Author: ishika-banerjee

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

  • Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নতুন অর্থ বিল ২০২৫ (Finance Bill)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নয়া অর্থ বিলকে করদাতাদের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহে ১৩.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই বিল পাশ করা হয়েছে যা বাস্তবসম্মত। লোকসভায় (Lok Sabha) মঙ্গলবার এছাড়াও একাধিক বিল পাশ করানো হয়েছে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) সময়সীমা ২০২৫-এর বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন কক্ষে বয়লার বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে।

    নয়া অর্থ বিলে সুবিধা

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন যে এই বিল করের স্থিতিশীলতা (Tax Certainty) নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসা করার সুবিধা (Ease of Doing Business) বাড়াতে আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই বিলে অভূতপূর্ব কর ছাড় (Tax Relief) দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি সম্পত্তির উপর কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। সীতারামন বলেছেন যে, এই বিলটি (Finance Bill) ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত (Viksit Bharat 2047) গড়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে সরকার ট্যাক্স সংক্রান্ত একাধিক সংস্কার করেছে, যা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।

    অর্থ বিলে নানা বদল (Finance Bill)

    নয়া অর্থ বিলে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি এবং মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের উপর থেকে আমদানি কর বাতিল করা হয়েছে। এখন বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারির ৩৫টি যন্ত্রাংশ এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ২৮টি যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে। আয়কর রিটার্নের ১৪৩ (১) ধারায় নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ এখন থেকে গত বছরের জমা করা আয়কর রিটার্নে ভুল সংশোধন করবে এবং আগামী রিটার্নে এগুলি সংশোধিত হবে। নয়া বিল (Finance Bill) অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপরে ৬ শতাংশ ডিজিটাল ট্যাক্স বাতিল করা হবে।

    প্রয়োজনীয় সংশোধনী

    নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, এবার থেকে করদাতারা তাদের বছরে ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের হার ২০ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে অনুমান করা হয়েছে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ হবে ১৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবর্ষের জন্য আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ হতে পারে ১২.২ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ১১ হাজার ১৬২ জন করদাতা তাদের রিটার্ন সংশোধন করে বৈদেশিক সম্পদের ফর্ম পূরণ করে ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে বিতর্ক

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে পরিবর্তন করবে নতুন বিল (Finance Bill)। বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৫৩৬-এ নামিয়ে আনা হবে।’’ আয়করের নিয়ম সরল করবে নতুন বিল, এমনটাই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। গত ১ এপ্রিল নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছিল। সেগুলির মধ্যে ৩৫টি গৃহীত হয়েছে। সেই সংশোধনী-সহ অর্থবিল (Finance Bill) হিসাবে বাজেটটি লোকসভায় পাশ হল। এর পর বাজেট রাজ্যসভায় পাশ হলেই বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাব। বাজেটে ৫০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশি।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ 

    লোকসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) রিপোর্ট পেশ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। JPC-র চেয়ারম্যান পিপি  চৌধুরী (PP Chaudhary) সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল ২০২৪-এর উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য সময়সীমা ২০২৫ সালের বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন, যা লোকসভা মঞ্জুর করেছে। সরকারের দাবি, এই বিল দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে, যার ফলে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো সম্ভব হবে।

    বয়লার বিল 

    লোকসভায় বয়লার বিল-ও পাশ হয়েছে, যা এর আগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে অনুমোদন পেয়েছিল। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) এই বিলটি পেশ করেন। সরকারের বক্তব্য, এই বিল ব্যবসা করার সুবিধা বাড়াতে আনা হয়েছে, যা এমএসএমই সেক্টরের বয়লার ব্যবহারকারীদের সুবিধা দেবে। এই বিলে একাধিক পুরনো নিয়ম বাতিল করা হয়েছে এবং জন বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২৩-এর অধীনে অপরাধের জন্য শাস্তির নিয়ম সরল করা হয়েছে।

  • India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    India TB Elimination Campaign: ২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যক্ষ্মা দূরীকরণে (India TB Elimination Campaign) জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী মাইকো ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস। এই জীবাণু সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে। ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। এক আক্রান্ত থেকে আরেক আক্রান্তের শরীরে। যক্ষ্মায় প্রতি বছর গড় মৃত্যুর হার ৫ শতাংশ। যক্ষ্মা রোগীদের আরও একাধিক রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি— এগুলিই যক্ষ্মার উপসর্গ। ভারত সরকার যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান আরও সম্প্রসারণ করছে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৫ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা জানান, দেশব্যাপী ১০০ দিন ধরে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযান চালায় সরকার। এই অভিযান চলাকালীন মোবাইল স্ক্রিনিং ইউনিট, যেমন হাতে ধারণযোগ্য এক্স-রে মেশিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্টিং (NAAT), দুর্গম এবং অবহেলিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা সেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়েছে। সারা দেশে এই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৩.৪৬ লক্ষ শিবির আয়োজন করা হয়েছে। যক্ষ্মা চিকিৎসার কভারেজ ৫৯% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫% হয়েছে। ৫,০০০ বিধায়ক এবং ১০,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে। নাড্ডা আরও জানান, তারা এই উদ্যোগটি সারা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন, যাতে কোনো রোগী অবহেলিত না থাকে। এই অভিযানে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক সমর্থন মিলেছে। ২২টি মন্ত্রক এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে। ৩,০০,০০০ এরও বেশি নির্বাচিত প্রতিনিধি সচেতনতা এবং প্রতিরোধ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।

