Pakistan: আর্থিক সংকটের কারণে সুজুকি সমেত বেশকিছু সংস্থা উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তানে

econo

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগেই আকাশ ছুঁয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সুজুকি মোটর তাদের নতুন গাড়ি তৈরির কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাঁচামালের অভাবের কারণেই বন্ধ রয়েছে কারখানা। অন্যদিকে টায়ার এবং টিউব প্রস্তুতকারক গান্ধরা টায়ার অ্যান্ড রাবার কোম্পানিও উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কাঁচামালের অভাবে। এটা মাত্র ২টি উদাহরন। স্থানীয়ভাবে অজস্র কারখানা সেখানে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। সার,টেক্সটাইল সমেত অনেক কারখানা ইতিমধ্যে সেদেশে বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটের কারণে সেদেশে চাহিদাতো তলানিতে ঠেকেছে আবার কাঁচামালের অভাবও রয়েছে আর্থিক সংকটকে কেন্দ্র করে।

বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ভাণ্ডার ঠেকেছে ৩১৯ কোটি মার্কিন ডলারে

 বর্তমানে পাকিস্তানের (Pakistan) বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ঠেকেছে ৩১৯ কোটি মার্কিন ডলারে। স্বর্ণভাণ্ডার এবং বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিত ভাণ্ডার দেখেই বোঝা যায় যেকোনও দেশের অর্থনীতি কতটা মজবুত। সঙ্কটের মুখে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ক্রমশ কমে আসছে। ভারত এবং পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের তুলনা করলে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ভারত। বর্তমানে ভারতে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য ৫৭ হাজার ৫২৭ কোটি ডলার। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার সম্প্রতি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। জানা গেছে, শেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কখনও এত কম হয়নি। ঠিক এই কারণে আমদানি এখন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বেশিরভাগ সংস্থা, সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মচারিদের চাকরিও প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। সেদেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫০ বছরে এমন মুদ্রাস্ফিতি পাকিস্তানে কখনও হয়নি।সেদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাকিস্তানে বেকারত্ব ব্যাপক আকার ধারণ করতে চলেছে।  অর্থনীতিকরা আরও বলছেন, এমন পাকিস্তান (Pakistan) আগে কখনও দেখা যায়নি যেখানে একের পর এক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে সেদেশে গাড়ি বিক্রি গত ৩ বছরে ৬৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসেই ইন্দাস মোটর বন্ধ হয়েছিল সেদেশে। এবার সুজুকি! শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক ব্রান্ড রয়েছে এমন মোবাইল কোম্পানিগুলিও বন্ধ হয়ে গেছে সেদেশে আর্থিক সংকটের কারনে। বেশ কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারক সংস্থাও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এককথায় পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন চরম সংকটে। প্রবল সংকটে বেতন বন্ধ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ক্রমশ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকেই এগোচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share