Tag: World Hepatitis Day

World Hepatitis Day

  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওয়ান লাইফ, ওয়ান লিভার! সুস্থ জীবন যাপনের জন্য লিভার সুস্থ থাকা হল প্রাথমিক শর্ত! বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে (World Hepatitis Day) এই বার্তাই দিল চিকিৎসক মহল। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস ডে! বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে লিভারজনিত সমস্যা। হেপাটাইটিসের জেরে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। আর তাই সচেতনতাকে হাতিয়ার করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    হেপাটাইটিস কী (World Hepatitis Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস হয় (World Hepatitis Day)। এ, বি, সি, ডি এবং ই। এ এবং ই হল জলবাহিত রোগ। বর্ষার সময় অপরিচ্ছন্ন জল থেকে হতে পারে হেপাটাইটিস এ। বিশেষত শিশুদের জন্য যা মারাত্মক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্য হেপাটাইটিস ই প্রাণঘাতী বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস ই হয় জল থেকেই। গর্ভবতী মহিলার এই লিভারঘটিত সমস্যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে। তবে, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমিত হয় রক্তের মাধ্যমে। আবার হেপাটাইটিস বি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের দেহে হেপাটাইটিস বি থাকলে, সন্তানের দেহে তা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

    হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের হেপাটাইটিসের উপসর্গে কিছু মিল রয়েছে। যেমন, হেপাটাইটিস আক্রান্তের চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে যায়। এছাড়াও, হাত ও পায়ের পাতা অস্বাভাবিক রকমের ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এছাড়াও পেটে যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। জ্বর ও বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা কমাতে পারে হেপাটাইটিসের বিপদ (World Hepatitis Day)। তাঁদের পরামর্শ পরিশ্রুত জলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। হেপাটাইটিস এ ও ই যেহেতু জলবাহিত রোগ, তাই পরিশ্রুত জলের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষত, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের সব সময়েই জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকাকরণ সবচেয়ে জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস বি-র মতো মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা সবচেয়ে কার্যকর। তাই টিকা নিতেই হবে। পাশপাশি, হেপাটাইটিস রয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা দরকার। বিশেষত গর্ভবতীদের এই স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা আবশ্যিক। যদি কোনও গর্ভবতীর হেপাটাইটিস বি-র মতো সংক্রমণ থাকে, তাহলে তার বাড়তি নজরদারি জরুরি। সদ্যোজাত যাতে হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য জন্মের পরেই তার টিকাকরণ প্রয়োজন। এই সব দিক নজরে রাখলে হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আর সুস্থ দীর্ঘ জীবন যাপন সহজ হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে জানুন এই রোগ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে জানুন এই রোগ সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস (World Hepatitis Day)। সারা বিশ্বে আজ অর্থাৎ ২৮ জুলাই এই দিনটিকে হেপাটাইটিস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। হেপাটাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই দিনটিকে পালন করা হয়। কারণ এখনও পৃথিবীর অনেক জায়াগায় মানুষ এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। তাই আজ জেনে নিন, হেপাটাইটিস রোগ সম্পর্কে কিছু বিশেষ তথ্য।

    হেপাটাইটিস হল লিভারের রোগ, যাতে লিভার দুর্বল হয়ে পড়ে। হেপাটাইটিস সাধারণত এ, বি, সি প্রকৃতির হয়ে থাকে। লিভার দুর্বল হয়ে গেলে হজমও ঠিকমত হয় না। আর সেখান থেকে শুরু হয় একাধিক সমস্যা। তাই হেপাটাইটিস হলে খাাদ্যতালিকাতে বিশেষ নজর রাখা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৩ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় হেপাটাইটিস বি আর সি-এ। তবুও মানুষ বিষয়টি নিয়ে সেভাবে সতর্ক নন। আর তাই হেপাটাইটিস দিবসের উদ্দেশ্য হল মানুষকে এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন করা।

    হেপাটাইটিস এ: এই ভাইরাস সাধারণত খাবার ও জল থেকেই হয়। দূষিত জল ,অপরিচ্ছন্ন খাবার থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হেপাটাইটিস এ (Hepatitis A) তে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সংক্রমিত ব্যক্তির যেসব উপসর্গগুলো দেখা যায়, সেগুলো হল জ্বর, ক্লান্তি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, জয়েন্টে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, জন্ডিস ইত্যাদি। তবে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য টিকা রয়েছে।

    হেপাটাইটিস বি: এই ভাইরাস সাধারণত শরীরের রক্ত, দেহের কোনও তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও যৌন মিলনের ফলে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলালে, খাবার একসঙ্গে খেলে, চুম্বন, কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বেশ কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন-জন্ডিস (ত্বক ও চোখের হলুদ হওয়া),গাঢ় রঙের প্রস্রাব, ক্লান্তি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি। হেপাটাইটিস বি থাকলে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত, নয়তো এটি পরে বিপজ্জনক হতে পারে।

    হেপাটাইটিস সি: বি -এর মত এই ভাইরাসও রক্ত, যৌন মিলন, গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের থেকে শিশুর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এটি হেপাটাইটিস এ ও বি এর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের ফলে লিভারের ক্ষত ও বেশ কয়েক বছর পর সিরোসিস সৃষ্টি করে। এছাড়াও হেপাটাইটিস ডি ও ই রয়েছে, যা আগের তিন রকমের তুলনায় কম বিপজ্জনক।

LinkedIn
Share