Ranil Wickremesinghe: আগামী কয়েকমাস শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে কঠিন সময় , ট্যুইট নয়া প্রধানমন্ত্রীর

"কোষাগার শূন্য। দেশবাসীর কাছে কোনও তথ্য গোপন রাখতে চাই না আমি। এই তথ্য বা পরিসংখ্যান ভয়ের হলেও বাস্তব..."
ranil
ranil

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারের ভাঁড়ার প্রকৃত অর্থেই খালি জেনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। দ্রুত আন্তর্জাতিক মহল এবং ব্য়ক্তিগত স্তরে বিত্তশালীদের সাহায্য না মিললে শ্রীলঙ্কার ঘুরে দাঁড়ানো কার্যত অসম্ভব, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে কোনওরকম ধোঁয়াশায় না রেখে ট্যুইটবার্তায় তাঁদের সামনে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরলেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। 

দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রথমেই বিক্রমাসিঙ্ঘে লেখেন, “আগামী কয়েক মাস আমাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মাস হতে চলেছে। এই বিষয়ে দেশবাসীর কাছে কোনও তথ্য গোপন রাখতে চাই না আমি। এই তথ্য বা পরিসংখ্যান ভয়ের হলেও বাস্তব।" এই মর্মে দেশের মাথায় থাকা ঋণের ভার থেকে শুরু করে জ্বালানি ভাণ্ডার, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে ওষুধ-- প্রতিটি জরুরি পণ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন রনিল। 

[tw]

[/tw]

বাজেট: দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে। পূর্বতন সরকার বাজেটে ২.৪ ট্রিলিয়ন শ্রীলঙ্কান মুদ্রা রাজস্বের কথা বলেছিলেন বাস্তবে তা ১.৬ ট্রিলিয়ন বলে ট্যুইটবার্তায় জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। ঘাটতির পরিমাণ অনেক। যা কোষাগারকে শূন্য করেছে।

[tw]

[/tw]

ঋণ: প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ২০১৯-এর নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ছিল ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখন ট্রেজারিতে ১ মিলিয়ন ডলার খুঁজে পাওয়া চ্যালেঞ্জের। ভারত-চিন সহ অন্যান্য দেশগুলির কাছ থেকে এখন ঋণ চাইতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। 

[tw]

[/tw]

মজুত জ্বালিনি: নগদ আর্থিক সঙ্কটে থাকা ওই দেশে পেট্রল (petrol) ফুরিয়েছে। দেশের কাছে মাত্র একদিনের গ্যাসোলিন মজুত রয়েছে বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের সহায়তায় শীঘ্রই দেশে পেট্রল ও ডিজেলের দুটি করে মোট চারটি শিপমেন্ট এসে পৌঁছবে। তাতে পরের কয়েকটা দিন চললেও তারপর কী হবে, জানা নেই। শ্রীলঙ্কার জলসীমায় নোঙর করা অপরিশোধিত তেল এবং ফার্নেস অয়েল সহ তিনটি জাহাজের মূল্য পরিশোধের জন্য খোলা বাজারে ডলার অর্জনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতের ক্রেডিট লাইন ব্যবহার করেও পেট্রল ও ডিজেলের সঙ্কট রয়ে গিয়েছে। 

[tw]

[/tw]

বিদ্যুৎ পরিষেবা: বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানির প্রয়োজন। দেশে জ্বালানিই মজুত নেই। আগামী দিনে দেশবাসীকে হয়ত বা দিনে ১৫ ঘণ্টা অন্ধকারে কাটাতে হতে পারে। জ্বালানি-সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে সরকার। জ্বালানি সহজলভ্য হলেই বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো যাবে।

[tw]

[/tw]

গ্যাস: গ্যাসের জন্য হাহাকার শোনা যাচ্ছে চারিদিকে। গ্যাসের সমস্যা মেটাতে  অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। এই প্রয়োজন মেটাতে আমরা কথাবার্তা চালাচ্ছি। 

[tw]

[/tw]

ওষুধ: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে ১৪ টি প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, অস্ত্রোপচারের উপকরণ সবরেই খামতি রয়েছে। সরবরাহকারীরা প্রায় চার মাস ধরে তাঁদের বকেয়া পাননি। তা মেটানোর মতো অর্থও এখনই সরকারের কাছে নেই।

[tw]

[/tw]

যদিও বর্তমান সঙ্কট বেশিদিনের নয়। খুব শীঘ্রই তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে, বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে।  তিনি বলেন, "এর জন্য আমাদের অবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় পরিষদ বা রাজনৈতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে,” বন্ধু দেশগুলির সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাদের থেকে সাহায্যের আশ্বাসও মিলেছে দাবি নয়া প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার লোকসান রোধ করতে এবং শূন্য ভাঁড়ার ভরাতে জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে, বলে খবর। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য এই পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি বেতন প্রদানের জন্য টাকাও ছাপতে বাধ্য হচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তবে যাই হোক কোনওভাবেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরবেন না বলে জানান বিক্রমাসিঙ্ঘে। নতুন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, দেশ ও দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালনে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles