Tag: West Bengal

West Bengal

  • Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ধমানে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। আর তাতে নাম জড়ালো তৃণমূলের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রবি পাশোয়ান(৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমান (Burdwan) শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শেখ ইনসান ওরফ গাবুর বাড়ি একই জায়গায়। ঘটনার পর থেকে সে উধাও। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী (Trinamool Congress) গাবুর সঙ্গে থাকতেন রবি। শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সে তোলাবাজিও করত। মাঝে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। রবি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। আর গাবুর এলাকায় (Burdwan) চায়ের দোকান রয়েছে। কোনও একটি বিষয় নিয়ে রবির সঙ্গে গাবুর বচসা হয়। এরপরই তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় গাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীরা। মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বলেন, আমার স্বামীকে গাবু বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে আঘাত লাগে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু হয়। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মৃতের দাদা প্রেমনাথ পাশোয়ান বলেন, গাবু সব সময়ে অসামাজিক কাজকর্ম ও তোলাবাজি করত। আর তৃণমূল করত বলে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। ভাই পরিবারে একমাত্র রোজগার করত। ও চলে যাওয়ার পর সংসার কী করে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আমরা চাই, গাবুর শাস্তি হোক।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কে কি রাজনৈতিক দল করে সেটা কোনও বিষয় নয়। আইনে অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। অপরাধী শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Limca Book Of Records: নাক দিয়ে মাউথ অর্গান বাজিয়ে বাজিমাত চয়নের, ঝুলিতে ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’

    Limca Book Of Records: নাক দিয়ে মাউথ অর্গান বাজিয়ে বাজিমাত চয়নের, ঝুলিতে ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ নয়, নাক দিয়ে মাউথ অর্গান বাজিয়ে তাক লাগিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপরে মহিষাদলের (Mahishadal) বাসিন্দা চয়ন চক্রবর্তী। নাম তুলে নিয়েছেন লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে (Limca Book Of Records)। তাঁর এই কর্মকাণ্ড দেখে প্রতিবেশীরাও তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। আর প্রতিবেশীদের প্রশংসা পেয়ে চয়নবাবুও আপ্লুত। তিনি অনুশীলন আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর।

    নাক দিয়ে একটানা ১২ ঘণ্টা মাউথ অর্গান বাজিয়ে রেকর্ড! (Limca Book Of Records)

    প্রায় ২৫ বছর ধরে মাউথ অর্গান বাজাচ্ছেন চয়নবাবু। ১৯৯৯ সালে বাজনায় হাতেখড়ি। ১৩-১৪ বছর বয়সেই হাতে তুলে নেন মাউথ অর্গান। তারপর থেকে এই মাউথ অর্গানকেই করে নেন সঙ্গী । হাওড়ায় শৈবাল সেন নামে এক ব্যক্তির কাছে শুরু হয় তাঁর শিক্ষা। তারপর থেকে লাগাতার চলেছে বাজনা। সঙ্গীতের প্রতি চয়নের আগ্রহ দেখে, বাড়ির সদস্যরাও বারেবারেই উৎসাহিত করেছেন তাঁকে। শিক্ষা ও অনুশীলন বেশ ভালোই চলছিল। চয়নবাবু বলেন, নাক দিয়ে বাজানো যায় কি না তা দেখার জন্য একবার চেষ্টা করি। কিন্তু, পারি না। এরপর মনে জেদ চেপে ধরে। নাক দিয়ে মাউথ অর্গান বাজাবো বলে মনস্থির করি। এরপর শুরু হয় অনুশীলন। দীর্ঘ অনুশীলনের পর রপ্ত করে ফেলি। আর এখন অনায়াসেই নাক দিয়ে মাউথ অর্গান বাজাতে পারি। পরে, লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের বিষয়টি জানতে পারি। সেই মতো লিমকা বুক অফ রেকর্ডস (Limca Book Of Records) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। একদিন একটানা ১২ ঘণ্টা বাজিয়ে রেকর্ড গড়েছি। এই রেকর্ড আমার মনে অনেকটাই সাহস জুগিয়েছে।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বর্তমানে মহিষাদল (Mahishadal) এলাকায় মাউথ অর্গান শিল্পী হিসেবে যথেষ্টই পরিচিত চয়ন চক্রবর্তী। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানও করেন। অনুষ্ঠানে মূলত মুখ দিয়ে মাউথ অর্গান বাজালেও, শ্রোতা ও দর্শকদের অনুরোধ রাখতে নাক দিয়েও বাজিয়ে শোনাতে হয়। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মাউথ অর্গানের শিক্ষাও দেন চয়ন। এক্ষেত্রে শুধু স্থানীয় স্তরেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য, এমনকী বিদেশেও প্রচুর ছাত্র ছাত্রী রয়েছে তাঁর। প্রতিদিনই অনলাইনে চলে ক্লাস। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নাক দিয়ে অত সুন্দর মাউথ অর্গান বাজাতে আমরা কাউকে দেখিনি। চয়নের জন্য আমাদের গর্ব হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: পুরসভার অনুমতি ছাড়াই জমি দখল করে অট্টালিকা! জয়ন্তর আরও কীর্তি প্রকাশ্যে

