Gurugram Slap Case: পাঁচ মিনিট লিফটে আটকে পড়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে সপাটে চড়! ভাইরাল ভিডিও

ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। 
Gurugram_Slap_Case_
Gurugram_Slap_Case_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে লিফটে আটকে পরেছিলেন এক ব্যক্তি। ইন্টারকমে সেই অসুবিধার কথা জানান নিরাপত্তারক্ষীদের। লিফটের কাজ করার লোক আনতে ৫ মিনিট মতো লেগে যায় সময়। আর এই অপরাধেই লিফট থেকে থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর চড়াও হলেন ওই ব্যক্তি। সপাটে চড় (Slap) মারলেন দুই নিরাপত্তারক্ষীকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, লিফট (Lift) থেকে নামতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) ৫০ নম্বর সেক্টরের আবাসিক টাওয়ার 'নির্ভানা কান্ট্রি'তে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম বরুণ নাথ। তিনি ওই ফ্ল্যাটের ১৪ তলায় থাকেন। সকাল ৮ টার দিকে ১২ তলায় লিফটে আটকে পড়েন তিনি। বেরিয়ে আসার জন্য তিনি  লিফটের ভিতর থেকেই নিরাপত্তারক্ষীর (Security Guard) সঙ্গে ইন্টারকমে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগের ৫ মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীরা লিফট থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেও বরুণ রেগে বেরিয়ে এসে সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের চড় মারতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে তিনজন নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে দুজনের ওপর হামলা চালান তিনি। ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা। কাজ বন্ধ করে দেন। শ্লোগান দেওয়া শুরু করেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তারপরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত হাজারেরও বেশি মানুষ, সমবেদনা জানালেন মোদি  

অভিযুক্ত বরুণ নাথকে সোমবার থানায় তলব করা হয়।  রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানায় পৌঁছলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, বরুণ নাথ একজন ব্যবসায়ী, তিনি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা। ২৯ অগাস্ট গুরুগ্রাম পুলিশ অভিযুক্ত বরুণ নাথের বিরুদ্ধে  গুরুগ্রাম সেক্টর ৫০  থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ৫০৬ (ফৌজদারি ভয় দেখানো) এর অধীনে মামলা করেছে। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতি অসম্মানজনক এবং অসংবেদনশীল আচরণ করার জন্য ওই ব্যক্তির নিন্দায় সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা। 

আরও পড়ুন: জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, "ওরা দিন- রাত কাজ করেন। কিন্তু আবাসনের কিছু বাসিন্দা ওদের কৃতদাস ভাবেন। ওরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছে।"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles