Tag: worker

worker

  • Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার থেকেই দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি (Four Labour Codes)। এই চার শ্রমবিধি সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হয়েছে অনেক আগেই। একটি পাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাকি (Worker) তিনটি পাশ হয় তার পরের বছর। শুক্রবার ওই চার শ্রমবিধি চালু করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার শ্রমবিধি কার্যকর করার মাধ্যমে একটি নতুন শ্রম যুগে প্রবেশ করল ভারত। এই চারটি বিধি হল, মজুরি সংহিতা, শিল্প সম্পর্ক সংহিতা, সামাজিক সুরক্ষা সংহিতা এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংহিতা। এগুলি কার্যকর হওয়ায় স্বাধীনতার পর দেশের শ্রম ক্ষেত্রে অন্যতম বিস্তৃত ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    নয়া শ্রমবিধি (Four Labour Codes)

    নয়া চারটি শ্রমবিধি চালুকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপে বর্তমানে চালু রয়েছে এমন ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে যুক্তিযুক্তভাবে একীভূত করা হয়েছে, সরল করা হয়েছে শতবর্ষ পুরানো নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে এবং বিস্তৃত করা হয়েছে শত শত মিলিয়ন শ্রমিকের সুরক্ষাও। ২১ নভেম্বর, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই বিধি (Worker)। এদিন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশকে আত্মনির্ভর করতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মধ্যে দিয়ে শ্রম সংক্রান্ত বিধির আধুনিকীকরণ করে, শ্রমিক কল্যাণ এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে, দেশের অনেক শ্রম আইনই স্বাধীনতার আগে এবং স্বাধীনতার ঠিক পরে পরে চালু হয়েছিল। তখনকার অর্থনীতি এবং কর্মক্ষেত্রের তুলনায় এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা (Four Labour Codes)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ আমাদের সরকার চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সব চেয়ে ব্যাপক এবং প্রগতিশীল শ্রমভিত্তিক সংস্কারগুলির একটি। এটি দেশের শ্রমিকদের ক্ষমতা আরও বাড়াবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে করে তুলবে আরও সহজতর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেন, এই শ্রমবিধি দেশের শ্রম আইনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় সংস্কার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চারটি শ্রমবিধি শ্রমিকদের সুরক্ষা মজবুত করে, সামাজিক সুরক্ষা বাড়ায় এবং কর্মক্ষেত্রের মানকে আধুনিক করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটি এবং সেক্ষেত্রে কেমন সুবিধা মিলবে।

    স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা

    শ্রমবিধিতে স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীদের স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদি কাজের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। স্থায়ী কর্মীদের মতোই তাঁরা ছুটি, চিকিৎসা ও সামাজিক সুরক্ষা-সহ সব সুবিধা পাবেন। ৫ বছরের পরিবর্তে মাত্র ১ বছর কাজের পরেই মিলবে গ্র্যাচুইটি। স্থায়ী ও স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীর মজুরি সমান। এটি সরাসরি নিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং কন্ট্রাক্টর-নির্ভরতা কমায় (Worker)। এই প্রথমবারের মতো গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মী এবং অ্যাগ্রিগেটরদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে লাখ লাখ কর্মী সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসবেন। এই সংস্কারগুলি চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সুরক্ষা বাড়ায় এবং উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। প্রধান নিয়োগকর্তাকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা দিতে হবে। নয়া বিধি মহিলা শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে (Four Labour Codes) তাঁদের প্রাপ্য অধিকার, সুরক্ষা এবং সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের ওপর আইনগত নিষেধাজ্ঞা, সম কাজে সম বেতন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

    চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা

    তরুণ শ্রমিকরা প্রাথমিক পর্যায়ের চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা পাবেন। সব শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগপত্রের পাশাপাশি ছুটির সময় মজুরি দেওয়াও বাধ্যতামূলক। এই বিধিগুলি এমএসএমই কর্মীদের একটি ঐক্যবদ্ধ কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনে, যার ফলে কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা আরও উন্নত হয়। বিড়ি ও সিগার শ্রমিকদেরও আইনি সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এঁদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা কাজ করানো যাবে। বছরে ৩০ দিন কাজ করলেই বোনাস দিতে হবে। প্ল্যান্টেশন শ্রমিকদেরও আধুনিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষার মানদণ্ডের আওতায় আনা হয়েছে (Worker)।

    সমান সুরক্ষা

    ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ ও পারফর্মাররা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সমান সুরক্ষা পান (Four Labour Codes)। তাঁদের বেতন ও সুবিধা উল্লেখ করে বাধ্যতামূলক নিয়োগপত্র দিতে হবে, দিতে হবে সময় মতো মজুরিও। ডাবিং শিল্পী, স্টান্ট কর্মী ও ডিজিটাল মিডিয়া কর্মীদেরও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খনি-খাতের কর্মীরা আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ও কল্যাণের মানদণ্ডের সুবিধা পাবেন। উচ্চ-ঝুঁকির শিল্পে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষা আরও জোরদার করা হয়েছে। নয়া শ্রমবিধিগুলি অভিবাসী ও শিল্পাঞ্চলের টেক্সটাইল শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা নিয়ে এসেছে। আইটি খাতের হোয়াইট-কলার কর্মীরা এখন আরও স্পষ্টতা, কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা ও সময়মতো বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন। বন্দর শ্রমিকরা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সুরক্ষা পাচ্ছেন। ভারতের রফতানিমুখী শিল্পে এই সংস্কারগুলি শ্রমিকদের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করেছে (Four Labour Codes)।

  • Hooghly: থ্রিডি ছবি এঁকে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন এক জুটমিলের শ্রমিক

    Hooghly: থ্রিডি ছবি এঁকে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন এক জুটমিলের শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুধারে জল, মাঝখান দিয়ে একফালি রাস্তা গেছে এঁকেবেঁকে…. এই ভাবনা কি শুধুমাত্র কাঠকয়লা আর চক দিয়েই রাস্তায় এঁকে ফুটিয়ে তোলা যায়! অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছেন ভদ্রেশ্বর (Hooghly) হিন্দুস্থান পার্কের অবাঙালি যুবক চন্দন চৌধুরি এবং তাঁর স্ত্রী পুনম চৌধুরি। শিল্পীর গুণে চাঞ্চল্য জেলা।

    কেমন এই আঁকা চিত্র (Hooghly)?

    একেই বলা হয় থ্রিডি পিকচার। অর্থাৎ বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন রকম মনে হয়। আর এই চিত্র এঁকেই সমাজমাধ্যমে ছেড়ে অর্থ উপার্জন করছেন শিল্পী চন্দন। দেশ-বিদেশে তাঁদের তৈরি এই থ্রিডি, বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সামান্য জুটমিলের শ্রমিক থেকে এই চমৎকার আর্ট তৈরি করতে তিনি কোনও প্রথাগত শিক্ষা নেননি। শুধু মাত্র মোবাইল ঘেঁটে বিভিন্ন অ্যাপ দেখে নিজে নিজেই শিখে নেন এই থ্রিডি ছবি আঁকার কৌশল। আসলে কথায় আছে, কেউ দেখে শেখে আর কেউ ঠেকে শেখে। ভদ্রেশ্বর (Hooghly) হিন্দুস্থান পার্কের বাসিন্দা অবাঙালি যুবক চন্দন চোধুরী ঠিক তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ।

    কীভাবের শিখলেন

    মাধ্যমিক ফেল এই যুবক ছিলেন চন্দননগর (Hooghly) গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিক। কয়েক বছর ধরে এই মিলটি বন্ধ ছিল। বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু রোজগার না করলে হয়? বিভিন্ন চীনা ও কোরিয়ান ভিডিও দেখে থ্রিডি ছবি আঁকা শিখে নেন চন্দন। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী পুনম। কিন্তু ছবিটা ফোটাবেন কোথায়? বাড়ির সামনেই ১০ ফুট চওড়ার লম্বা গলি। সেখানেই কিছুটা জায়গা নিয়ে কাজ শুরু করে দেন তাঁরা। দেখতে দেখতে একবছর পার হয়ে গেছে। গতবছর জানুয়ারি মাসে শুরু করেছিলেন। ক্রমশ তাঁরা পোক্ত হয়ে উঠেছেন।

    উপকরণ কী ব্যবহার করেন?

    চন্দনের ছবি আঁকতে গিয়ে কোনও স্কেলের প্রয়োজন হয়না চতুর্দিক বর্ডার টানতে। আগে ছবি আঁকা হয় কাঠকয়লা দিয়ে। এরপর তার উপরে সাদা চক বোলান হয়। চক কাঠ কয়লার সংমিশ্রণ ব্রাশ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে দিলে ধূসর রঙে পরিচিতি পায় চিত্র। এইভাবেই ফুটে ওঠে নানান ধরণের ছবি। কখনো দাবার ছক, কখনও ইংরেজি বর্ণমালা, আবার কখনও বা গ্রাম বাংলার পথ।

    চন্দনের এই সৃজনশীলতাকে পছন্দ করে প্রতিবেশীরাও। তাই তো পড়শি জুটমিল শ্রমিক কমল দাস বলে ওঠেন, চন্দন আমাদের পাড়ার (Hooghly) গর্ব। অসাধারণ তাঁর সৃষ্টি। আর তাঁর কাজ সারা পৃথিবীতে, আমাদের কলোনিকেও পরিচিত করেছে চন্দন। ওঁর জন্য আমরা আপ্লুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত থেকেই নিখোঁজ। তার পর আজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে এক বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। ওই বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগর (Malda) থানার সব্দলপুর এলাকায়। জানা গেছে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম অজিত মণ্ডল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর কাকা অনিল মণ্ডল, বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। রাজনৈতিক আক্রোশের কারণেই এই ঘটনা হতে পারে, অনুমান পরিবারের। তবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি অজিত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দূরে শ্মশান কালী মন্দিরের পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।‌

    পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি (Malda) কর্মী অজিত মণ্ডলের মেয়ে সীমা মণ্ডল বলেন, বাবা বিজেপি করতেন। সকাল বেলা আমার ঠাকুমা মাঠে গেলে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা পড়ে রয়েছে। গতকাল রাতে ভোটের কাজে বেরিয়েছিলেন, তারপর বাবা বাড়িতে আর আসেননি। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিছুই জানতে পারিনি। বাবাকে দুষ্কৃতীরা পেটের মধ্যে চাকু দিয়ে আঘত করেছে এবং অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীমা। বাবা নিজে নির্বাচনের প্রার্থী না হলেও ভোটের প্রচারের কাজে যেতেন। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। অজিত মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, উনার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share