মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক (Facebook)। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি নতুন টুল চালু করেছে মেটার মালিকানাধীন কোম্পানিটি। নতুন ফিচার (Facebook's new feature) ভুয়া তথ্য শনাক্তে সহায়তা করবে শুধু তাই নয়; ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিনদের কাজের চাপও কমিয়ে দেবে। এতে করে গ্রুপের কর্মযজ্ঞ আরও ভালোভাবে সম্পাদন করতে পারবেন অ্যাডমিনরা। গ্রুপে কোনও তথ্য পোস্ট করার আগে ওই তথ্যটির সত্যতা সম্পর্কে ফ্যাক্ট চেকার টুল (Fact Checker Tool) সেই তথ্যটির সত্য বা মিথ্যা সম্পর্কে গ্রুপটির আডমিনের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরবে।এমনকি যদি তথ্যটি মিথ্যে হয় সেক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টটিকে সরিয়ে ফেলা হবে তবে সেক্ষেত্রে অ্যাডমিনের অনুমতি নেওয়া হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই ফেসবুক ভুল তথ্য সম্বলিত পোস্টগুলিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে ফেলছে।
ফেসবুকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিমাসে, ১.৮ বিলিয়নের ও বেশী মানুষ রাজনীতি থেকে শুরু করে সমাজের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এই গ্রুপগুলিতে জড়ো হয়।
ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) জানিয়েছেন, প্রতিদিন পৃথিবীর প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশী ফেসবুক ব্যবহারকারী নতুন গ্রুপে সদস্যতা গ্রহণ করে চলেছে।
এ ছাড়াও হালনাগাদ ডেস্কটপ সংস্করণের জন্য 'অ্যাডমিন হোম' ডিজাইন টুলও যুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের জন্য নতুন বিন্যাস যুক্ত হয়েছে। অ্যাডমিনদের জন্য ফেসবুক গ্রুপের বিজ্ঞাপনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিআর কোড যুক্ত হয়েছে। এতে করে ব্যবহারকারীরা কিআর কোড স্ক্যান করে গ্রুপ সম্পর্কে সহজেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভুয়ো খবর বন্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে মেটা (Meta)। হোয়াটসঅ্যাপেও (Whatsapp) বিশেষ ফিচার ব্যবহার করা হবে। যার মাধ্যমে কোনও একটি চ্যাট শুধুমাত্র একটি গ্রুপেই ফরোয়ার্ড করা সম্ভব হবে। আগে 5জনকে ফরোয়ার্ড করা হলেও কিছুদিনের মধ্যে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ব্যবহারকারীরা।
বর্তমানে এই ফেসবুক গ্রুপ বা ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আকছার বিষোদগার করে চলেছে একদল কুচক্রী মানুষ। মুখোশের পিছনে থেকে সমাজে অশান্তি বাধিয়ে চলেছে। বর্তমানে ভারতের বেশ কিছু সাম্প্রদায়িক অশান্তি সোস্যাল মিডিয়ার পোস্টকে কেন্দ্র করে হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ২০২১ সালে একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দূর্গাপুজোর সময় অশান্তি ঘটেছিল। তাই বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে যাতে পুনরায় অশান্তি না ঘটে তার জন্য সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানি গুলি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সকলে সচেতন না হই। সেক্ষেত্রে সমাজে সোস্যাল মিডিয়ার উপকারিতা দেখা যাবে না।
+ There are no comments
Add yours