মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় থেকেই তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,''বীরভূমে আজ এতটা রাস্তা এলাম কোথাও তো ঢাকের আওয়াজ শুনলাম না। উন্নয়নও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম না কেউ গুড়-বাতাসাও দিল না। একবছর আগেও ভাবতে পেরেছিলেন এটা? মিটিং মিছিল করতে দিত না। গাঁজা কেসে জেলে ঢোকাত। আজ দেখুন সেই অনুব্রতর হাল। কেমন লাগছে অনুব্রত বাবু?''
কী বললেন অনুব্রত
ডিসেম্বর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ''আজ ২৭ ডিসেম্বর। ভরসা রাখুন। শীত যেমন একটু দেরিতে পড়ছে তেমনি এই ডাকাতটাও একটু পরে জেলে যাবে। আগে যাবে চড়াম চড়াম অনুব্রত।''তৃণমূলকে ঠোকা দিয়ে তিনি বলেন, ''যদি কেষ্ট মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী, সামান্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা মাইনে পাওয়া লোকের ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়, তাহলে ভাবুন মালিকের কত টাকা? মাছ বিক্রেতা তিহারে যাচ্ছে। তাঁর ভাই ভাইপো আরও অনেকে যাবে পিছনে। আপনারা ব্লিচিং দিয়ে এলাকায় এলাকায় গ্রামে গ্রামে ছোট চোর সাফাই করুন। আমরা বড় চোরদের তিহারে পাঠাব।''
অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানান শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নলহাটির সভায় ঐতিহ্যবাহী বীরভূমের কথাও বলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,“আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”
আরও পড়ুন: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির
পুলিশকে তোপ
এদিন নলহাটির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আসানসোল জেলে বসে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই খবর তাঁরাও জানতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।” এখানেই না থেমে অনুব্রতর তিহাড় যাত্রা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এখানে থেকে কচি পাঁঠার ঝোল, অষ্টমীর দিন লুচি আর ছোলার ডাল খাচ্ছে। কিন্তু, তিহাড়ে গেলে এসব জিনিস পাবে না। আর তখন বলবে ১০০ টাকার মধ্যে ৭৫ টাকা আমি কলকাতায় পাঠিয়েছি আর ২৫ চাকা রেখেছি নিজের কাছে। তাই কেষ্টকে দিল্লিতে যেতে দেওয়া হবে না।”
+ There are no comments
Add yours