মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ায় চুল ওড়ানো অপরাধ। এই পোস্টার নিয়েই ইরানের (Iran) রাজপথে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার নাগরিক। হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাশা আমিনি (Mahsa Amini) নামে এক তরুণীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। ইরানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে এখন ধীরে ধীরে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অসন্তোষের আগুন। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা দমনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরানের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। এখনও পর্যন্ত মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস
অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্’-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে আগুন জ্বলছে। সন্ধের পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সরকার বিরোধী স্লোগানও উঠছে।
আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান
ইরানের আইনে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশিকা মেনে যথাযথভাবে হিজাব পরেননি ২২ বছর বয়সী মাশা। তাই তাঁকে অকালে চলে যেতে হল। এর প্রতিবাদে ইরানের হিজাব আইনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে স্থানীয় নাগরিকেরা। মহিলা ও পুরুষ সকলেই প্রকাশ্যে আইন ভেঙেছেন। মেয়েরা হিজাব উড়িয়েছেন, চুল কেটেছেন প্রকাশ্য রাস্তায়। দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যাতে সামনে না আসে তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ইরানের সরকার। এ প্রসঙ্গে ইরানের কাছে বিশেষ আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেখানকার সরকারকে স্থানীয়দের বিক্ষোভের (Protest) বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয় বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ শক্তি’ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি উত্তেজনা এড়াতে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তাও দিয়েছেন গুতেরেস।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours