Tag: West Bengal

West Bengal

  • Cooch Behar: বিজেপি করার অপরাধে কোচবিহারে মহিলাকে উলঙ্গ করে মারধর

    Cooch Behar: বিজেপি করার অপরাধে কোচবিহারে মহিলাকে উলঙ্গ করে মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার (Cooch Behar) লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। অভিযোগ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দিকে দিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। কারও বাড়িঘর ভাঙচুর আবার কাউকে টাকার জন্য হুমকি। তবে এবারের ঘটনা সবকিছুর মাত্রা অতিক্রম করল। এক সংখ্যালঘু মহিলাকে বিজেপি করার অপরাধে এক কিলোমিটার রাস্তা চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে এসে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠলে। আক্রান্ত ওই মহিলা কোচবিহার হাসপ্তালে ভর্তি।

    বিজেপি করায় উলঙ্গ করে মারধর মহিলাকে

    জানা গিয়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা বিধানসভার ২ নং ব্লকের রুইডাঙ্গা অঞ্চলের রাম ঠেঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। বুধবার এই ঘটনার জেরে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। রোশনআরা  খাতুন নামে বিজেপি মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে পুকুরের জলে চুবিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রায় এক ঘণ্টা অজ্ঞান থাকার পর তাঁকে প্রথমে ঘোকষডাঙ্গা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরবর্তীতে কোচবিহার (Cooch Behar) মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত ওই মহিলা বলেন, “বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে গরু বাঁধার জন্য গিয়েছিলাম। যখন ফিরে আসছি সেই সময় একজন মহিলা হাতে কাঁচি নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি ভাবলাম হয়ত ঘাস কাটতে যাচ্ছে। সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে থাকা অন্যান্য মহিলারা আমাকে ধরে ফেলে। এরপর আমার চুলের মুঠি ধরে প্রায় এক কিলোমিটার গোবর মাটি লাগা অবস্থায় টেনে নিয়ে আসে। এরপর চুলের মুঠি ধরে আমাকে জলে চুবাচ্ছিল এবং আমার  সমস্ত কাপড় খুলে উলঙ্গ করে দেয়। এবং আমার মাথার সব চুল ছিঁড়ে নেয়। আমি বিজেপি করি আর ওরা টিএমসি করে। এই জন্যই আমার এই অবস্থা করেছে।” তিনি আরও জানান তাঁকে মারধর করার সময় বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস? মুসলিম পাড়ায় থেকে বিজেপি করছিস। আজ জলে চুবিয়ে মেরে ফেলব। এরপর পুরুষদের দেখিয়ে ধর্ষণ করতে বলা হয়। রোশনআরা আরও বলেন, “এরপর যখন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমি জানি না কী হয়। আমার মায়ের বাড়ির সামনে উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে রাখে। পুলিশ গিয়ে ছবি তোলে। এলাকার তৃণমূলের লোকেরা প্রতিদিন হুমকি দেয়। বিজেপি করলে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দেবে বলছে। যারা আমার সাথে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের আমি ফাঁসি চাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনার পর আক্রান্ত মহিলার পিতা বজলে রহমান ঘোকসারডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত তিনজন মহিলাকে আটক করেছে ঘোকষডাঙা থানার পুলিশ। বজলে রহমান বলেন, “আমার মেয়ে মহিলা মোর্চার সদস্য। বিজেপি (Cooch Behar) হেরে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমুলীরা বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। আমরা বিজেপি করি তার জন্যই এই ঘটনা।

    আরও পড়ূন: হম্বিতম্বিই সার! হকার উচ্ছেদের রাস্তা থেকে আপাতত সরে গেলেন মমতা

    আমাকেও বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাড়ি থেকে বের হতে দেবে না, এই হুমকি দেয়।” যদিও এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “কিছু না জেনে কোন মন্তব্য করা যাবে না” আমি জেনে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম! চলে রোম্যান্স, দলের প্রধানকে তোপ তৃণমূল কর্মীদের

    Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম! চলে রোম্যান্স, দলের প্রধানকে তোপ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম খেয়ে সময় কাটান। কাজের সময়ে চলে রোম্যান্স। তৃণমূলের প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূরের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন দলের কর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্যরা। প্রধানের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনায় শাসক দলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রধানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (TMC Conflict)

    গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, প্রধান শুধু তাঁর নিজের ও ঘনিষ্ঠদের এলাকায় কাজ করেন। বাকি কোথাও কাজ করেন না। আমরা এলাকায় উন্নয়ন করার কথা বললেও তিনি তা করেন না। যার ফলে এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। দলের কোনও কথাও তিনি শোনেন না। এ নিয়ে কথা বলতেই পঞ্চায়েত অফিসে আমরা যাই। আমাদের সঙ্গে দলের কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু, কথা বলতেই সেখানে উত্তেজনা (TMC Conflict) তৈরি হয়। তৃণমূলের রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমার কর বলেন, “প্রধান আমাদের কোনও কথা শোনেন না। নিজের খুশি মতো যা মনে হয় তাই করে যান তিনি।” অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মী সন্দীপ মালাকার আবার একটি ছবি দেখিয়ে বলেন,”স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে রাগ অভিমান হলে সেটা পঞ্চায়েত এসে মেটান। কখনও দই খাইয়ে, কখনও আইসক্রিম খাইয়ে রাগ ভাঙান। পঞ্চায়েত অফিসটা কাজের জায়গা। আর প্রধান রোমান্সের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন।” বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা বলেন, প্রধানের এই সব কার্যকলাপের জন্যই প্রধানের নিজের বুথে দল হেরেছে। এমনকী তিনি বিজেপি ঘেঁষা হয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পদত্যাগেরও দাবি করছেন দলের কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েত (Hooghly) প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূর বলেন, “কোনও সমস্যা তৈরি হলেই আমি সমাধান করার চেষ্টা করি। আমি কাজ করি না বলে যে অভিযোগ আসছে তা মিথ্যা। পঞ্চায়েত সদস্যরাই পঞ্চায়েতে আসেন না।সবই চক্রান্ত। আমাকে সরাতেই এ সব করা হচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    Bankura: বাঁকুড়া শিল্পাঞ্চলে প্রকাশ্যে তোলাবাজি! ধৃত তিন তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দ্বারিকার শিল্পাঞ্চলে এবার তোলাবাজির ঘটনায় পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলল তিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে। তাঁরা শিল্পাঞ্চলের পরিবহণের লরি থেকে মোটা টাকা তোলা তুলত বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে এই তিন তৃণমূল কর্মী শেখ দারশাদ,শেখ ইসলাম ও শেখ আমিরকে গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার (Bankura) জেলাশাসক সিয়াদ এন এবং পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন,পুরো শিল্পাঞ্চলে নজরদারি চালাবে প্রশাসন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    কারখানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কারখানার কিছু বর্জ্য দু’টি লরি করে অন্যত্র বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছিল। অভিযোগ, আচমকা ১০-১২ জন দুষ্কৃতী রড, লাঠি নিয়ে লরি দু’টির ওপর চড়াও হয়। লরি আটকে চালকদের মারধর করে। ৩০ হাজার টাকা তোলা চেয়ে বসে। একজন চালক ১৪ হাজার টাকা দিয়ে কোনওক্রমে ছাড়া পান। তবে, অন্য এক চালক পালিয়ে এসে কারখানার মালিককে বিষয়টি জানান। কারখানার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও ওই দুষ্কৃতীরা গাড়ি আটকে টাকার দাবিতে অনড় থাকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। যদিও বাকিরা ছুটে গা ঢাকা দেয়। এই ধরনের ঘটনা রুখতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেন। তাই পুলিশও কোনও গড়িমসি করেনি বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই শিল্পাঞ্চলে কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল চুরি, তোলাবাজি প্রায় ঘটলেও এতদিন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিত না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিশ সক্রিয় হওয়ায় এই তিনজন ধরা পড়ল। আমরা চাই, টাটার আগমণে এবার এই শিল্পাঞ্চল আগের মতো কর্মমুখর হয়ে উঠুক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ধৃত তিনজন যে দলের সক্রিয় কর্মী তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারিকা অঞ্চল সভাপতি অজয় রায়। তিনি বলেন, “এই তোলাবাজির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দল কখনওই এই তোলাবাজিকে প্রশয় দেয় না। তার প্রমাণ এই তিন জনের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা।” যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন,”তৃণমূল দ্বারিকা শিলাঞ্চল জুড়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে। আর তৃণমূলের বড়,মেজো,ছোট সব নেতাদের হাত রয়েছে এই ধৃতদের মাথায়। নেতাদের প্রশয়েই এই তোলাবাজি চলছে।” বাম আমলে চালু হওয়া দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা তৈরি  হয়েছে টাটা গোষ্ঠী এখানকার কারখানা অধীগ্রহণ করায়। সেই বাতাবরণে এই তোলাবাজির ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রাজ্যের শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউড়িতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে কোচবিহার— সারা বাংলায় ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযানের তৃতীয় দিন। তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় সরকারি জমি দখল করে তৈরি বেআইনি অস্থায়ী নির্মাণ সরাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে বীরভূমের (Birbhum) কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। রামপুরহাট ও সিউরিতেও শুরু হয় তুলকালাম। আর এর পরেই হকার উচ্ছেদের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। 

    রামপুরহাট-সিউরিতে তুলকালাম (Hawker Eviction) 

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রামপুরহাটে ফুড পার্কে বুলডোজার নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদে নামে স্থানীয় প্রশাসন। রামপুরহাট পুরসভার ১৭ এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার সময়ই ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর এবং কয়েক জন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। ধাক্কাধাক্কিও হয়। বিক্ষুব্ধদের দাবি, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়েই পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।  
    রামপুরহাটের পাশাপাশি বিক্ষোভের ছবি উঠে আসে সিউরিতেও। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই গতকাল থেকে সিউড়ি শহর জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ কেবল সিউড়ি নয় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুরসভায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব বিজেপি (BJP) 

    সিউরিতে অশান্তি শুরু হতেই হকার উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয় বিজেপি। উচ্ছেদ অভিযানের (Hawker Eviction) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। তারপরেই পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির (BJP) দাবি, সরকারি জমি জবর দখল হওয়া উচিৎ নয় এবং সরকারি জমি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলে আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু জাতীয় হকার নীতি অনুযায়ী সরকার এভাবে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করতে পারেনা। জমি ডিমারকেশন করতে হয়। সাতদিন নুন্যতম সময় দেওয়া উচিৎ। প্রশাসন এভাবে হঠাৎ করে বুলডোজার চালাতে পারেনা। হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে সরকারকে। একপেশে পদক্ষেপ নিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবেনা। সিউড়ির মীনভবন পর্যন্ত রাস্তা আগে করা উচিৎ। পুনর্বাসন না দিলে বিজেপির আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ তোলেন যে, টাকার বিনিময়ে হকারদের বসানো হয়। 
    এ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। আমাকে দোকান থেকে জিনিসপত্রও বার করতে দেয়নি। তার আগেই ভেঙে দিল। ছোট দোকানগুলো ভাঙছে (Hawker Eviction)। কিন্তু বড় দোকানগুলোতে কিছু করা হচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করব? ছেলেমেয়েদের মুখে কী ভাবে খাবার তুলে দেব? কালকে রাতে শুনেছিলাম ভাঙবে। একটু তো সময় দিতে হবে।’’  
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    Siliguri: বিজেপির লিড ৭২ হাজার! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ গ্রেফতার করল তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে। বুধবার রাতে এনজেপি থানায় গ্রেফতার করে তাঁকে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার সামনে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল দল আর করব না বলে অনুগামীরা হুঁশিয়ারি দেন।

    কে দেবাশিস প্রামাণিক? (Siliguri)

    দেবাশিস একসময় এলাকার কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে এলাকার দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর তৃণমূলের শিলিগুড়ির এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ ধন্য হয়ে তাঁর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ক্রমে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন। এবার তাঁর আসন সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। চারমাস আগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ফুলবাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের বর্ডার রপ্তানি সহ এলাকার জমির অবৈধ কারবার, শিল্প স্থাপন, উন্নয়নের কাজ, সবকিছুতেই শেষকথা ছিলেন দেবাশিস। বাহিনী বানিয়ে অনৈতিক কাজ করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। পেশায় ঠিকাদার ছিলেন। শিলিগুড়ির (Siliguri) এক শীর্ষনেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে বড় বড় কাজের বরাত তিনি পেয়ে যেতেন। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

     কেন গ্রেফতার? 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহুডাঙ্গির পাগালু পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায় নামে এক ব্যক্তি দেবাশিসের বিরুদ্ধে মারামারি ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁকে গেফতার করেছে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ। সামান্য মারামারির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা মানতে চাইছেন না নেতার অনুগামীরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড পেয়েছে। জলপাইগুড়ির আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির লিড বিশেষ ভূমিকা নেয়। মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পরও তৃণমূলের এই ভরাডুবিতে তৃণমূলের শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও দেবাশিসকেই দোষারোপ করেন। দলের এই হার মুখ্যমন্ত্রী  মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী জমির অবৈধ কারবার নিয়ে দলের নেতাদের কঠোর পদক্ষেপের বার্তা দেন। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির নাম করে জমির অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জমি মাফিয়াদের রমরমার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী গৌতম দেবকেও দোষারোপ করেন। দেবাশিসকে মূলত দলের বিপর্যয়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে শিলিগুড়ির এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার মদত রয়েছে।   

    কেউ তৃণমূল করবে না, ক্ষোভ

    বুধবার রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) থানায় দেবাশিসের অনুগামীরা এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এক অনুগামী ফোনে ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য। তারপর চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, দেবাশিসকে গ্রেফতারের  মাশুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিলিগুড়ির মেয়রকে দিতে হবে। গ্রেফতারের পিছনে প্রকৃত কারণ কী, কাদের মদত রয়েছে সব প্রকাশ্যে আনা হবে। এরপর আর কেউ তৃণমূল করবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    BJP: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের নলহাটির পর এবার পূর্ব বর্ধমানের হীরাগাছি। ফের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি (BJP) নেতার রক্তাক্ত দেহ। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুভাষকুমার দত্ত (৪৪)। বুধবার রেললাইনের ধার থেকে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সুভাষ আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি খুনের ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার বীরভূমের নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে পাইকপাড়া গ্রামের কাছে রেললাইনের ধারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় প্রদীপ মাল নামে এক বিজেপি কর্মীর দেহ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত বারোটা নাগাদ ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুভাষ (BJP)। এরপর রাত দুটো নাগাদ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, হীরাগাছি ৪৭-সি রেলগেটের কাছে সুভাষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অত রাতে রেললাইনের ধারে কেন গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট হচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা, এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। তবে পূর্ব বর্ধমান-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বহু বিজেপি কর্মী হিংসার কারণে ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। তাঁদের বড় অংশ আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপির জেলা কার্যালয়গুলিতে। জানা গিয়েছে, আগে মণ্ডল সভাপতি পদে থাকা সুভাষ বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ছিলেন।

    তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব

    এ-বিষয়ে রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুভাষ দত্তর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল শক্তিগড়ের আমড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। নির্বাচনের সময় খুব সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিলেন সুভাষ। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। এই কঠিন সময়ে আমরা পরিবারের পাশে আছি। কীভাবে এই মৃত্যু হল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘সুভাষ আমাদের জেলা কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে আমাদের অনুমান। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করুক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    Barrackpore: তোলা না দিলেই অ্যাকশন! বাইক নিয়ে রেইকি, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের কোড ব্যবহার থেকে বারাকপুরের (Barrackpore) প্রতিষ্ঠিত বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর অনির্বাণ দাসের মোবাইলে ফোন আসে। কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংয়ের বাহিনী ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বিরিয়ানির মালিককে ২০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে সুবোধ বাহিনীর লোকজন। আর তার জেরেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ব্যবসায়ী অনির্বাণ দাসের। ঘটনার পর থেকে কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন ওই ব্যবসায়ী।

    ব্যবসায়ীর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে দুই দুষ্কৃতী (Barrackpore)

    জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী অনির্বাণবাবুর বারাকপুরের (Barrackpore) পাশাপাশি মধ্যমগ্রামে বিরিয়ানির দোকান রয়েছে। সোমবার রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। মুড়াগাছা মোড় থেকে দুটি বাইক তাঁর গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে। বাইক দুটির কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। অনির্বাণের বাড়ি বারাকপুরের মোহনপুর এলাকায়। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই একজন বাইক আরোহী তাঁর মোহনপুর বাড়ির দিকে চলে যায়। আরেকজন অনির্বাণকে লক্ষ্য করতে থাকে। অনির্বাণ কোনওরকমে ভয়ে কর্তব্যরত এক পুলিশের সাহায্য নেন। বেগতিক বুঝে বাইক আরোহী এলাকা থেকে চলে যায়। এই ঘটনার কথা পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের জানান অনির্বাণ। পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খোঁজার চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ধরেই অনির্বাণকে ফোনে হুমকি দিত। বারুইপুর আদালতে এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। অনির্বাণ সেখানে গিয়ে দেখা পাননি। পরে, বারাকপুর আদালতে একবার গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি নিরাশ হন। তবে, গাড়ির সামনে এই রেইকির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    তোলা না দিলেই অ্যাকশন, ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীর

    কয়েকদিন আগেই আগেই এক ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে বেলঘরিয়ার রথতলায় পরপর ৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বিহার থেকে এসেছিল হুমকি ফোন। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যবসায়ী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আতঙ্ক বারাকপুরে। ব্যবসায়ীর গাড়ি ঘিরে রেইকি করল দুষ্কৃতীরা! নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন, অনির্বাণ। তিনি বলেন, ২০ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়েছে। না দিলে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। কখনও ফোন করে, কখনও মোবাইলে মেসেজ করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কখনও বিহার থেকে এসেছে ফোন। আতঙ্কে নিজেকে বাঁচাতে কখনও বাড়ি পাল্টাচ্ছি, আবার কখনও গাড়ি পাল্টাচ্ছি। চরম আতঙ্কে রয়েছি। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে বারাকপুরে তাঁদের বিরিয়ানি দোকান লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল। সেবারও সেই তোলাবাজির গল্প ছিল। সেবার বিরিয়ানি ব্যবসায়ীকে টার্গেট ছিল দুষ্কৃতীদের। এবার টার্গেট ব্যবসায়ীর ছেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা গ্রেফতার হতেই নদিয়া ছেড়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    Terrorist Arrest: হাবিবুল্লা গ্রেফতার হতেই নদিয়া ছেড়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ‘শাহাদাত’ জঙ্গি সংগঠনের এরাজ্যে অন্যতম মাথা মহম্মদ হাবিবুল্লার সঙ্গে যোগ ছিল হেরাজ শেখ (Terrorist Arrest) নামে বছর ২৭ এর যুবকের। তার বাড়ি নদিয়ার মায়াপুর। জঙ্গি যোগে সে গ্রেফতার হওয়ায় কিছুটা হতবাক এলাকার মানুষ।

    ছোট্ট ওই বদ্ধ ঘরে মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত হেরাজ (Terrorist Arrest)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেরাজের (Terrorist Arrest) জন্মের এক বছরই পরই তার বাবা মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এরপর থেকে মা, ভাইয়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত হেরাজ। মামার বাড়ির পাশেই একটি ছোট্ট ঘরে থাকত তারা। জানা যাচ্ছে, হেরাজের মা অসুস্থতার কারণে বেশিরভাগ সময়ই কাটাতেন বদ্ধ ঘরেব মধ্যে। হেরাজ  শারীরিকভাবে কিছুদিন অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার কারণে তিন বছর ধরে সেরকম কোনও কাজ করতে পারেনি। পরে কখনও রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে খেটে, কখনও আবার শ্রমিকের কাজ করে টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল কিনেছিল। ছোট্ট ওই কাজ করে টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল কিনেছিল। ছোট্ট ওই বদ্ধ ঘরে মোবাইলই ছিল হেরাজের সঙ্গী। সেই মোবাইলে হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না পরিবারের কারও। বন্ধুদের সঙ্গে ফোন কথাবার্তা হত। তার মধ্যে কখন কার সঙ্গে কী কথা বলত, তা পুরোপুরি অজানা পরিবারের সদস্যদের কাছে।

    বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল হেরাজ

    এসটিএস অফিসাররা জানিয়েছেন, হেরাজ (Terrorist Arrest) ও হাবিবুল্লাকে জেরা করে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। হাবিবুল্লার গ্রেফতারির খবর জানাজানি হতে ধরা পড়ার ভয়ে নদিয়া ছেড়ে পালানোর ছক কষেছিল সে। মূলত, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ চলে যাওয়ার ছক কষেছিল সে। তার আগেই এসটিএফের হাতে সে ধরা পড়ে। হাবিবুল্লার মতো হারেজও কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিল। পড়ত নবদ্বীপ কলেজে। তবে আর্থিক কারণে প্রথম বর্ষের পর পড়়া ছেড়ে দেয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কয়েকমাস আগে টেলিগ্রামের মাধ্যমে শাহাদাতের সঙ্গে যুক্ত হয় সে। রাজ্যে ১৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে, হেরাজের দাবি, তার হাত ধরে কেউ নিয়োগ হয়।

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    মানসিকভাবে সুস্থ নয়, দাবি পরিবারের

    মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলে দাবি করেছেন তার দাদু হায়দার শেখ। তিনি বলেন, ‘ ওর কানে সমস্য রয়েছে। লকডাউনের আগে বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখাতে হয়েছিল। বছর তিনেক আগে হারেজের দুই কানে  অপারেশন করাতে হয়েছিল। তারপর থেকে কিছু জিজ্ঞেস করলে ঠিক উত্তর দেয় না। কোনও কাজ করে না, আমরাও আর ওকে কিছু বলি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার শিলিগুড়ি (Siliguri)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় এক শিক্ষিকা তাতে আপত্তি করেন। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্ককে সামনে রেখে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের মেডিক্যাল মোড় ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা খোল-কর্তাল নিয়ে নাম-সংকীর্তণ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। 

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Siliguri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকনিকাটা (Siliguri) জুনিয়র হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন ও তার পরিবারের সকলে ইসকনের ভক্ত। মঙ্গলবার স্কুলে রত্না কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। রত্না বলে, শিউলি ম্যাম আমাকে স্কুলে তিলক কেটে আসতে মানা করেন। বাড়িতে গিয়ে মা’কে বলি। তারপর বাবা ও পাড়ার সকলে বিষয়টি জানতে পারে। বাবা-মা,পাড়ার সকলে এবং ইসকনের সদস্যরা বুধবার স্কুলে এসে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাই এদিন তিলক কেটে স্কুলে এসেছি। ম্যাম আর কিছু বলেননি। 

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

     অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    এদিন সকালে স্কুল খুলতেই দল বেধে অভিভাবক ও ইসকনের শিষ্যরা জমায়েত হন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জানতে চান, কেন রত্না বর্মনকে তিলক কেটে আসতে মানা করা হয়েছে। এক অভিভাবক মলয় সরকার বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা  এভাবে তিলক কেটে আসতে মানা করায় হিন্দুধর্মের আবেগে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এদিন আমরা স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাই, স্কুলের কোন নিয়মে লেখা রয়েছে যে তিলক কেটে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। শিক্ষিকা এব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেষে সকলের সামনে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

     ক্ষমা চাইলেও অভিযোগ মানছেন না শিক্ষিকা

    শিক্ষিকা শিউলি পাল বলেন, এদিন অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিই। তবে, আমি ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে মানা করিনি। রত্নার বাবা নির্মল বর্মন বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলে না। নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষিকা এখন এসব কথা বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘাসফুল শিবির জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছে বলেও দাবি তাঁর। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন সন্দেশখালির লড়াকু নেত্রী? (Basirhat)

    রেখা পাত্র বলেন, “নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রের হলফনামার সঙ্গে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জয়ী হওয়া হাজি নুরুল ইসলাম। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কমিশন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। আর সেই সুযোগে নির্বাচনেও জালিয়াতি করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে হাজি নুরুল ইসলাম যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ভুল রয়েছে। যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেও ভুল আছে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অন্যায়ভাবে জিতেছেন। এটা কোনওভাবেই আমরা মেনে নিচ্ছি না। কারণ, উনি অন্যায় করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। সত্যি কী তা মানুষের সামনে আসুক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যদি বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না? বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া চাই। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। মানুষ সবটা এমনিতেই জানতে পেরেছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বিষয়টি জানতে পারে যাতে তারজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা জুন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল বসিরহাটে। ৪ জুন ফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় বিজেপির রেখা পাত্রকে প্রচুর ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর থেকেই জালিয়াতি করে ঘাসফুল শিবির ভোটে জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এবার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share