Tag: West Bengal

West Bengal

  • Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক দলীয় পতাকা ধরানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিজেপি নেত্রী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। পরে, ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন হাতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম গ্রাম (Nadia) পঞ্চায়েতের ২৪৩ নম্বর বুথের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা সরকার। ২৬ জুন শুভঙ্কর বারুই ওরফে হরি নামে এক যুবক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মী সুবীর ধরের বাড়িতে। সেখানে জোর করে তাঁকে তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, প্রাণনাশের  হুমকি দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ভিডিও করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, সঞ্চিতাদেবী সেখান থেকে কোনওরকমে  পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি দলীয় নেতৃত্বদের কাছ থেকে ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এই বিষয়ে সঞ্চিতা বলেন, ওই দুই তৃণমূল কর্মী জোরপূর্বক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি আজীবন বিজেপি করে এসেছি। ভবিষ্যতে বিজেপিতেই থাকতে চাই। তৃণমূলের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গাংনাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর বলেন, ‘তৃণমূল কোনওদিনই এরকম জোরজুলুম করে দলে যোগদান করায় না। তিনি নিজেই গাড়ি করে এসে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন।’ অপরদিকে, নদিয়ার চাকদার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে বিজেপিকে, তাই নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তবে, ওই মহিলা অত্যন্ত সাহসী। তাই তিনি দেখিয়ে দিলেন, দলকে ভালোবাসলে দলের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনাটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার খোদ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডে চলছে জলাশয় ভরাট। নিজের ওয়ার্ডে ভরাট চললেও পুরকর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জলাশয় ভরাট না করার কথা বলেছেন বার বার। তারপরেও পুরসভা (Balurghat) পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।

    কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের (Balurghat) মদতেই এই ডোবা ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও ডোবা।  নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এবার সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে, সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য এ ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    চেয়ারম্যান (Balurghat) অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করবে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি

    বিজেপির (BJP) বালুরঘাট টাউন মণ্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকা বেতন পাওয়ার পরও স্কুলের মতো কলেজের অধ্যাপকরা টিউশনের লোভ সামলাতে পারেন না। তাই, স্রেফ টিউশন পড়তে না আসায় ১১ জন পড়ুয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া (Katwa) কলেজের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সরকার এবং দুই অধ্যাপিকা সুলগ্না মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রাণী দাসের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের। আর এই ঘটনায় কলেজ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিন অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেন পড়ুয়ারা (Katwa)

    জানা গিয়েছে, জুলজি বিভাগের (Katwa) তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ১১জন পড়ুয়া। পড়ুয়ারা বলেন, “পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষার আগে থেকেই আমাদের ওপর রুষ্ট ছিলেন ওই তিনজন অধ্যাপক। তার পরিণতি এরকম হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি আমরা। শুধু তাই নয়,  ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার দিন হলে এসে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলানো থেকে শুরু করে ইন্টারনাল ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। পরীক্ষা খারাপ হলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। আমরা ওই অধ্যাপকের কাছে পড়িনি, এটাই আমাদের অপরাধ। তার খেসারত এভাবে দিতে হবে তা মেনে নিতে পারছি না। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি। আর সুবিচারের আশায় আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই আমরা দেখব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই অন্যায়ের শাস্তি হওয়া উচিত। নাহলে আগামীদিনে এই অধ্যাপকরা শুধু অর্থের লোভে অন্য পড়ুয়াদের জীবন নষ্ট করে দেবে। সেটা হতে পারে না। ওই তিন অধ্যাপকের মুখোশ আমরা সকলের সামনে খুলে দেব।” যদিও অভিযুক্ত ওই তিনজন অধ্যাপকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    কলেজ (College) অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, “এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, যদি কলেজের কোনও অধ্যাপক, কলেজ আওয়ার্সে টিউশনি পড়ান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, কোন পড়ুয়া কার কাছে টিউশনি পড়বেন এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা সমস্ত ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সরব হয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল নিজের গাড়িকে সরকারি কাগজে দেখিয়েছেন ভাড়া গাড়ি হিসাবে। এই কায়দাতেই প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এভাবেই মাসের পর মাস সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি নির্দেশ বলছে, যে কোনও ভাড়া গাড়ি নেওয়ার ক্ষেত্রে আগে সরকারি টেন্ডার ডাকতে হয়। সরকারি নিয়ম মেনে সব কাজ করার পর বরাত দিতে হয়। এমনকী এই গাড়ি যিনি ব্যবহার করবেন তা তাঁর পরিবারের কেউ বা কোনও আত্মীয় স্বজন দিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মানিকচক (Malda) মণ্ডলের আহ্বায়ক সুভাষ যাদব বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা আদপে তাঁর স্বামী অপু মণ্ডলের। সেই গাড়ির মাসিক ভাড়া বাবদ একটা মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর স্বামীকে পাইয়ে দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জনগণের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তৈরি করা সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে সেই টাকা। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এতদিন নিজের স্বামীর গাড়িকে ভাড়া গাড়ি হিসাবে দেখিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির আরও অভিযোগ, পিঙ্কি মণ্ডল মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে তো রয়েছেন, তার সঙ্গেই একটি হাইস্কুলের গার্লস হস্টেলেও পদ নিয়েছেন। সেখান থেকেও মাসে মাসে টাকা নিচ্ছেন। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছি আমরা।”