    Kamarhati: পুরসভার অনুমতি ছাড়াই জমি দখল করে অট্টালিকা! জয়ন্তর আরও কীর্তি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার আড়িয়াদহে রাজত্ব চালাত জয়ন্ত সিং। তাঁর মুখের ওপর কথা বলার সাহস পর্যন্ত কারও ছিল না। ক্লাবে নিয়ে এসে নৃশংস অত্যাচার করার পাশাপাশি জমি দখলও করত জয়ন্তর বাহিনী। এমনকী নিজেও একটি জমি দখল করে অট্টালিকা তৈরি করছিল। পুরসভার অনুমতি নেওয়ার পর্যন্ত প্রয়োজন বোধ করেননি। আর জয়ন্তকে ঘাঁটানোর সাহস দেখাননি কেউ। জয়ন্ত গ্রেফতার হতেই তাঁর বেআইনি অট্টালিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    জমি দখল করে অট্টালিকা (Kamarhati)

    জানা গিয়েছে, শাসকদলের মদতেই নাকি অন্যের জমি (Kamarhati) রাতারাতি দখল করে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করেন জয়ন্ত সিং। বছর খানেকের মধ্যেই সেই বিলাসবহুল বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বাড়ির প্রতিটি কোণ বিদেশি মার্বেল এবং কাঁচ দিয়ে মোড়া। রয়েছে দুষ্প্রাপ্য পাথরও। চোখ ধাঁধানো তিনতলা এই বাড়িতে কী নেই! দামি টিভি, ফ্রিজ, এসি থেকে আমোদ-প্রমোদের সমস্ত উপকরণই রয়েছে। আছে কয়েক লক্ষ টাকার মাহিন্দ্রা থর-এর মতো গাড়িও। ইতিমধ্যে বাইরের অংশে সিসিটিভি বসানো হয়ে গেলেও ভিতরে এখনও চলছে কাজ।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করে জয়ন্তর বাহিনী

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেও বাড়ি তৈরির জায়গাটি (Kamarhati) ছিল জঙ্গলে ভরা। তারপর গত বছর সেখানে অট্টালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। একবছরের মধ্যেই নাকি বাড়িটি তৈরি হয়ে যায়। তবে এই বাড়ি তৈরি নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পুকুরের অনেকটা অংশ বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়ি তৈরির কোনও বৈধ অনুমতিও পুরসভার থেকে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রাক্তন কাউন্সিলর সুবীর বসু বলেন, বেআইনি নির্মাণ করছিল। বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব বলেছিলাম। জয়ন্তর বাহিনী আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছিল। আসলে ওর মাথায় (Trinamool Congress) কারও হাত ছিল বলেই ওর এত সাহস বেড়ে গিয়েছিল। কেউ ওর ভয়ে কথা বলার সাহস দেখাতো না। ফলে, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে সে অট্টালিকা তৈরি করছিল।

    জয়ন্তর আরও এক শাগরেদ গ্রেফতার

    জয়ন্ত কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার বেলঘরিয়ার আড়িয়াদহে একটি ক্লাবের ভিতরে এক কিশোরকে বিবস্ত্র করে সাঁড়াশি দিয়ে যৌনাঙ্গ টেনে ধরার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টু। বুধবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে বারাকপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের কিশোরের ওপর যে নির্মম অত্যাচারের ভিডিও সামনে এসেছে তাতে এই লাল্টুকেই দেখা গিয়েছিল সাঁড়াশি দিয়ে ওই কিশোরের যৌনাঙ্গ টেনে ধরতে। লাল্টু জয়ন্ত ওরফে জায়ান্ট সিংয়ের শাগরেদ বলেই জানা গিয়েছে। তবে তার সঙ্গে সেসময় আর কারা কারা উপস্থিত ছিল এবং তাদের ভূমিকা কি ছিল সেদিকটিও পুলিশ ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আমাকে ভোটে হারানো দলের বেইমান, গদ্দারদের জেলা ছাড়া করব”, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর

    Balurghat: “আমাকে ভোটে হারানো দলের বেইমান, গদ্দারদের জেলা ছাড়া করব”, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা আমাদের হারিয়ে দিয়েছে, সেই সব বেইমান, গদ্দারদের খুঁজে বের করুন। আমরা তাদের জেলা ছাড়া করব। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এভাবে হুঁশিয়ারি দিলেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির জেরে বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।  

    একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা (Balurghat)

    সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ভোটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। ভোটে পরাজয়ের পর থেকে দলের গোষ্ঠী কোন্দলের দিকে আঙুল ওঠে। হারের কারণ নিয়ে দলের অন্দরে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। কিন্তু এবার হারের কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে ‘বেইমানদের’ খুঁজে বের করতে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন মন্ত্রী। বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার তপন রবীন্দ্র ভবনে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়। সভায় হাজির হন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, গঙ্গারামপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা সহ অন্যন্যরা।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?

    দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব মিত্র বলেন, হেরে গেলেও আমার ব্যক্তিগত কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি মন্ত্রী ছিলাম। মন্ত্রী আছি। কিন্তু ক্ষতি হল দলের। আমরা এখানে জিতে গেলে বিজেপি দলটাকে তুলে দিতে পারতাম। বাংলায় বিজেপি টুকরো টুকরো হয়ে যেত। এই একটা সিটের এতটাই গুরুত্ব ছিল। বেইমানরা টাকা খেয়ে দলকে হারিয়ে দিল। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলে বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করতে হবে। ওদের আমরা দলটা করতে দেব না। যাক না সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে গিয়ে দিল্লিতে থাকুক। যে কোনও মূল্যে আমাদের গঙ্গারামপুর, তপন বিধানসভা জিততে হবে। তাই জোর করে হারিয়ে দেওয়া আমরা আর মানব না। বিপ্লব মিত্র আরও বলেন, আমরা যেমন বলি বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করব। আমরা এবার বেইমান, বিশ্বাসঘাতকদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ছাড়া করব।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, এটা তৃণমূলের (Trinamool Congress) ব্যাক্তিগত ব্যাপার। দলের লোকেরা জানেন যে বিপ্লব মিত্র জিতলে জেলার কোনও লাভ হবে না, লাভ হবে তাঁর পরিবারের। তাই মানুষ ভালো বুঝে সুকান্ত মজুমদারকে ভোট দিয়েছেন। আর তিনি কাকে জেলা থেকে বের করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: জমি বিক্রি করে তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করল দলেরই লোকজন

    TMC Conflict: জমি বিক্রি করে তোলা না দেওয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করল দলেরই লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় দলের কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার নলুয়াপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (TMC Conflict)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনদিন আগে নলুয়াপাড়া (TMC Conflict) এলাকার ৭৬ নম্বর বুথ সভাপতি সৌমিত্র সাহা  পৈত্রিক জমি বিক্রয় করেন। জমিটি কেনেন মোহাবুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। জমিটি বিক্রয় করার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী তাঁর কাছে তোলা চেয়ে হুমকি দিতে থাকে। তারা এক লক্ষ টাকা দাবি করে। তৃণমূল নেতা তা দিতে অস্বীকার করেন। বুধবার রাত তিনটে নাগাদ ৪০ জন দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র এবং দা নিয়ে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ির দরজা-জানলা ভাঙচুর করে। সৌমিত্র সাহা সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বপন সাহাকে ফোন করে জানান। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের বুথ সভাপতি সৌমিত্র সাহা বলেন, নিজের জমি বিক্রি করেছি। তারজন্য ১ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল। আমি তা দিতে রাজি হইনি বলে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমার ছেলের চাকরির পরীক্ষা ছিল বৃহস্পতিবার। আতঙ্কে সে চাকরির পরীক্ষা দিতে যেতে পারল না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নদিয়া (Nadia) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। নদিয়া (Nadia) জেলা উত্তরের বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদেরও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই হামলার ঘটনায় দলের লোকজনই জড়িত। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন

    Dakshin Dinajpur: মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ছাত্রের, শিক্ষকদের মার, স্কুলে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। রোদে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের কচড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্কুলে হামলা চালানোর ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিফিন পিরিয়ডের (Dakshin Dinajpur) সময় সমস্ত পড়ুয়া মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রও মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল। সেই গরমে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বন্ধুরা তাকে ধরাধরি করে স্কুলের ক্লাসঘরে নিয়ে আসে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তাকে ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে আসতে শুরু করেন। শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশের সামনেই শুরু হয় তাণ্ডব। স্কুল চত্বরে তুমুল ভাঙচুর করা হয়। শিক্ষকদের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বার বার ফোন করার পরেও যথেষ্ট সংখ্যক ফোর্স আসেনি। তার জেরে জনতা তাণ্ডব চালালেও কিছু করা যায়নি। সরকারি সম্পত্তিতে তুমুল ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকী স্কুলের লাইব্রেরিতেও ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হাইস্কুলের (School) দরজা,জানালাও ভেঙে ফেলা হয়।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

    প্রধান শিক্ষক (School) রানা দাস বলেন, দুপুর দেড়টা নাগাদ পড়ুয়ারা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অভিভাবকরা কিছুক্ষণ পরেই এসেছিলেন। ছাত্রের মাথায় জল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাকে বাঁচানো যায়নি। এরপরই এলাকার লোকজন স্কুলে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • School dropout: বাংলায় মাধ্যমিকে স্কুলছুট সব থেকে বেশি! সমীক্ষায় চিন্তার ভাঁজ শিক্ষা সংসদের কপালে

    School dropout: বাংলায় মাধ্যমিকে স্কুলছুট সব থেকে বেশি! সমীক্ষায় চিন্তার ভাঁজ শিক্ষা সংসদের কপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৩ লক্ষের মতো পড়ুয়া একাদশ থেকে দ্বাদশে উঠতে অসফল হয়েছেন। কিন্তু এইবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, তাঁদের ফের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সুযোগ দিতে চেয়েছে। কিন্তু ১৩ লক্ষের মধ্যে মাত্র দেড় হাজার পড়ুয়ার নাম নথি ভুক্ত করেছেন। অত্যন্ত কম রেজিস্ট্রেশন করায় চিন্তা প্রকাশ করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পড়ুয়াদের স্কুলছুট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জাতীয় শিক্ষানীতির সফল বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১০০ নথিভুক্ত করার লক্ষ্য মাত্রা স্থির করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে। আসুন জেনে নিই বাংলায় স্কুলছুটের (School dropout) পরিসংখ্যান কত?

    বাংলায় ৯০ শতাংশই স্কুলছুট (School dropout)!

