Supreme Court: ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট 

ভোটারদের প্রভাবিত করতেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ...
elections
elections

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোটের (Election) সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল দেশের শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে কী করা যায় তা কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

প্রতিবার ভোটের সময় অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (Irrational Freebies) দেয় বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি। সে পঞ্চায়েত হোক কিংবা পুরসভা, বিধানসভা অথবা লোকসভা সব ক্ষেত্রেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ দেশে। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এটা করা হয় বলে অভিযোগ। এই অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ হওয়া উচিত বলেই দাবি উঠেছিল দীর্ঘদিন। এটা বন্ধেই এবার কেন্দ্রকে পথ খুঁজতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রাধান বিচারপতি এনভি রামানা বিষয়টিকে সিরিয়াস আখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজের কাছে যথাযথ উত্তর না পেয়ে প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বন্ধ করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে বললেন।

আরও পড়ুন : কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ...

এদিন শুনানি চলাকালীন কোনও কারণে কোর্টরুমে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, সিবাল একজন বর্ষীয়ান সাংসদ। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? সিবাল জানান, অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটা গুরুতর বিষয়। তবে একে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। সিবাল বলেন, কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারে না। তিনি বলেন, অর্থ কমিশনই এই ইস্যুটি খুঁটিয়ে দেখার ব্যাপারে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলে, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি এ ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। আগস্টের ৩ তারিখে মামলাটি ফের উঠবে আদালতে।

আরও পড়ুন : নিম্ন আদালতের অবস্থান জেনেই রায় ঘোষণা, জ্ঞানবাপী মামলায় সুপ্রিম কোর্ট

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় ভারতীয় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জানিয়েছিল। এফিডেভিট দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের আগে কিংবা পরে অযৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এগুলি রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলে ভোটারদের ওপরও। এগুলি তাঁদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles