Author: ishika-banerjee

  • ICC Champions Trophy: মিলছে না ভিসা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে সমস্যায় পাক সমর্থকরা

    ICC Champions Trophy: মিলছে না ভিসা, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে সমস্যায় পাক সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে দুবাই। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে দুবাইয়ের হোটেলে। রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। দুবাই-এর রাস্তায় এখন নীল ঢেউ। ভারতীয় সমর্থকরা মরু শহরে ভিড় জমিয়েছেন। অন্যদিকে ভিসা সমস্যার জন্য সমর্থক কমেছে পাকিস্তানের।

    কেন ভিসা মিলছে না পাকিস্তানিদের

    সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহ একাধিক দেশ বারবার পাকিস্তান (ICC Champions Trophy) সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে অধিবাসীদের না পাঠানোর জন্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে সেখানকার বাসিন্দারা কাজের জন্য ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভিক্ষে করে সংসার চালায়। এতে মধ্যপ্রাচ্যের নাম খারাপ হচ্ছে। তাই পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার নিয়মে কড়াকড়ি করে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ। সেই নিয়মের জাঁতাকলে পড়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা। পাকিস্তানিরা অতীতে ইউএইতে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে কিছু অপরাধ যেমন, হুল্লোড় করা, বাজে স্লোগান দেওয়া, অথবা ভিক্ষাবৃত্তি, যা ইউএই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। এর ফলস্বরূপ, ইউএই কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানি সমর্থকদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদ্ধতি অনুসরণ করতে শুরু করেছে। গত বছর ডিসেম্বর ২০২৪-এ, পাকিস্তানি সিনেটে একটি প্যানেল জানিয়েছিল যে, ইউএইতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানিদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে, পাকিস্তানি সমর্থকদের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ভারতীয় সমর্থকদের নিয়ে সমস্যা নেই

    পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে আয়োজিত হতে চলা ভারত পাকিস্তান ম্যাচের জন্য পাকিস্তানের (ICC Champions Trophy) সমর্থকরা দুবাই যাওয়ার টিকিট কেটে ফেলেছে। কিন্তু দুবাইতে প্রবেশের জন্য ভিসার আবেদন করলেও তাদের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না সে দেশের প্রশাসন। এক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়ছে যারা প্রথমবার দুবাইতে যাবে। অনেকে দুবাইতে অতীতে একাধিকবার গিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। তারা দুবাইয়ের ভিসা পাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রথমবার যাচ্ছে তাদের কড়া স্ক্রুটিনির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের সমর্থকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও কঠিন নিয়ম নেই। তাদের আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

  • Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    Dwarka: জলের নীচে লীন কৃষ্ণ-কর্মভূমি, ৪ হাজার বছরের পুরনো দ্বারকার সন্ধানে ডুব দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের কর্মভূমি ছিল দ্বারকা নগরী। ৪ হাজার বছরের পুরনো এক শহর। এখানেই রাজপাট চালিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এবার সেই দ্বারকায় সমুদ্রের নীচে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের খোঁজে নামল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই-এর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই দল গুজরাটের দ্বারকাধীশ মন্দির উপকূলে ও বেট দ্বারকায় সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যাওয়া ৪ হাজার বছরের পুরনো শহরের সন্ধান করবে। এই প্রথম মহিলা ডুবুরি-বিজ্ঞানীরাও এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। সমুদ্র গর্ভে দেশের ঐতিহ্যশালী ও সাংস্কৃতিক পরম্পরা কী ছিল, তারই খোঁজ শুরু হয়েছে।

    দুই দশক পর ফের অনুসন্ধান

    ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে শেষবার খননকার্য চালানো হয়েছিল দ্বারকা এবং বেট দ্বারকা অঞ্চলে। প্রায় দুই দশক পর, এবার ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি উইং-এর একটি দল, সমুদ্রের নীচে চলে যাওয়া প্রাচীন বাণিজ্য নগরীর রহস্য উন্মোচন করতে ডুব দিচ্ছেন গুজরাট উপকূলবর্তী আরব সাগরে। বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নিদর্শন থেকে মনে করা হয়, এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০০ বছর পুরনো এক বন্দর-শহর ছিল। যেখানে বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসা-যাওয়া করত। এই রহস্য ও কৌতূহলের নিরসন করতেই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (প্রত্নতত্ত্ব) অধ্যাপক অলোক ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে এএসআই-এর পাঁচ প্রত্নতাত্ত্বিকের একটি দল দ্বারকার উপকূলে জলের নীচে ডুব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। দলে রয়েছেন তিন মহিলা— অপরাজিতা শর্মা, পুনম বিন্দ এবং রাজকুমারী বারবিনা। দলের পঞ্চম সদস্য হলেন সহায়তা করেছেন এইচ এ নায়েক।

    কৃষ্ণের কর্মভূমি

    পুরাণে বর্ণিত সপ্তপুরীর অন্যতম দ্বারকা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর দ্বারকা ছিল কৃষ্ণের কর্মভূমি। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণের দেহাবসানের পরই সূচনা হয় কলিযুগের। আর তখনই দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় সমুদ্রগর্ভে। মথুরা থেকে দ্বারকায় এসে কৃষ্ণ নতুন করে যদুবংশ স্থাপন করেছিলেন। গুজরাটের প্রভাসেই দেহত্যাগ করেন কৃষ্ণ। সেই আমলেও দ্বারকার অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। পরে প্রাকৃতিক কারণে সমুদ্র এগিয়ে আসায় অতীতের দ্বারকা বিলীন হয়ে যায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

    প্রত্নতত্ত্ব এবং পৌরাণিক কাহিনীর মিল

    প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই ডুবন্ত শহরের কাঠামো এবং কিছু প্রাপ্ত বস্তু হয়তো প্রাকৃতিক গঠন হতে পারে অথবা এগুলির বয়স এবং সময়কাল নিশ্চিত করা কঠিন। তবে, এটি এক বিশাল অধ্যায়ের শুরু যেখানে পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাস একত্রিত হতে পারে। ডুবন্ত দ্বারকায় অনেক প্রাচীন বস্তু এবং কাঠামো পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষা প্রাচীর, পাথরের ব্লক, পিলার, স্টোন অ্যাঙ্কর এবং সেচ ব্যবস্থার অবশেষ রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত শহরের প্রমাণ হতে পারে, যা প্রাচীন কাল থেকে ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এই অনুসন্ধানগুলির মাধ্যমে আর্কিওলজিস্টরা মহাকাব্য মহাভারতের দ্বারকা শহরের সঙ্গে ঐতিহাসিক দ্বারকার সম্পর্ক সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের আশা করছেন। এএসআই এর গবেষণা, পৌরাণিক কাহিনী এবং বাস্তবতার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সহায়ক হবে। যা ভারতের প্রাচীন অতীতকে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বারকা দর্শন

    প্রাথমিক তদন্তের জন্য এএসআই গোমতী ক্রিকের কাছে একটি এলাকা বেছে নিয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বারকাধিশ মন্দির পরিদর্শনের সময় স্কুবা গিয়ার পরে দ্বারকা উপকূলবর্তী সমুদ্রের নীচে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রাচীন দ্বারকা শহর দর্শন করেছি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জলের নীচে লুকিয়ে থাকা দ্বারকা শহর সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। আমাদের ধর্মগ্রন্থেও দ্বারকার কথা বলা হয়েছে।’ তার প্রায় এক বছর পর শুরু হলো নয়া অনুসন্ধান।

    রহস্য উন্মোচন শুরু ১৯৩০ সালে

    দ্বারকার ডুবে থাকা রহস্য উন্মোচনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৩০ সালে, হিরানন্দ শাস্ত্রীর হাত ধরে। এর পর ১৯৬৩ সালে জেএম নানাবতী এবং এইচডি সাঙ্কালিয়ার নেতৃত্বে প্রথম বড় মাপের খননকার্য শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননকার্যে এই অঞ্চল থেকে প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে একটি প্রাচীন দূর্গের ভিত পাওয়া গিয়েছিল। ইউনেস্কোর মতে, সম্ভবত এর উপরই এক সময় দাঁড়িয়ে ছিল দ্বারকার প্রাচীন নগরীর দেওয়াল। এ ছাড়া বড় বড় পাথরের ব্লক, স্তম্ভ, পাথরের তৈরি নোঙ্গর এবং সেচখালেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার আগে ১৯৬৯-৭০ সালে দ্বারকায় সমুদ্রতীরবর্তী অনুসন্ধানে হরপ্পার শেষ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের অসংখ্য মৃৎপাত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। গত দুই দশকে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের ফলে বেট দ্বারকা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রাচীন আবাসস্থলও আবিষ্কৃত হয়েছে। সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক এ এস গৌর জানিয়েছেন, এই স্থানগুলি থেকেও প্রচুর পরিমাণে প্রাচীন মৃৎপাত্র পাওয়া গিয়েছে।

  • Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    Manipur Violence: রাষ্ট্রপতি শাসিত মণিপুরে ‘আল্টিমেটাম’! সাত দিনের মধ্যে অস্ত্র ফেরতের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরাতে সক্রিয় কেন্দ্র। হাতে সাতদিন সময়। তার মধ্যেই নির্দেশ মানতে হবে। চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে দিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা। হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এন বীরেন সিং। নতুন কোনও মুখ্যমন্ত্রী বাছাই না করায় বর্তমানে রাজ্যে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মাঝে রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা সমস্ত লুট করা অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল ভাল্লা জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে লুটের অস্ত্রশস্ত্র ফেরত দিতে হবে। তা না-করলে কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। এই সময়কালের মধ্যে যাঁরা বেআইনি অস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না, জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফেরাতে সম্প্রদায়দের নিজেদের মধ্যে শত্রুতা থামাতে হবে এবং সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। যদি সাতদিন সময়ের মধ্যে কেউ অস্ত্র জমা না দেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মে মাস থেকেই জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। সংরক্ষণ নিয়ে ভুল তথ্য ঘিরে কুকি ও মেতেই- দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, তা বছরের পর বছর ধরে চলছে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

    শান্তি ফেরাতে মরিয়া প্রশাসন

    বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘মণিপুরের (Manipur Violence) পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। শত্রুতা মনে রাখলে আর চলবে না। শান্তি বজায় রাখতে হবে।’’ রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘‘গত ২০ মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের মানুষ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছেন। মানুষের জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। আমি সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসুন এবং বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিকটবর্তী থানায় জমা দিয়ে যান। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করুন। সাত দিন বৃহস্পতিবার থেকে গোনা হবে। মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য আপনাদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত কার্যকরী হবে।’’

  • Kash Patel: এই প্রথম, এফবিআই প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কাশের নিয়োগে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন

    Kash Patel: এই প্রথম, এফবিআই প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কাশের নিয়োগে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হল কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর মাথায় বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। কাশের নিয়োগে বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সেনেট। প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ কাশের নিয়োগ নিয়ে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি থাকলেও, ৫১-৪৯ ভোটে জয়ী হয় রিপাবলিকানদের পছন্দের প্রার্থী কাশ। এফবিআই-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা হতেই ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বাবা-মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন কাশ। তিনি “জয় শ্রী কৃষ্ণ” বলে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

    প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কাশ

    এর আগে গত ১০ বছর ধরে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর ছিলেন ক্রিস্টোফার রে। এবার তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন কাশ (Kash Patel)। ৪৪ বছরের কাশ এর আগে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থায় দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গত বছর ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রক্রিয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন কাশ। ট্রাম্পের মতে, কাশ নিজের কর্মজীবনে আইনজীবী হিসেবে বারবার দুর্নীতিকে প্রকাশ্যে আনার কাজ করেছেন, সওয়াল করেছেন ন্যায়ের পক্ষে এবং আমেরিকার জনতাকে রক্ষা করেছেন। সেই কারণেই এবার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় কাশের আগেও, একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে বড় পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিবেক রামস্বামী এবং তুলসি গাবার্ড।

    কাশের পরিচয়

    মা-বাবা ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়ে সংসার পেতেছিলেন। নিউ ইয়র্কেই গুজরাটি পরিবারে জন্ম কাশের। পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল (Kash Patel)। তাঁর পরিবার পূর্ব আফ্রিকা থেকে কানাডার পথে গিয়েছিল আমেরিকায়। সেই থেকেই প্যাটেল পরিবারের বসবাস আমেরিকায়। একটি অসামরিক বিমান সংস্থায় আর্থিক অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন কাশের বাবা। রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড হিস্ট্রি’ বিষয়ে তিনি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক আই বিষয়ে ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ থেকে ডিগ্রি পান। পরবর্তী শিক্ষা ‘পেস ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ল’ থেকে। কাশের পড়াশোনা নিউইয়র্কে হলেও ফ্লোরিডায় শুরু কর্মজীবন। প্রথমে স্টেট পাবলিক ডিফেন্ডার এবং পরে ফেডেরাল পাবলিক ডিফেন্ডার হিসেবে কাজ করেছেন কাশ।

    মনে প্রাণে হিন্দু কাশ

    মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে খাঁটি ভারতীয় ‘টাচ’! সৌজন্যে এফবিআই-এর ডিরেক্টর পদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত প্রার্থী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ প্যাটেল ওরফে কাশ প্যাটেল। সেনেটের অনুমোদন পাওয়ার আগে প্রথা মাফিক, সেনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সামনে নিজের ‘কনফারমেশন হিয়ারিং’-এ উপস্থিত ছিলেন কাশ। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাশের (Kash Patel) পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কাশের মা, বাবা ও বোন। তাঁদের সঙ্গে বাকি সকলের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। আর নিজের বাবা-মাকে এই প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাতে আর পাঁচজন গুজরাটির মতোই বলেন, ‘জয় শ্রী কৃষ্ণ’!

    কাশের কথা

    কাশের এই ‘জয় শ্রী কৃষ্ণ’ অভিবাদন ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি এই অনুষ্ঠানে আমার বাবাকে স্বাগত জানাতে চাই। এবং আমার মা, অঞ্জনাকে। ওঁরা আজ এখানেই বসে রয়েছেন। ওঁরা শুধুমাত্র এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতেই এখানে এসেছেন। আমার বোনও এখানে রয়েছেন। তিনিও সাগর পেরিয়ে এসেছেন, শুধুমাত্র এখানে উপস্থিত থাকবেন বলে। আমার সঙ্গে থাকবেন বলে। আপনারা যে এখানে এসেছেন, এটাই আমার কাছে সবকিছু। জয় শ্রী কৃষ্ণ।’’

    কোন কোন দায়িত্বে ছিলেন কাশ

    ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে ছিলেন কাশ (Kash Patel)। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এফবিআই-এর ডিরেক্টরপদে কাশের নাম ঘোষণা করে নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘‘আমি এই ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে এফবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।’’ কাশের ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘‘কাশ একজন দুর্দান্ত আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ লড়াকু যিনি নিজের গোটা কেরিয়ার জুড়ে অনেক দুর্নীতি ফাঁস করেছেন এবং ন্যায়ের জন্য লড়ে মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করেছেন।’’

    কাশের অঙ্গীকার

    দায়িত্ব পেয়ে এফবিআই-এর প্রতি আম মার্কিনিদের আস্থা ফেরানোর কথা বলেন কাশ (Kash Patel)। তিনি জানান, কড়া হাতে হিংসা ও অপরাধের মোকাবিলা করবেন। কাশ্যপ মনে করেন, এফবিআই-এর উপর মানুষের আস্থা ফেরাতে হলে স্বচ্ছতা আনা দরকার এবং নিয়মিত তদারকি থাকা দরকার। কারণ, তাঁর মনে হচ্ছে, আমেরিকার আম নাগরিকরা আর আগের মতো এফবিআই-এর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। যা নিয়ে কাশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কাশ প্য়াটেলের মতে, আমজনতার ভরসা ফিরে পেতে অনেক কাজ করতে হবে। তিনি জানান, তাঁর কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, হিংসাত্মক অপরাধের মোকাবিলা করা এবং তিনি সেটা করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার প্রধান লক্ষ্য হবে, আমাদের সম্পূর্ণ সমাজকে সুরক্ষিত রাখা। যাতে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে পার্কে খেলা করতে পারে।’’ মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে আরও বেশি করে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন কাশ্যপ। তাঁর প্রতিশ্রুতি হল, প্রয়োজনের সময় সব পক্ষকেই জরুরি তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করবেন তিনি।

  • Maha Kumbh 2025: ‘এই আধ্যাত্মিক মেলার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন’, কুম্ভে মজে বিদেশি পর্যটকরা

    Maha Kumbh 2025: ‘এই আধ্যাত্মিক মেলার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন’, কুম্ভে মজে বিদেশি পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) ঘুরে উচ্ছ্বসিত বিদেশি পর্যটকরা। মহাকুম্ভ দেখার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয় বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ওই মেলা চত্বর ঘুরে দেখে উচ্ছ্বাস এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন বিদেশ থেকে আসা শয়ে শয়ে ভক্ত। কুম্ভমেলার এই রকম আয়োজন দেখে বিস্মিত এবং মুগ্ধ তাঁরা। এই মহা-আয়োজনকে এক গ্লোবাল ইভেন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন তাঁরা।

    মানব আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল

    বিদেশ থেকে আসা দর্শনার্থীদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র মানব আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল নয়, এটি একটি ঐশ্বরিক ঘটনা যা সকল জীবের কল্যাণে সহায়ক, পাখি ও প্রাণীদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, বিদেশি পর্যটকরা এই অভিজ্ঞতাকে একটি জীবনে একবার পাওয়া সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা আধ্যাত্মিক উত্থান এবং সাংস্কৃতিক বিশালতার অসাধারণ এক পরিসর। এ প্রসঙ্গে এক পর্যটক বলেন, ‘এই রকম একটি ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক মেলার আয়োজন করার জন্য আমি ভারত সরকারে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং ভারতের ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ তাঁরা জানান, মহাকুম্ভে (Maha Kumbh 2025) এসে যে জিনিস তাঁরা দেখলেন তা কোনও দিনই ভুলবেন না।

    সারা জীবনে একবারই আসে

    মহাকুম্ভ ২০২৫ (Maha Kumbh 2025) বিশ্বব্যাপী তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের জন্য এক সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এর মধ্যে দিল্লির মনিকা তার ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শনকে তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি শুধুমাত্র মিডিয়াতে এসব মুহূর্ত দেখেছি, কিন্তু তা সরাসরি অভিজ্ঞতা করা আমার ধর্ম এবং মানবতায় বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। এটি একটি অবিস্মরণীয় আধ্যাত্মিক যাত্রা।” এক বিদেশি পর্যটকের কথায়, এখানকার সরকার যেভাবে এই বিপুল জনসামাগম সামলেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। তিনি বলেন, “ভিড়ের পরিমাণ সত্ত্বেও, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে যে ইতিবাচক শক্তি রয়েছে, তা সকলকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে।” মহাকুম্ভ মেলা দর্শন সারা জীবনে একবারই আসে বলে উল্লেখ করেছেন অন্য এক পর্যটক। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে আমরা ভারত এবং তার নাগরিক সংস্কৃতিকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।’

  • India vs Bangladesh: শামির ৫ উইকেট, গিলের শতরান! বাংলাদেশকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    India vs Bangladesh: শামির ৫ উইকেট, গিলের শতরান! বাংলাদেশকে হারিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশ্যামতোই জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) যাত্রা শুরু করল ভারত। বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারায় রোহিতরা। দুরন্ত শতরান উপহার দেন গিল। তবে প্রথমে ম্যাচ যতটা সহজ হবে ভাবা গিয়েছিল তা হল না। তৌহিদ হৃদয়ের অনবদ্য সেঞ্চুরি আর রোহিতদের বিশ্রী ফিল্ডিংয়ের জন্য। টসে জিতে বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে ৪৯.৪ ওভারে তোলে ২২৮ রান। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান তৌহিদ। ১১৪ বলে ৬টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে তিনি সেঞ্চুরি করেন। বুমরা-হীন ভারতীয় বোলিংকে এদিন নেতৃত্ব দিলেন শামিই। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ফের আইসিসি টুর্নামেন্টে নিজের জাত চেনালেন মহম্মদ শামি।

    শামির নজির

    এক দিনের বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy 2025) সেখান থেকেই শুরু করলেন মহম্মদ শামি। আইসিসি প্রতিযোগিতায় ফিরে আবার ছন্দে তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে এই কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় পেসার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে ১৯৭ উইকেট ছিল শামির। ২০০ উইকেটে পৌঁছতে দরকার ছিল ৩ উইকেট। জাকের আলিকে আউট করে ২০০ উইকেটে পৌঁছে যান শামি। ২০০ উইকেট নিতে ৫১২৬ বল করেছেন শামি। বিশ্বে এত কম বলে কোনও বোলার ২০০ উইকেট নিতে পারেননি। এত দিন এই রেকর্ড ছিল মিচেল স্টার্কের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ২০০ উইকেট নিতে করেছিলেন ৫২৪০ বল। আইসিসির এক দিনের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটও শামির দখলে। ৬০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জাহির খান নিয়েছিলেন ৫৯ উইকেট। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে জাহিরকে ছাপিয়ে গেলেন শামি।

    হ্যাটট্রিক হাতছাড়া

    বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ইনিংস শেষ হয়ে যেতে পারত আরও কম রানে। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ডারদের একের পর এক ভুলে সহজেই ২২৮ রানে পৌঁছে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ন’ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে গেল। ক্যাচ ফস্কানো শুরু করেছিলেন অধিনায়ক রোহিত। বাংলাদেশের ইনিংসের নবম ওভারে বল করতে এসেছিলেন অক্ষর। পর পর দু’বলে তানজিদ হাসান এবং মুশফিকুর রহিমকে আউট করেন তিনি। তার পরের বলেই জাকের আলির দেওয়া সহজ ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন রোহিত শর্মা। নিশ্চিত হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট হওয়ায় হতাশ হন অক্ষর। নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাঠেই হাত জোড় করে অক্ষরের কাছে ক্ষমা চান রোহিত। এদিন ক্যাচ ফস্কান হার্দিকও।

    রোহিতের রেকর্ড

    দরকার ছিল ১২ রান। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান পূর্ণ করতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১২ রান দরকার ছিল রোহিত শর্মার। সেই রান করতে ১৪ বল লাগল তাঁর। ২৬১ ইনিংসে ১১ হাজার রান হল রোহিতের। সচিন তেন্ডুলকর ১১ হাজার রান করতে ২৭৬ ইনিংস নিয়েছিলেন। অর্থাৎ, সচিনের চেয়ে ১৫ ইনিংস কম লেগেছে রোহিতের। এই তালিকায় সকলের উপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে মাত্র ২২২ ইনিংসে ১১ হাজার রান করেছিলেন তিনি। তবে এই ম্যাচে শুভমানের প্রশংসা যতই করা যায়, ততই যেন কম বলে মনে হবে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটে ওয়ানডে ম্যাচে তিনি জোড়া হাফসেঞ্চুরি এবং একটি শতরান করেন। এই ম্যাচেও রানের সেই ধারাবাহিকতা তাঁর ব্যাটে দেখতে পাওয়া গেল। সেঞ্চুরি তো করলেনই, সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার ভার কার্যত একা হাতেই বহন করলেন। শেষপর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন গিল।

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • CBSE: দশম শ্রেণিতে বছরে দু’বার পরীক্ষা! নিয়মে বদল আনছে সিবিএসই, কেন জানেন?

    CBSE: দশম শ্রেণিতে বছরে দু’বার পরীক্ষা! নিয়মে বদল আনছে সিবিএসই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল আনতে চলেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষা বছরে দু’বার নেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সিবিএসইর ২৬০টি স্কুলেও এই নিয়ম চালু হবে। সম্প্রতি এনিয়ে শিক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ছাড়াও এনসিইআরটি, কেভিএস ও এনভিএসের সদস্যরা ছিলেন। ওই বৈঠকে পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী সোমবার সেটি জনসমক্ষে আনা হবে।

    ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) সম্প্রতি বছরে একাধিক বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, একটি পরীক্ষা হবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। দ্বিতীয়টি ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। দুটো পরীক্ষার সেরা নম্বর ধরে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে। আর এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা আরও বেশি নম্বর তোলার সুযোগ পাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর অনুসারে এই বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল আনা হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে। আগামী সোমবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিক, শিক্ষামন্ত্রক, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, এনসিইআরটি-র নেতৃস্থানীয় আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংস্থান এবং নভোদয় বিদ্যালয় সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে যেখানে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষেই চালু নয়া নিয়ম

