Tag: West Bengal

West Bengal

  • Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে। 

    বিজেপির অভিযোগ (BJP blames on TMC) 

    কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।” একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং টিএমসির ‘তোলাবাজি’ (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং ‘তোলাবাজি’র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?” 

    অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ”এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না।  মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।”
    যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ”সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” 

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    কর্মীদের অভিযোগ 

    অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল। এমন অভিযোগে বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর শ্মশানে বৈদ্যুতিক  চুল্লির গেটের সামনে প্রতীকী তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মূলত, তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন। জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেরামতি করার পরও ফের অকেজো হয়ে গিয়েছে শ্মশানের চুল্লি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রায় ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি তৈরি করা হয়। অভিযোগ, চুল্লি তৈরি করার পর থেকেই দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যায়। পুরসভা থেকে একটি চুল্লি সংস্কার করলেও তা বিকল হয়ে যায়। গত ৯ মাস ধরে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বিকল হয়ে পড়েছিল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা থেকে খিদিরপুর শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি গঠনগত ত্রুটি সারিয়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছিল।পরে, চুল্লিটি চালু হওয়ার পর ফের বিকল হয়ে পড়ে। চলতি  মাসের ১২ তারিখ ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নতুন করে সারিয়ে তোলা হয় চুল্লিটি। এরপর শহর জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার করা হয়, চুল্লি মেরামতি করা হয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে মেশিন ফের বিকল হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেলে দাহ করতে না পেরে বালুরঘাট খিদিরপুর শ্মশানে প্রবল বিক্ষোভ দেখান শ্মশান যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মঙ্গলবার বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর বৈদ্যুতিক চুল্লির গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, বালুরঘাট পুরসভা শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে। ৩৬ লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট পুরসভা ১২ দিনের জন্য চুল্লি ঠিক করেছে। পুরসভা এর মধ্যেও কাটমানি খেয়ে রেখেছে, যারজন্য চুল্লি ঠিক করার ১২ দিনের মধ্যে বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি বিপুল ক্রান্তি ঘোষ বলেন, বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আজকে গেটে তালা মেরে বিজেপি খুব নোংরা কাজ করেছে। চুল্লিতে ইলেকট্রিক আপ-ডাউন করার জন্য চুল্লির কয়েকটি কোয়েল পুড়ে যায়, যারজন্য চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে। চুল্লিটির সংস্কারের কাজ চলছে। আগামী দুদিনের মধ্যে চুল্লিটি ঠিক হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করা কাজ ছিল কাঁকসার ধৃত জঙ্গি মহম্মদ হাবিবুল্লার। একজন উগ্রবাদ লেখকের বই তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত, বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক ছাত্রকে মগজধোলাই সে করেছে বলে গোয়ান্দারা জানতে পেরেছেন। বাংলা জুড়ে জালবিস্তার করাই কাজ ছিল হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest)।

    খোঁজ মিলেছে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়র (Terrorist Arrest)

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, বিআইপি, টেলিগ্রাম ব্যবহার করেই হাবিবুল্লা এই মডিউল চালাত। সে অনেক সময় বক্তব্য রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা বিভিন্ন গ্রুপে পাঠিয়ে দিত। একাধিক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগ মিলেছে। মগজধোলাই করার সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি সে তার আত্মীয়কে মগজধোলাই করতে ছাড়েনি। তদন্তে নেমে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়ের যোগসূত্র জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) থেকে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, তার থেকে তেমন তথ্য মেলেনি। প্রাথমিকভাবে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হাবিবুল্লা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে দেশে ওই সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই সে নিজের ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনের সব তথ্য মুছে দেয়। ওই তথ্য উদ্ধারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগের ছক

    প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ করতেই ‘শাহদাত’ মডিউল খুলেছিল আনসার। এই মডিউলের সূত্রে আনসারের সঙ্গে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যোগ হয়। অনেক জেএমবি সদস্য ‘শাহদাত’ মডিউলে যোগ দেয়। এ রাজ্যে ওই মডিউলের মূল চাঁই ছিল হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest)। এই মডিউলে মূলত অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করা হত। পুলিশের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশে ‘জিহাদের’ মাধ্যমে ইসলামি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পত্তন করাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জেরায় হাবিবুল্লা দাবি করেছে। তাই সমমনোভাবাপন্ন যুবক- যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগ করার ছক কষা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি হানায় ৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হল। পাকিস্তান সেনার মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন জানিয়েছে, জঙ্গিরা কুররাম জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়ির উপরে হামলা চালায়। বিস্ফোরণে নষ্ট হয়ে যায় সেনার গাড়ি এবং ওই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচ জন সেনা সেনার মৃত্যু হয়েছে।

    হামলায় নেপথ্যে টিটিপি, ধারণা প্রশাসনের

    চিনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে মৃত সৈনিকদের বয়স ২৪ থেকে ৩৩ এর মধ্যে। এখন অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেনি। এমনকি (Pakistan) সেনা তরফ থেকেও কোন জঙ্গি সংগঠনকে আধিকারিক ভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা আফগান তালিবানের সহযোগী টিটিপি এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইতিমধ্যে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে টিটিপি এই অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শিরিফ বলেছেন, “সেনার এই বলিদান ব্যর্থ যাবে না।”

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দমন-পীড়ন

    পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত ফাটা, সোয়াত ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযান চালাবার ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ সেনা জঙ্গি দমনের নামে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকেও সন্দেহের বশে গুলি করে মারছে। অন্যদিকে কয়েক লক্ষ আফগান শরনার্থীকে থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু আফগান নাগরিককে ধরে ধরে আফগান সীমান্তের ছেড়ে দিয়ে আসা হচ্ছে। এই সব এলাকাতেও বহু আফগানীর বাস। কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। অথচ জঙ্গি দমন অভিযানের নামে তাঁদের উপরেও অত্যাচার চলছে। এই জেরে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ক্ষোভের জেরে পাল্টা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান ওরফে টিটিপি নামে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই তাঁরা সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।

    জঙ্গি সন্দেহে ২২ জন গ্রেফতার (Pakistan)

    জানা গেছে পাঞ্জাব প্রান্ত থেকে পুলিশ ইতিমধ্যে ২২ জন ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলায় ১৫২ টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ইসলামিক স্টেট। তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (TTP), লস্কর-এ-তৈয়বা, লস্কর-এ-জাহাঙওয়ী সংগঠনের ২২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে ধরা হয়। পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা এলাকা জুড়ে জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সাম্প্রতিক (Pakistan) সেনাবাহিনীর উপরে হামলায় যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিবাদের প্রভাব

    পাকিস্তান (Pakistan) সেনার একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে আসছে। জঙ্গিদের মদত করতে করতে এখন এই জঙ্গি সমস্যায় পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জঙ্গিদের পাক সেনার কথা মত কাজ করতে হয়। জঙ্গিদের টার্গেট বাছার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই। মতানৈক্য হলেই জঙ্গিদের খতম করিয়ে দেয় সেনা। ফলে যে সেনাবাহিনী এতদিন তাঁদের সমর্থন করছিল তারাই এখন জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে। পাল্টা সেনার উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত সোয়াত, খাইবার ও ফাটা

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    এলাকায় অনুন্নয়নের জেরে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে। তাঁদের একাংশ হাতে সেনার অত্যাচারে বন্দুক হাতে তুলে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তান সেনা এদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তাঁদের উপর আরও কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। যার ফলে সেই এলাকায় সেনার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর কথামত না চললে অনেক ক্ষেত্রেই খুন এবং গুম করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। যদিও পাচার রুখতে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। আর সীমান্তে এই পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে পাচারে বাধা দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গরু পাচারকারীরা। সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিএসএফের তৎপরতার কারণে পাচারকারীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হামলার জেরে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাহারপাড়া সীমান্তে বেশিরভাগ অংশেই কোন কাঁটাতার নেই। বিশাল উঁচু পাট ক্ষেত। যার সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দিক থেকে একদল গরু পাচারকারী সীমান্তেই অপেক্ষা করছিল। ভারতের দিক থেকে পাচারকারীরা মাথায় বাক্স নিয়ে সীমান্ত পার করতে যায়। পাচারকারীদের দূরেই বেশ কয়েকটি গরু রাখা ছিল।  সেই সময় জওয়ানরা তাদের দাঁড়াতে বললে উল্টে পাচারকারীরা গালিগালাজ শুরু করে। এরপর জওয়ানরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। মূলত, পাচারকারীরা হামলা করার পরিকল্পনা করেই এসেছিল। বেশ কয়েকজন জওয়ানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে হাজির হন। তাঁরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালান। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বিথারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করছিল পাচারকারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে, কাহাড়পাড়া সীমান্তে বিএসএফ এবং পাচারকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় জওয়ানরা পরপর গুলি চালান। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুলির আওয়াজ পেয়েই বাংলাদেশি পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালায়। তবে, ধারাল অস্ত্রগুলি সীমান্তে ফেলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পাচারকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চালকলের স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কাজ হারানো বিজেপি কর্মীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে নালিশও জানিয়েছেন। তৃণমূল কীভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সেই বিষয়ও বিজেপি কর্মীরা তুলে ধরেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বর্ধমানে দলীয় কার্যালয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে ও সংলগ্ন এলাকাতেই বিজেপির দলীয় কর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়ে ‘ঘরছাড়া’ তাঁদের অনেকেই। তাঁদের সকলের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে, শুভেন্দু বলেন, “রায়না, জামালপুর, ভাতারের কিছু এলাকায় অভিযোগ শুনলাম। বর্ধমানের মতো ঐতিহ্যশালী শহরেও তৃণমূল অমানবিক। চালকলের যে সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে, বিজেপি করার অপরাধে তাঁদের কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে জেলা চালকল সমিতিকে বিষয়টি জানিয়ে সুরাহার জন্য বলব। তাতে কাজ না হলে আইনের পথে আমাদের যেতেই হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) অভিজিৎ তায়ের দাবি, “অন্তত ৮-১০ জন এমন অমানবিক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।” বর্ধমান রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “এই ধরনের অভিযোগের কথা শুনিনি, জানাও নেই। আমাদের এ নিয়ে কোনও চিঠি দিলে নিশ্চিত ভাবে খোঁজ নেব।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “বিজেপিই (BJP) ঘরছাড়াদের আটকে রাখছে। ঘরছাড়াদের নিয়ে দিলীপ আর শুভেন্দুর মধ্যে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা তো বলেই দিয়েছি, একদম নির্দিষ্ট করে নাম-ঠিকানা দিয়ে আমাদের জানালে সবাইকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেব। বিজেপি করে বলে কারও কাজ গিয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। সোমবার অফিস খোলার প্রথম দিনে এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৩ টি। অধিকাংশ সদস্যই তৃণমূলের। তারমধ্যে ১০ জন তৃণমূলের সদস্য পঞ্চায়েতের দুর্নীতির (TMC Conflict) বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।  বিক্ষোভকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, আমাদের সমর্থনে প্রধান, উপ প্রধান হয়েছে। আর এখন পরিষেবা বলে কিছু নেই। এলাকায় পানীয় জল নেই। বার বার বলার পরও পঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু, কে টেন্ডার পেয়েছে, কীভাবে পেল, প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি। প্রধান অপর্ণা বাদ্যকর বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে, সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যান। মিটিংয়ে আমাদের মতো পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। প্রধান, উপ-প্রধান নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পঞ্চায়েতের অনেক কিছুই আমাদের এড়িয়ে করা হয়। তাই, আমরা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।  

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন, তৃণমূল (Trinamool Congress) শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সেই দলের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে এই ধরনের জঙ্গি আন্দোলন করা ঠিক না। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে আমাদের কাছে এসে বলতে পারত। আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে, সব ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে ওরা দলকে হেয় করছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এই ধরনের আন্দোলন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাছাড়া কাজের কাজ কিছু হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল দলেরই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রধানের স্বামী, দলের এই কর্মীকে সমাজচ্যুত করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওঁই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অভিযোগের কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ইতিমধ্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। দলের নেতাদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন যে তৃণমূল কর্মী, তাঁর নাম হাবিবুল রহমান। ঘটনা ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি (Malda) এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলে (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুলের চাচাতো ভাই কাসিম শেখের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিবাদ হয়। প্রথমে সালিশি সভায় হাবিবুলের কাছে ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। একই ভাবে বাড়ির কিছু অংশ জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাবিবুল নিজের জমি ছাড়েননি। কিন্তু ইতিমধ্যে আবার সালিশি হলে তাঁকে আবার দেড়লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী সানাউল আবারও সালিশি ডাকলে হাবিবুল জাননি। এরপর সনাউল এবং গ্রামের মোড়ল ভাদু শেখকে ডেকে হাবিবুলকে সামজিক বয়কট করেন। নিদান দেওয়া হয়, গ্রামে তাঁদের একঘরে করা হয়েছে, কোনও দোকান জিনিস দেবে না। অসুস্থ হলে মিলবে না ওষুধও। বন্ধ মসজিদে যাওয়া, এমনকী পরিবারের একজন মারা গেলে কেউ মাটি পর্যন্ত দিতে আসেনি। অবশেষে হাবিবুল থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কিন্তু হাবিবুল বর্তমানে ঘরছাড়া।

    হাবিবুলের বক্তব্য

    আক্রান্ত হাবিবুল বলেছেন, “আমি থানায় (Malda) অভিযোগ জানানোর পর হামলা করেছে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। আমার বাড়িতে হামলা হয়, বাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে কবরটা দিতেও আসেননি কেউ। আমরা ভয়ে গ্রামছাড়া। এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তাই ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারছি না।”

    আরও পড়ুনঃশান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    অভিযুক্ত মোড়লের বক্তব্য

    অভিযুক্ত গ্রামের (Malda) মোড়ল ভাদু শেখ বলেছেন, “ওঁরা সমাজের কোনও কথা শোনেনি। ওঁরা কেবল নিজেদের কথাই বলে। আমাদের কথা শোনেন না। পাঁচ বার সালিশি করেছি। সালিশির নিদান পালন করেননি। আট মাস ধরে এই ঘটনা চলছে এলাকায়। হাবিবুলকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওঁরা ওদের ভুলটাও স্বীকার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা নির্বাচিত হলেন। এর আগে এই পদে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা পিযুষ গোয়েল। তিনি এবার মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় পৌঁছেছেন। এমতাবস্থায় রাজ্যসভায় বিজেপির প্রবীণ নেতা জে পি নাড্ডাকেই (J P Nadda) বিজেপি এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই তিনি দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে পারেন। ফলে তাঁর উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।  

    >

    মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা (J P Nadda)

    মনে করা হচ্ছে খুব দ্রুতই বিজেপি দল সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করতে পারে। যেহেতু বিজেপিতে এক ব্যক্তি এক পদের নীতি রয়েছে, সে কারণে সর্বভারতীয় সভাপতি এর দায়িত্বে অন্য কেউ আসবেন তা সময়ের অপেক্ষা। বিকল্প হিসেবে সুনীল বনসল, বিনোদ তাওড়ে, অনুরাগ ঠাকুর, রাজনাথ সিং সহ বেশ কয়েকজনের নাম চর্চায় রয়েছে। চলতি বছরেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সমেত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে এমনও হতে পারে কিছুদিনের জন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন। পরবর্তীতে তাঁকে সম্পূর্ণ মেয়াদ ও নতুন কমিটির অধিকার দেওয়া হল।

    কে হবেন পরবর্তী সভাপতি (BJP)

    জে পি নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহ এই দায়িত্বে ছিলেন। নাড্ডা (J P Nadda)  ২০২০ সালে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হন। বিগত কয়েক বছরে নাড্ডার গুরুত্ব দলে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের ভরসা রয়েছে তাঁর সঙ্গে। ফলে (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মন্ত্রী হলেন এবং এবং একইসঙ্গে রাজ্যসভার দলনেতা। দলের অন্দরে নাড্ডার মর্যাদা ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে সঙ্ঘ শিবির চাইছে শিবরাজ সিং চৌহান, বা রাজনাথ সিংকে পার্টির দায়িত্ব দেওয়া হোক। যদিও মোদি ও অমিত শাহ শিবির অন্য কাউকে এই পদে দেখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: গড়চিরৌলিতে মাওবাদ শেষের পথে, মাওবাদি দম্পতির আত্মসমর্পণ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মথুরাপুরে। এই লোকসভার শ্রীধরনগরে শাসক দলের সন্ত্রাসে শম্ভু চরণ প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পরই ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শম্ভুচরণবাবু বলেন,”এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছি।” অভিযোগের তালিকায় নাম আছে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির। তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। উল্টে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। এখন ভোটে হেরে গিয়ে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করছে। এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার বিপ্লব নায়েক বলেন, শুধুমাত্র পাথরপ্রতিমা নয়, গোটা মথুরাপুর জুড়েই ভোটের পরে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেও কাকদ্বীপে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আইনের শাসন যাদের হাতে, সেই পুলিশ অফিসার এখন তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কথা না শুনলেই মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share