    উচ্চ মাধ্যমিকের সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই স্কুলছুট (School dropout)। সংসদকর্তা বলেছেন, “চলতি বছরেই যেমন দেখা গিয়েছ, ৭০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী এবার উচ্চ মাধ্যমিকে বসেননি। তাঁরা আবার একাদশে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। যাঁরা বসছেন না, তাঁদের অধিকাংশ ড্রপ আউট। তাঁরা হয়তো কাজে যোগদান করেছেন। ছোটখাটো দোকান খুলছেন। এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” কেন্দ্রের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালে বিহারে স্কুলছুটের সংখ্যা ২০.৪৬ শতাংশ, গুজরাটে ১৭.৮৫ শতাংশ, অসমে ২০.৩ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশে ১৬.৭ শতাংশ, পাঞ্জাবে ১৭.২ শতাংশ, মেঘালয়তে ২১.৭ এবং কর্ণাটকে ১৪.৬ শতাংশ। আবার রাজ্য শিক্ষা দফতরের রেকর্ড অনুসারে, মহামারীর কারণে ২০২৩ সালে মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লক্ষ কমেছে। ফলে বাকি রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্যের অবস্থা খুব একটা আশা ব্যঞ্জক নয়।

    ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে

    ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বাংলার (West Bengal) অর্ধেক মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ছাড়াই বাড়িতে রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র সরকারের একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, এই মেয়েরা তাঁদের শিক্ষা শেষ না করে বা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের কোর্স গ্রহণ করার পরিবর্তে পরিবারেই কাজ করছেন। বাংলায় যখন এই ধরনের মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ৪৯.৯ শতাংশ (School dropout)। সারা দেশে এই সংখ্যার পরিমাণ ৪৩.৮ শতাংশ। গত বছর পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে করা মেয়েদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ এরকম ১০০ জন মেয়ের মধ্যে ৪৫ জনের ২১ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে কন্যাশ্রী প্রকল্পে, ২৫ বছর বয়সী এবং বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী পরিবারের মেয়েদের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা অনুদান দিয়ে থাকে। আবার যদি কোনও মেয়ের বাবা-মা উভয়েই মারা গিয়ে থাকেন বা শারীরিকভাবে অক্ষম হন, তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা পান। মহামারী চলাকালীন, অনেক পরিবার অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক ছেলে-মেয়ে তাঁদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক পরিবার সরকারের এককালীন অনুদানের সাহায্যে তাঁদের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ফলে এই দিকগুলিও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    শিক্ষকদের  বক্তব্য

    রাজ্যের (West Bengal) প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড’–এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেছেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও কত জন ভিন রাজ্যে কাজে চলে যাচ্ছেন (School dropout)। একাদশ পাশ না করতে পেরে ড্রপ আউটের প্রবণতা আরও বেশি। কর্ম সংস্থান নেই, এসএসসি, পিএসসির নিয়োগ নেই। রাজ্যে চাকরি নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sitalkuchi: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    Sitalkuchi: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর দুই মেয়েকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি (Sitalkuchi) ব্লকের মহিষমুড়ি এলাকায়। বোমার আঘাতে দুজনেই জখম হয়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sitalkuchi)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে শীতলকুচি (Sitalkuchi) এলাকায় বিজয় মিছিল করে। সেই মিছিল দেখার জন্যই বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরই তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বিজেপি কর্মীর দুই মেয়েকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মী দীপালি প্রামাণিক বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূল লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল। এদিন ওদের বিজয় মিছিল আছে জানার পর আমরাও ভয়ে বাড়িতে ছিলাম না। দুই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের হতেও নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু, মেয়েরা বাড়ির বাইরে যেতেই তৃণমূলের লোকজন ওদের লক্ষ্য করে বোমা মারে। দুই মেয়ের মধ্যে একজন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। অন্যজনের বাড়ি থেকে চলছে চিকিৎসা। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা মিছিল করেন। দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিজেপি (BJP) নেতা মনোজ ঘোষ বলেন, “এভাবেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূল কী আসলে কোনও রাজনৈতিক দল? এটা কী ধরনের কাজ? ভোটে কেউ জিতবে, কেউ হারবে এটাইে নিয়ম। কিন্তু, তাই বলে যাঁরা হারছে তাঁদের বাড়িতে বোমাবাজি করা হবে? ছোট্ট মেয়েরা মিছিল দেখতে এসেছে, তাদের ওপর হামলা করল তৃণমূল। এটা তো ক্ষমার অযোগ্য। অবিলম্বে এর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” তৃণমূল নেতা আলিয়ার রহমান বলেন, “দলীয় কর্মীরা কোনও বোমাবাজি করেনি। কয়েকজন কর্মী শুধু পটাকা ফাটিয়েছেন। তখনই হয়তো কারও গায়েটায়ে পড়েছে। এর বেশি কিছু নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ এই কাজ করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচন ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই তৃণমূলের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার ভোটের দিনও তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্ত্রাস চালায়। বিজেপির বুথ অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন ভোট পর্ব চলাকালীন একাধিক বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস। বাহিনীকে তুলোধনা করেন তিনি।

    তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Ranaghat)

    এদিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর এসেছে। একটি বুথে (Ranaghat) ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ান ওই কেন্দ্রে (By-Election) নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। তিনি বলেন, বুথ থেকে বেরিয়ে বিজেপি বলেন, “প্রার্থী হিসেবে আমি সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। আমাকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানালে উনি উচ্চতর আধিকারিককে ফোন করি। তার পর আর বাধা দেননি। আসলে প্রশাসন, তৃণমূল, অপরাধীরা সকলে মিলে একজোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও সক্রিয় নয়, আবার কোথাও অতি সক্রিয়। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্বাধীনতা নেই। তারা বাংলার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “বেশিরভাগ জায়গাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের প্রভাবিতও করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যেখানে তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে, সেখানেই বিজেপির আপত্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি নিরপেক্ষ কাজ করে, তবে কি সেটা দালালি?” প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-Election) ছিল। রানাঘাট ছাড়াও ভোট হয়েছে কলকাতার মানিকতলা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং উত্তর ২৪ পরগনা বাগদায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের উপ-নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ভোট নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে আলাদা করে ভাবা উচিত বলে জানান তিনি। বুধবার বালুরঘাট থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপ-নির্বাচনসহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে এক হাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    উপ-নির্বাচনেও ভোট লুট করেছে তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    এদিন রাজ্যের উপ-নির্বাচনের গতিবিধি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, দলদাস পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) রাস্তায় গুন্ডা দাঁড় করিয়ে ভোট লুট করছে। বিরোধীদের মারধর, ভাঙচুর চলছে।  এটা ভোট নয়। ভোটের নামে প্রহসন। যদি  মানুষকে অবাধে ভোট দিতে দেওয়া হয় তাহলে এই উপ-নির্বাচনেও তৃণমূলের ভরাডুবি হবে। ৭০ শতাংশের ওপর ভোট পড়লেই বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত। কিন্তু, যেভাবে ভোট লুট ও  মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ চলছে তাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে ভাবা দরকার। পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। দেশের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে মেলালে চলবে না।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরব সুকান্ত

    সব্জি সহ নিত্য প্রয়োজরীয়  জিনিসের দাম চড়চড়িয়ে বাড়ছে। সব জিনিসের  আকাশছোঁয়া দাম। বাজারে আগুন।  মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠেছে।  এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সরকারের টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, যা কিছু হচ্ছে প্রকাশ্যে, সকলের সামনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জানতেন না। টাস্কফোর্স গঠন কেন করা হবে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার সারাবছর কী করেন?

     বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলাবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত

    উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলাবস্থা নিয়ে এদিন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দুর্নীতিতে বেহাল হয়ে পড়েছে। রাজ্যপাল ও রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী, এই দুইয়ের লড়াইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল সরকার সবসময়ই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা করে চলেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এই যুদ্ধের মনোভাবের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আজ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছে। রাজ্যপাল সাংবিধানিক বলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাই তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিবে। তাতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কিন্তু, সেটাই করছে রাজ্যের তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share