    এই বৈঠক সংক্রান্ত তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ্যে এনেছে সিবিএসই (CBSE)। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি স্কুলে সিবিএসই নয়া পাঠক্রম শুরু করার পাশাপাশি একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিএসই-র (CBSE Board Exams) পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি লেখেন, ‘সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা বছরে দুবার করার জন্য নয়া রণনীতি তৈরি করছি আমরা। পড়ুয়াদের উপর যাতে বাড়তি চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রেখেই এই পরিকল্পনা। আমাদের লক্ষ্য পড়ুয়ারা চাপ মুক্ত হয়ে শেখার দিকে বেশি মনযোগ করে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘নয়া এই নীতি বোর্ডের পরীক্ষার ক্ষেত্রে এক বিরাট সংশোধন।’ এমনটা যে হতে পারে গত জানুয়ারি মাসেই সেই আভাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই পরীক্ষা বছরে দুবার করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-এর প্রস্তাব অনুযায়ী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা সেমিস্টারে করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘সিবিএসই মূলত ফর্মেটিভ লার্নিংয়ের দিকে জোর দিচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন যেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

  • Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার (Weather Update)। বেলা ১০টা বাজতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামল উত্তর থেকে দক্ষিণ। অফিস টাইমেই ভিজল কলকাতা (Rainfall in Kolkata)। রাস্তায় বেরিয়ে বিপদে পড়ল শহরবাসী। শীত বিদায়ের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এ দিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    শহরে ধারাপাত

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে। সেই আভাস মিলিয়ে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি তো শুরু হয়েছেই, বেশ কয়েক জায়গায় পড়ছে শিলও। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে শনি ও রবিবার। কলকাতায় বেশিরভাগ সময়ে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে এই ক’দিন। কখনও পুরোপুরি মেঘলা আকাশও থাকতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে টানা চারদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায়। ওই জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।

    জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা-হলুদ সতর্কতা (Weather Update)। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়া-বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে সোমবার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। তবে এখনই তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তন হবে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নতুন করে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে রাজস্থান এবং অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ সবের কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। তবে এই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে আলু চাষে।

  • India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সবকটি ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে ভারত। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে এ বারের মিনি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবেন রোহিত-বিরাটরা। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় দল সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছে গত বছরের শেষে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সদ্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলে এসেছেন। তাই ভাল ম্যাচ দেখার আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    পাকিস্তানের পরাজয়

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধ-দুপুরে বোধন হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025)। আট টিমের এই টুর্নামেন্টকে ক্রিকেট মহলে মিনি বিশ্বকাপও বলা হয়। প্রতিটা দলের কাছেই সবকটি ম্যাচ ডু অর ডাই। জিতলে ট্রফির দৌড়ে থাকবে কোনও টিম। আর হারলেই খাদের কিনারায় পৌঁছে যাবে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। প্রায় তিন দশক পর আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। তবে, উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মেনেছে পাকিস্তান।

    প্রস্তুত ভারত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তত ভারত (India vs Bangladesh)। সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপটে একদিনের সিরিজ জিতেছে রোহিতরা। ওপেনিংয়ে শুভমন গিল ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। রোহিত সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলি এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসা হয়ে দেখিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। মিডল ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শ্রেয়সই। ভারতীয় পেস বোলিং কম্বিনেশনে হর্ষিত রানার একটা সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতি বলছে মহম্মদ শামির সঙ্গে স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে দেখা যাবে অর্শদীপ সিংকে। বুমরাকে ছাড়া বড় টুর্নামেন্ট ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ। বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন শামিই।

    পিচ কেমন

    দুবাইয়ে দুটি নতুন পিচ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনটি ব্যবহার করা হবে এবং পিচ কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। ম্যাচের আগের দিন সেন্টার উইকেটে দুটি পিচের ছবি উঠে এসেছে। তার মধ্যে ডানদিকের পিচটাকে বেশি রোলিং করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেমন হবে পিচ, ভারতীয় দল পাঁচ স্পিনার আছে, পাণ্ডিয়াকে নিয়ে চার পেসার আছে। ফলে স্পিনাররা পিচ থেকে সুবিধা না পেলে সমস্যা হতে পারে ভারতের।

    বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা

    ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে (India vs Bangladesh) বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, বৃহস্পতিবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের দিন ৩৫ শতাংশ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। দুবাইয়ে তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রির আশে পাশে। আপেক্ষিক আদ্রর্তা ৪৮ শতাংশ থাকতে পারে। ফলে বৃষ্টি কিন্তু ভারত বমাম বাংলাদেশের মধ্যে মেগা ম্যাচে ছন্দ নষ্ট করতে পারে।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং/হর্ষিত রানা।

    ম্যাচ শুরু: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে।

    ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল চ্যানেলে। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

LinkedIn
Share