Tag: West Bengal

West Bengal

  • Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর এবার কল্যাণী (Kalyani) । তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’র সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। নিজের দাপট দেখাতে দোকানে তালা দিলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির  দুলালকৃষ্ণ মজুমদারের বিরুদ্ধে দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Kalyani)

    কল্যাণী (Kalyani) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন দোকানের মালিক। আচমকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের ওপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। দোকানের মালিকের ছেলে বলেন, তৃণমূলের নেতা বলেই যা খুশি করে যাবে। আমাদের কোনও কথা শোনা হবে না। এভাবে আমাদের দোকান কেন ওই তৃণমূল নেতা বন্ধ করলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে সমস্ত বিষয়টি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আসলে শাসকদলের নেতা বলে পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। চরম আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই এলাকায় ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারব না।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে (Kalyani) তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। আমি সরকারি কোনও পদে নেই তো কী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি আমি। তাই আমার এসব দেখার দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছি”। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ওই ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছি। দলকেও আমি জানিয়েছি”।

    তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। ব্যবসায়ীকে  হয়তো তোলা চেয়েছিলেন, সেটা না দেওয়ার তৃণমূল নেতা দোকানে তালা দিলেন। দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    Nadia: “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে”, বুক চাপড়ে আর্তনাদ এক হকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হকার উচ্ছেদ শুরু হল নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল থানার কাছে রাস্তার পাশে ফুটপাতে তৈরি হওয়া একাধিক দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা। উচ্ছেদ হওয়া হকাররা (Hawker) প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    বুলডোজার চলতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা (Nadia)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ। যারা মূলত বেআইনিভাবে রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য প্রথমে মাইকে প্রচার চালানো হয়। যদিও কৃষ্ণনগরে প্রথমে হকার উচ্ছেদ শুরু করলেও বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে তা কিছুটা থমকে ছিল। বিশেষ করে জেলা বিজেপি নেতারা হকারদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন। বেশ কিছুদিন উচ্ছেদ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এরইমধ্যেই শনিবার সকালে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার সামনে রাস্তার পাশে যে সমস্ত দোকানদাররা ফুটপাতে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদের দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে দেখা যায়। দোকান ভাঙা নিয়ে সুচিত্রা মিত্র নামে এক হকার বলেন, “শুকুনের দৃষ্টি মমতার আমাদের ওপর পড়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব।” সংসার চালাবো কী করে, তা বুঝে উঠতে পারছি না বলে বুক চাপড়ে কাঁদতে শুরু করলেন। অন্য এক হকার (Hawker) বিপ্লব সাহা বলেন, “৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। শুধু মাইকিং করা হয়েছিল। এরপরই এদিন দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। আমাদের পুনর্বাসন দিতে হবে।”  

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর (Nadia) পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাস বলেন, “এতে আমাদের কিছু করার নেই। ওপর থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, আমরা তা শুধু পালন করছি। তবে, বিরোধীদের যে সমস্ত লিখিত অভিযোগ রয়েছে তা আমরা ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর খুনের ঘটনায়  আগামী সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে মূল অভিযুক্তকে, নাহলে এই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হস্তান্তরের জন্য আবেদন  জানাব”, শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে প্রয়াত দলীয় কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। দেন পাশে থাকার আশ্বাসও।

    পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার খাতড়ার (Bankura) দেদুয়া গ্রামে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর। মৃতের ছেলে সনাতন মাহাত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি কর্মী খুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদল মাহাত, হারু ওরফে হারাধন মাহাত ও তারাপদ পালকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    বুথে তৃণমূল হেরেছে, সেই আক্রোশে বিজেপি কর্মী খুন!

    এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে খাতড়া পাম্প মোড় থেকে দাসের মোড় পর্যন্ত দলের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। লাগাতার তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে ঘটনাটিকে জমি নিয়ে বিবাদে গন্ডগোল বলে দাবি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা স্থানীয় তৃনমূল নেতা উত্তম মাহাতকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সাতদিনের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে। এদিন মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার জন্য বাঁকুড়ার নব নির্বাচিত সাংসদ তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীকেও একহাত নেন শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বন্ধুবিহারী  মাহাতর অপরাধ, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিজেপি করতেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বুথে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন। নিহত কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছি। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যে-কোনও সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandakumar: রথের দিন থেকেই গমগম করছে ‘মিনি চিৎপুর’, সামাজিক যাত্রাপালার বুকিং তুঙ্গে

    Nandakumar: রথের দিন থেকেই গমগম করছে ‘মিনি চিৎপুর’, সামাজিক যাত্রাপালার বুকিং তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার যাত্রাপাড়া হিসেবে বহুল পরিচিত কলকাতার চিৎপুর। একের পর এক নামজাদা যাত্রাদল রয়েছে এই এলাকায়। বহু নামজাদা অভিনেতা-অভিনেত্রী এই যাত্রাদলগুলির সঙ্গে যুক্ত। তবে, কলকাতার পর যাত্রাদলের বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার (Nandakumar) বাজার। এখানে জাতীয় সড়কের ওপর গোল চৌকি রাস্তার পূর্ব পাড়ে রয়েছে একাধিক যাত্রা বুকিংয়ের অফিস। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নন্দকুমারে ছুটে আসেন যাত্রাপ্রেমীরা। যে কারণে এই জায়গা ‘মিনি চিৎপুর’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর রথের দিন থেকে যাত্রাপালা বুকিংয়ের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

    কয়েক ঘণ্টাতেই বুকিংয়ের সংখ্যা ৫০ পেরিয়েছে (Nandakumar)

    করোনার সময় থেকে যাত্রাপালা বুকিংয়ে ভাটা পড়েছিল। গত কয়েক বছর সেভাবে বুকিং পায়নি পূর্ব মেদিনীপুরের এই ‘মিনি চিৎপুর’ (Nandakumar)। এবার রথ উৎসবের দিন থেকে চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। নন্দকুমারে যাত্রার বুকিং করতে এলে অনেকেই পরিচিত এজেন্টদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তেমনই এক এজেন্ট বলেন, “প্রতি বছরের মতো এ বারও রথের দিন সকাল থেকে আমরা অফিস সাজিয়ে বসেছিলাম। অন্যান্য বছর বেলা ১২টা থেকে বুকিংয়ের জন্য বিভিন্ন মেলা কমিটি এবং আয়োজকরা আসেন। এ বার সকাল ৭টা থেকে আয়োজকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে অফিস। কয়েক ঘণ্টায় একটি অফিসে ১৬টি বুকিং পেয়েছি। বেশ কয়েকটি বুকিং অফিস মিলিয়ে রথের দিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই বুকিংয়ের সংখ্যা ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    সামাজিক যাত্রাপালায় আগ্রহ বেশি

    এখন পালাগান বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক যাত্রাপালার বিষয়ে বেশি আগ্রহী আয়োজকদের। রাজনীতির কচকচানি অথবা পৌরাণিক ঘটনা নিয়ে পালাগানে সে ভাবে আর আকৃষ্ট হচ্ছেন না দর্শক। ইন্টারনেটের যুগেও যে যাত্রাশিল্প হারিয়ে যায়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বুকিং এজেন্টরা। হলদিয়ার একটি কালীপুজো কমিটির সদস্য সুদীপ্ত মণ্ডল বুকিংয়ের জন্য এসেছিলেন নন্দকুমার (Nandakumar)। তিনি বলেন, “এখনও সাধারণ মানুষের কাছে যাত্রার বিপুল চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য অনুষ্ঠানের তুলনায় যাত্রা দেখতে অনেক বেশি মানুষ ভিড় জমান। তাঁদের দাবি মতো আমরা এ বারেও যাত্রা বুকিং করে এসেছি।”

    প্রথমদিনেই ২২টি বুকিং!

    জয়গুরু নাট্য কোম্পানির মালিক অভিনেত্রী জয়া ভট্টাচার্য বলেন, “আমি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে যাত্রা করেছি। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছি আমরা। মাঝে একটা সময়ে যাত্রাশিল্পে (Yatra) চরম দুর্দশা তৈরি হয়েছিল। তারপর তিনবছর হল আমরা নিজেরাই দল গড়েছি। প্রথম বছর ১৭৫টি শো করেছিলাম। গত বছর ১৬১টি যাত্রাপালা (Yatra) করেছি। এ বার প্রথম দিনেই ২২টি বুকিং পেয়েছি। আশা করছি, গত ২ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    Burdwan: বর্ধমানে চোর সন্দেহে গণ-পিটুনি! পুলিশের গায়ে হাত তুললেন উত্তেজিত জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই ছেলে ধরা সন্দেহে গণ-পিটুনির অভিযোগ উঠছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক জায়গায় গণ-পিটুনির জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ছেলে ধরার জের কাটতে না কাটতেই এবার চোর সন্দেহে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি এলাকায়। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে আলমপুরে (Burdwan) চারজনকে ঘিরে চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এলাকায় কয়েকদিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ওই ব্যক্তিরা। প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রি করতেন তাঁরা। মূলত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সকলে। তাঁদেরকে চোর সন্দেহ করে এলাকার লোকজন বেধড়ক পেটান। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হন গ্রামের লোকজন। হেনস্থার শিকার হন পুলিশ কর্মীরা। গ্রামের লোকজনের বক্তব্য, এলাকায় এসে তাঁরা চুরির ছক কষছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেবে। সেটা চলবে না। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। জানা গিয়েছে, চারজনকে উদ্ধারে বাধা দেন এলাকাবাসী। পরে, বিশাল বাহিনী গিয়ে পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশ (Police) সুপার (Burdwan) আমন দীপ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আসে চোর সন্দেহে গ্রামে চারজনকে মারধর করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের দু’টো গাড়ি পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ (Police) সেখানে গিয়ে চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের ডিএসপির নেতৃত্বে একটা টিম সেখানে ফের যায়। বড় বাহিনী পাঠানো হয়। পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে আমরা মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা হেফাজতে নিতে চাই তাদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ছেলে। একজন দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানার কর্মী। বাকি দুজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তা সত্বেও আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে ডিএসপির (DSP) পরিত্যক্ত আবাসনে। তাঁকে জল দেওয়ার কেউ নেই। শুক্রবার চরম অমানবিক ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের জয়দেব এলাকায়।

    পরিত্যক্ত আবাসনে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থ! (Durgapur)

    শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত কি না তা দেখার জন্য সার্ভে করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা ডিএসপি’র (Durgapur) একটি পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, একটি ভাঙা খাটে হাত, পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের নাম মাগারাম ঘোষ। তিনি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাগারাম ঘোষের হাত-পায়ের দড়ি খুলে তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গুণধর ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতেরে বৃদ্ধকে অসহায়র মতো দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন গুণধর ছেলে?

    বড় ছেলে দয়াময় অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাবা বরাবর এখানেই থাকতেন। সেই জন্য এখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। বাবা অসুস্থ। যাতে বিছানা থেকে তিনি না পড়ে যান, সেই জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আমি নিয়মিত আসি। বাবার দেখভাল করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই বাবার আবাসন (DSP) ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবাকে দখল করা আবাসনে রাখা হয়েছে। অমানবিক কিছু ঘটেনি।”

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?

    প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন,”এমন নির্মম ঘটনা আগে কোনওদিন দেখিনি। মাগারামবাবু এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, তাঁর ছেলেরা যে এরকম করতে পারেন তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব। এই ধরণের ঘটনা যাতে সমাজে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    Dholahat Death Case: জামিন পাইয়ে দিতেও ঘুষ চেয়েছিল পুলিশ! ঢোলাহাটকাণ্ডে অভিযোগ মৃতের পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় মুখ পুড়ছে রাজ্য পুলিশ- প্রশাসনের। ঢোলাহাটে যুবকের মৃত্যু (Dholahat Death Case) ঘিরে এমনিতেই অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। এ বার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন (Calcutta HighCourt) ‘জামিন পাইয়ে দেওয়ার শর্ত’ হিসেবেও পুলিশের বিরুদ্ধে পৌনে দু’লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করল মৃত যুবকের পরিবার। 

    আগে কী ঘটেছিল? (Dholahat Death Case)   

    ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ জুন। ওইদিন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর আবু সিদ্দিক হালদার (২২) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। আর সেখানেই গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    ঠিক কী অভিযোগ মৃতের পরিবারের? 

