Author: ishika-banerjee

  • Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৩১ শেষের পথে। কথায় রয়েছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই বাঙালি হিন্দুদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। আর ধনলক্ষ্মীর পুজো তো হয় প্রতিদিনই। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবারই হল লক্ষ্মীবার। দেবী লক্ষ্মীর প্রতিদিন বাড়িতে পুজো করা হয়। তবে বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্য ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাস দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা (Lakshmi Puja) করা হয়। এই সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন, সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, সৌন্দর্য ও শক্তি বৃদ্ধি পায়।

    চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজোর প্রচলিত কাহিনী

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার চৈত্র মাসের লক্ষ্মীপুজো ব্রত পালন করা হয়। বলা হয় এই ব্রত করলে সংসারে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী, একদিন নারায়ণের ইচ্ছ হলে তিনি -মা লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পুষ্পরথ করে মর্ত্যে ঘুরতে এলেন। মর্ত্যে এসে বামুন আর বামনির বেশ ধরে তাঁরা ঘুরতে লাগলেন। নারায়ণ-লক্ষ্মীকে উত্তর দিকে যেতে না করলেন। লক্ষ্মী নারায়ণের বারণ না শুনে উত্তর দিকে গিয়ে দেখলেন তিল ফুলের বাগান। লক্ষ্মী ওই তিল ফুল তুলে খোঁপায় দিলেন, গলায় পরলেন। এমন সময় সেই বাগানের মালী এসে লক্ষ্মীকে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে আটকে রাখলেন। নারায়ণ এসে প্রশ্ন করলে ওই মালী বললেন তাঁর বাগানে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে লক্ষ্মীকে তাঁর বাড়িতে ১২ বছর রাঁধুনির কাজ করতে হবে। নারায়ণ লক্ষ্মীকে রেখে চলে গেলেন। লক্ষ্মীকে বামুন বাড়িতে নিয়ে গেল। বামুনের বাড়িতে চাল-ডাল বাড়ন্ত। কিন্তু লক্ষ্মী আসাতে তাঁর ঘর ভরে গেল। দেখতে দেখত বারো বছর কেটে গেল। লক্ষ্মীর কৃপায় বামুনের ঘর ভরে উঠেছিল। এবার নারায়ণ লক্ষ্মীকে নিয়ে যেতে এলেন, বামনি লক্ষ্মীকে ছাড়তে চাইলেন না। কেঁদে কেঁদে তাঁর পায়ে পড়লেন। লক্ষ্মী বামনীকে বললেন তাঁরা যেন ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজো করেন তাহলেই সংসারে আর অভাব থাকবে না। এভাবেই চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজর প্রচলন হল।

    কেন লক্ষ্মী আরাধনা

    হিন্দু ধর্মে সম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi)। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী, ইনি স্বত্ত্ব গুনময়ী। লক্ষ্মীর পূজা (Lakshmi Puja) অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবারই বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী পুজো নিয়ে রীতিমতো বিভিন্ন রীতি পালন করে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। একটু পুরনো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলাতেই মায়ের আরাধনা করা হত। আসল নিয়ম এটাই। তবে সময় বদলেছে। বহু মানুষ বর্তমানে সুবিধার জন্য সকালের দিকে বা বিকেল নাগাদ পুজো সেরে নেন। তবে এখনও লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় বাঙালির ঘরে, তুলসীতলায় জ্বলে ওঠে সন্ধ্যাপ্রদীপ।

    চলতি বছর চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজো

    দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয় শহর জুড়ে। ধন, সম্পদ, বৈভবের আশায় মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন আপামোর সাধারণ জনতা। তবে শুধু মাত্র আশ্বিনেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী — ভাদ্র, পৌষ, চৈত্র। কোথাও মা লক্ষ্মীকে মূর্তি হিসেবে, কোথাও বা সরায় আঁকা পটে পুজো করা হয়। চলতি বছর বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ লক্ষ্মী পুজো হবে। ওই দিন এই বছর আবার চৈত্রমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই অশোক ষষ্ঠী ব্রতও পালন করা হবে। অশোক ষষ্ঠীর তিথি বুধবার, ২ এপ্রিল রাত থেকে এই শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার এই অশোক ষষ্ঠী পালিত হবে। ২০২৫ সালে অশোক ষষ্ঠীর তিথি শুরু হবে ২ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে। আর ৩ এপ্রিল রাত ৯ টা ৪১ মিনিটে এই তিথি শেষ হবে।

    লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন

    এই দিনে স্নানের পর পরিস্কার কাপড় পরিধান করুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজোর সময় মাকে শস্য, হলুদ ও গুড় নিবেদন করুন। এই দিনে বাড়িতে শ্রী যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই যন্ত্র স্থাপনের পর শ্রীসুক্ত ও পদ্ম ফুলের মন্ত্র দিয়ে যজ্ঞ করুন। যজ্ঞের পর মাকে সাজসজ্জার সামগ্রী নিবেদন করুন। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীকে লাল ফুল এবং ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ রঙের কাপড় অর্পণ করুন। এছাড়াও এই দিনে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পঞ্চমীর দিনে দান করতে হবে। এছাড়াও এই দিনে গরুকে খাওয়ান, কারণ এই দিনে গরুকে খাওয়ালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

  • Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    Waqf Bill: চলতি অধিবেশনেই নয়া আইন পাশ করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র, বুধেই সংসদে পেশ ওয়াকফ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে উদ্যোগী মোদি সরকার। মঙ্গলে বৈঠকের পর, বুধে সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ বিল। দ্বিতীয় পর্বের বাজেট অধিবেশন শেষ হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই সংসদে এই নতুন বিল পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্র। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে সরকার।

    মঙ্গলে বিশেষ বৈঠক

    গত বাদল অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) সংসদে পেশ করে শাসক গোষ্ঠী। কিন্তু তা পেশ করতেই উত্তাল হয় পরিস্থিতি। বিল নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। কিছু সংশোধনের পর, জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বে এই কমিটি সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিল লোকসভায় জমা দেওয়া হয়েছে জেপিসির তরফে। তবে তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। চলতি অধিবেশনে সেই কাজটা শেষ করতে চায় শাসক দল বিজেপি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারেই ওয়াকফ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি, দুপুরে এই নিয়ে একটি বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির (Business Advisory Committee) বৈঠকও ডেকেছেন লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংসদ সূত্রে খবর, মঙ্গলের বিশেষ বৈঠকে কোন কক্ষ হয়ে বিল পাশ করানো হবে সেই নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কাজ মিটলেই আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার লোকসভায় ওয়াকফ বিল নিয়ে শুরু হতে পারে আলোচনা। কেন্দ্রের প্রত্যাশা, এই অধিবেশন শেষের আগেই সংসদ থেকে পাশ করানো হবে ওয়াকফ বিল।

    ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, বিল (Waqf Bill) পাশ করাতে ইতিমধ্যেই দলীয় সংসদদের ১০০ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করতে তিন লাইনের হুইপও জারি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এই প্রসঙ্গে সংসদের পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানাচ্ছেন, ‘সাংসদদের কাছে এটা আমার বিশেষ অনুরোধ, যখন আমরা বিল আনার পরিকল্পনা কষছি, সেই সময় আলোচনার জন্য তাদেরও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি প্রয়োজন।’

  • India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    India Bangladesh Relation: চিন সফরে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে উস্কানি, ইউনূসকে তুলোধনা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারত-বিরোধী মন্তব্যে বিতর্ক উসকে দিলেন বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus )। চিন সফরে গিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ইউনূস। তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের অভিভাবক। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।’’ ইউনূসের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শর্মা এই মন্তব্যকে “অপমানজনক এবং কঠোরভাবে নিন্দনীয়” বলে অভিহিত করেছেন।

    ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে অস্থির করার প্রয়াস

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, এই মন্তব্য ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে করা হয়েছে এবং এটি “চিকেন’স নেক” করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের ভঙ্গুরতা প্রদর্শন করছে। মুখ্যমন্ত্রী শর্মা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি পূর্বে কিছু শক্তির দ্বারা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াসের পুনরাবৃত্তি। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এমন কিছু সংগঠন রয়েছে যারা এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরটি বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতকে অস্থির করে তুলবে।’’ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি বিশেষভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের কাছে এই অঞ্চলে রেলপথ এবং সড়ক যোগাযোগে উন্নতি আনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার মধ্যে ভূগর্ভস্থ পথ এবং চিকেন’স নেক করিডর বাইপাস করার জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন হলেও, সঠিক সংকল্প এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে এই কাজ সম্ভব বলে দাবি করেন হিমন্ত।

    ভুল ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা

    এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত (India Bangladesh Relation) ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার শ্রীমতি ভীনা সিক্রি মন্তব্য করেছেন, “ইউনূসের এই মন্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। তাঁর এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর কথায়, “তিনি জানেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আমাদের ফরমাল চুক্তি রয়েছে… এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা উচিত।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযোগের অধিকার দিতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা নদী-সংলগ্ন রাষ্ট্র হিসেবে কোনও অধিকার দাবি করতে পারে না। তাই তাদের এটি স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে কোনও ভুল ধারণা পোষণ যেন না করে বাংলাদেশ।”

    বিকল্প পথ তৈরি করেই জবাব

    ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য তথা টিপ্রা মথা দলের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য আদর্শ সময়, আমাদের উচিত আদিবাসী জনগণের সমর্থনে মহাসাগরের দিকে একটি রুট তৈরি করা, যারা একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত, যাতে আমরা আর কোনও কৃতঘ্ন শাসকের উপর নির্ভরশীল না থাকি।’’ দেববর্মা তার এক্স হ্যান্ডলে আরও লিখেছেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের অধিকার হারানো, যদিও সেখানে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিল। ইউনূস হয়ত ভাবেন তিনি মহাসাগরের রক্ষক, তবে বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি এক অস্থায়ী নেতা।’’ টিপ্রা মথা নেতা আরও মনে করিয়ে দেন যে, উত্তর-পূর্ব ভারত চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তিনি লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা শুধু কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত।’’

    ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

    যদিও ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি ভারত (India Bangladesh Relation)। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাতে পারে নয়াদিল্লি। উত্তরপূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির জন্য চিনের নির্দেশেই ইউনূস এই বিবৃতি দিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকার মনে করছে উত্তরপূর্বের ৭ রাজ্য সমুদ্রে পৌঁছতে বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং এই এলাকা মোটেই স্থলবেষ্ঠিত নয়। ভারতের একটি সুবিশাল উপকূল এলাকা রয়েছে। যেখান থেকে সারা দেশকে পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত।

    নির্ভয় ভারত

    চিনে বাংলাদেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভারতকে টেনে আনার প্রসঙ্গে ইউনূসের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে চিন বিনিয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এতে ভারতের স্থলবেষ্টিত সাত রাজ্যের কথা টেনে আনার কী তাৎপর্য? এটা সত্যিই বিরক্তিকর। এর যথাযথ ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে। চিনের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে জড়িয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস? তাই কি জনসমক্ষেই সেই ঘোষণা করে দিলেন ইউনূস?’’ প্রথমে পাকিস্তান, আর এবারে চিন। ভারতের বিরুদ্ধে দল ভারী করছেন বাংলাদেশের শাসক ইউনূস। তাতে অবশ্য উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ভারতের। শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্যে যোগাযোগ রয়েছে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশের তিন দিকের সীমানার অধিকাংশই আবদ্ধ ভারত দিয়ে। আর সেই বাংলাদেশে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা ইউনূস বললেন, চিনের দিক থেকে ভারত মহাসাগরের নাগাল পাওয়ার জন্য একমাত্র উন্মুক্ত স্থান বাংলাদেশ। এ মন্তব্য হাস্যকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    অস্থির বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতা

    উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় আসার সময়ও ভারতকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কার্যত হুমকি দিয়েছিলেন ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রত চায়, তাহলে তাদের ভোলা উচিত না, ওদেরও সেভেন সিস্টার্স আছে। এরপরে আবার ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রের অধীনে সেভেন সিস্টার্সকে অন্তর্গত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইউনুসের সুর ‘বদল’ হয়। ইউনূস বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টারের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করব আমরা। আমাদের সমুদ্র বন্দরে ভারত পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারবে। তাতে তারাও আমাদের পণ্য আমদানি-রফতানি করবে। এই সুযোগ পেলে তারা আনন্দিত হবে। তাদের ব্যবসার সঙ্গে আমাদেরও ব্যবসা সমৃদ্ধ হবে।’ আসলে ইউনূস জানেন, চাল, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্যে এখনও সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। অপরদিকে সম্প্রতি আবার বিদ্যুতের জন্যে আদানির কাছে নতুন করে ‘আবদার’ করেছিল ঢাকা। ইউনূস আসলে জানেন যতই ভারত বিরোধিতা করুক না কেন, বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল। গত ৬ মাস ধরে সরকার চালালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল এখনও ফেরাতে পারেননি ইউনূস। দুর্ভোগ কমেনি সেই দেশের সাধারণ মানুষের। তাই সেই দুর্ভোগ চাপা দিতে ভারতকেই বারবার আশ্রয় করে বাংলাদেশ। কখনও সাহায্য চেয়ে আবার কখনও বিরোধিতা করে।

  • India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    India’s Gold: বিশ্বব্যাঙ্ক, আমেরিকা নস্যি! ২৫ হাজার টন সোনা সঞ্চিত ভারতের জনতার কাছেই, মূল্য জানেন কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সোনার (India’s Gold) প্রতি আবেগ চিরকালীন। এটা শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি অর্থনৈতিক শক্তিও জোগায়। সম্ভ্রান্ত ভারতীয় পরিবারে সোনার গয়না এক ঐতিহ্য। উত্তরাধিকারী গয়না থেকে শুরু করে জরুরি সঞ্চয় পর্যন্ত, দেশজুড়ে পরিবারগুলির কাছে প্রায় ২৫,০০০ টন সোনা রয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পরিবারগুলি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সোনার মালিক হয়ে উঠেছে। এই সোনালী ভান্ডার শুধুমাত্র অলঙ্কার নয়, এটি একটি কৌশলগত ঢাল, যা আর্থিক নিরাপত্তা এবং ক্ষমতার অনুভূতি প্রদান করে, বিশেষত মহিলাদের জন্য। সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে, এই ঐতিহ্য দ্রুত বাস্তব সম্পদে পরিণত হচ্ছে।

    ভারতে সোনার প্রতি আবেগ

    ভারতে সোনার (India’s Gold) প্রতি জাতীয় আবেগের কথা তুলে ধরে, সেবি-র অধীনে এক গবেষক বিশ্লেষক সম্প্রতি একটি চমকপ্রদ পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, “ভারতীয় পরিবারগুলি শুধু সোনার মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬৪ লক্ষ কোটি টাকা) সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।” একটি পোস্টে ওই বিশ্লেষক বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন কীভাবে ভারতের ব্যক্তিগত সোনার ভান্ডার, যা প্রায় ২৫,০০০ টন। এই পরিমাণ আমেরিকা, জার্মানি, চিন, এমনকি ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সহ পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সম্মিলিত সোনার মজুদকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।  ২০২৪ সেপ্টেম্বর -এর সেপ্টেম্বরে সোনার রেকর্ড দাম ৭৫,৫৪৯ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে পৌঁছানোর সময়, এই সোনার মজুদ প্রায় ১৮৮.৯ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যমান অর্জন করে, যা বর্তমানে ২২০ লক্ষ কোটির কাছাকাছি।

    স্বর্ণ সুরক্ষা

    ভারতীয় পরিবারগুলোর জন্য সোনা দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার পরিবর্তন, এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা কাঠামো হিসেবে কাজ করে আসছে। এটি উদযাপনের একটি কেন্দ্রবিন্দু, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে এটি প্রায়ই প্রথাগত ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।বাণিজ্য ঘাটতির উপর এর প্রভাব সত্ত্বেও, সোনার ভূমিকা গৃহস্থালির পোর্টফোলিওতে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও ভারত চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা ভোগকারী দেশ, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও তার সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে, যা একটি বৈশ্বিক প্রবণতা, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো সোনাকে একটি আর্থিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করছে।

  • UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    UPI New Rules: ইউপিআই, আয়কর থেকে ব্যাঙ্ক, ১ এপ্রিল থেকে বদলে যাচ্ছে একগুচ্ছ নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছে ১ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আসছে। ব্যাঙ্কিং, শেয়ার মার্কেট, ইনকাম ট্যাক্স, বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- একাধিক সেক্টরেই বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই সব নিয়ম সঠিকভাবে না জানা থাকলে বিপদে পড়তে হবে সকলকেই। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নিয়মে আসছে বদল—

    আয়কর সীমা:

    ২০২৫ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করেছিল। ট্যাক্স স্ল্যাব, টিডিএস, ট্যাক্স রিবেটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়মগুলি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে চলেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ টাকা রোজগার পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না চাকুরিজীবীদের। ৮৭এ ধারায় ট্যাক্স রিবেট ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৬০ হাজার টাকা।

    অব্যবহৃত ইউপিআই নম্বর ডিঅ্যাক্টিভেট:

    দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় না থাকা মোবাইল নম্বরগুলির সঙ্গে যে ইউপিআই (UPI New Rules) আইডিগুলি যুক্ত রয়েছে, সেগুলিকে ব্যাঙ্ক রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হবে। অর্থাৎ এরফলে বেশ কিছু ইউপিআই পরিষেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। গত ১২ মাস ধরে যে সমস্ত ইউপিআই নম্বর ব্যবহার হয়নি সেগুলিই ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হবে, বলে জানানো হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই তা কার্যকর হবে। তাই আপনার কোনও ফোন নম্বর যদি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হয়ে থাকে এবং সেই নম্বরে যদি ইউপিআই থাকে, তাহলে ৩১ মার্চের মধ্যেই তা অ্যাক্টিভেট করে নিন।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম:

    আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্ত না করা থাকে তাহলে ১ এপ্রিল থেকে কোনও ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে না। প্যান-আধারের লিঙ্ক না থাকলে ডিভিডেন্ড ক্যাপিটাল গেনের জন্য টিডিএস বেশি পরিমাণে কাটা হবে।

    জিএসটি হার বৃদ্ধি:

    যে সব হোটেলের কোনও ঘরের একদিনের ভাড়া সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি, সে ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হবে।

    জিএসটিতে আইডিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন:

    ভারত সরকার পণ্য ও পরিষেবা করের নিয়মে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এর অধীনে, ইনপুট সার্ভিস ডিস্ট্রিবিউটর সিস্টেম ১ এপ্রিল থেকে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য হল রাজ্যগুলির মধ্যে কর রাজস্বের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা।

    ব্যাঙ্কের ন্যূনতম ব্যালেন্স সংশোধন:

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কেয়কটি ব্যাঙ্ক ১ এপ্রিল থেকে গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স সম্পর্কিত নিয়মে বদল আনতে চলেছে। ন্যূনতম ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে একটি নতুন সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। সেই মতো পরিমাণ টাকা খাতায় না থাকলে করা হতে পারে জরিমানাও। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) এবং কানাড়া ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স বজায় রাখতে হবে গ্রাহকদের। না হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ কোন ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট তার উপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ গ্রামীণ এলাকার কোনও ব্রাঞ্চে যা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হবে, তার থেকে শহরের কোনও ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের পরিমাণ বেশি হবে।

    ক্যাশ উইথড্রল:

    এটিএম থেকে ফ্রি-তে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমাতেও পরিবর্তন আসবে ১ এপ্রিল থেকে। প্রতি মাসে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে মাত্র তিনটি লেনদেন বিনামূল্যে করা যাবে। তার পর থেকে লেনদেন প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।

    ফিক্সড ডিপোজিট রেট:

    নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন অর্থবর্ষে নতুন রেটের কথা জানাতে পারে।

    ডেবিট কার্ডের নতুন নিয়ম:

    ১ এপ্রিল থেকে রুপে ডেবিট সিলেক্ট কার্ডে নয়া আপডেট আসছে। প্রতি ত্রৈমাসিকে একবার দেশীয় লাউঞ্জ এবং বছরে দু’বার আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ অ্যাক্সেসের সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতার জন্য ১০ লক্ষ টাকার কভারও থাকবে। তাছাড়া ত্রৈমাসিকে একবার বিনামূল্যে জিম সদস্যপদও মিলবে।

    ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS):

    ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ইউনিফায়েড পেনশন স্কিম (UPS) চালু হচ্ছে। কর্মীরা এনপিএস বা ইউপিএস যেকোনও একটি স্কিম বেছে নিতে পারবেন। ইউপিএস-এর অধীনে সর্বনিম্ন পেনশন হবে ১০,০০০ টাকা মাসিক, যদি কর্মচারী ন্যূনতম ১০ বছরের পরিষেবা দেন।

    ক্রেডিট কার্ডের রিওয়ার্ডে বদল:

    ১ এপ্রিল থেকে এসবিআই-এর সিম্পলিক্লিক ক্রেডিট কার্ডে সুইগি রিওয়ার্ড পয়েন্ট ৫ গুণ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করা হবে। এয়ার ইন্ডিয়া সিগনেচার পয়েন্টও ৩০ থেকে কমিয়ে ১০ করা হবে। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক ক্লাব ভিসতারা মাইলস্টোন রিওয়ার্ড সুবিধা বন্ধ করছে।

    আরবিআইয়ের পজিটিভ পে বেতন ব্যবস্থা:

    জালিয়াতি এড়াতে, আরবিআই পজিটিভ পে সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। অনেক ব্যাঙ্ক এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। পিপিএসের অধীনে, যদি আপনি ৫০,০০০ টাকার বেশি মূল্যের চেক ইস্যু করেন, তাহলে আপনাকে চেক সম্পর্কে কিছু তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে ব্যাঙ্কে প্রদান করতে হবে।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিএসই (CBSE) সম্প্রতি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস প্রকাশ করল। এই সদ্য প্রকাশিত পাঠ্যক্রমে বিস্তারিতভাবে শিক্ষাবর্ষের সম্পূর্ণ কার্যক্রম (CBSE Syllabus) উল্লিখিত রয়েছে। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল বদল আনছে সিবিএসই। এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে এবং আরেকটি হবে এপ্রিলে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।

    বিস্তারিত জানবেন কোথা থেকে

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির (৯, ১০, ১১ এবং ১২) পাঠ্যক্রম ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বোর্ডের একাডেমিক ওয়েবসাইট cbseacademic.nic.in থেকে সিবিএসই নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম দেখে নিতে পারেন। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (NCF) ২০২৩-এর সুপারিশ অনুসারে স্কুলগুলিকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। এতে আরও বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে শিক্ষাকে আরও আকর্ষক এবং অর্থবহ করার জন্য প্রোজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, রিসার্চ-চালিত পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি-সক্ষম শিক্ষার উপর জোর দেওয়া উচিত।

    দশম শ্রেণির সিলেবাসে কী কী বদল

    গ্রেডিং সিস্টেম: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ পয়েন্ট গ্রেডিং সিস্টেমের কথা। এর মাধ্যমে নম্বরকে সহজেই গ্রেডে রূপান্তর করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের, এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক বিষয়ও রয়েছে। আর এর সঙ্গে ২০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য। এতে পাশ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    স্কিল-বেসড বিষয়: পড়ুয়ারা তিনটি স্কিল-বেসড বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারবেন– কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি অথবা হিন্দি যে কোনও একটি ভাষা বেছে নিতে হবে।

    কোর বিষয়: সিবিএসই জানিয়েছে, যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী একটি কোনও কোর বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, যেমন গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান কিংবা ভাষার কোনও পেপারে, কিন্তু কোনও স্কিল বিষয়ে বা ঐচ্ছিক বিষয়ে পাশ করে থাকেন, তাহলে যে বিষয়ে ফেল করেছে পড়ুয়া তার বদলে রেজাল্ট গণনার সময় পাশ করা বিষয়গুলি বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

    দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস

    ২০২৬ সালে যারা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেবেন, তাদেরকেও ৯ পয়েন্টের গ্রেডিং সিস্টেমে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া চারটি নতুন স্কিল ইলেক্টিভ বিষয় যুক্ত হয়েছে পাঠ্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েট, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ট্রেনার, ডিজাইন থিঙ্কিং, ইনোভেশন। তবে ইনফরমেটিক্স প্র্যাক্টিসেস, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বিষয় বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা। দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ৭টি প্রধান শিখন ক্ষেত্র রয়েছে- ভাষা, কলাবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, স্কিল বিষয়, জেনারেল স্টাডিজ, স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা।

    নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমল বদল এনেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এবার থেকে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। যার মধ্যে একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে আর অপরটি হবে এপ্রিলে। এই নিয়ম চালু হতে চলেছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই। তবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বছর একবার করেই আয়োজিত হবে। ২০২৬ সালে সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে। বোর্ড অনুমান করছে ২০২৬ সালে মোট ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে চলেছে।

    কেন এই পরিকল্পনা

    ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) ২০২০-র সুপারিশ মেনে, বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর ফলে প্রথমবার পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে, দ্বিতীয়বার সেই বিষয়ে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফের পরীক্ষায় বসা যাবে। প্রথম পরীক্ষার পরই হাতে মার্কশিট পাওয়া যাবে না। ডিজি লকার থেকে প্রাপ্ত নম্বর ব্যবহার করে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে চূড়ান্ত রেজাল্ট দ্বিতীয় পরীক্ষার পর প্রকাশিত হবে। যদি কোনও শিক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষার পর রেজাল্ট দেখে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, চাইলে দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ‘অপ্ট-আউট’ করার সুযোগও থাকছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন,  শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

     

     

     

     

  • Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল বনাম ভারত আদৌ (Brazil Legends vs India All Stars) কখনও দেখা যাবে কি না সময়ই বলবে। তবে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ভারতের বুকে বসতে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদবন্তীদের নিয়ে আসর। চেন্নাইয়ের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মাঠে রবিবার ৩০ মার্চ এক দুরন্ত ফুটবল ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা। যে ম্যাচে মাঠে নামবেন ২০০২ সালে ব্রাজিলকে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো নাম করা সব তারকারা। দুঙ্গার কোচিংয়ে রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, কাকা, কাফু, গিলবার্তো সিলভা-দের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে সুব্রত পাল, মহেশ গাউলিদের মতো সদ্যপ্রাক্তন তারকাদের।

    কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে খেলার অপেক্ষা

    ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপানের বিশ্বকাপ এখনও ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে রোনাল্ডো, রিভাল্ডোদের জন্য। শেষ আটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিকে রোনাল্ডিনহোর সেই বিস্ময় গোল। ফাইনালে দুর্ধর্ষ জার্মানির বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর জোড়া গোল। বিশ্বকাপ হাতে রি‌ভাল্ডো ও রোনাল্ডিনহো-র সাম্বা। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা স্বপ্নের নায়কদের ভারতের মাটিতে প্রথমবার একসঙ্গে খেলতে দেখবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে রোনাল্ডিনহো, কাফু, রোমারিওরা কলকাতা-তথা ভারতে এসেছেন। লুসিও খেলে গিয়েছেন আইএসএলের ক্লাবে। তবে এভাবে ফুটবল ম্যাচে (Brazil Legends vs India All Stars) সেভাবে খেলতে দেখা যায়নি ব্রাজিলের কিংবদন্তীদের। এবার সেটাই সম্ভব হয়েছে। ৩০ মার্চ ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার দল। সেই ম্যাচের টিকিট প্রায় নিঃশেষ। খেলা শুরু সন্ধে ৭টায়। ব্রাজিলের হয়ে খেলবেন কাকা-রোনাল্ডিনহোরা। ব্রাজিল শিবিরে যেমন থাকছেন রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডো, কাকা, লুসিওর মতো বিশ্বকাপজয়ী তারকারা। তেমন ভারতীয় ব্রিগেডে থাকছেন মেহতাব হোসেনের মতো ভারতীয় ফুটবলের চেনা মুখ। ইন্ডিয়া অল স্টার দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্রাজিল লিজেন্ডস বনাম ইন্ডিয়া অল-স্টার প্রদর্শনী ম্যাচের (Brazil Legends vs India All Stars) টিকিটের দাম ১,০০০, ১,৫০০ এবং ২,৫০০ টাকা।

  • Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    Chhattisgarh Encounter: সুকমায় রাতভর গুলির লড়াই, বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ১৬ মাওবাদী, জখম দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সুকমায় (Sukma) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ফের খতম হল ১৬ জন মাওবাদী। এই নিয়ে চলতি বছর ১৩০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। এই সংঘর্ষে সামান্য আহত হয়েছেন বাহিনীর (Chhattisgarh Encounter) দুই জওয়ান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও তল্লাশি অভিযান জারি আছে বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দরজ পি সাইড।

    রাতভর গুলির লড়াই

    পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে তারা খবর পায় যে, সুকমা-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় উপমপল্লি কেরলাপাল এলাকায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে মাওবাদীদের (Chhattisgarh Encounter) একটি দল। সেই খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতে সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং পুলিশের যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে যায়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। রাতভর গুলির লড়াই চলেছে। শনিবার ভোরেও গুলির লড়াই জারি ছিল। পুলিশের দাবি, এই সংঘর্ষে ১৬ জন মাওবাদী খতম হয়েছে। মাওবাদীরা সংখ্যায় কত জন ছিল সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট হয়নি।

    অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার

    সুকমা হল বস্তার এলাকার সবথেকে দুর্ধর্ষ নকশাল উপদ্রুত এলাকা। অতীতে বহুবার এই এলাকায় মাওবাদী হামলা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে কেরলাপাল এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে মাওবাদীরা (Chhattisgarh Encounter)। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যৌথ অভিযান চালায় রিজার্ভ গার্ড বা ডিআরজি এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (Security forces)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত ১৬ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি মাওবাদীদের খোঁজে জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা আন্তঃরাজ্য অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে দুশোর বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ওই তিন রাজ্যে।

    মাওবাদী মুক্ত ভারত

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে বিগত বহু মাস ধরে ক্রমাগত মাও নিধন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। এই আবহে ২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে ২১৯ জন মাওবাদীকে মারা হয়েছিল। ২০২৩ সালে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ২২, আর ২০২২ সালে তা ছিল ৩০। এদিকে ২০২৫ সালে আগের সপ্তাহ পর্যন্ত ১১৩ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া ১০৪ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    রেড করিডর এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Encounter) বস্তার বিভাগের বস্তার, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, কাঙ্কের, নারায়ণপুর, কোন্ডাগাঁও এবং সুকমা মাওবাদী বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। ‘রেড করিডর’ নামে পরিচিত মাওবাদী বিরোধী অভিযানের জন্য এইসব এলাকায় হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের পিছনে ঠেলে দিতে লগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী পূর্বের মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল সহ ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্র-আবুঝমাড়-এ ১৭টি নতুন ক্যাম্প তৈরি করেছে।

    জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়

    ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার ঘোষণা আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২৩ সালে বিজেপি ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় আসার পরে মাওবাদী দমনে যৌথ বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক কিছু সূত্রের দাবি। তার পর থেকেই পুরো শক্তি কাজে লাগিয়ে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। বাহিনীর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণ দেও সাই। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘২০২৬–এর মধ্যে বস্তার ভয়মুক্ত হয়ে বাঁচবে, আমি নিশ্চিত। ছত্তিশগড়ে মাওবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রবল পরাক্রমে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি দেশ তথা ছত্তিশগড় থেকে ২০২৬ মার্চের মধ্যে মাওবাদ মুছে ফেলার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে। জওয়ানদের সাফল্য প্রশংসনীয়। তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট জানাই।’

    মাওবাদীদের ঘরে ফেরার বার্তা

    তবে শুধু মাওবাদী দমন (Chhattisgarh Encounter) অভিযানই নয়, তাদের ঘরে ফেরার বার্তাও দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

LinkedIn
Share