Author: ishika-banerjee

  • West Bengal Assembly Election: রাজ্যে বহুতলগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র! আপত্তি কেন তৃণমূলের? কীসের ভয়?

    West Bengal Assembly Election: রাজ্যে বহুতলগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র! আপত্তি কেন তৃণমূলের? কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত শহরাঞ্চলে আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে কমিশন। বলা হয়েছিল, ২৫০টি পরিবার অথবা ৫০০ জন ভোটার রয়েছেন, এমন বহুতল ভবন, গ্রুপ হাউজিং সোসাইটি, কলোনি, বস্তি এলাকায় ভোটকেন্দ্র তৈরির বিষয়ে সমীক্ষা করতে হবে ডিইও-দের। প্রস্তাবিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তালিকা কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। গত সোমবার সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র দু’টি রিপোর্ট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা পড়ে। এতে কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং নতুন করে ডিইও-দের সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত না পসন্দ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। কিন্তু বহুতলের ভিতর ভোট কেন্দ্র হলে তাতে তৃণমূলের কীসের অসুবিধা? কেনই বা বাধা দিচ্ছে তারা? নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। তারই উত্তর খুঁজতে মাধ্যম গিয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পাশাপাশি সমসাময়িক ভারতীয় রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান এবং দলিত-আদিবাসী রাজনীতির এক তীক্ষ্ণ বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত ঝন্টু বারাইকের কাছে।

    প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গের বহুতলগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র তৈরি করতে আগ্রহী নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের আপত্তি কেন?

    উত্তর: বহুতলে ভোটকেন্দ্র হলে লুট করতে পারবে না তৃণমূল। হাই–রাইজ বিল্ডিংগুলিতে বুথকেন্দ্র খোলার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাজে তৃণমূল তাতে বাধা দিচ্ছে। কারণ অতীতে দেখা গিয়েছে ভোটের দিন তৃণমূলের গুন্ডারা বহুতলগুলির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। যাতে কেউ ভোট দিতে যেতে না পারে। বহুতলের বাসিন্দারা ভোট দিতে বেরোলেই তাঁদের উপর হামলা করা হয়। ২০২১–এও এমন হয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বাইক বাহিনী বহুতলগুলির ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে হুমকি দিয়েছিল। এই আবাসনগুলির বাসিন্দারা ভোট দিতে না গেলে সেই ভোট বুথে গিয়ে ব-কলমে তৃণমূলের খাতায় দেওয়া হয়। কিন্তু বহুতলের ভিতরে ভোট কেন্দ্র হলে এ ধরনের জালিয়াতি বা কারচুপি করা প্রায় অসম্ভব।

    প্রশ্ন: কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে না। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা কি ঠিক?

    উত্তর: একদমই ঠিক পদক্ষেপ। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে বিভিন্ন দলের অবস্থান বিভিন্ন রকম। তাই আর আলোচনার পথে না-যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্ন: বহুতলে ভোটকেন্দ্র নিয়ে ডিইও-দের বিরুদ্ধে উদাসীন মনোভাবের অভিযোগ তুলেছিল কমিশন। কেন এই আচরণ?

    উত্তর: কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রে অভিজাত বহুতল আবাসনের সংখ্যা গত দু’দশকে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতার ক্ষেত্রে এই বহুতলবাসীরা মোট ভোটের ৮-১০ শতাংশ। কিন্তু এখানকার ভোটারেরা অনেকেই নিরাপত্তাজনিত কারণে ভোটকেন্দ্রে যান না। তাঁদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে আবাসনের ভিতরেই ভোটকেন্দ্র তৈরির কথা ভেবেছে কমিশন। ওই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। পৃথক নিরাপত্তার বন্দোবস্তও থাকবে। বাম জমানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভোট–সংস্কৃতি হলো বিভিন্ন বহুতলের দরজায় তালা লাগিয়ে দেওয়া। যিনি ঝুপড়িতে থাকেন তাঁরও যেমন ভোটাধিকার আছে, তেমনই যাঁরা বহুতলে থাকেন তাঁদেরও ভোটাধিকার আছে। এই অধিকারকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যেই বহুতলগুলিতে পৃথক ভোট–গ্রহণ কেন্দ্র খোলার কথা ভাবছে কমিশন। তাতে তৃণমূলের অসুবিধা হচ্ছে। রাজ্যে যেখানে যত বহুতল আছে তার ভিতরে বুথ হলে আমার বিশ্বাস বহুতলের বাসিন্দারা এ বার নির্বিঘ্নে নিজের ক্যাম্পাসের মধ্যে ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু রাজ্য সরকার যেহেতু এ বিষে উদাসীন তাই রাজ্যের কর্মীরাও উদাসীন।

    প্রশ্ন: প্রাইভেসি নষ্ট! বহুতলবাসীরা চাইছেন না ‘দুয়ারে ভোটকেন্দ্র’, এ নিয়ে কী বলবেন?

    উত্তর: কমিশনের যুক্তি, আবাসনের বাসিন্দাদের ‘দুয়ারে পোলিং স্টেশন’ চালু করলে বহুতলের ভোটের হার আরও বাড়বে। এতদিন এই আবাসনগুলির লাগোয়া স্কুল বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আবাসনগুলির ভিতরেই কমিউনিটি হল বা স্পোর্টস সেন্টারে পোলিং স্টেশন খুলতে চাইছে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভোটারদের সুবিধাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, তাই প্রয়োজনে অতিরিক্ত বুথ তৈরি করতেই হবে। বহু আবাসনের বাসিন্দারা এতে আগ্রহী, আর যাঁরা বুঝতে পারছেন না, তাঁদেরকে বোঝাতে হবে। তবে আবাসনের মানুষ যে কী চাইছে তা যেন রাজ্যের শাসকদল ঠিক না করে দেয়।

  • Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Talk) বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেন। দুই নেতা বাণিজ্য, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মনে করা হচ্ছে ভারত-রাশিয়া সখ্য বৃদ্ধিতে চাপ বেড়েছে আমেরিকার। আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

    কী কী নিয়ে আলোচনা দুই নেতার মধ্যে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting) দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই বিষয়গুলি ভারত-মার্কিন কমপ্যাক্ট-এর মূল উপাদান। এর লক্ষ্য একবিংশ শতাব্দীর জন্য সামরিক অংশীদারিত্ব, দ্রুত বাণিজ্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দুই নেতা বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, দুই দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন তাঁরা। দুই পক্ষই যোগাযোগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে জোর দিয়েছেন।

    উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা

    মনে করা হচ্ছে, পুতিনের ভারতের সফরের পরেই নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। সফরের মাঝেই ঘোষণা করা হয়, বাণিজ্য চুক্তির আচলনার জন্য ভারতে আসবে মার্কিন দল। এবার দুই নেতার ফোনালাপ। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু’দেশের অংশীদারিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন মোদি ও ট্রাম্প এবং বিশেষভাবে বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টার গতি বজায় রাখা জরুরি। নেতারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও যৌথ স্বার্থ অগ্রসর করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক্স’-এ পোস্ট করে ফোনালাপকে “উষ্ণ ও আন্তরিক” বলে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা হল। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক-চাপে ট্রাম্প

    রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা—আগেই থাকা ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে—গত ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার পর দিল্লি–ওয়াশিংটন সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। ভারত বারবার বলছে, এই শুল্ক “অন্যায্য”, কারণ রাশিয়ান তেলের সর্বাধিক ক্রেতা চিন এবং এলএনজি কেনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ অবস্থায়, রাশিয়া সফরে ভ্লাদিমির পুতিন ও মোদির ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের একসঙ্গে গাড়ি করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রে বহু সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসেও এই ছবি দেখিয়ে ট্রাম্পের বিদেশনীতি নিয়ে সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট সদস্য সিডনি কামলাগার-ডোভ। তিনি বলেন, “ট্রাম্পের ভারতনীতি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করছে এবং দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্ক নষ্ট করছে।” এরপর মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপের সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে রয়েছে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।

    ডেডলাইন মেনে আলোচনা নয়

    অন্যদিকে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি না হলে বেশি হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting)। তাঁর সেই ‘ডেডলাইন’ নিয়ে এ বার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ বলেন, “ডেডলাইন মেনে আমরা আলোচনা চালাই না!” ঘটনাচক্রে, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য-বৈঠক করতে মঙ্গলবারই ভারতে এসেছে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দল। প্রথম দফায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা সফল হয়নি।

    ভালো ও ফলপ্রসূ কথা-বার্তা

    চলতি বছরের শুরু থেকে দফায় দফায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ভারত ও আমেরিকার। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য বর্তমানে ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়া। গত ২৩ অক্টোবর ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল বৃহস্পতিবার বলেন, আলোচনা “খুব ভালো ও ফলপ্রসূ” হলেও কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি মন্তব্য করেন, “যখন দুই পক্ষই লাভবান হয়, তখনই একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়। সময়সীমার চাপে আলোচনা করা উচিত নয়, তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের মন্তব্য—ভারত তাদের “এতদিনের সেরা” প্রস্তাব দিয়েছে—উল্লেখ করে গোয়াল বলেন, “যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসন এখনই সই করে দিতে পারে।”

  • SIR in Bengal: খসড়া তালিকা থেকে বাদ ৫৮ লাখের বেশি নাম! শুনানির জন্য ডাকা হবে কাদের?

    SIR in Bengal: খসড়া তালিকা থেকে বাদ ৫৮ লাখের বেশি নাম! শুনানির জন্য ডাকা হবে কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শেষ হল এনুমারেশন প্রক্রিয়া। রোজই একটু একটু করে লম্বা হচ্ছিল তালিকাটা। বাড়তে বাড়তে এবার ৫৮ লক্ষ ছাপিয়ে গেল রাজ্য়ে আনকালেক্টেড ফর্মের সংখ্যা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ৯৯.৯৬ শতাংশ ডিজিটাইজেশনও হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে। সেই তালিকায় কোনও অভিযোগ থাকলে, ত্রুটি থাকলে কমিশনকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে হবে শুনানি।

    বাদ পড়া ভোটারের কে কোন বিভাগে 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এনুমারেশন পর্ব শেষে মোট ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ২০২ জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে। খসড়া তালিকাতে এই পরিসংখ্যানে সামান্য হেরফের হতে পারে। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। কমিশন সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এ ছাড়া, ১২ লক্ষ ১ হাজার ৪৬২ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। কোনও ভোটারের খোঁজে সংশ্লিষ্ট বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) যদি তাঁর বাড়ি থেকে তিন বার বা তার বেশি ঘুরে আসেন, কিন্তু ওই ভোটারের খোঁজ যদি তার পরেও না-পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তাঁদের নিখোঁজ তালিকায় রাখা হয়। পশ্চিমবঙ্গের খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ৫০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেল। এ ছাড়া, এ রাজ্যে মোট ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৭ জন ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল। ফলে একটি জায়গায় রেখে বাকি জায়গা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৭৫ জন ভোটারকে কমিশন ‘ভুয়ো’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের নামও খসড়া তালিকায় থাকবে না। এ ছাড়া, আরও ৫৭ হাজার ৫০৯ জনকে রাখা হয়েছে ‘অন্যান্য’ তালিকায়। তাঁরাও বাদ পড়তে চলেছেন।

    কীভাবে ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হবে

    সূত্রের খবর, ভোটারদের মোট তিনটি তালিকায় ভাগ করেছে কমিশন— নিজস্ব ম্যাপিং, প্রজেনি ম্যাপিং এবং নন-ম্যাপিং। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (রাজ্যে শেষ বার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে) যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা নিজস্ব ম্যাপিংয়ের তালিকায় পড়ছেন। এমন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৮৮ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় না-থাকলেও বাবা-মা বা আত্মীয়ের নাম আছে, তাঁরা প্রজেনি ম্যাপিং তালিকায় রয়েছেন। রাজ্যে তেমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৯ জন। এ ছাড়া, ৩০ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নিজেদের নাম বা আত্মীয়ের নামও ২০০২ সালের তালিকায় নেই। তাঁরা নন-ম্যাপিং তালিকাভুক্ত। এই তৃতীয় তালিকার সকলকেই কমিশনের তরফে শুনানিতে ডাকা হবে। তাঁদের তথ্যপ্রমাণ, নথি যাচাই করে দেখা হবে। এ ছাড়া, প্রথম দুই তালিকার ভোটারদের মধ্যে কারও তথ্যে সন্দেহ থাকলে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হতে পারে। সব দেখে শুনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি।

  • Delhi: সুরক্ষিত দিল্লির আকাশ! দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক দুই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে পাহারায় ডিআরডিও

    Delhi: সুরক্ষিত দিল্লির আকাশ! দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক দুই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে পাহারায় ডিআরডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আকাশকে আরও সুরক্ষিত করতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দিল্লি ও দিল্লি এনসিআরকে আকাশ হামলা থেকে বাঁচাতে রাজধানীতে মোতায়েন করা হচ্ছে ইন্ট্রিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স উইপন্স সিস্টেম (IADWS)। মূলত ড্রোন হামলা থেকে রাজধানীকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা। অপারেশন সিঁদুরের সময় একের পর ড্রোন হামলা করেছিল পাকিস্তান। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই সেই হামলা প্রতিহত করেছিল ভারত। তার পরেও রাজধানীর জন্য নেওয়া হচ্ছে এই সাবধানতা। এই নেটওয়ার্কে দুই ধরনের দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সক্ষমতাও আরও একবার তুলে ধরবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির উপর জোর

    আমেরিকার কাছ থেকে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা বলছিল ভারত। আমেরিকার রাজধানী এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারাই সুরক্ষিত থাকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ওই কথাবার্তা আপাতত থমকে রয়েছে কারণ ওই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য বিপুল দাম চাইছিল আমেরিকা। তার পরই বিদেশি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে ভারত নিজের প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করতে চাইছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ক্যুইক রিঅ্য়াকশন সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) ও ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে (VSHORADS) যুক্ত থাকবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটি চালনা করবে ভারতীয় বায়ুসেনা। এটি আটকে দেবে সুপারসনিক, সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল থেকে শক্তিশালী সব ড্রোনের হামলাও। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চোখের পলকে কান ধরে নিচে নামাতে পারে শত্রুর ফাইটার জেটকে। এগুলির স্ট্যাটিক লঞ্চার সম্ভবত ব্যাটারির বদলে কনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই পাবে। ফলে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি অন্যদের থেকে আরও কয়েকধাপ এগিয়ে রয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, দিল্লির উপরে তৈরি করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে থাকবে ৩টি স্তর। একেবারে ভেতরের স্তরে থাকবে ৬ কিলোমিটার উচ্চতার উড়তে থাকা ড্রোন ও কপ্টার ধ্বংস করার মতো পরিকাঠামো। দিল্লি আয়রন ডোমের মাঝের স্তরে থাকছে এমন এক ব্যবস্থা যা ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল ও আনম্যানড ভেহিকেলস ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারবে। একটি সেন্সরের সাহায্য়ে দুটি স্তরের সমন্বয় বজায় থাকবে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মাত্র তিন থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে যে কোনও আসন্ন হুমকি ধরে ফেলতে পারে। এমনকী ধরার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রত্যাঘাতী ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়ে দিতে পারে। ফলে আকাশেই খতম হয়ে যাবে শত্রুর খেলা। গোটা ব্যবস্থাটাই দেখাশোনা করছে ডিআরডিও। উল্লেখ্য, ডিআরডিও ইতিমধ্য়েই তৈরি করেছে কিউআরস্যাম ও মিডিয়াম রেঞ্জের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (MRSAM)। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এস-৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার চেষ্টা করছে। এই নতুন মাল্টিলেয়ার্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালু হলে দিল্লির আকাশসীমা আরও নিরাপদ হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

  • Kohli And Rohit: আর এ প্লাস নয়, বেতন কমছে বিরাটদের! আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দুইয়ে রোহিত-কোহলি

    Kohli And Rohit: আর এ প্লাস নয়, বেতন কমছে বিরাটদের! আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দুইয়ে রোহিত-কোহলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের ক্রিকেটে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুসারে একধাক্কায় ২ কোটি টাকা বেতন কমতে চলেছে বিরাট-রোহিতের। এমনই গুঞ্জন ছড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটমহলে। টেস্ট-টি২০ বাদ দিয়ে এখন কেবল ওয়ানডে খেলেন দুই মহাতারকা। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেছিল বিসিসিআই। সেখানে সর্বোচ্চ ক্যাটেগরি অর্থাৎ ‘এ প্লাস’ পর্যায়ে ছিল বিরাট-রোহিতের নাম। যদিও এই ক্যাটেগরিতে সেসব ক্রিকেটারদেরই মূলত রাখা হয় যাঁরা তিন ফরম্যাটেই দেশের জার্সিতে খেলেন।

    বেতন কমতে চলেছে বিরাট-রোহিতের

    বিরাট-রোহিত আগেই টি-২০ থেকে অবসর নেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সর্বোচ্চ ক্যাটেগরিতে স্থান দিয়েছিল বিসিসিসাই। এই দুই মহাতারকা ছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা এবং জশপ্রীত বুমরা ছিলেন এ প্লাস ক্যাটেগরিতে। তাঁদের বার্ষিক বেতন ৭ কোটি টাকা। কিন্তু সেই চুক্তি ঘোষণার মাসখানেকের মধ্যেই টেস্ট থেকে অবসর নেন রো-কো। ফলে জাতীয় দলের হয়ে কেবল একটি ফরম্যাটেই দেখা যায় তাঁদের। সেক্ষেত্রে কি তাঁদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চুক্তিতে রাখা উচিত? সেই নিয়ে চর্চা চলছে বোর্ডের অন্দরে। সূত্রের খবর, বিরাট এবং রোহিতকে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে এ ক্যাটেগরিতে, যেখানে বার্ষিক বেতন ৫ কোটি টাকা। আগামী ২২ ডিসেম্বর বিসিসিআই-এর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে জাদেজা থাকবেন সর্বোচ্চ ক্যাটেগরিতে। প্রথা অনুযায়ী, এবার শুভমান গিল সম্ভবত উঠে আসবেন এ প্লাস ক্যাটেগরিতে।

    ওয়ান ডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটার হিসেবে প্রথম ও দ্বিতীয়

    তবে বেতন কমলেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছে রো-কো জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) -এর তরফ থেকে প্রকাশিত নতুন ওয়ান ডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দারুণ উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ৩০২ রান করা কোহলি এখন ওডিআই ব্যাটিং র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ওয়ান ডে-তে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার হিসাবে নিজের স্থান ধরে রেখেছেন। কে এল রাহুলও ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রোমোশন পেয়েছেন। বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের ৩টি ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতরান সহ মোট ৩০২ রান করেছেন। এই পারফর্ম্যান্সের জন্য তিনি প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ পুরস্কারও পেয়েছেন। এই পারফর্ম্যান্সের সুবাদে তিনি চতুর্থ স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৭৩। প্রথম স্থানে থাকা রোহিত শর্মার রেটিং পয়েন্ট ৭৮১। রোহিত শর্মা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে ১৪৬ রান করেছেন, যার ফলে তিনি তাঁর প্রথম স্থানটি ধরে রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে কুলদীপ যাদব ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সফলতম বোলার ছিলেন। এই পারফর্ম্যান্সের দৌলতে তিনি ওয়ান ডে বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন। কুলদীপ ওয়ান ডে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রথম দশে একমাত্র ভারতীয়।

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    SIR in Bengal: রাজনৈতিক এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক, বাংলায় মৃত-ভুয়ো ভোটার কত? তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার কাজ শেষ। এসআইআর-এর মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত মৃত, স্থানান্তরিত এবং অনুপস্থিত বা নিখোঁজ ভোটারের যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টের হাতে তুলে দিতে বলল নির্বাচন কমিশন। ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, এনিউমারেশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পোলিং স্টেশন পুনর্বিন্যাসের কাজও শেষ হচ্ছে এ দিন।

    রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক

    বুধবার রাজ্যের সিইও দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কোন বুথে কত মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ও ভুয়ো ভোটার রয়েছেন তার তালিকা তৈরি করছেন বিএলও-রা। কাজ শেষ হয়ে গেলেই তাতে বিএলও ও বিএলএ স্বাক্ষর করবেন। তার পরে বিএলও অ্যাপের নতুন অপশন ‘BLO-BLA MOM’-এ সেই তালিকা আপলোড করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে কমিশন।

    বিহারের নিয়মেই বাংলায় এসআইআর

    বিহারের এসআইআরে যে নিয়ম মানা হয়েছিল, এ ক্ষেত্রেও তা মানতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। বুধবার কমিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই মৃত, স্থানান্তরিত এবং নিখোঁজদের তালিকা বিএলএ-দের দেখাতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক দল যে কর্মীদের এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেছে, তাঁদের হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হবে। যাঁরা একাধিক বার ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, একটি জায়গার তালিকায় তাঁদের নাম রেখে বাকি জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, যাঁদের বাড়িতে তিন বার বা তার বেশি গিয়েও বিএলও ফিরে এসেছেন, যাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, তাঁদেরও নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না।

    বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন তাই বৈঠক

    পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। মোট পাঁচ লক্ষ বিএলও এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। এ ছা়ড়া, বিভিন্ন দলের বিএলএর সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি। কমিশন জানিয়েছে, বুথ স্তরে এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএলওরা। তাতে প্রাথমিক ভাবে খসড়ায় কোনও ভুল থাকলে তা ধরা পড়বে এবং সংশোধন করে নেওয়া যাবে। কোনও বৈধ ভোটার যাতে তালিকা থেকে বাদ না-পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই বিএলও-বিএলএ বৈঠক প্রয়োজন, জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে আনকালেক্টেবল এনিউমারেশন ফর্মের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লক্ষ। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ

    প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ভোটার তালিকা ত্রুটিভুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর। কাজে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করতে বারবার বৈঠক করছে কমিশন। বাংলা-সহ যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে সেখানে অবর্জাভার পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা খতিয়ে দেখছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৩,৭৪,৪৬০ জন অনুপস্থিত ভোটারের একটি তালিকা বিএলও-দের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই তথ্য যাচাই বাছাইয়ের কাজও প্রায় শেষ। এর পরে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তালিকা কোথায় দেখবেন?

    নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেলা, বিধানসভা কেন্দ্র এবং বুথ ভিত্তিক মৃত-ভুয়ো-স্থানান্তরিত-অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা দেখা যাবে ডিইও-এর ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি রাজ্যের সিইও-এর ওয়েবসাইটেও তালিকা দেখতে পারবেন ভোটাররা। কোনও ভোটার চাইলে নিজের এপিক নম্বর দিয়েও সার্চ করতে পারবেন। মৃত, ভুয়ো, অনুপস্থিত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের তালিকার পরে আগামী ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এই সংক্রান্ত দাবিদাওয়া এবং অভিযোগ জানানো যাবে ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা, বিতর্কের নিষ্পত্তি করা, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

     

     

     

     

  • India-US Trade Deal: ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক জারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! আমেরিকারই ক্ষতি বেশি, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    India-US Trade Deal: ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক জারির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের! আমেরিকারই ক্ষতি বেশি, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ভারতীয় রফতানিতে বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না। এমনই অভিমত ভারতীয় চাল রফতানিকারকদের। বিশেষ করে বাসমতি রফতানিতে এই সিদ্ধান্তের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না বলেই তাদের মত। রফতানিকারকরা মনে করেন, শুল্ক বাড়লে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নয়, বরং মার্কিন ভোক্তাদেরই বেশি দামে চাল কিনতে হবে। তাঁদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় চালের একটি স্থায়ী চাহিদা রয়েছে। চালের দাম বাড়লে মার্কিন ক্রেতারাই সমস্যায় পড়বেন।

    চাহিদাই চালাচ্ছে মার্কিন বাজার

    ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) সহ-সভাপতি দেব গর্গ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় চালের চাহিদা সম্পূর্ণই বাজার-চাহিদা নির্ভর। ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার খাবারের জনপ্রিয়তা মার্কিন মুলুকে ক্রমশই বাড়ছে। এর ফলে আমেরিকায় ভারতীয় চালের চাহিদাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় চালের স্বাদ, গন্ধ, রং ও গঠন এমন, যা আমেরিকায় উৎপাদিত চালের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আমেরিকান চাল ভারতীয় চালের বিকল্প হতে পারে না।” গর্গের দাবি, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে চাল “ডাম্প” করছে না; বরং মার্কিন বাজারে এই চালের একটি স্থায়ী ও অপরিহার্য চাহিদা রয়েছে। তিনি বলেন, “ওয়াশিংটনের বাড়তি শুল্ক ভোক্তার চাহিদা কমাতে পারেনি; বরং এই বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে মার্কিন জনগণকেই। এতে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে।”

    আমেরিকার বাজারে সস্তায় ভারতীয় চাল

    কম দামে বিদেশি কৃষিপণ্য ঢুকে পড়ায় ক্ষুব্ধ মার্কিন চাষিরা। তাঁদের অভিযোগের পরই ভারতীয় চাল (Indian Rice in US Market) ও কানাডার সারের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। হোয়াইট হাউসে চাষিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানান, মার্কিন বাজারে যে দেশগুলো কম দামে পণ্য ঢুকিয়ে স্থানীয় উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় কৃষকদের (US Farmers) জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রাম্প (Donald Trump) সরাসরি বলেন, ভারত, চিন এবং তাইল্যান্ড থেকে কম দামে চাল আমদানির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। কৃষকরা বৈঠকে দাবি করেছেন, ভর্তুকির সাহায্যে বিদেশি চাল আমেরিকার বাজারে সস্তায় ঢুকছে, ফলে দেশীয় চালের দাম পড়ে যাচ্ছে।

    ‘যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কোনও উপকার করছে না’

    ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) সহ-সভাপতি দেব গর্গ আরও বলেন, ভবিষ্যতে শুল্ক আরও বাড়লে তার প্রভাব ভারত নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ওপরই বেশি পড়বে। তাঁর দাবি, “এটি ভারতকে কোনও উপকার নয়; এটি মার্কিন বাজারের নিজস্ব প্রয়োজন।” তাঁর মতে, ভারতীয় চালের চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও “মজবুত ও স্থিতিশীল।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক হুমকি মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই এসেছে, কোনও বড় নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয়। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI) জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং নতুন কৃষক সহায়তা প্যাকেজ একসঙ্গেই আমেরিকান কৃষকদের আশ্বস্ত করার রাজনৈতিক পদক্ষেপ।

    ভারতের চাল রফতানির চিত্র

    বিশেষজ্ঞদের কথায়, “ট্রাম্প ভারতীয় চালের ওপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিলেও এটি নীতি নয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বক্তব্য।” তাদের মূল্যায়ন, নতুন শুল্ক আরোপ হলেও ভারতীয় রফতানিকারকদের ওপর মোট প্রভাব সীমিতই থাকবে, কারণ বিশ্ববাজারে ভারতীয় চালের চাহিদা শক্তিশালী। বরং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মার্কিন ভোক্তারা—ভারতীয় চালের ওপর নির্ভরশীল আমেরিকান পরিবারকে উচ্চমূল্য গুনতে হবে। ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্স ফেডারেশনের (IREF) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের বাসমতি রফতানির পরিমাণ ছিল ২,৭৪,২১৩ মেট্রিক টন, যার মূল্য ৩৩৭.১০ মিলিয়ন ডলার—এই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাসমতির চতুর্থ বৃহত্তম বাজার। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের নন-বাসমতি চাল রফতানি ছিল ৬১,৩৪১ মেট্রিক টন, মূল্য ৫৪.৬৪ মিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের হুমকিতে ভারতীয় চাল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

  • SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং ডিইও অফিসে টাঙানো থাকবে। সূত্রের খবর ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাচাই ও শুনানি (SIR Verification and Hearing) পর্ব‌। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব। এরই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই সব ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন।

    শুনানি পর্ব- নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

    বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, এনুমারেশন পর্ব (Enumeration Phase) শেষ হচ্ছে। ঠিক চার দিন পরে, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব- এই প্রস্তুতি নিতে আজ থেকেই কমিশন তৎপরতা শুরু করেছে। কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ফর্মের ৯৯.৭৫ শতাংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৮১টি ফর্ম অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ হাজার ৬৩টি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৭ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮।

    আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টবল ফর্মের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ আট হাজার ৫৭৪। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৩, নিখোঁজ ভোটার ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৩, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩২, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০৬। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও বেশ কিছু জায়গায় আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    জাল নথি পেশ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে

    অন্যদিকে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে মিল না থাকায় এখন রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাদের সবাইকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট ইআরও (ইলেকশন রিটেনিং অফিসার) নোটিস পাঠাতে শুরু করবেন। নোটিস পেলে নির্দিষ্ট দিন ওই অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথি-র মধ্যে কমপক্ষে একটি দেখাতে হবে। যারা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারবেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও, এমন অনেক ভোটার আছেন, যাদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেও কমিশন ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাদের ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে এবং কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কমিশন একথাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এসআইআরে যদি কেউ জাল নথি পেশ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। তথ্যের জালিয়াতির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।

    সিসিটিভি-র নজরদারিতে শুনানি পর্ব

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন যে শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ছিল যে, সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করতে হবে। প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ সিসিটিভির নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও দ্বিতীয় বিষয়টি অর্থাৎ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এখনও কমিশন (ECI) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের দফতর থেকে জেলাগুলিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘যাচাই ও শুনানি’ পর্ব শুধু এবং শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে এই শুনানি করা যাবে না। সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্ব, বিশেষ করে শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই এসআইআর পর্ব শেষ হয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করা হচ্ছে অথবা কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এভাবে কাজ করলে আশা করা যায় খসড়া থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ নির্ভুল হবে।

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

LinkedIn
Share