Shaktigarh Shootout: ক্রমশ জটিল শক্তিগড় শ্যুটআউট! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়িতে কেন যাচ্ছিলেন রাজু ঝা?

raju_jha

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে (Shaktigarh Shootout) খুন হন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। জানা গেছে, যে গাড়িতে করে রাজু ঝা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সেই গাড়িটি ছিল বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের। জানা গিয়েছে, শনিবার দুবরাজপুরের বাসিন্দা শেখ নূর অর্থাৎ ড্রাইভারকে নিজের এসইউভি গাড়ি (WB 48D 7032) সহ আব্দুল লতিফ পাঠিয়েছিল দুর্গাপুর। পরে দুর্গাপুর থেকে রাজু ঝা-দের নিয়ে এসইউভি গাড়িটি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেই গাড়িতে করে কলকাতায় যাওয়ার সময় শক্তিগড়ে তাদের গাড়ি দাঁড়ালে দুষ্কৃতীরা এসে গুলি বৃষ্টি শুরু করে আর তাতেই মৃত্যু হয় রাজু ঝা-র। 

কে এই আব্দুল লতিফ

সূত্রের খবর, বীরভূমের ইলামবাজারের সুক বাজারের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ। জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এছাড়াও জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আব্দুল লতিফ। ইলামবাজারের গরুর হাটও নিয়ন্ত্রণ করত সে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।

সুখবাজারে রয়েছে লতিফের বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি

ইলামবাজারের গরুবাজার সংলগ্ন সুখ বাজারে রয়েছে তার বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি। সিবিআইয়ের দাবি অনুসারে, একটি বড় গাড়ির শোরুম, মার্বেল এর ব্যবসা, হোটেল ব্যবসা ছাড়াও একাধিক বৈধ ও অবৈধ বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই আব্দুল লতিফ। এমনকী বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাট থেকে বাংলাদেশে কন্টেনারে করে গরুপাচার হত। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত এই গরু পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল লতিফের।

গরুপাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন লতিফ 

গরুপাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন লতিফ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই আব্দুল লতিফের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। এছাড়াও প্রচুর গাড়িও রয়েছে তার যার মধ্যে অন্যতম এই এসইউভি গাড়িটি। এই আব্দুল লতিফকে গরু পাচার মামলায় তলব করেছিল সিবিআই তারপর থেকেই পলাতক সে।

আততায়ীদের নীল গাড়ির মালিকানা এখনও পাটুলির শাশ্বতী চক্রবর্তীর নামে

রবিবার সকালে শক্তিগড় রেল স্টেশনের কাছেই নীল গাড়িটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, যেখান থেকে গুলি ছুড়েছিলেন আততায়ীরা। গাড়ির নম্বর ৩৪৫৪। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির মালিকানা রয়েছে কলকাতার এক মহিলার নামে। ওই মহিলার নাম শাশ্বতী চক্রবর্তী। তাঁর ছেলে সোহম চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাড়িটি তাঁর মায়েরই। ২০১৭ সালে তাঁরা গাড়িটি কিনেছিলেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁরা নীল মারুতি গাড়িটি বিক্রি করেছেন। সোহমের কথায়, গাড়ি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। অনেক সংস্থা গাড়ি দেখতে এসেছিল। যে সংস্থা সর্বোচ্চ দর দিয়েছিল, তাদেরই দিয়েছিলাম।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share