Ajit Doval: ‘‘চিন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’’, ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন এনএসএ

আইসিইটি- র আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন জেক সুলিভান এবং অজিত ডোভাল...
Ajit_Doval
Ajit_Doval

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এবং মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ক মার্কিন-ভারত উদ্যোগের সূচনা করলেন। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস ট্যুইট করে জানিয়েছে, "লক্ষ্যকে কর্মে রূপান্তর করা! জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এবং জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএস-ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস - এর সূচনা করেছেন৷ আইসিইটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।"  

একটি বিবৃতি জারি করে বলা (Ajit Doval) হয়েছে, "আমাদের দুই দেশের সরকার, ব্যবসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমাদের কৌশলগত, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাকে উন্নত ও প্রসারিত করার জন্য আইসিইটি ঘোষণা করেছিল। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মে মাসে ঘোষণাটি করেছিলেন।"  

হোয়াইট হাউজের তরফেও একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত নিশ্চিত করছে যে প্রযুক্তির ডিজাইন, বিকাশ, ব্যবহার করার উপায়গুলি একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন। আমরা একটি উন্মুক্ত, অ্যাক্সেসযোগ্য এবং সুরক্ষিত প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক আস্থা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।"

আরও পড়ুন: মানুষের জন্য মোদি সরকারের বাজেট পেশ আজ! জানুন কখন কোথায় দেখবেন

আলোচনায় চিন  

মঙ্গলবার অজিত ডোভাল (Ajit Doval) হোয়াইট হাউসে জেক সুলিভানের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেছেন। তাঁদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের সময়, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জেক বলেন, "চিন এই মুহূর্তে ভারত তথা সারা বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।" 

এদিন বৈঠকে ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। আধিকারিকরা ওয়াশিংটনে বৈঠক থেকে এই অংশীদারিত্বকে এগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। যদিও আইসিইটিতে চিনের কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ নেই। বাইডেন প্রশাসন চিনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে একটি জিরো সাম গেম হিসেবে দেখছে। চিনের সঙ্গে এই লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হারতে চায় না। আর সেটাই হবে আইসিইটি-র অন্যতম মূল পদক্ষেপ। 
 
ওয়াশিংটনের একজন সিনিয়র প্রশাসনিক আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংলাপ একটি বহু-স্তরীয় পদ্ধতি এবং চিন এর অন্যতম একটি বিষয়। কারণ চিন নয়াদিল্লি এবং বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"  সোমবার সকালে আমেরিকা পৌঁছেছেন অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। গত বছর জাপানের টোকিওতে হয় কোয়াড সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পার্শ্ব বৈঠক হয়। সেখানেই ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ নিয়ে দুপক্ষে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়। তার জেরেই এবারের বৈঠক।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles