Tag: Women Health

Women Health

  • Heart Attack Among Women: শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে! কী বলছে নয়া গবেষণা?

    Heart Attack Among Women: শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে! কী বলছে নয়া গবেষণা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে পুরুষদের পাশপাশি মহিলারাও হৃদরোগে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা আর সচেতনতা না বাড়ালে মৃত্যুর আশঙ্কাও বাড়বে। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সচেতনতা জরুরি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শোনা গেলেও, সবকিছু আচমকা হয় না। কয়েক সপ্তাহ ধরেই শরীর নানান ভাবে জানান দেয়। কিন্তু অসচেতনতার ফলে মানুষ এই ধরনের উপসর্গগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। বিশেষত ওই গবেষণায় চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের চল্লিশের পরে কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। বরং বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

    কেন চল্লিশের চৌকাঠ পেরনোর পরে মহিলাদের বাড়তি সতর্কতার নিদান?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের চল্লিশের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, চল্লিশের পরে অধিকাংশ মহিলার ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ পোস্ট মেনোপজ শুরু হয়। এই সময়ে শরীরে হরমোনের একাধিক পরিবর্তন হয়। এর ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যাও তৈরি হয়। তাই চল্লিশের পরে শরীর নিয়ে মহিলাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হরমোনের ভারসাম্য বদলে যাওয়ার কারণে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের ওজন ওঠানামা করে। অধিকাংশ মহিলা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। যার সঙ্গে কোলেস্টেরল, রক্তচাপের ওঠানামার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এগুলোর প্রভাব হৃদযন্ত্রের উপরে পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। আবার এই বয়সে মহিলাদের শরীরে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের চাহিদা ও অনেক সময় পূরণ হয় না। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মহিলাদের পোস্ট মেনোপজ পর্বে হরমোনের একাধিক পরিবর্তনের জেরে মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এর ফলে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। এগুলোও হৃদপিণ্ডের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই চল্লিশের পরে মহিলাদের হৃদরোগ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের জানান দেয়?

    এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে অনুযায়ী, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও শরীর কয়েক সপ্তাহ ধরে জানান দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই ইঙ্গিত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে মারাত্মক ভাবে বমি ভাব বেড়ে যায়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ প্রবলভাবে দেখা যায়। কয়েকদিন ধরে লাগাতার বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে তা এড়িয়ে চলা উচিত নয়।

    অনেকেই হজমের গোলমাল ভেবে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, চল্লিশোর্ধ্ব মহিলার লাগাতার এই বমি ভাব কিংবা মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে বারবার রক্তচাপ মেপে নেওয়া জরুরি। কারণ রক্তচাপ খুব বেশি ওঠানামা করলে এবং এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মাথার পিছনে ঘাড় বরাবর যন্ত্রণা অনুভব করলে আগাম সতর্কতা জরুরি বলেই ওই গবেষণায় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে এই ধরনের যন্ত্রণা দেখা যায়। এই ব্যাপারেও সতর্ক হলে বড় বিপদ এড়ানো সহজ হবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আরেকটি বড় লক্ষণ হলো মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব। এর জেরে হঠাৎ করেই জ্ঞান‌ হারানো কিংবা সাধারণ জিনিস ভুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলেই মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। আর তার ফলেই জ্ঞান হারানো কিংবা স্মৃতির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Women Health: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন? 

    Women Health: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন? 

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে প্রতি দশজন মহিলার মধ্যে সাতজন মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থা দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি দশজন মহিলার মধ্যে সাতজন মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন (Women Health)। বিশেষত ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ৯ (ফলিক অ্যাসিড)-এর অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। আর ভিটামিনের অভাবের জেরেই ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া, হাড়ের রোগ এমনকী ক্যানসার বা অ্যালঝাইমারের মতো সমস্যাও হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে নজর না দিলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট? 

    ওই বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলেছে, গোটা দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ ভিটামিন স্বল্পতায় ভুগছেন (Women Health)। মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব আরও বেশি। বিশেষত ২০-৪৫ বছর মহিলাদের মধ্যে ভিটামিন ডি ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব অত্যন্ত বেশি। কম বয়স থেকেই ভিটামিনের অভাব সমস্যা তৈরি করছে। অনেকেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। পেশিতে টান, ঠিকমতো বসতে না পারা, কিছুক্ষণ হাঁটলেই পায়ে যন্ত্রণার মতো নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, মাল্টিভিটামিনের অভাব দেহে নানা জটিল রোগ তৈরি করতে পারে। অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো হাড়ক্ষয়ের রোগ হতে পারে। যার জেরে হাঁটাচলার শক্তি হারাতে পারেন। এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় ভিটামিনের ঘাটতি (Women Health)। তবে, প্রৌঢ়কালে অ্যালঝাইমারের মতো স্মৃতিশক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়ে অনেকখানি! তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কীভাবে রাখবেন নিজের খেয়াল? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি (Women Health)। নিজের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে বাড়তি নজর অনেক বিপদ আটকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। সকালের জলখাবারে ব্রকোলি, গাজরের মতো সব্জি থাকুক। পাউরুটি কিংবা রুটির সঙ্গে ব্রকোলি, গাজর, বিনসের মতো সব্জির তরকারি খাওয়া দরকার। এসব সব্জি ভিটামিনে সমৃদ্ধ। বিশেষত ব্রকোলিতে আছে ভিটামিন বি। নিয়মিত কলা, পেয়ারা, আপেল, লেবু খাওয়া দরকার। লেবু, আপেল ও কলা যেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ, তেমনি ক্যালসিয়াম ও আয়রনও প্রচুর। দিনে এগুলির মধ্যে যে কোনও একটি ফল অবশ্যই খেতে হবে। তাছাড়া, মটরশুঁটি, রাজমা, ডালের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়া জরুরি। দানাশস্য ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। নিয়মিত দুধ খেতে হবে। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, যা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। ডিম কিংবা পনিরের মতো খাবারকেও নিয়মিত মেনুতে রাখতে হবে। তবে খাবারের পাশপাশি নজর দিতে হবে যোগাভ্যাসে। নিয়ম করে দিনে তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। কিছুটা সময় যোগাভ্যাসে বরাদ্দ করতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share