    মৃতের পরিবারের দাবি, ঢোলাহাট থানার আইসি ওই যুবককে জামিন পাইয়ে দেওয়ার জন্য পৌনে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। থানায় আবুকে বেদম মারধরের পাশাপাশি বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়েছিল বলেও তাদের অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়, ৪ জুলাই জামিন পাওয়ার পরে আবুর শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। বাড়ি ফেরার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান (Dholahat Death Case) আবু।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভারতীয় পরিচারিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত পাকিস্তানি কুক 

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এ দিন কোর্টে (Calcutta HighCourt) পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা (Dholahat Death Case) আড়াল করার অভিযোগও করেছেন আবুর পরিবারের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ আবুর দেহের ময়নাতদন্তের কথা পরিবারকে জানায়নি। ডাক্তারের রিপোর্টও দেওয়া হয়নি। কেন এই ‘অতি সক্রিয়তা’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দাবি, জন্ডিস এবং রক্তে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের উচ্চমাত্রাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    ISKCON: ইসকনে জগন্নাথদেবকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, কাঁঠালসহ ৫৬ ভোগ নিবেদন, ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রাজাপুর থেকে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে (ISKCON) এসেছেন জগন্নাথ-বলদেব-সুভদ্রা। ইসকনে জগন্নাথ দেবের ৫৬ ভোগের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। তা দেখতে হাজির হয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত। দিন কয়েক আগেই হয়ে গেল রথযাত্রা উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে এই উৎসব। রথযাত্রার দিন নদিয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে রাজাপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলদেব, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবকে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরকে জগন্নাথদেবের অস্থায়ী মাসি বাড়ি হিসেবে ধরা হয়। উল্টোরথের আগে পর্যন্ত মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবের জাঁকজমকভাবে পুজো চলে।

    জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি ইসকন মন্দিরে (ISKCON)

    ইসকন মন্দিরের (ISKCON) ভিতরেই সাজানো হয়েছে জগন্নাথ দেবের মণ্ডপ। ভোর সাড়ে চারটের নাগাদ শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর প্রতিদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় ৫৬ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথদেবের সামনে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয় বিগ্রহের সামনে। তার মধ্যে থাকে পাস্তা, বার্গার, ক্রিমরোল, ডোনাট আরও রকমারি খাদ্য। দেশ-বিদেশের বহু ভক্তরা প্রতিনিয়ত আসছেন জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মহারানি সোনার আবরণে সজ্জিত হন। উল্টো রথের আগে পর্যন্ত প্রতিদিনই চলবে মঙ্গলারতি ও ৫৬ ভোগ আরতি। এছাড়াও প্রতিদিন জগন্নাথদেবের আটটি শ্লোকে আরতি হয় মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন ইসকন মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক?

