মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলায় রাতারাতি পাল্টে দিয়েছে সব সমীকরণ। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal), দিল্লিযাত্রা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু দুবরাজপুরের তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের (Shib Thakur Mondal)করা মামলার জেরে অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বড়দিনের আগে আর অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেওয়া হয় না ইডির।
সাজানো মামলা
এখন প্রশ্ন হঠাতই এই মামলা সাজানো নয় তো? অভিযোগ, এক বছর আগে শিবঠাকুরকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল!যেদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পায় ইডি, সেদিনই শিবঠাকুরের মনে হয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে! তার ভিত্তিতেই এখন অনুব্রত দিল্লির পরিবর্তে নিজের জেলা বীরভূমে! জেলের পরিবর্তে পুলিশি হেফাজতে! জোরালভাবে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া রুখতেই কি শিবঠাকুরকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে ? পুরোটাই কি পরিকল্পিত চিত্রনাট্য় ? খোদ অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের কথাতেও উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি!এরই মধ্যে দীপক মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে শিবঠাকুরের দূরসম্পর্কের কাকা বলে পরিচয় দিচ্ছেন, তিনি দাবি করেন,“মনে হয় এটা ওর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। চক্রান্ত করে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকানোর জন্যই মনে হয় ওকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে এই এফআইআর করিয়ে নিয়েছে।”
শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক
শিবঠাকুর প্রসঙ্গে দীপক মণ্ডল বলেন, “প্রচুর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রচুর টাকা নয়-ছয় করেছে। এলাকার মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের থেকে টাকাও নিয়েছে। বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।” দীপক মণ্ডলের দাবি, সেই প্রতারিতদের তালিকায় তিনি নিজেও রয়েছেন। তাঁর ছেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে শিবঠাকুর দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন । শিবঠাকুরের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের বিষয়ে দীপক বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর একেবারে দারুণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অনুব্রত যে ওনাকে মারতে যাবেন, তা আমি একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছি না।” অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শিবঠাকুরের একটি ‘বিরাট যোগসূত্র’ রয়েছে বলেই দাবি করেন দীপক। যদিও দীপকের দাবি উড়িয়ে দেন শিবঠাকুর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours