Tag: Yogi Aditya Nath

Yogi Aditya Nath

  • Mahakumbh: দেড়মাস পরে সম্পন্ন মহাকুম্ভ, ৬৬ কোটি ভক্তের অংশগ্রহণে গড়ল নয়া ইতিহাস

    Mahakumbh: দেড়মাস পরে সম্পন্ন মহাকুম্ভ, ৬৬ কোটি ভক্তের অংশগ্রহণে গড়ল নয়া ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে (Prayagraj) আয়োজিত হয় মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। গতকাল বুধবার মহা শিবরাত্রিতে তা শেষ হল। ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহাকুম্ভ শুধুমাত্র যে আধ্যাত্মিকতার দিক থেকে নয়া শিখর স্পর্শ করেছে এমনটাই নয়। উপরন্ত বিশ্বজুড়ে একাধিক রেকর্ডও স্থাপন করেছে হিন্দু ধর্মের এই পবিত্র উৎসব। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় মহাকুম্ভ। শেষ হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। চলেছে টানা ৪৫ দিন অর্থাৎ দেড়মাস। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) অংশগ্রহণ করেছেন ৬৬ কোটি ভক্ত। এঁরা প্রত্যেকেই পুণ্যস্নান সেরেছেন। পবিত্র ডুব দিয়েছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতাই মহাকুম্ভকে এতটা সফল করতে পেরেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কেউ কেউ এমনটাও দাবি করছেন মহাকুম্ভের এত সুন্দর ও অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।

    ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, এবারের মহাকুম্ভ (Mahakumbh) যেন আক্ষরিক অর্থেই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিল। পাড়ায় পাড়ায় থেকে বাস-গাড়ি ভাড়া করে সকলেই পুণ্য স্নানের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। ভারতের প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় যেন মহাকুম্ভমুখী হয়ে উঠেছিল। এই মহাকুম্ভে বিদেশি রাষ্ট্রনেতা থেকে কূটনীতিক, বলিউড থেকে ক্রীড়াবিদ- প্রত্যেকেই স্নান করেছেন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায় বারবার উঠে এসেছে যে এ হল একতার মহাকুম্ভ।

    ৬৬ কোটি ভক্তের আগমন, অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি

    প্রসঙ্গত, ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত এই মহাকুম্ভে (Mahakumbh) অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা নয়া ঐতিহাসিক রেকর্ড তৈরি করেছেন। পৃথিবীজুড়ে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ইভেন্ট নেই যেখানে এত পরিমাণ মানুষ একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত, ৬৬ কোটি মানুষ মানে গোটা ভারতবর্ষের অর্ধেক জনসংখ্যা। আবার এমন অনেক দেশ আছে পৃথিবীতে যেখানকার জনসংখ্যা ৬৬ কোটি মানুষের থেকে অনেক কম। অর্থাৎ ভাবাই যাচ্ছে মহাকুম্ভ কতটা সফল এবং ঠিক কী কী রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। ২০২৫ সালের মহকুম্ভে ১৩টি আখরা অংশগ্রহণ করেছিল। এই প্রতিটি আখরার সাধু-সন্তরা নিয়ম মেনে অমৃতস্নানে অংশগ্রহণ করেছেন।

    মহাকুম্ভের খুঁটিনাটি (Mahakumbh)

    প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথ সরকার মহাকুম্ভকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটিই করেনি। মহাকুম্ভ নগর তৈরি করা হয়েছিল ৪,০০০ হেক্টর অঞ্চলজুড়ে। এর পাশাপাশি মহাকুম্ভকে ভাগ করা হয়েছিল ২৫টি সেক্টরে। শুধু তাই নয় ১২ কিমি জুড়ে তৈরি করা হয়েছিল শুধু স্নানের ঘাট। ১,৮৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি ছিল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি মহাকুম্ভ নগরীজুড়ে ছিল ৬৭ হাজার স্ট্রিট লাইট। দেড় লাখেরও বেশি টয়লেট গড়ে তোলা হয়েছিল। ২৫ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী আবাস তৈরি করা হয়েছিল মানুষজনের থাকার জন্য।

    অমৃত স্নানগুলিতে কত মানুষ অংশগ্রহণ করেন?

    উত্তরপ্রদেশ সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল এই ইভেন্টের জন্য। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় মহাকুম্ভে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। ৪৫ দিনব্যাপী চলা মহাকুম্ভে ছটি অমৃতস্নানের আয়োজন করা হয়। ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পৌষ পূর্ণিমার অমৃত স্নান। ওই দিন অংশগ্রহণ করেন ১ কোটি ৭০ লাখ ভক্ত। মকর সংক্রান্তির অমৃতস্নান (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হয় ১৪ জানুয়ারি। ওই দিন অংশগ্রহণ করেন সাড়ে ৩ কোটি ভক্ত। এর পরের অমৃতস্নান অনুষ্ঠিত হয় মৌনী অমাবস্যায়। ওই দিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারিতে অংশগ্রহণ করেন ৭ কোটি ৬৪ লাখ ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান যা অনুষ্ঠিত হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৫৭ লাখ ভক্ত। মাঘ পূর্ণিমার অমৃতস্নান যা অনুষ্ঠিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি, ওই দিন অংশগ্রহণ করেন ২ কোটি ৪ লাখ ভক্ত। মহা শিবরাত্রির অমৃতস্নান ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অংশগ্রহণ করেন ১ কোটি ৫৩ লাখ ভক্ত।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটিও সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হয়েছে।

  • Kalki Dham: বিষ্ণুর দশম অবতার! কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kalki Dham: বিষ্ণুর দশম অবতার! কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কল্কি ধাম (Kalki Dham) মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করলেন সোমবার। এই মন্দির কল্কি অবতারের উদ্দেশে তৈরি করা হচ্ছে। রাম মন্দিরের পরে বর্তমানে কল্কি ধাম মন্দির নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার মানা হয়। মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায়। কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে তার ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে।

    ধর্মের গ্লানি ও পাপ বাড়লে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অবতারের

    হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী যখন যখন ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মে ভরে যায় পৃথিবী, তখনই ভগবান বিষ্ণু অবতার রূপে আবির্ভূত হন এবং অত্যাচারিত মানুষকে রক্ষা করেন। পুরাণ অনুযায়ী এটাও মানা হয় যে বর্তমানে কলি যুগ চলছে এবং এই কলি যুগে পৃথিবী পাপে ভরে যাবে। ভগবান নারায়ণ তখন মানুষকে উদ্ধার করতে কল্কি অবতার রূপে আবির্ভূত হবেন। পৌরাণিক বিভিন্ন আখ্যান অনুযায়ী কলিযুগ (Kalki Dham) শুরু হয়েছে ৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ  থেকে বর্তমানে কলি যুগের প্রথম দশা চলছে। পুরাণ অনুযায়ী কলিযুগ চলবে ৪ লাখ ৩২ হাজার বছর।

    কল্কি অবতার কখন জন্ম নেবে?

    শ্রীমৎ ভাগবত এর দ্বাদশ স্কন্দে চব্বিশ তম শ্লোক অনুযায়ী যখন বৃহস্পতি সূর্য এবং চন্দ্র পুষা নক্ষত্রে আসবে, তখনই আবির্ভাব হবে কল্কি অবতারের। কল্কি অবতার জন্মগ্রহণ করবেন শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে। এই বিশ্বাসেই প্রতিবছর কল্কি জয়ন্তী পালন করা হয় শ্রাবণ মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে। ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার হিসেবে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলাতে জন্মগ্রহণ করবেন কল্কি দেবতা। তাই সেখানেই নির্মিত হচ্ছে কল্কি ধাম (Kalki Dham)। অগ্নি পুরাণের ১৬ তম অধ্যায় অনুযায়ী, কল্কি অবতার ঘোড়ায় চড়ে আসবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share