মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরকে অশান্ত করতে সীমান্তের ওপার থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিত করতে সদা সচেষ্ট পাকিস্তান। কাশ্মীরকে আগুনের স্তূপে বসাতে চাইছে তারা। অভিমত ভারতীয় সেনার।
উপত্যকাকে অশান্ত করা প্রয়াস
সেনার ১৯ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিসনের মেজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে গত দুই সপ্তাহ ধরে ইনপুট মেলে যে, অনুপ্রবেশের চেষ্টা হতে পারে এবং উরির রামপুর সেক্টরের হাতলঙ্গা এলাকার জঙ্গিরা যুদ্ধের রসদ মজুত করতে পারে। তার পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা। হাতলঙ্গা এলাকায় গত শুক্রবার প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- আটটি একে-৭৪ রাইফেল, ২৪টি একে-৭৪ রাইফেল ম্যাগাজিন, ৫৬০টি ৭.৬২ মিমি একে-৭৪ লাইভ অ্যামিউনিশন, ২৪টি চাইনিজ পিস্তল ম্যাঙ্গানিজ-সহ অন্যান্য সামগ্রী। রবিবার ওই সেনা আধিকারিক জানান, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। কারণ, এখানে এখন জঙ্গি এবং যুদ্ধের রসদ সর্বকালীন কম অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তা নষ্ট করতে চাইছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের
সতর্ক ভারতীয় সেনা
এই মুহূর্তে উপত্যকায় আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলা-বারুদ কম পরিমাণে থাকায় পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলা-বারুদ কাশ্মীরে পাচার করছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রে লেখা রয়েছে, "আই লাভ পাকিস্তান"। মেজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, "কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে বিরাজমান শান্তি ও সমৃদ্ধি মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। তাই তারা এই ধরনের মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে।" তবে তিনি জানান, সেনাবাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কাশ্মীরে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডা ও বরফের স্তরকে কাজে লাগিয়ে যাতে কোনওরকম জঙ্গি কার্যকলাপ না বাড়তে পারে তার দিকে নজর রয়েছে সেনার। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours