Sukhoi-30: নারীশক্তির জয়! চিন সীমান্তে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন এই বীর কন্যা…

0f21d0ed-2f06-41ce-88bf-27788bdd1caf

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটু দূরেই চিন সীমান্ত। এখানকার আকাশে প্রতিনিয়ত পাহারা দিচ্ছে চিনা সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) লড়াকু বিমান। তাতে ভয় কী? এরা তো মহিষাসুরমর্দিনী। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনই তো ভারতীয় মেয়েদের চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। তাই চিনের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর অসমের (Assam) তেজপুর  স্থিত ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি (Tezpur Airbase) থেকে সুখই-৩০ (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান ওড়াচ্ছেন বীর কন্যা। 

আরও পড়ুন: ভারতে রকেট লঞ্চার তৈরি করবে স্যাব! কী বলছে সুইডেনের সংস্থা?

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তেজপুর থেকে একটি সুখোই-৩০ চক্কর কেটেছে চিন সীমান্তের আকাশে। সেই বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী রঙ্গা রাও জানান, এই সুখোই-৩০ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। বিমানের নীচের অংশে লাগানো সেন্সর ধরে ফেলবে প্রতিপক্ষ অস্ত্র নিক্ষেপ করছে কিনা! সেই সঙ্কেত দেখেই অভ্যর্থ লক্ষ্যে আঘাত হানবে সুখোই। তাঁর কথায়, ‘আমরা উড়ছি আকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধা নিয়েই। টাচ দ্য স্কাই উইথ গ্লোরি!’ তিনি  এও বলছেন, “দেশের স্বার্থে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। যে কোনও পরিস্থিতি মানে যে কোনও পরিস্থিতিই!” তেজস্বী হলেন সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের একমাত্র মহিলা ওয়েপন সিস্টেম অপারেটর বা ‘উইজ়ো’। এঁরা মূলত কো-পাইলট। যুদ্ধবিমান চালানো নয় ওই বিমান থেকে শত্রুর উপর আঘাত হানার কাজ করেন তেজস্বী। বিমানের পিছনে বসে পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেন। শত্রুর উপর কত দূর থেকে কী ধরনের মিসাইল নিক্ষেপ করা হবে বা কীভাবে আক্রমণ চালানো হবে তা ঠিক করেন ‘উইজ়ো’।

আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারতে আস্থা! আধুনিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাইল সেনা

বায়ুসেনার হেলি-পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাক্ষ্য বাজপেয়ীর কথায়, “এখানকার ভৌগলিক পরিবেশ অত্যন্ত কঠিন। পাহাড়ের আড়ালে ঢেকে থাকে আকাশ। সেখানে এই যুদ্ধবিমান ওড়ানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জটার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার রসদ পেয়েছি এখান থেকে।” বরাবরই দেশের নারীশক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে বায়ুসেনা। ‘মেয়েরা সব পারে’ এই আদর্শকে স্বীকার করে  চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর হেলিকপ্টার, ফাইটার জেট নিয়ে টহল দিচ্ছেন মহিলারা। এই কাজে খুশি স্বয়ং বায়ুসেনার কর্তারা।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share