Anubrata Mondal: একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট-সুকন্যা! সিবিআই-এর হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে?
sukanya_mon
sukanya_mon

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারির মাধ্যমে এক কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়টিতে তদন্ত করতে নেমে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা একবার নয়, তিনবার লটারি জিতেছেন। সেই লটারির টাকা দুবার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। আর একবার কেষ্টর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। ২০১৯ সালে অনুব্রতর অ্য়াকাউন্টে এই লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

যেখানে একবারই লটারি জিততে পারে না মানুষ, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে বার বার লক্ষ লক্ষ টাকা লটারি জিতে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকা লটারিতে পাওয়ার রহস্যভেদ করতে বার বার জেরার মুখে পড়তে হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকেও। আর এরই মধ্যে এত পরিমাণে লটারি জেতার খবর সামনে আসতেই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন যে, লটারি জয়ের নামে অনুব্রত আসলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করেছেন না তো? বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে, তাহলে কি এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? আর কোনও লটারি অনুব্রতর আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠদের নামে কেনা হয়েছিল? এসবই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। আর এবারে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা আসার তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। এক বার ঢোকে ২৫ লক্ষ টাকা, আর এক বার ২৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ ৫১ লক্ষ টাকা। লটারির ১ কোটি টাকার তদন্ত করতে আসানসোল জেলে গিয়েও জেরা করা হয়েছে কেষ্টকে। আবার বারবার তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও।

আবার গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানাও দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরপর গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অনুব্রতকে কখনও লটারি বিক্রি করেননি তিনি। লটারি জয়ের নামে অনুব্রত বা সুকন্যার অ্যাকাউন্টে আরও কোনও টাকা ঢুকেছে কি না, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ পরবর্তীতে লটারির রহস্যভেদে আর কী কী তথ্য উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles