Tag: West Bengal

West Bengal

  • CV Ananda Bose: রাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার, রাজভবনে একটিও বিল আটকে নেই, বললেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার, রাজভবনে একটিও বিল আটকে নেই, বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাঠানো বিল আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যের একাধিক বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি  এই ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সোমবার রাজ্যের অভিযোগের পালটা মুখ খুললেন রাজ্যপাল। বললেন, ”রাজভবনে একটিও বিল নেই, এই অভিযোগ ভুল।” 

    সরকারের অভিযোগ

    রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, বিধানসভায় পাশ করা আটটি বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আদালতে রাজভবনে (Raj Bhavan) বিল আটকে রাখা নিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী আস্থা শর্মা এই পিটিশন দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল ওই বিলগুলি আটকে রেখে সংবিধানের ২০০ নম্বর বিধি ভঙ্গ করছেন। এটা সংবিধান বিরোধী। 

    রাজ্যপালের মন্তব্য (CV Ananda Bose)

    রাজ্যের এই অভিযোগের পরেই এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ”রাজ্য সরকারের পাঠানো ৮টি মধ্যে ৬ টি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছে সেই বিলগুলি এখনও রয়েছে। একটি এখনও বিবেচনা করা হচ্ছে, আর অষ্টম বিলটিতে বেশ কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। তার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভুল। কারণ রাজভবনে (Raj Bhavan) একটিও বিল আটকে নেই।”

    আরও পড়ুন: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    প্রসঙ্গত, যে ৮টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে সেগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ পশু এবং মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল এবং পশ্চিমবঙ্গ নগর পরিকল্পনা এবং নগরোন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল। এই সমস্ত বিলের মধ্যে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন ৬টি পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। আর বাকি দুটি বিল সিভি আনন্দের (CV Ananda Bose) সময়ে পাশ হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, রাজ্যের দায়ের করা পিটিশন নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এদিন তিনি সমস্ত অভিযোগের জবাব দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    Howrah: লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় একেবারে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের পক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেল লাইনের দুপাশে অনেকটা অংশ জুড়ে রেল দফতরের জমি রয়েছে। সেই জমি এতদিন ফাঁকা পড়ে থাকত। দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রেলের এই উদ্যোগের ফলে সেই জমি দখল হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না।

    রেলের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? (Howrah)

    হাওড়া (Howrah)-বর্ধমান কর্ড লাইনে রেললাইনের (Eastern Railway) ধার বরাবর টানা পাঁচিল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই পাঁচিল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। মূলত এই শাখায় পর পর চারটি পাশাপাশি রেললাইন। সেই রেললাইন থেকে কিছুটা অংশ ছেড়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই পাঁচিল। আপ ও ডাউন দুদিকেই এই ধরনের পাঁচিল করা হয়েছে। এর জেরে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই কমবে। দ্রুতগতিতে ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। রেললাইনের ওপর বাইরে থেকে কিছু উঠে আসতে পারবে না। যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে। অনেক সময় লাইনের ধার থেকে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এই উদ্যোগে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে। রেললাইনের ধারে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের পাঁচিল। তবে, কিছু প্রশ্ন উঠেছে, প্রথমত অনেকে আবার এই উদ্যোগকে টাকা নষ্ট বলে উল্লেখ করছেন। কারণ তাঁদের মতে, এই পাঁচিল তৈরি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু, এভাবে কি রেললাইনকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব? এই পাঁচিল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা রয়েছে। সেই পাঁচিল আদৌ কতটা রক্ষা করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অনেকের মতে, সাধারণ মানুষও এই পাঁচিল নষ্ট করে দিতে পারে। সেটা কীভাবে আটকানো যাবে? এই বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    রেলের (Eastern Railway) এক আধিকারিক বলেন, অনেক জায়গায় রেলের ফাঁকা জমি জবরদখল করে নেয়। পরে, তাদের সেখান থেকে সরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়। এই উদ্যোগের ফলে একেবারে মেপে রেলের জায়গার ভিতর তৈরি হয়েছে এই পাঁচিল। এর ফলে রেলের জায়গা জবরদখল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমবে। সব মিলিয়ে সুরক্ষিত থাকবে রেললাইন। রেলের এই অভিনব উদ্যোগকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ (Daspur) নম্বর ব্লকের সুলতাননগর সমবায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। তৃণমূলের হামলায় এক ব্যক্তির মাথা ফাটে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Daspur)