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল বলেন,  “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও সাহেব সব খতিয়ে দেখবেন। তখনই সব প্রমাণ হয়ে যাবে। বিজেপি (BJP)অকারণে রাজনীতি করার জন্য এসব অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসনের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করল হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়া পুরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল পুরবোর্ড এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই পুরসভার ঘুম ভাঙে। আর এতেই আবাসনের আবাসিকদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। পুরসভার মিউটেশন থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজ থাকার পরও কেন এরকম হল সেই প্রশ্ন করছেন আবাসিকরা। তৃণমূল পুর বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    উদ্বেগে আবাসিকরা (Hooghly)

    জানা গিয়েছে, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি ফ্ল্যাটের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ৫৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণিতে গঙ্গার পারে এই অবৈধ ফ্ল্যাটে মিউটেশন করে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন অনেকেই। আবাসিকরা বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। পুরসভা সমস্ত মিউটেশনের কাজও করে দেয়। ট্যাক্সও দিতে হয় নিয়ম মেনে। অথচ এখন জানতে পারছি, এই ফ্ল্যাটেরই একটা অংশ বেআইনি। আগে জানলে এমন ফ্ল্যাট কিনতাম না। শ্যামলী ঘোষ নামে এক আবাসিক বলেন, “দুবছর ধরে এই ফ্ল্যাটে থাকছি। কোনও সমস্যা নেই। হঠাৎ করে এসে যদি এরকম বলা হয় আমরা কোথায় যাব। ট্যাক্স, মিউটেশন হয়েছে। কী করে এটা অবৈধ হয়, আর রাতারাতি কী করে ভাঙা হয় জানি না। পুরসভা তো অনুমতি দিয়েছিল। পুরসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। এখন পুলিশ এসে বলছে এটা বেআইনি, ভাঙতে হবে। আর এভাবে হঠাৎ করে কিছু হয় না।”

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিচালিত উত্তরপাড়া (Hooghly) পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, কোর্ট নির্দেশ দিলে আমাদের তা মানতেই হয়। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই উত্তরপাড়া ও ভদ্রকালী এলাকায় ১৭ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি বেআইনি অংশ ভাঙতে হয়। যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা অনেক সময় নিয়ম মানেন না। আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা এদিন শুধু নির্দেশ পালন করতে গিয়েছেন। কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স, মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? এই নিয়ে চেয়ারম্যান কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর চর চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে তৃণমূল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায়। তবে, বিরোধীরা এই অভিযোগ করছে এমন নয়, শাসক দলের মালদা জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকারই খোদ এই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি?(Malda)

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “কিছু অসাধু মানুষ এখানে ঢুকে আমাদের নদীর চরগুলিকে দখল করছে। সেখানে বাড়ি করছে। আমাদের দলের কাউন্সিলরদের লোকেরাও এরমধ্যে জড়িত আছে। পয়সা নিচ্ছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু, নদীর চরগুলিতে এসে সবাই বসবাস করছে। নদীর মূলস্রোত নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কিছু বলা হয় না। পুলিশের উচিত এদের উঠিয়ে দেওয়া। যারা কিনেছে, তাদের কাছে দলিল আছে কি? যাদের নামে কিনেছে, যারা টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর হওয়া উচিত। সে তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক। আমার পার্টির ছেলেরা হলে, তাদেরও গ্রেফতার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    নদীর চরে বসবাসকারীরা কী বললেন?

    নদীর চরে বসবাসকারীরা বলেন, কাঠা পিছু ৭০ হাজার টাকায় আমরা জমি কিনেছিলেন। সেই দাম এখন উঠেছে কাঠা পিছু ৩ লাখ টাকা বা তারও বেশি। এই নদীর জমি খাস জায়গা বলেই আমাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা পুরসভাকে কর দিই, বিদ্যুতের বিলও দিই। বেআইনি জেনেও আমরা কিনেছি। শাসক দলের (Trinamool Congress) লোক সাহায্য করেছে। ফলে, কোনও সমস্যা হয়নি।

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার চেয়ারম্যয়ান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, নদীর চরে বাড়ি বানিয়ে থাকা মানুষজনদের থেকে কোনও কর নিচ্ছে না পুরসভা। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ গেলে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    সরব সেচ দফতরও

    সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিষয়টি যে আমাদের নজরে আসেনি, তা নয়। সেচ দফতরের তরফে আমরা দেখেছি, নদীর পাড়ে পিলার দিয়ে অনেকে পাকা বাড়ি বানিয়েছেন। নদী চর খাস জায়গা নয়। সেচ দফতরের তরফে এই নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birati Station: শিশু চুরির ঘটনা গুজব! অভিযুক্ত মহিলাই বাচ্চার মা, রহস্যভেদ করল জিআরপি

    Birati Station: শিশু চুরির ঘটনা গুজব! অভিযুক্ত মহিলাই বাচ্চার মা, রহস্যভেদ করল জিআরপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ধরা সন্দেহে গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, অশোকনগর, বারাকপুরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পরে, তদন্তে নেমে ছেলে ধরার কোনও তথ্যই পুলিশ পায়নি। নিছক গুজব থেকেই জেলা জুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছিল। এসবের মাঝে ব্যাগের মধ্যে শিশু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিরাটি স্টেশন (Birati Station)। পাচারকারী সন্দেহে এক মহিলাকে ট্রেনের কামরার মধ্যেই গণপিটুনি দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতার থেকে জিআরপি উদ্ধার করে শিশু ও পাচারকারী সন্দেহে ওই মহিলাকে। এরপর জিআরপি তদন্তে নামে। আর রাতেই জানা যায়, সমস্ত ঘটনাটি গুজব। পাচারকারী মহিলাই আদতে ওই শিশুর মা।

    কীভাবে জানা গেল? (Birati Station)

    জিআরপি (Birati Station) সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি ওই মহিলারই সন্তান। শিশুটি মোটেও ব্যাগে ছিল না। মহিলার কোলেই ছিল। মহিলার কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে, জিআরপি-র তরফ থেকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মহিলার বলা ঠিকানা গিয়েও বাড়ির খোঁজ মেলেনি। ফলে, সন্ধ্যা পর্যন্ত রহস্য ছিল। তবে, বুধবার গভীর রাতে রামেশ্বর পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি জিআরপিতে ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি বিহারে। তাঁর স্ত্রীর নাম বাসন্তী দেবী। তাঁর বাড়ি ওড়িশা। শিশুটি তাঁদেরই। স্ত্রীর কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। আর ভাষাগত সমস্যার জন্য জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরপরই রামেশ্বর পাণ্ডে জিআরপি অফিসে যান। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে এসে থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রামেশ্বর পাণ্ডের সঙ্গে বামনগাছিতে তাঁর ভাড়া বাড়িতে পৌঁছয় রেল পুলিশ। পাণ্ডের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয় জিআরপি। পাশাপাশি যথাযথ নথিপত্র খতিয়ে দেখে তারা। পরে, জিআরপি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাণ্ডে দম্পতিই ওই শিশুর বাবা-মা। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত পাণ্ডে দম্পতির হাতেই ওই শিশুকে তুলে দেয় জিআরপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    নিত্যযাত্রীরা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, বুধবার ডাউন দত্তপুকুর লোকালে শিশু চুরিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। পাচারকারী সন্দেহে মহিলাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। বিরাটি স্টেশন (Birati Station) অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, এদিন শিশু চুরির ঘটনা গুজব জেনে ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তবে, মহিলাকে মারধর করার ঘটনাকে সকলেই নিন্দা করেন। নিত্যযাত্রীরা বলেন, আসল সত্যি না জেনে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিটের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার দুই, বিহারেই কি ঘুঘুর বাসা?

