঘণ্টা’ বা ‘ওয়ার্নিং অ্যালার্ম’-এর মতো কাজ করবে। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যাবে বিএসএফ। তথ্য বলছে, শীতের এই সময়টায় কোচবিহারের এই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রাত নামতে না নামতেই জমাট কুয়াশায় কার্যত ঢাকা পড়ে যায়। এমনকী, দু’হাত দূরের জিনিসও ঠিক মতো দেখা যায় না। দৃশ্যমানতা এই মারাত্মক হারে কমে যাওয়ায় সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন বিএসএফ জওয়ানরা। সেই কারণেই কাঁটাতারের বেড়ায় কোথাও কাচের বোতল, আবার কোথাও টিনের কৌটো বেঁধে রেখেছেন তাঁরা। যাতে সামান্য এদিক-ওদিক কিছু হলেই বিপদের শব্দ সঙ্কেত পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের (BSF) বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই গোটা এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলার দাবি করেছিলেন। শেষমেশ গত ১০ জানুয়ারি, ভারতের দিকে থাকা গ্রামের বাসিন্দারাই জিরো পয়েন্ট ঘেঁষে লোহার খুঁটি পুঁতে দেন। তারপর সেই খুঁটির সঙ্গে কাঁটাতার লাগিয়ে বেড়া দেন তাঁরা। সেই সময় তেড়ে আসে বিজিবি। এমনকী, সীমান্ত (India Bangladesh Border) লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা, সাধারণ বাংলাদেশিরাও কাঁটাতারের বেড়া দিতে আপত্তি করেন। পরবর্তীতে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এই এলাকার প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হলেও বাকি প্রায় ৩ কিলোমিটার সীমান্ত এখনও উন্মুক্তই রয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই সীমান্ত এলাকার যেটুকু অংশে অস্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে, সেই অংশটুকুর সুরক্ষা আরও কিছুটা বাড়াতে কাঁটাতারের মধ্যেই কাচের বোতল ও টিনের কৌটো লাগিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সীমান্তে (BSF) কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় সবথেকে বেশি আতঙ্কে থাকি। কারণ, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে তাঁদের গবাদি পশু, ক্ষেতের ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। শীতের সময় এইসব অত্যাচার আরও বাড়ে। তাই, বিএসএফের এই পদক্ষেপে আমরা খুশি। উল্লেখ্য, গত রবিবার, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। তারই পাল্টা, দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে খবর, কাঁটাতারের ইস্যু-সহ নিরাপত্তাজনিত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেই প্রোটোকল মেনে চলছে ভারত সরকার। এদিন এই বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share