    দাসপুর (Daspur) জ্যোত গৌরাঙ্গ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৩১ টি আসনে রবিবার ছিল নির্বাচন। বেলা গড়াতেই ছাপ্পা ভোট ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, জটাধরপুর বুথে হঠাৎই দেখা যায় বেশ কিছু বহিরাগত ভোট দিতে ঢুকছে। বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে বাধা দেন সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীরা। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নামে র‍্যাফ ও পুলিশ। শুধু তাই নয়, একজনকে তোলা হয় পুলিশ ভ্যানেও।

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক নেতা বলেন, “সমবায় ভোটে জেতার জন্য তৃণমূলকে ছাপ্পা ভোট মারতে হচ্ছে। আসলে ওদের জনসমর্থন নেই, এটাই তার প্রমাণ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চেয়েছিলাম। তৃণমূল সেটা হতে দিল না। বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ভোট করেছে। এভাবে জোর করে ভোটে জিতে কোনও লাভ নেই। এদিন ঘটনাস্থলে প্রশাসন দাঁড়িয়েছিল। কোনও কাজ করেনি তারা। তিরিশটা ভোট ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল। এই ধরনের নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে পারে তা আমরা ভাবতে পারিনি।” এই বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “এগুলো সব অপপ্রচার। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। আসলে ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অভিযোগ করছে। এর বেশি আর কিছু বলব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ্মী ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে রাজনীতি তৃণমূলের। সরকারি প্রকল্পের বন্টনের ক্ষেত্রেও আবারও সেই আমরা-ওরা ইস্যুকে সামনে আনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বক্তব্য জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Lakshmi Bhandar)

    দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) পেয়েও ভোট দেননি যাঁরা, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, অন্ততপক্ষে আমাদের কিছু জনের নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া দরকার আছে। যে টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে, যে টাকাটা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিচ্ছে, সেটা নরেন্দ্র মোদির টাকা নয়, তৃণমূল সরকারের টাকা।”

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বর্তমান টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে। যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ই বাংলার রাজনীতির একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কোচবিহার (Cooch Behar) আসনে ৩৯,২৫০ ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথকে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তারপরও তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, কিছু ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। আর তাতেই এই মন্তব্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিরাজ বসু বলেন,  “বিরোধী দল করলেই তাঁকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া যাবে না। রেশন নিতে দেওয়া যাবে না। সরকারি বিভিন্ন যে প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা দেওয়া যাবে না, এটাই তৃণমূলী কালচার। এসব যত করবে, তৃণমূলের ভোট কমবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: “হাসপাতালে নেই কোনও পরিষেবা”, রোগীদের ক্ষোভ মুখ বুজে হজম করলেন তৃণমূল সাংসদ

    Burdwan: “হাসপাতালে নেই কোনও পরিষেবা”, রোগীদের ক্ষোভ মুখ বুজে হজম করলেন তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ তথা চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহর লাগোয়া একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সাংসদকে কাছে পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা। রোগীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়লেন সাংসদ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Burdwan)

    সাংসদ হওয়ার পর পূর্ব বর্ধমানে (Burdwan) স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্থানীয় শর্মিলা সরকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও অজয় কুমার দণ্ডপাত। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পবিত্র রায় ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বামদেব মণ্ডল। রোগীর পরিবারের লোকজন বলেন, এখন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশিরভাগ রোগী ডায়েরিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যা অবস্থা তাতে রোগমুক্ত হওয়ার চেয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গ্লাসে করে জল তুলে রোগীকে স্নান করাতে বাধ্য হচ্ছি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রান্না করার ব্যবস্থা থাকলেও রান্না করা হয় না। হোম ডেলিভারি হিসেবে খাবার নেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর সেই খাবারের গুণগত মান ভালো না। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা খারাপ। এতটাই নিম্নমানের যে সাধারণ মানুষ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবাদ জানাতে গেলেই থানা পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    তৃণমূল সাংসদ কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ শর্মিলা বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা ভালো নয়। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তা জানলাম। শৌচালয়গুলির অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে সেখানে একটি মগ কিংবা বালতি কিছুই নেই। ইতিমধ্যেই বিডিও এবং বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুরনো কথা তুলে লাভ নেই। কী করে পরিষেবা উন্নত করা যায় তা দেখা হবে।”

    বিএমওএইচ কী বললেন?

    এ বিষয়ে বিএমওএইচ (Burdwan) তুষারকান্তি বিশ্বাস বলেন, “এসব অভিযোগ পুরো মিথ্যা। মূলত, অর্থ এবং পরিকাঠামোর অভাব আছে। আমি সমস্ত স্তরে বিষয়টি জানিয়েছি। আসলে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অকারণে জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “গদ্দারদের জন্য হেরেছি”, সুকান্তর কাছে হেরে নিজের দলকেই ফের নিশানা বিপ্লব মিত্রের

    Balurghat: “গদ্দারদের জন্য হেরেছি”, সুকান্তর কাছে হেরে নিজের দলকেই ফের নিশানা বিপ্লব মিত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে এবারের লোকসভা ভোটে হার, মেনে পারছেন না তৃণমূল প্রার্থী তথা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাই, দলীয় সভাতে বার বার তাঁর পরাজয়ের জন্য দলের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতাকে তিনি দায়ী করছেন। গদ্দারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (Balurghat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট (Balurghat) আসনে ১২ হাজার ভোটে হারের পরে, দলের অন্দরে ‘বিরোধী’ গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিপ্লব। এমনিতেই এখন বালুরঘাট লোকসভার তপন, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, হরিরামপুরে ২১ জুলাই প্রস্তুতি সভা চলছে। সেই প্রস্তুতিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “দলের কয়েক জন গদ্দারদের জন্য হেরেছি। এটা আমার পরাজয় নয়। এটা আসলে দলের পরাজয়। দলের কয়েক জন বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে এই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।  

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    জেলা তৃণমূলের নেতারা কী বলছেন?

    যদিও তৃণমূলের (Trinamool Congress) দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “বিপ্লবদা হয়তো নিজের মতো করে রিপোর্ট দিয়েছেন, কারা কারা বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। দল নিশ্চয়ই সেই রিপোর্ট যাচাই করবে। তারপর ব্যবস্থা নেবে।” জেলার আর এক নেতা বলেন, “বিপ্লবদার ভাই গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ওই পুরসভার কোনও ওয়ার্ডেই দলকে ‘লিড’ দিতে পারেননি। তা হলে ‘বিশ্বাসঘাতকের’ তালিকায় মন্ত্রী কি নিজের ভাইকে রাখবেন? পাশাপাশি, মন্ত্রী নিজের ওয়ার্ডে ‘লিড’ পাননি। জেলা সভাপতিও নিজের এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন।” এই সব ক্ষেত্রে কী করা হবে, সে প্রশ্নই ঘুরছে দলের অন্দরে। তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “প্রকাশ্যে কয়েক জনকে বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দেওয়া যায় না। তিনি যদি পর্যালোচনা চান, সবার সঙ্গে বসতে হবে। আমাদেরও প্রশ্ন রয়েছে।” ফলে, ভোটে নিজে হারের জন্য বিপ্লবের বার বার দলীয় কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: “তলিয়ে যাবে একের পর এক গ্রাম”, আশঙ্কা বিজেপি বিধায়কের

    Alipurduar: “তলিয়ে যাবে একের পর এক গ্রাম”, আশঙ্কা বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী ভাঙনের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বালাটারি গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রতিদিন নদীর ধার ভেঙে জলে তলিয়ে যাচ্ছে। আর গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে নদী। গ্রামবাসীদের উদ্বেগের বিষয়টি জানতে পেরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

    আন্দোলনে নামার ডাক বাসিন্দাদের! (Alipurduar)

    এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। তার জেরেই জল বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের সব জেলার নদীগুলিতে। বাদ নেই কুমারগ্রাম (Alipurduar) বিধানসভা এলাকার রায়ডাক নদী। জলে থৈ থৈ করছে নদী। কয়েকদিন ধরেই নদীর ধার ভাঙতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “ভাঙনের ফলে গ্রামের বসতির কাছে নদী চলে এসেছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি তলিয়ে যাবে। আমরা চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। রাতে ঠিক মতো ঘুমোতে পারছি না।” স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এর আগে এই এলাকায় বিধায়ক কোটার টাকা দিয়ে বাঁধের কাজ হয়েছিল। এখন বেশ কিছু এলাকায় বাঁধের অবস্থা খারাপ। বিধায়ক এসে দেখে গেলেন। আমরা চাই অবিলম্বে বাঁধের কাজ করা হোক। তা না হলে আমাদের ভিটে মাটি সব নদীগর্ভে চলে যাবে।” আগামীদিনে গ্রামবাসীরা মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি লিপি জমা দেবেন। তারপরও প্রশাসনের টনক না নড়লে এ নিয়ে বড় আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ৮ কোটি কর্মসংস্থান! আরবিআইয়ের রিপোর্টে মুখ বন্ধ হয়েছে বিরোধীদের, তোপ মোদির

    গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি বিধায়ক

    কুমারগ্রামের ভল্কা-বারবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাটারি গ্রাম পরিদর্শন করে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন কুমারগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মনোজ ওরাও। তিনি (BJP) বলেন, “রায়ডাক নদীতে অপরিকল্পিতভাবে খনন হয়েছে। যার জেরে নদী গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে বিলীন হয়ে যাবে এই গ্রাম। পূর্ব চকচকার পর বারবিশা গ্রামও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেচমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আরও এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাপি রায়। তিনি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক তৃণমূল নেতা। তিনি রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তাঁর নাম মহম্মদ সাজ্জাদ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttar Dinajpur)

    শনিবারই উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জে ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এরই মধ্যে আবার জেলায় দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে গুলি করার ঘটনায় জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন। ঠিক সেই সময় দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল প্রকাশ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন বাপি ও মহম্মদ নামে দুই তৃণমূল নেতা। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর গুরুতর জখম মহম্মদ সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সিসি ক্যামেরর ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ কোটি কর্মসংস্থান! আরবিআইয়ের রিপোর্টে মুখ বন্ধ হয়েছে বিরোধীদের, তোপ মোদির

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিষয়টি জানার পরই হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ” দলের একটা মিটিং চলছিল। আচমকাই গুলি করেছে। কেন হঠাৎ করে গুলি করল বুঝতে পারছি না। ওখানে সিসিটিভি আছে। পুলিশ আধিকারিকরা দেখে বিষয়টির তদন্ত করুক। তবে, রাজনৈতিক কোনও কারণ বলে মনে হচ্ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন, হবে প্রচুর কর্মসংস্থান, আশাবাদী সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাটে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন, হবে প্রচুর কর্মসংস্থান, আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় রেলের উদ্যোগে বেসরকারি সংস্থার হাত ধরে তৈরি করা হচ্ছে সাইলো গোডাউন। সেখানে জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় খাদ্যশস্য রাখা হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শেষ হলে বাংলাদেশে -পণ্য রপ্তানিতে এই উদ্যোগ ফলদায়ী হবে বলে জানান বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ৩০০ কোটি টাকার ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে গোডাউন (Balurghat)

    প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিই মডেলে তৈরি হচ্ছে সাইলো গোডাউন (Balurghat)। সাইলো গোডাউনের ঘরগুলি সাধারণত লম্বা, নলাকার হয়। যা ওপরের দিক থেকে লোড করা হয়। এটি শস্যের একটি স্থিরাবস্থা নিশ্চিত করে। এক জায়গায় জমা হওয়ারও কোনও সুযোগ নেই। ট্রেন থেকে শস্য লোড করার জন্য সুবিধাজনক এই অত্যাধুনিক গোডাউন। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় রেল এবং ফুড -কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এই গুদাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। লম্বা চিমনির মধ্যে দিয়ে মালগাড়ি সরাসরি গোডাউনের ভিতরে খাদ্যশস্য লোড করতে পারবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে -আনলোডও হবে। জলীয় বাষ্পমুক্ত অবস্থায় থাকায় খাদ্যশস্য দীর্ঘদিন সাইলো গোডাউনে মজুত রাখা যাবে। বালুরঘাট স্টেশন সংলগ্ন রেলের ৪০ একর জমিতে এই গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য হায়দরাবাদের একটি কোম্পানি ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    তিনটি সাইলো গোডাউন তৈরির কাজ চলছে

    হায়দরাবাদের ওই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট তিনটি সাইলো গোডাউন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দীর্ঘ সময় ধরে মজুত করা যাবে। বালুরঘাটের (Balurghat) ধাউল ও বোয়ালদের মৌজায় রেললাইনের পাশেই এই গোডাউন তৈরির প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পূর্ণ হলেই বাংলাদেশে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা সহজ হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে অসম মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    সাইলো গোডাউন হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে

    এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের তিনদিকে বাংলাদেশ। হিলি-বালুরঘাট রেল সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশে রপ্তানি নয়, বাংলাদেশ হয়ে তুরা পর্যন্ত খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়া যাবে। হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হবে। রেল দফতরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পিপিপি মডেলে সাইলো গোডাউন তৈরি হচ্ছে। যা তৈরি হয়ে গেলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। এই জেলার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।”

    খাদ্যশস্য কয়েক বছর সংরক্ষণ করা যায়

    জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর হিলি-তুরা করিডরের আহ্বায়ক নবকুমার দাস বলেন, “সাইলো গোডাউনে জলীয় বাষ্প বাঁচিয়ে খাদ্যশস্য কয়েক বছর সংরক্ষণ করা যায়। এখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে মেঘালয়। অনায়াসে এই রাজ্যে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। ভারত সরকারের অনেকটা আয়ের পথ খুলে যাবে। এই প্রকল্পের ওপর কেন্দ্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহের স্বঘোষিত ‘ডন’ জয়ন্ত সিং এখন জেলে। প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন ডিডিও প্রকাশ্যে আসছে। কখনও তালতলা স্পোটিং ক্লাবের ভিতরে নৃশংস অত্যাচার। কখনও আবার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢিল ছোড়ার ভিডিও সামনে এসেছে। এসব ভিডিও নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati) জুড়ে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে নতুন একটি ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তোলা না দেওয়ায় জয়ন্তর বাহিনীর হামলা! (Kamarhati)

    জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের (Kamarhati) পাশাপাশি জয়ন্তর বাহিনী আশপাশের এলাকায় প্রোমোটারদের কাছে তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ। সিঁথি মোড়ের এক প্রোমোটারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল জয়ন্তর বাহিনীর ছেলেরা। কিন্তু, প্রোমোটার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই প্রোমোটারের অফিসে চড়াও হয় জয়ন্তর বাহিনী। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রোমোটারের দাবি, হামলাকারীরা কখনও জয়ন্ত সিংয়ের লোকজন বলছিল, কখনও আবার তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষের লোকজন বলছিল। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    জয়ন্তর অট্টালিকা বেআইনি, ঘোষণা করল পুরসভা

    আড়িয়াদহে জয়ন্তর তিনতলা দুধ সাদা বাড়ি নিয়ে চর্চা চলছে। এরইমধ্যে শুক্রবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা জয়ন্তর বাড়িতে যান। পরে, ভূমি দফতরে জমির প্রকৃত মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, জমির মালিক দিলীপ মুখোপাধ্যায়। জমির পরিমাণ, ১ কাটা ৪ ছটাক। একসময় টিনের চালা ছিল সেখানে। কিছুটা অংশ জুড়ে পুকুর ছিল। আর বাকি ফাঁকা জয়াগায় এলাকার ছেলেরা খেলাধূলা করত। জয়ন্তর নজর পড়তেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেই ফাঁকা জায়গা, পুকুরের কিছুটা অংশ বুজিয়ে তিনতলা অট্টালিকা তুলেছিলেন জয়ন্ত। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমরা দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ করছি। জয়ন্ত ওই জমির মালিক নন। বাড়িটি বেআইনি। পুরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিয়ে সারলেন পুলিশের খাতায় ফেরার জয়ন্ত সঙ্গী রাহুল!

    জয়ন্তর (Jayanta Singh) বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, পুলিশ একের পর এক জয়ন্তের গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময়ে আড়িয়াদহকাণ্ডেরই মূল অভিযুক্ত রাহুল গুপ্তা বিয়ে করলেন। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ থেকে সূত্রপাত। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে। পুলিশের চোখে জয়ন্ত সিং ফেরার ছিলেন। তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু, কেন তাঁকে গ্রেফতারিতে দেরি, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে জয়ন্ত সিংয়ের গ্যাংয়ের একের পর এক কুকীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে থাকে। জয়ন্ত (Jayanta Singh), লাল্টু সহ ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে এক কিশোরকে অমানবিক মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন রাহুল গুপ্তা। পুলিশের চোখে তিনি ফেরার। কিন্তু, শুক্রবারই সকালে কলকাতায় লুকিয়ে বিয়ে সারলেন তিনি। সন্ধ্যায় রিসেপশন হয় ঘটা করে। তাহলে পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share