Tag: West Bengal

West Bengal

  • Nadia: নদিয়াতেও বুলডোজার! উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে বিজেপি, হল প্রতিবাদ মিছিল

    Nadia: নদিয়াতেও বুলডোজার! উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে বিজেপি, হল প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরেও বুলডোজারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান ভাঙ্গার কাজ। এরই মধ্যে দোকান হারানো ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াল বিজেপি। সোমবার বিজেপির এক প্রতিনিধি দল কৃষ্ণনগরের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। শুধু তাই নয় হকারদের পুনর্বাসনেরও দাবি তুলেছেন তারা।

    উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পাশে বিজেপি নেত্রী রানিমা (Nadia)

    কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি  (BJP) প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায়ের স্বামী শারীরিক অসুস্থতার জন্য রয়েছেন কৃষ্ণনগরের বাইরে। রাজ পরিবারের সদস্য তথা রানিমার স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই অবস্থার মধ্যে কৃষ্ণনগরের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়াসহ হকারদের পুনর্বাসনের দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বুলডোজার চালিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা করছি। আগামীতে এই লড়াইয়ে আমরা সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছি।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    হকার উচ্ছেদে প্রতিবাদ মিছিল!

    বেআইনিভাবে হকার উচ্ছেদের অভিযোগ তুলে জেলা হকার রক্ষা মঞ্চ এবং বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রতিবাদ মিছিল করা হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। সোমবার কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড় থেকে  জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করা হয়। পরে, মহকুমা শাসকের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। উল্লেখ, দিন কয়েক আগে রাজ্য সরকারের নির্দেশে কোতোয়ালি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় হকার উচ্ছেদ করা হয়। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, যে সমস্ত হকারদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে নোটিশ না দিয়ে দোকান ভেঙে ফেলা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। তাদের দাবি, এরপর হকার উচ্ছেদ করতে গেলে বিভিন্ন হকারি যে সংগঠন রয়েছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যে সংগঠন রয়েছে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি করার অপরাধে বেশ কয়েকজন কর্মীর রেশন বন্ধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যে বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেছেন।

    কেন বন্ধ করা হল রেশন? (Arambagh)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকার তৃণমূলের নেতারা দাদাগিরি ফলাচ্ছেন। বিজেপি কর্মী পলাশ ঘোষ, রেনুপদ ধক ও ধীরেন ধককে তৃণমূলের দলীয় অফিসে ডাকা হয়। তাঁরা সেখানে না যাওয়ায় তাঁদের রেশন একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ, বাড়ির মহিলারা রেশন আনতে গেলে তাঁদেরকে লাইন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলি। বাড়ির বাইরে গেলে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আরামবাগ মহকুমা (Arambagh) শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই। তিনি ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে তাঁদের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    রেশন ডিলার কী বললেন?

    রেশন ডিলার গোপাল কোলের অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) নির্দেশে ২০-২৩ জনের রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার রেশন দেওয়া হয়। কিন্তু কোনওভাবে এই তিনজন রেশন থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে। তাঁরা দোকানে এলেই তাঁদের রেশন দিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও এই ঘটনার পর থেকে ওই রেশন ডিলারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁকে নাকি গ্রাম ছাড়া করা হবে বলেই নিদান দেন তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনায় ওই রেশন ডিলার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গৌরহাটি-১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান (Trinamool Congress) জ্যোৎস্নারা খাতুনও  বলেন, “রেশন বন্ধের বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটা যদি সত্যি হয় আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের দল দেখে দেওয়া হয় না। এই সুবিধা সকলের প্রাপ্য।” তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী দলীয়ভাবে রেশন বন্ধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কোচবিহারের ঘটনায় বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বিক্ষোভ অবস্থানের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। আর এবার তার সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছে চোপড়ার ঘটনাও। কোচবিহার এবং চোপড়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবার বিধানসভার সামনে ধর্নায় বসলেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা (BJP MLAs Protest)। বিজেপি বিধায়িকা তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি। অন্য দিকে, চোপড়ার ঘটনায় রাজ্যের পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রের খবর, এই ঘটনায় নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিজেপির দাবি (BJP MLAs Protest)

    সোমবার সকালে বিধানসভার (West Bengal Assembly) গাড়ি বারান্দার সামনে বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে বসেন শিখা চট্টোপাধ্যায়, চন্দনা বাউড়িরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। প্ল্যাকার্ডে কোচবিহারের ঘটনার উল্লেখ করে নারী নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ২০১১-র পর থেকে কতজন নারী নির্যাতনকারীর শাস্তি হয়েছে, তার জবাবও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চেয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় বিজেপির দাবি, শাসকদলের নেতৃত্বে রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে। অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP MLAs Protest)। 

    কেন এই বিক্ষোভ? (West Bengal Assembly) 

    কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে সোমবারই বিধানসভায় সরব হবে বিজেপি তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো বিধানসভায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেরা। তবে সেই অনুমতি না মেলায় সোমবার সকালে বিধানসভার গাড়িবারান্দার সামনে বিক্ষোভে বসেন অগ্নিমিত্রা। এ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, “কোচবিহারে বিজেপির প্রতিনিধিদল যাওয়ার পর পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান নিল। আর সেই ঘটনার পরেই আমরা দেখলাম চোপড়ায় তৃণমূল নেতা এক জন মহিলার উপর প্রকাশ্যে অত্যাচার করছেন। আমরা রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্না (BJP MLAs Protest) অবস্থান করছি।”

    অন্যদিকে এদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আম্বেদকর মূর্তির নীচে এসে ধর্নায় বসে যান। 
    এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা (BJP MLAs Protest) বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আগে আবেদন করেছিলেন তাই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ওদের (বিজেপি) অনুমতি দিইনি। কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী ভাবে, দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। আজকের দিনে মাল্যদান অনুষ্ঠানে না এসে ওনারা ধর্না করছেন।”

    আরও পড়ুন: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    আগে কী ঘটেছিল?  

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এ বার সেই সঙ্গে জুড়ল চোপড়ার ঘটনা। রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার (Chopra) নেতা তাজম্মুল ওরফে ‘জেসিবি’র একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একই সঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায়। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল  হোসেন। লাঠি উঁচিয়ে তাঁকে তাড়া করলেন গ্রামের মহিলারা। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের রশিদপুর গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ত্রাণ নেই, ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা (Malda)

    ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও (Malda) তাপসকুমার পালসহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা। মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক কর্তাদের ক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, ফুলহার নদীতে গত কয়েকদিনে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। যার ফলে এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গ্রামের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভেসে গিয়েছে। কিন্তু, সরকারের কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউই গ্রামে আসেননি। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলেই মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো লাঠি নিয়ে মন্ত্রী ও বিডিওকে তাড়া করতে দেখা যায়। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় রশিদপুরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    মন্ত্রী তাজমুল হোসেন (Trinamool Congress) বলেন, ‘রশিদপুর গ্রামের খুবই খারাপ অবস্থা। সেচ দফতর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু, আরও কাজ বাকি আছে। সেচ দফতরকে বলব, বাকি কাজ শেষ করতে। আমি নিজেও সেচমন্ত্রীকে যা বলার বলব।’ গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিডিও তাপসকুমার পালও। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’এ-বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন আরও বলেন, “এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন খগেন মুর্মু। এই বিক্ষোভ তাঁকে ঘিরে দেখানো উচিত। ভাঙন রোধের কাজে কেন্দ্র ও তাদের জনপ্রতিনিধি জেলার জন্য, মানুষের জন্য কিছুই করেন না। রাজ্য যেটুকু পারছে, সাধারণ মানুষের জন্য করছে।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মন্ত্রীকে (Trinamool Congress) পালটা কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমি করেছি। ভাঙন রোধের অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিক। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই সাহায্য করবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ধনেখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বিজেপি কর্মীর নাম সমীরণ মুর্মু। তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা? (Hooghly)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে এলাকায় দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন বিজেপির এস টি মোর্চার কর্মী সমীরণ মুর্মু। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ধনেখালির (Hooghly) কানা নদী এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে লাঠি, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্তের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। দলীয় কর্মীরা খবর পেয়েই ওই বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে একটি দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় ধনেখালি থানায়। বিজেপি কর্মীর মা সরমা মুর্মুর বলেন, “আমার ছেলে বিজেপি করে বলেই মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। ওর সঙ্গে ব্যক্তিগত কারও কোনও শত্রুতা নেই। আমাকে তো সব কথা বলে না। তবে, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে ওকে আতঙ্কে থাকতে দেখেছি। এভাবে ছেলেকে তৃণমূলের লোকজন মারবে ভাবতে পারিনি। ওদের শাস্তি চাই।” ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতারা বলেন, সমীরণ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যারজন্য তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। দলের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতারা বলেন, “পাড়ার সমস্যা। এর মধ্যে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: দুই শীর্ষ পুলিশকর্তার অপসারণের দাবিতে নবান্ন ও কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, কেন?

    CV Ananda Bose: দুই শীর্ষ পুলিশকর্তার অপসারণের দাবিতে নবান্ন ও কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত করার করার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিকে অপসারণের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে রাজভবন সূত্রে খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    দুই আইপিএসকে কেন্দ্রীয়স্তরে ডেকে পাঠানোর দাবি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে (CV Anand Bose) এই চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশের কমিশনার এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অসাংবিধানিক কাজ করেছেন। এর জন্য তাঁদের পদ থেকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দুজন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয়স্তরে ডেকে পাঠানোর দাবি জানানো হয়। অবশ্য লালবাজারের তরফে এবিষয়ে এখন অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ (Kolkata Police)

    ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল রাজ্যপাল চাকরির পদোন্নতি প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হেনস্থা করেছেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগের তদন্ত করা যায় না, বলে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ না নিলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। রাজভবনের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এমনকি, পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে একাধিক প্রতিক্রিয়া মেলে। ডিসি সেন্ট্রাল এবিষয়ে সক্রিয় হন বলে সুত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েকজন আধিকারিকের নামে মামলাও রুজু হয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। তবুও এই অভিযোগ পর্ব থেকেই রাজ্যপাল, পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে যে তিক্ততা বেড়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta Majumdar: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোপড়ায় চলছে তালিবান শাসন”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় রাস্তায় ফেলে যুবক-যুবতীকে লাঠির গোছা দিয়ে নির্মমভাবে মারধরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়় গোটা রাজ্য। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি।

    চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন, সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের প্রচারে রবিবার সন্ধ্যায় পায়রাডাঙায় গিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের মাঝেই চোপড়ার ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোপড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা আরও একবার প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহিলাদের সুরক্ষা কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। যেভাবে গণপিটুনি হচ্ছে। তালিবানের মতো শাসন তো এটা। এখন তো দেখছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে তো লন্ডন করতে পারলেন না, চোপড়াকে তালিবান বানিয়ে দিলেন।”

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখছে একদল মানুষ। যে ব্যক্তি ওই তরুণ ও তরুণীকে মারধর করছে, কেউই তাকে বাধা দিচ্ছেন না। নিরস্তও করার চেষ্টাও করছেন না কেউ। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। দেখা যাচ্ছে, এক তরুণও ওই তরুণীর পাশে পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই তরুণকেও।

    নিগৃহীতা অসামাজিক কাজ করছিলেন

    চোপড়ার (Chopra) ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তাজমুল ওরফে জেসিবিকে। এদিকে রবিবারের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।  প্রসঙ্গত, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। চোপড়ার এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, “নিগৃহীতা অসামাজিক কাজ করছিলেন। তবুও, সমস্ত বিষয়টি জানতে জেসিবিদের ডেকে পাঠিয়েছি। প্রকৃত ঘটনা কী দেখতে হবে তো। সবাই তৃণমলের।  এটিকে তিল থেকে তাল করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viral Video: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Viral Video: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে একজন। লজ্জায়-ব্যথায়-ঘৃণায় কুঁকড়ে যাওয়া তরুণীটিকে ফের চুলের মুঠি ধরে টেনে মারছে সেই গুণধর। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral Video) খানিক পরেই দেখা যাচ্ছে, এক তরুণও ওই তরুণীর পাশে পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই তরুণকেও।

    তৃণমূলের দাদার কীর্তি! (Viral Video)

    গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখছে একদল মানুষ। যে ব্যক্তি ওই তরুণ ও তরুণীকে মারধর করছে, কেউই তাকে বাধা দিচ্ছেন না। নিরস্তও করার চেষ্টা করছেন না কেউ। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। রবিবার দুপুরে (Viral Video) এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি লিখেছেন, “সালিশি সভাও নয়। অপরাধের বিচার ও শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। যার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এভাবেই বিচার ব্যবস্থাকে দুরমুশ করা হচ্ছে চোপড়ায়।”

    কী বলছে বিজেপি?

    পরে ওই একই ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে থাকা বাংলার কুৎসিত মুখ।…প্রত্যেক গ্রামেই সন্দেশখালি রয়েছে।” উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের দাবি, “যিনি মারধর করছেন, তাঁর নাম তাজম্মুল। চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। এলাকায় সবাই তাঁকে জেসিবি নামেই চেনেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ার উল হক বলেন, “শুনেছি, ভিডিওতে যে মহিলাকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে, তিনি বিবাহিত। তবে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে এলাকায় ফিরলে দুজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। জরিমানা না দিলে এলাকায় তাঁদের থাকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। জরিমানা না দেওয়ায় অত্যাচার করা হয় তাঁদের ওপর।”

    আর পড়ুন: “বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুতগামী করতে ব্রিটিশ আইনে বদল আনা হয়েছে”, বললেন শাহ

    সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলায় এ ধরনের ঘটনা অজস্র ঘটে। তবে অপরাধগুলোকে চেপে দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “বারাসতের একটি ছেলে বিয়ে করেছিল ভিন ধর্মের মেয়েকে। সে যখন তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে গেল, তখন তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক ভ্যানচালক তাঁকে নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করান। সেই মামলা এখনও চলছে হাইকোর্টে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Landslides in North Bengal: ফুঁসছে তিস্তা! ধসে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!

    Landslides in North Bengal: ফুঁসছে তিস্তা! ধসে যাচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গে। শনিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে ধুপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তায় উপরে পড়েছে গাছ। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে সমস্ত নদীতে। তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আর এর ফলে বিপর্যয়ের মুখে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসের (Landslides in North Bengal) কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কটি তিস্তা নদীর পার ধরে গিয়েছে। ওই অংশটি ক্রমশ বসে যাচ্ছে বলে খবর।

    ধসের মুখে সিকিমের ‘লাইফলাইন’ (Landslides in North Bengal) 

    এনএইচ১০ সিকিমের ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী এই সড়ক ধসের (National highway 10 affected) কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপাকে পড়েন বহু মানুষ। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গেইলখোলার কাছে সেলফিধরায় ধস নেমেছে। নতুন করে কালিঝোরা এবং হনুমান ঝোরায় ধস নেমে পুরো রাস্তাটাই বসে গিয়েছে। ফলে বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেবকের করোনেশন সেতু হয়ে ওদলাবাড়ি, ডামডিম, গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও হয়ে কালিম্পং যাতায়াত করছে যানবাহন। সিকিম যাওয়ার জন্যও আপাতত ওই রাস্তার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের নতুন সংযোজন মেটা এআই! জানেন এর কাজ কী?

    বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা

    জানা গিয়েছে, মাঝে কয়েক দিন বিরতির পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে ফের পাহাড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার। অন্যদিকে রবিবার সকালেই গজল ডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ২৬০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে।  বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম ও কালিম্পং। একাধিক এলাকায় ধস (Landslides in North Bengal) নেমেছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির ফলে ধসকবলিত যে সব এলাকা রয়েছে, সেখানকার রাস্তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই নেত্রী এখন কোচবিহারের (Cooch Behar) এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শনিবার তাঁকে দেখতে কোচবিহারে  যান বিজেপি বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। শাসকদল এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন অগ্নিমিত্রা (Cooch Behar)

    এদিন দুপুরে অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল কোচবিহারে (Cooch Behar) আসেন। নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ লাইন চৌপথিতে পথ অবরোধ করে বিজেপি। মিনিট ১৫ অবরোধ করার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। এরপর বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে যান অগ্নিমিত্রা। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর অগ্নিমিত্রা পল বলেন,”বাংলার মা, বাংলার মেয়ে হয়ে এটা আমাদের কাছে লজ্জার। একজন সংখ্যালঘু এক বোনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বলার কোনও ভাষা নেই।আমাদের মহিলা মোর্চা-সহ বেশ কয়েক জন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলাম। এই ঘটনায় পুলিশের ওপর আস্থা নেই। তাই, আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে এদিন নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরতে চাইছি। আতঙ্কে ফিরতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: মালদায় জাল এসসি সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরি! প্রশাসনের কাছে নালিশ

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার (Cooch Behar) বাবা দীর্ঘ দিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতা নিজে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, তিনি মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকী, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এনিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন,”ওরা সব সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দ্বারস্থ হন। এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। ইতিমধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি তুলছি আমরা। কিন্তু, বিজেপি শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এসব করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share