Tag: West Bengal

West Bengal

  • Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    Iskcon Rath Yatra: ৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবেন প্রভু জগন্নাথ, মায়াপুরে আজ সাজো সাজো রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহা সমারোহে পালিত হতে চলেছে মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উপলক্ষে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্তের ঢল নেমেছে। ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথদেবের নন্দী ঘোষ, বলদেবের তালধ্বজ ও সুভদ্রা দেবীর পদ্মধ্বজ-এই তিনটি সুসজ্জিত রথ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ও হরিনাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে মায়াপুর ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা গিয়েছে, এক সময়ে মায়াপুর আর রাজাপুর নামে দু’টি গ্রাম ছিল। রাজাপুরের বেশিরভাগই ছিলেন বৈষ্ণব। কয়েকশো বছর আগে নাকি এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম রথযাত্রার আয়োজন করেন। রাজাপুর থেকে রথ যেত মায়াপুর। সেখান থেকে আবার ফিরত রাজাপুর। বহু দিন এই উৎসব বন্ধ ছিল। পরে, ইসকন রথযাত্রা উৎসব শুরু করে। এবারও রথের (Iskcon Rath Yatra) দিন সাতটি পৃথক সংকীর্তনের দল-সহ বিভিন্ন রকম ট্যাবলো ও সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানিকে রথে চড়িয়ে আনা হবে মায়াপুরে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ধর্মের মানুষের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়ে ওঠে মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা উৎসব। প্রতি বছর ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রীধাম মায়াপুরের রথযাত্রা উৎসব যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। মায়াপুরের রাজাপুর গ্রামে রয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সকাল-সন্ধ্যায় এই প্রশান্ত পল্লিতে শোনা যায় সংকীর্তনের ধ্বনি। মানুষের মহামিলনের উত্তম ক্ষেত্র এই গ্রাম। পরস্পর পরস্পরকে সুখে, দুঃখে আপন করে নেয় এই গ্রামের মানুষ। প্রতি বছর রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে মানব-মেলবন্ধন ঘটে সকলের। তবে আজ, রবিবার রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে দুপুর ২ টোর সময় শুরু হবে রথযাত্রা। ৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে রথ যাবে চন্দ্রোদয় মন্দির ইসকন মায়াপুরে। উল্টোরথের দিন, ১৫ জুলাই সোমবার পুনরায় রথ ফিরে যাবে রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।

    ৫৬ ভোগ ও দীপ দান

    এবছর ৭ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মায়াপুরে (Mayapur) অস্থায়ী গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেব অবস্থান করবেন। এবছর পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে গুন্ডিচা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে, সেখানেই চলবে ৫৬ ভোগ, দীপ দান, জগন্নাথ অষ্টকম্-স্তোত্র পাঠ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ভজন-কীর্তন, নাটক ও নৃত্যানুষ্ঠান এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

    টানা সাতদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান

    মায়াপুর ইসকন (Iskcon Rath Yatra) মন্দিরের রথযাত্রা পরিচালন কমিটির সদস্য শ্রীমধু রসোমতি দাস বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে মায়াপুর ইসকনে টানা সাত দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলবে। গোটা বিশ্ব থেকে বিভিন্ন ভক্ত এই সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। প্রতি বছরের মতো আমরা মায়াপুর (Mayapur) ইসকন মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাজাপুর থেকে বলরাম, সুভদ্রা এবং জগন্নাথদেবকে নিয়ে আসব। উল্টোরথের দিন তাঁরা পুনরায় আবার মায়াপুর ইসকন মন্দির থেকে রাজাপুরে ফিরে যাবেন। তবে, প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সেলিব্রিটিরা এই রথযাত্রা উপলক্ষে ইসকন মন্দিরে আসতেন। এ বছর আমরা সেটা করছি না। ইসকন মন্দিরের সেবায়েত জগন্নাথ কৃপা দাস বলেন, ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় রথ তিনটি প্রবেশ করবে মায়াপুর ইসকন মন্দির প্রাঙ্গনে। এই রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক সুরক্ষার দিকে নজর রেখে প্রশাসনিক নিতাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মন্দির নগরী মায়াপুরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ বানানোর অভিযোগে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগু়ড়ির (Jalpaiguri) গজলডোবার ভোরের আলো থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি খাসজমি দখল করে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নির্দেশে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যদিও শুক্রবার উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাগজ বদলে জমি দখল করার অভিযোগে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তম রায় রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদরি উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মায়ারানি রায় বিজেপির মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।

     গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Jalpaiguri)

    রাজগঞ্জ ব্লক (Jalpaiguri) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতেরে আধিকারিক সুখেন রায় বলেন, এই জমি আমরা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম। সরকারি নথিতে এই জমির আরও একজনের নাম মালিকানায় দেখা যাচ্ছে। কার জমি সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। আমরা পুলিশ গ্রেফতার করতে বলিনি। 

    রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসেও কেন ফিরে গেল প্রশাসন?

    শুক্রবার সকালে রাজগঞ্জের (Jalpaiguri) বিডিও প্রশান্ত বর্মন, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উত্তম রায়ের রেস্তোরাঁ ভেঙে জমি দখলে নিতে যান। সেই সময় উত্তম রায়ের ছেলে তাপস রায় বিডিওর হাতে তাঁদের জমির পাট্টা ও অন্যান্য নথিপত্র তুলে দেন। যা  দেখার পর রেস্তোরাঁ না ভেঙে বিডিও দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী?

    মায়ারানি রায় ও উত্তম রায় শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করছি। জমির পাট্টা রয়েছে। সেই কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছি। রান্নার গ্যাসের কমার্শিয়াল লাইন নিয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ভূমি দফতর বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা বলেছে। আর আমি বিজেপি করি। তাই, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের কতটা দলদাস তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি সরকারি জমি দখল করে পুকুর,  বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। তা ভেঙে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন জমি উদ্ধার করে সরকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চায়।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির (BJP) শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম রায়কে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা যতদূর যাওয়া যাবে। গজলডোবায়, শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর, অনেক বড় বড় নেতা সরকারি জমি দখল করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে সেই সব জমি উদ্ধার করছে না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার হাতে থেকে বাদ যাননি পোলিং এজেন্টের স্ত্রী এবং পুত্র। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ অধিকারী। গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারীও গুরুতর জখম হন। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুকুর মারা নিয়ে বিজেপি কর্মী গোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সুভাষ দেবনাথের  ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। শনিবারের রাজনীতির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে, না এর সঙ্গে কুকুর নিয়ে ঝামেলার যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। শনিবার ভোর ৩টের পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে (South 24 Parganas) দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর ওপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর পুত্র সুমিত দেবনাথকে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল করেন। সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” অন্যদিকে,তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, “একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধিকারী মামলা করেছিল। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। শনিবার ভোরে আমার কাছে ফোন আসে গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে শুনেছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। দুই পরিবারের বিবাদ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে অত্যাধুনিক মানে স্থলবন্দর তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার থেকে প্রায় ২৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই চিহ্নিত এলাকা শুক্রবার পরিদর্শনে যান উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি ওই স্থলবন্দরের পাশে তৈরি হবে বালুরঘাট হিলি সম্প্রসারিত রেলপথের হিলি রেলস্টেশন। এদিন তিনি হিলি সীমান্ত এলাকায় দুটি জায়গায় পরিদর্শন করেন।

    হিলি চেকপোস্ট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হিলি সীমান্তে ইতিমধ্যেই রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও ল্যান্ড পোর্ট। আমদানি-রপ্তানিসহ দুই দেশের নাগরিকেরা ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি ইমিগ্রেশন সেন্টার এবং স্থলবন্দর আরও উন্নতমানের করার জন্য হিলিতে নতুন করে জমির প্রয়োজন হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদারকে হিলির মারওয়ারি ভবনে হিলিবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হিলি চেকপোস্ট নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, হিলিতে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট বা আইসিপি তৈরি করছে। রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ১০০ বিঘা জমি চেয়েছিল। ৭৫ বিঘা জমি রাজ্য সরকার এখনও অব্দি চিহ্নিত করেছে। হিলিতে বড় একটি আইসিপি হবে। আইসিপির পাশেই হিলির রেল স্টেশন হবে। হিলিতে আন্তর্জাতিকমানের চেক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে। হিলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বানিজ্য যাতে বাড়ে, তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা

    বোলপুরে মা-ছেলেকে আগুন লাগিয়ে খুন করা প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) সাংসদ সুকান্ত বলেন, আমরা বগুটুই কাণ্ডের ছায়া আবার দেখতে পাচ্ছি। মমতার রাজত্বে একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটছে। কোচবিহার থেকে শুরু করে সন্দেশখালির ঘটনা, তারপর একের পর এক মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটাতেই স্পষ্ট রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভালো নেই। ছানি কাণ্ড নিয়ে তিনি (BJP) বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কোন জায়গায় গিয়েছে এটাই তার অন্যতম উদাহরণ। এই ছানি অপারেশনের ক্ষেত্রে সব থেকে ভয় যেটা থাকে, যাতে ইনফেকশন না হয়। এমন অবস্থা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে ছানি অপারেশনের পরে তাতে ছত্রাক গজাচ্ছে। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য  ব্যাবস্থার ওপর ছত্রাক জমে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল (Jute mill) । শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সাসপেনশনের নোটিশ দেখতে পান। এরপরই কারখানার গেটের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ হারালেন।

    কী কারণে বন্ধ করা হল মিল? (Jute mill)

    জানা গিয়েছে, আচমকা সাময়িক সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বন্ধের নোটিশে উৎপাদনের ঘাটতিকেই দায়ী করেছে মালিক পক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, এস ফোর তাঁত বিভাগের শ্রমিকদের একাংশ ঠিকমতো কাজ করছেন না। হেল্পারদের কাজে লাগিয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ টিফিনের জন্য সময় ব্যয় করে।  এতে উৎপাদন ঘাটতি হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মিল (Jute mill) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মিল খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, জুটমিলে স্থায়ী শ্রমিকের বদলে অস্থায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে, মিল কর্তৃপক্ষ এসব শ্রমিক নিয়ে মিল চালাতে পারছে না। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক অর্ডার দিচ্ছে। ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এরজন্য দায়ী। তৃণমূল বিধায়ক (Jagaddal) সোমনাথ শ্যাম বলেন,  মিলে মালের অর্ডার নেই। তাই সাময়িক বন্ধ রেখেছেন মালিক পক্ষ। অর্ডার মিললে ফের ঠিকমতো মিল চলবে। আসলে এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। আর কোনও কারণ নেই। অর্ডার না থাকায় কোনও মিল (Jagaddal) সাত দিন চলছে না। যত দিন যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    Bolpur: বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরল বোলপুরে! ঘুমন্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে পুড়িয়ে খুন, সিবিআই তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইয়ের ছায়া এবার বোলপুরে। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ! অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) থানার রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রজতপুর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bolpur)

    প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া সেরে বৃহস্পতিবার রাতেও একতলার ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন একই পরিবারের ৩ জন। ঘরের জালনা তাঁদের খোলা ছিল। স্ত্রী রূপা বিবি (৩০), ছেলে আয়ান শেখকে (৪) নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন আব্দুল আলিম (৩৮)। অভিযোগ, জানালা দিয়ে কেউ বা কারা কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও চার বছরের ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুল আলিম। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আব্দুল পেশায় ঠিকাদারি কাজ করতেন। আত্মীয়দের দাবি, ওর কোনও ব্যবসায়িক শত্রু ছিল না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে, নিহত রূপা বিবির বাবা শেখ করিম বলেন, “কেরোসিন তেলের গন্ধ বের হচ্ছে, তেল ছিটিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে । আমার জামাই বোলপুরে ঠিকাদারির কাজ করত। ওর তেমন কেউ ছিল কি না জানি না। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    বোলপুরের ঘটনায় তাজা হয়েছে বগটুইয়ের স্মৃতি!

    এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী, তাজা হয়েছে বগটুইয়ের (Bogtui) স্মৃতি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাট থানার বগটুইয়ের (Bogtui) এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ১০ জনের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে আলোড়িত হয়েছিল গোটা রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    Raiganj: বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ, রায়গঞ্জ থানায় অবস্থানে দলের বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রায়গঞ্জ উপ-নির্বাচনে সব রাজনৈতক দলের প্রচার এখন তুঙ্গে। এরই মাঝে এবার বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার ও হুমকির বিষয়টি সামনে এসেছে। আর এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বিজেপি বিধায়করা। ভোটের আগে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপির এই আন্দোলন নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলাজু়ড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Raiganj)

    শুক্রবার রায়গঞ্জ (Raiganj) থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, গাজোলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন, হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়, ওল্ড মালদার বিধায়ক গোপাল সাহাসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, উপ-নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল তাদের শাখা সংগঠন পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। আর পুলিশ রাতের অন্ধকারে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে আসছে। কাউকে ভয় দেখাচ্ছে, কাউকে নানা ধরনের টোপ দিচ্ছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। আমরা কোনওভাবেই তা মেনে নেব না। কারণ, এই এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে রয়েছে। ফলে,শত চেষ্টা করেও কোনও লাভ হবে না। পুলিশের এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন। আমরা এদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে পুলিশকে বার্তা দিয়ে গেলাম। আগামীদিনে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তরও আন্দোলন হবে।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর নির্দেশে অবস্থান-বিক্ষোভ

    বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ (Raiganj) বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মানস কুমার ঘোষের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা মঞ্চ থেকেই দলীয় (BJP) কর্মীদের ওপরে অত্যাচার ও নানাভাবে ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বিধায়কদের থানা ঘেরাও ও অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে যান তিনি। শুভেন্দুর নির্দেশ মেনে এদিন রায়গঞ্জ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি বিধায়কেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এই অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুর থানা এলাকার কুবাজপুর গ্রামে। সালিশি সভা ডাকার পর সেখানে না যাওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে এক প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (East Burdwan)

    জামালপুর (East Burdwan) ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও। মূলত কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি। অভিযোগ, বসিরের বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একটি বিচারাধীন মামলার বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান। গত ১৪ জুন চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা ওই সালিশি সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসিরকে। তৃণমূল নেতার শাগরেদরা এ-ও জানিয়ে যায় যে, যদি আজাদ রহমানের বিচার সভায় হাজিরা না দেয়,তবে ওরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এমনকী, প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    লাঠি-ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা

    সালিশি সভায় না যাওয়ায় তৃণমূল নেতার শাগরেদরা লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। এর পরেই ওই দম্পতির পুত্র বসিরকে মারধর করতে থাকে তারা। বাধা দিতে গিয়ে মার খান প্রৌঢ় দম্পতিও। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর (East Burdwan) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আর বসিরকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা কোনও পদক্ষেপ না করায় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন তিন জনেই। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন প্রৌঢ় দম্পতি

    অসহায় অবস্থায় ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, “এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভায় না যাওয়ায় তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে মারধর করেছেন আমাদের। খুনের হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।”  একই চিঠি ‘লিখিত অভিযোগ’ হিসাবে তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে। দম্পতির ছেলে বসির বলেন, এমনিভাবে চলতে থাকলে আমাদের সপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) চকদিঘির অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমান বলেন, “বসির আলির পরিবারকে আমি চিনি। তাঁদের যে মামলার বিচার আদালতে চলছে, তার বিচারের জন্য আমি কোনও বিচার সভা বা সালিশি সভা ডাকিনি। তবে, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, বসিরের পরিবারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা গ্রাম্য বিবাদ জনিত ঘটনা। ওই ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! ফের প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    Murshidabad: ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! ফের প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকমাস আগে একদিনে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য থেকে জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের টিমও গিয়েছিল। পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, ফের একদিনে একাধিক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন শিশুর মৃত্যু! (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে। অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে আসতেও ভয় পাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। রেজিনগরের হাসিবুল শেখের নাতিও মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, “আমি তো দেখলাম তিনটে বাচ্চা মারা গিয়েছে। আর আমার নাতিকে বহরমপুর নার্সিংহোম থেকে এখানে নিয়ে আসি। তারপর এখানেই নাতির মৃত্যু হয়েছে। শরদিন্দু মণ্ডল নামে এক রোগীর পরিবারের সদস্য বলেন, হাসপাতালে ১০ জন শিশুর মৃত্যুর পরও কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। ফলে, পরিকাঠামো ঠিক করা হয়নি। তারজন্যই এই ঘটনা ঘটল। কার গাফিলতি তার তদন্ত হওয়া দরকার। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, এমনও অভিযোগ ওঠে শিশু মারা গেলেও দেহ ফেলে রাখা হয়, যাতে সংখ্যাটা না বাড়ে। পরে, খাতায় এন্ট্রি করা হয় বিস্তারিত। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা মানতে চায়নি।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিলেন?

    হাসপাতাল (Hospital) সূত্রের জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়। সাত জন শিশুর মৃত্যু প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Hospital) অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, “আমাদের কাছে একটা শিশু এলেও তাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানোই লক্ষ্য থাকে। আমাদের কাছে এরকম অফিশিয়াল কোনও তথ্য নেই, যেখানে বলতে পারব ৭-৮ জন শিশু মারা গিয়েছে। তবে, এটুকু বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ অনেক বড় জেলা। একটাই মেডিক্যাল কলেজ। প্রচুর শিশু আছে। আমাদের ডাক্তারবাবুরা সাধ্যমত চেষ্টা করেন। তারপরও কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া কাণ্ডের তদন্তভার এবার সিবিআইকে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী মানস কুমার ঘোষের সমর্থনে জনসভায় যোগ দিয়ে ফেরার পথে আচমকাই চোপড়া থানার আইসি-র সঙ্গে কথা বলার পর এমনটাই জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    চোপড়ার ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার জনসভা শেষ করে সোজা চোপড়া থানায় গিয়ে পৌঁছান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, চিন্ময় দেব বর্মনসহ অন্যান্য বিধায়কেরা। চোপড়া থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, চোপড়া এখন ন্যাশনাল নয়, ইন্টারন্যাশনাল হয়ে গিয়েছে। এখানে খাপ পঞ্চায়েত হয়েছে। চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে বাঙালি এবং ভারতীয় হিসেবে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। আচমকা আমি আসায় আইসির সঙ্গে দেখা হল, না হলে আগের থেকে জানা থাকলে আইসি পালিয়ে যেতেন। তিনি আরও বলেন, “আমি যা বলেছি আইসি শুধু শুনেই গেলেন, কিছু বলতে পারলেন না। চোপড়ায় বিধায়ক হামিদুল রহমান এক প্রকার প্রশাসক। চোপড়াতে রাজ্যপালের যেদিন আসার কথা ছিল, তার আগের দিন আমার কাছে প্রমাণ আছে, চোপড়ার বিডিও ও চোপড়া থানার আইসি হামিদুলের সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি ও এসডিপিও হামিদুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। হামিদুল রহমান এখানে পঞ্চায়েতে ভোট করতে দেন না, গুন্ডাগিরি চালায়, কোনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। কোনও দলের অস্তিত্ব রাখতে চান না চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে বিশ্বকাপ উৎসর্গ, মুম্বইয়ে জনসমুদ্রে ভাসলেন রোহিত-বিরাটরা

    হামিদুলকে তুলোধনা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এবারের শিলিগুড়ি লোকসভায় চোপড়া এলাকায় ১৫০ টি বুথে লুট করে এক লক্ষ বেশি লিড নিয়েছে তৃণমূল। তারপরও শিলিগুড়ি লোকসভায় বিজেপি জিতেছে। গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বে পুলিশের সরাসরি প্রশ্রয়ে একটা জঙ্গলের রাজ করা হয়েছে,আমাদের মনে হচ্ছে চোপড়াটা (Chopra Incident) ভারতের বাইরে। হামিদুল রহমান কীভাবে বলেন, ইসলামিক দেশে মহিলাদের ওপর এভাবে অত্যাচার করা হয়। এটাই ইসলামিক দেশ নয়, এটি হল স্বামী বিবেকানন্দের দেশ, যেটা নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল, অপর ধর্মের ওপর শ্রদ্ধাশীল। এটাই স্বামীজি শিখিয়েছেন। আজকে আমি চিফ সেক্রেটার মিস্টার গোপালিকা কে লিখেছি ,কোচবিহার ও চোপড়ার (Chopra Incident) ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার যেন তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। এই কাণ্ডে যেসব পুলিশ যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।  যদি সিবিআই হাতে তুলে না দেয় রাজ্য সরকার তাহলে আমরা আইনি পথে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share