মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সব থেকে চর্চিত পরিবার হল আম্বানি পরিবার (Ambani Family)। এই পরিবারের ধন দৌলত সব সময়ই আলোচনার বিষয়। দেশের ধনীতম পরিবার হলেও আম্বানিদের সব সময় নিজেদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে, শিকড়ের সাথে জুড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে আম্বানি পরিবারের কত্রী কোকিলাবেন, তিনি সবসময়ই পরিবারের পারম্পারিকতাকে ধরে রাখার চেষ্ঠা করেছেন।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি
খুব কম মানুষই জানেন, এই আম্বানি পরিবারের একজন গুরু আছেন, যার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে এই পরিবার। যাকে তাঁরা 'ভাইশ্রী' বলে ডাকেন। নাম রমেশ ভাই ওঝা (Rameshbhai Ojha)।
আম্বানি পরিবারের মতোই তিনিও মিডিয়ার আড়ালে থাকতেই পছন্দ করেন। সম্প্রতি আম্বানি পরিবারের হবু পুত্রবধু রাধিকা মার্চেন্টের নাচের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়। ভাইশ্রীকে গাড়ি থেকে অনুষ্ঠানের জায়গায় সম্মানের সাথে নিয়ে যেতে দেখা যায় দুই আম্বানি ভ্রাতাকে।
কে এই রমেশ ভাই ওঝা?
অনিল এবং মুকেশের মধ্যে মিল করিয়েছিলেন এই রমেশ ভাই ওঝাই। ধীরুভাই আম্বানির দুই ভাইকে মিলেমিশে একসাথে থাকতে রাজী করান তিনিই। রমেশ ভাইয়ের সাহায্য নিয়েই কোকিলাবেন দুই ভাইয়ের মাঝের ঝামেলা মেটান। কোকিলাবেন দুই ছেলেকে একে অপরের প্রতি রাগ বিসর্জন দিয়ে বাবাকে গর্বিত করার পরামর্শ দেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন রমেশ ভাই ওঝা। এই রমেশ ভাই- ই পরিবারের বাইরে একমাত্র ব্যক্তি, যার আম্বানি পরিবারের যেকোনও পারিবারিক বৈঠকে অবাধ যাতায়াত।
ধীরুভাই সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে রমেশ ভাই বলেন, "ধীরুভাই বলতেন ভারতের আরও অনেক ধীরুভাইদের প্রয়োজন। আমার দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে সেই যোগ্যতা রয়েছে।"
আরও পড়ুন: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের
শোনা যায় এক সময় কোকিলাবেন রমেশ ভাইয়ের 'মোটিভেশনাল ভিডিও' দেখতেন। তারপর ১৯৯৭ সালে তিনি রামকথা পাঠ করতে রমেশ ভাইকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। তারপর থেকে 'ভাইশ্রী' এই পরিবারের অবিচ্ছদ্য অংশ হয়ে গিয়েছেন। ২০০২ সালে ধীরুভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও পৌরহিত্য করেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours