Tag: Yunus Govt

  • Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারস্থ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sk Hasina)। আন্তর্জাতিক এই বিচারালয় রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এখানকার প্রসিকিউটরের কাছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি-র মাধ্যমে হাসিনা আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন দায়ের করেছেন। এই ধারাটি আইসিসিকে যে কোনও গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।

    হাসিনার অনুরোধ (Sk Hasina)

    কমিউনিকেশনে তিনি অনুরোধ করেছেন, আওয়ামি লিগ দলের নেতা-কর্মী, আগের মন্ত্রিসভা ও সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন হিংসার তদন্ত শুরু করুন আইসিসির প্রসিকিউটর। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তী সরকার যেসব অপরাধ করেছে, যার ফলে ২০২৪ সালের অগাস্টে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেগুলি আদালতের (আন্তর্জাতিক) এক্তিয়ারের মধ্যে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম স্ট্যাটিউট অনুমোদন করে বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ১ জুন থেকে বাংলাদেশে কার্যকরও হয় এটি। হাসিনার যুক্তি হল, এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের আইনি অধিকার রাখেন।

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের মামলা

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগে উত্থাপিত ঘটনাগুলির মধ্যে হত্যাকাণ্ড, বেআইনি আটক এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যেসব দাবি উঠেছে, সেগুলির যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির প্রসিকিউটরের তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতগুলিতে এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে (Sk Hasina)। উল্লেখ্য, স্টিভেন পাওলস কেসি অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত বহু ব্যক্তির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত (ICC)।

    কমিউনিকেশনে হাসিনার দাবি

    কমিউনিকেশনটিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা ও কর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে পিটিয়ে। এই কমিউনিকেশনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং ভিডিও প্রমাণ, যেগুলিতে এসব হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য এবং বিশদ বিবরণের উল্লেখ রয়েছে। কমিউনিকেশনে এও বলা হয়েছে, আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্রেফ অনুমান করে বহু ব্যক্তিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মায় অভিনেতা ও গায়কদের মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অপারেশন ডেভিলস হান্ট

    কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন ব্যক্তি জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। যাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরেই নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট (Sk Hasina)। আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা আদতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ডেভিলস হান্ট (Devils Hunt) নামে একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ঘোষিত উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামি ফ্যাসিবাদ দমন করা। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে (ICC)। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভিযানে ১২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৮ হাজার জনকে। কমিউনিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার একটি দায়মুক্তি আদেশ (immunity order) জারি করে, যার মাধ্যমে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো যায় এবং অপরাধীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয় (Sk Hasina)।

    ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়

    যেহেতু বাংলাদেশের আদালতে ন্যায়বিচারের কোনও সম্ভাবনা বা তদন্তের আশাই নেই, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করাই ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিকেশনে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের তরফে এমন একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হল, যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঝুলে রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনের নামে ১৪০০ জনকে (ICC) হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া-সহ মোট পাঁচটি অভিযোগে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালে (Sk Hasina)।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Crisis) বুলডোজার চালিয়ে দুর্গামন্দির ভেঙে দিল ইউনূস প্রশাসন। হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিল সেনাবাহিনী (Bangladesh Army), র‍্যাব (Rapid Action Battalion), বিজিবি (Border Guard Bangladesh), রেল (Bangladesh Railway)। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) খিলক্ষেত (Khilkhet) অঞ্চলে দুর্গামন্দির (Shri Shri Durga Mandir) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশের হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) ঠিক আগেই বাংলাদেশে এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আতঙ্কিত হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা। দুর্গা মন্দির ধ্বংসের নিন্দায় ভারত বলেছে, এই ঘটনা সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অক্ষমতারই প্রতিফলন।

    হিন্দু হলে রেহাই নেই

    বাংলাদেশে এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়। আওয়ামি লিগ (Awami League) সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এখন ফের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু সেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মেয়ে সরাসরি যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতেই থাকুন না কেন, হিন্দু হলে রেহাই নেই। ঢাকার এই মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গা ও কালীপুজো হত। নিয়মিত দেবীর নিত্যসেবা হত। গত ২৪ জুন রাতে সেই মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেই চাপে পড়েই মন্দির ভেঙে ফেলা হল।

    কেন দুর্গামন্দির ধ্বংস?

    বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের খিলক্ষেতের ওই মন্দিরের কাছে মোতায়েন করা হয়। তখনই স্থানীয়রা আঁচ পায়, বড় কিছু হতে চলেছে। তারই মধ্যে ঢাকার পূর্বাচল সেনা ক্যাম্প থেকে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে বুলডোজার আনা হয়। আর বুঝতে বাকি থাকেনি হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের। তারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে তুলে মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সাফাই, রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই দুর্গামন্দির তৈরি করা হয়েছিল। খিলক্ষেত থানার ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী মন্দিরের চারপাশে টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেওয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে এই মন্দির ভেঙে দিতে হবে। সোমবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষপর্যন্ত এই মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হল।

    ভারতের তীব্র প্রতিবাদ

    মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। আগে থেকেই বাংলাদেশের মৌলবাদী-উগ্রপন্থীরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিল। সেই মন্দিরকে রক্ষা করার পরিবর্তে অন্তর্বতীকালীন সরকার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ যে এমন ঘটনা বারবার হচ্ছ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’’

    বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ

    হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। তবে নিজের মতো করে যুক্তি সাজিয়ে সেই সবের থেকে দায় ঝেরে ফেলছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সে দেশে কয়েক হাজারের খুনে দায়ী রাজাকার বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। যে কি না আবার ফাঁসির আসামী। তবে সেখানেই জোর করে ভুয়ো মামলার আছিলায় আটকে রাখা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু সন্ন্যাসীকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা। কখনও ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে, কখনও মন্দির। কখনও আবার প্রকাশ্যেই খুন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বারংবার ইউনূস সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ।

LinkedIn
Share