    এ বিষয়ে মায়াপুর (Mayapur) ইসকন (ISKCON) মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ৭ জুলাই রথের দিন বলরাম, সুভদ্রা এবং বলদেবকে তাঁদের অস্থায়ী মাসি বাড়ি মায়াপুর ইসকনের নিয়ে আসা হয়েছে। আবার সাত দিন পর উল্টো রথের দিন তাঁরা নিজের বাড়িতে রওনা হবেন। এই সাতদিন মায়াপুর ইসকনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ প্রদান করা হয়। যেহেতু জগন্নাথদেব খাদ্য রসিক ছিলেন, সেই কারণে তাঁর পছন্দের খাবার যেমন কেক, লাড্ডু থেকে শুরু করে পাস্তা এবং প্রিয় ফল কাঁঠাল ভোগ দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত এই জগন্নাথদেবের ছাপানো ভোগ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এবং প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষকে জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই জগন্নাথদেবের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য সকল ভক্তদের কাছে অনুরোধ রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    Cooch Behar: ক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবি, কামারহাটির জয়ন্ত সিংয়ের পর এবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙার তৃণমূলের উপ-প্রধান হাসিম আলির নাম প্রকাশ্যে এল। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে নৃশংশভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠল। সব কিছু দেখেও পুলিশ নীরব দর্শক ছিল বলে অভিযোগ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙার হাজরাহাটে। জখম মহিলাকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    জানা গিয়েছে, কোনও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল। তাতে ওই মহিলার নাম জড়িয়েছে। মহিলাকে উচিত শিক্ষা দিতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) উপ-প্রধান পুলিশের সামনেই হামলা চালান। মাথাভাঙা (Cooch Behar) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আক্রান্ত মহিলা বলেন, আমি কোনও অন্যায় করলে তারজন্য পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। তিনি তৃণমূলের উপ-প্রধান বলেই তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পান না। এমনকী উপ প্রধান হাসিম আলি ও তাঁর ভাই মিলে আমাকে সকলের সামনে ব্যাপক মারধর করেছে। কেউ আমাকে বাঁচাতে আসেনি। সকলের সামনে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল মাথাভাঙা থানার পুলিশও। পুলিশের সামনেই চলে মারধর। তৃণমূল নেতা মারধর করছে বলে ভয়ে কেউ বাঁচাতে আসেনি। আমি হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি। প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ ওঠায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    তৃণমূলের উপ-প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    যদিও তৃণমূলের (Trinamool Congress) উপ-প্রধান হাসিম আলির দাবি, ওই মহিলা স্থানীয় একটি কালী মন্দিরের পিছনের ফাঁকা জায়গা দখল করতে চেয়েছিলেন। তাতে বাধা দেওয়া হয়। এদিন অন্য একজনের দোকানে এসে ঝামেলা করাতে তাঁকে সেখান থেকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বেশি কিছু হয়নি। এমনকী মারধর করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মিথ্যা করে আমার নাম জড়িয়ে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন ওই মহিলা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nagerbazar: নাগেরবাজারে গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন

    Nagerbazar: নাগেরবাজারে গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ২২টি ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমদমের নাগেরবাজার (Nagerbazar) সংলগ্ন মল রোড এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। একের পর এক কারখানা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ, একটি গোডাউনে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দমকলের বিশাল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  

    কীভাবে আগুন লাগল? (Nagerbazar)

    নাগেরবাজার (Nagerbazar)১০ কাঠা জমির ওপর একাধিক কারখানা রয়েছে। কারখানার চারিদিকে পাঁচিল দেওয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি আইসক্রিম কারখানায় প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের এক হোসিয়ারি কারখানায়। পাশাপাশি দুটি কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে। সকালের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যদিও খবর পেয়ে রাতেই দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং, আগুন আশপাশের কারখানা,গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে, দমকলের ই়়ঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। সবমিলিয়ে ২২টি ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, বেলা ১১টা পর্যন্ত দমকল কর্মীরা আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে পারেননি। ভয়ঙ্কর আগুনের (Fire) তাপে কারখানা দুটির লোহার গ্রিলগুলি পর্যন্ত বেঁকে গিয়েছে। সেগুলি সরিয়ে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    দমকল দেরিতে আসায় ক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, হোসিয়ারি কারখানায় প্রচুর গেঞ্জি এবং অন্যান্য হোসিয়ারি পণ্য মজুত ছিল। সেগুলি থেকে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে না পেরে দমকল কর্মীরা আপাতত জানলার বাইরে থেকে জল দিয়ে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। দুটি কারখানাতেই প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, রাতে সেখানে কেউ ছিল কি না তা স্পষ্ট নয়। রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে কীভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়টিও জানা  যায়নি। তবে, দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু যান। তিনি ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দমকল আসতে অনেক দেরি করেছে। দমকল সময় মতো এলে, আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ত না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share