মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোনও কিশোর বা কিশোরীর বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করা যেতে পারে কিনা তা নিয়ে মতামত জানালো দেশের শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই 'সূক্ষ্ম কাজ'বলে অভিমত সুপ্রিম কোর্টের। এ বিষয়ে মনস্তাত্ত্বিক তদন্তেরও প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় আদালত। দেশে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (juvenile justice boards) এবং শিশু আদালত (children’s courts) নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন একথা জানায় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
২০১৫ সালে জুভেনাইল জাস্টিস (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) আইনের ১৫ নম্বর ধারায় গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে একটি 'প্রাথমিক মূল্যায়ন' করতে বলা হয়। এই মূল্যায়নের দ্বারা বোঝা যাবে কোন পরিস্থিতিতে, কোন সময়ে ওই কিশোর অপরাধ করেছে। অপরাধ করার সময় তার মানসিক স্থিতি কেমন ছিল তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ভিত্তিতেই কিশোরের অপরাধের পরিণতি বোঝা যাবে, বলে জানায় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিক্রম নাথের বেঞ্চ (Dinesh Maheshwari and Vikram Nath)।
জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড যদি মনে করে যে কিশোরকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত হবে না, তাহলে মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হবে না। মামলাটি জাস্টিস বোর্ডই শুনবে। সেক্ষেত্র শিশুটি দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে তিন বছরের জন্য কিশোর পরিচর্যায় (Juvenile care) পাঠানো হবে। অন্যদিকে, বোর্ড যদি প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিচারের জন্য শিশু আদালতে মামলাটি রেফার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে কিশোর বা কিশোরী দোষী হলে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও ভোগ করতে হতে পারে।
শীর্ষ আদালতের কথায়, কিশোর বা কিশোরীর মানসিক স্থিতি বোঝার জন্য কোনও নির্দিষ্ট কাঠামো বা নির্দেশিকা নেই যা মেনে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হবে। এব্যাপারে কেন্দ্র (Centre) এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (National Commission for Protection of Child Rights) এবং স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসকে (State Commission for Protection of Child Rights) এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। আদালত বলেছে যে বোর্ড শিশুর মূল্যায়ন করবে, সেখানে অন্তত একজন অভিজ্ঞ শিশু মনোবিজ্ঞানী থাকা উচিত।
+ There are no comments
Add yours