    CBI: নিটের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার দুই, বিহারেই কি ঘুঘুর বাসা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিটের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে তদন্তে নেমে এবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হলেন দুজন। তদন্তে নেমে এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি। বৃহস্পতিবার বিহারের পাটনা থেকে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাম মণীশ কুমার এবং আশুতোষ কুমার বলে জানা গিয়েছে।

    ময়দানে নেমেই সিবিআইয়ের সাফল্য (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর মণীশ কুমার নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যেতেন। তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও করা হত। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন আশুতোষ। মূলত পরীক্ষার্থীদের গাড়ি করে নিয়ে আসার কাজ ছিল মণীশের। নিজের বাড়িতে পরীক্ষার্থীদের থাকা এবং খাবারের বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব ছিল আশুতোষের উপর। মনে করা হচ্ছে পরীক্ষার আগে একটি ফাঁকা স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। সেখানে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার আগের দিন তাঁদের নিটের প্রশ্ন দেওয়া হয়। সেগুলোর উত্তরও তৈরি করে দেওয়া হয়। নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ছ’টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। রবিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে নেট প্রশ্ন ফাঁস কান্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক। সেদিনই প্রথম এফআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এরপরই তদন্তে নামে তাঁরা।

    বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    সিবিআই (CBI) তদন্ত চালালেও সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডের মামলাটি চলছে। নিটের পরীক্ষায় বাড়তি নম্বরের ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবারই পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থাকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ জুলাই এর মধ্যে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত একটি লার্নিং অ্যাপের তরফে নিট দুর্নীতি এবং বাড়তি নম্বরের প্রসঙ্গ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত চার রাজ্যে এখন অবধি এই মামলায় ২৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর মধ্যে বিহারে ১৩, ঝাড়খণ্ডে ৬, গুজরাটে ৫ এবং মহারাষ্ট্র থেকে ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিটে একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করার পরেই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: লোক আদালত বসিয়ে ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

    এর পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ কিছু সমস্যার জন্য বাড়তি নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু র‍্যাংকিং নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতেই বাড়তি নম্বরে যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা ও লাথি মারায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে এবারে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি। প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বিজেপি (Balurghat)

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যা করেছে তৃণমূল তা নিম্ন রুচির পরিচয়। এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে হওয়া নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে বুধবার বালুরঘাটের (Balurghat) রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূলের রাজ্য শিক্ষা সেল। আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, ওয়েবকুপা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি সেগুলিতে জুতোপেটা, লাথি মারা হয়। এমনকী থুথু ছেটান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, নেয়নি। তাই আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করেছিলেন তাঁরা শিক্ষক নন। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, অসভ্য বর্বর, নিম্ন প্রজাতির কীট। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জেরে বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ফুটপাত ‘জবরদখলমুক্ত’ (Hawker Eviction) করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুরের (sonarpur-Garia) ফুটপাতের দোকানগুলিও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার। কর্মসংস্থান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল হকারেরা। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুরু অ্যাকশন 

    সোমবার রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন বেআইনি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত (Hawker Eviction) করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই রাজপুর সোনারপুর (sonarpur-Garia) পুরসভা ও বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসন একটি জরুরি বৈঠক করে। তারপরেই প্রশাসন বুধবার সারাদিন মাইকিং করে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য।  

    ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান (Hawker Eviction)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সেদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মাইকিং করে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। এলাকায় প্রতিনিয়ত হকার্স বন্ধুদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে এবং এর পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও বেড়েছে,যার ফলে প্রতিদিন অ্যাক্সিডেন্টও ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্টেশনগুলো এরিয়া দখল করে রেখেছে রিক্সা, টোটো কিছু কিছু প্রাইভেট গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসনিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সোনারপুর পুলিশ আধিকারিকরা মিলে এই ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান শুরু করবে।” 

    আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউরিতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশ ও স্থানীয় পুর-কর্মীরা এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান তুলে নিতে বলেছেন। দোকানদারদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে তাঁদের । অন্যদিকে গলি রাস্তার উপর লোহার রডের সঙ্গে ত্রিপল দিয়ে দোকানের কাঠামোর অংশ খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা হকারদের নির্দেশ দেন, রাতের মধ্যে এগুলি না খুললে ফের অভিযান হবে ৷ তখন কলকাতা পুরনিগমের তরফে লোক এসে সব ভেঙে খুলে (Hawker Eviction) নিয়ে চলে যাবে। এরপর হকারদের আর কিছু করার থাকবে না। সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার বেশ ফাঁকা। কারণ সব দোকানদাররা নিজেদের দোকান গুটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেচাকেনা বন্ধ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share