    যক্ষ্মা দূরীকরণে সরকারের ভূমিকা

    নাড্ডা (India TB Elimination Campaign) বলেন, “যক্ষ্মা এখনও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি, তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ” তিনি আরও জানান, ভারত যক্ষ্মা গবেষণায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর সময় ব্যবহৃত আরটি-পিসিআর মেশিনগুলো এখন যক্ষ্মা নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতের স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা (ICMR) দ্বারা উন্নীত দেশীয় ডায়াগনস্টিক কিটগুলো ৩২টি পরীক্ষা একসঙ্গে করতে সক্ষম। যা যক্ষ্মা নির্নয়ের খরচ কমিয়েছে। এআই-চালিত হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে মেশিনগুলি উপসর্গবিহীন যক্ষ্মা রোগ সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।নাড্ডা একটি ডিজিটাল কফি টেবিল বুকও চালু করেছেন, যেখানে ‘ডিফারেনশিয়েটেড টিবি কেয়ারের উপর নির্দেশিকা ডকুমেন্ট’ শিরোনামে যক্ষ্মা নির্মূল অভিযানের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। যা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রদান করে।

  • Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানা ভাবে ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সেনা কর্মীদের উদ্দেশে এমনই আর্জি জানালেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে অরাজকতাই নিত্যসঙ্গী। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা। অপরদিকে বার বার নির্বাচনের দাবি জানোনো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এই আবহে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা। মনে করা হচ্ছে সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

    ভোটের দাবি সেনার

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে স্থায়ী সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেনা। রবিবার বাংলাদেশের পদাতিক, জলরক্ষা বাহিনী ও আকাশ রক্ষা বাহিনীর বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে সেনা সদরে বৈঠক চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের চর্চা ঢাকায়। সতর্কতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। উত্তেজনা বাড়ছে পড়শি দেশে। মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) আগেই জানিয়েছিল, আগামী বছরের শুরুতে ভোট হতে পারে। এখনই নির্বাচন চায় না ইউনূস সরকার। তবে, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চাইছেন সেনা কর্তারা। সেই বিষয়ে সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। সেনা ও ছাত্র নেতাদের সংঘাতে বারবার এই প্রশ্ন সামনে আসছে তাহলে কি সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?

    সেনা প্রধানের বৈঠক

    সোমবার ঢাকায় সেনানিবাসের প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান। সেখানেই কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে দেশে গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উস্কানিমূলক বক্তব্য-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবারের বৈঠকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। সেনাপ্রধান সকলকে, উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বারণ করেছেন। মন্তব্য করেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উস্কানিদাতাদের লক্ষ্য পূরণ হয়। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ। সামনে ইদ, সে কথা মনে রেখে সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী

    মহম্মদ ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘু অত্যাচারের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে পদ্মাপাড়ের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর কট্টরপন্থীদের অত্যাচার। মাথা চারা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। সব মিলিয়ে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আমজনতা বিরক্ত। এই অবস্থায় পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে ইউনূস সরকার। এরপরেও ধর্মীয় হানাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনুস সরকার তবে ঠিক কী করছে?

    বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ওই সময় দেশটির সর্বময় কর্তা ছিলেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি ছিলেন হাসিনার বাবা। পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন মুজিবুর । কিন্তু, নতুন দেশ তৈরির ৪ বছরের মধ্যেই সেনাশাসনের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ঢাকায় শেখ মুজিবুরের ধানমুণ্ডির বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। গুলি করে তাঁকে হত্যা করে ফৌজ।

    বাংলাদেশে একাধিক সেনা অভ্যুত্থান

    শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর খান্দেকর মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন শুরু হয়। নেপথ্য অবশ্য ছিল সেনাবাহিনী। ওই বছরই ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয় বাংলাদেশে। ফলে ক্ষমতায় থেকে যান খান্দেকর মোস্তাক আহমেদ। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর পদ্মা পাড়ের দেশে তৃতীয়বারের জন্য ঘটে সেনা অভ্যুত্থান। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। পরবর্তী দশকগুলিতেও একাধিকবার বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৯৬, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনওবারই সাফল্য হয়নি সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর সেনা শাসনে কাটিয়েছে পদ্মা পাড়ের এই দেশ।

  • Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    Power consumption: তাপপ্রবাহের শঙ্কা, ঘরে ঘরে এসি! এ বছর দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৯-১০ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম এখনও সেভাবে পড়েনি। রাতে আর ভোরের দিকে গরম একেবারেই নেই। তবে এপ্রিল থেকে গরমে নাভিশ্বাস উঠবে ভারতবাসীর। দিল্লি থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই প্রবল গরম পড়বে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এরই ফলে দেশে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। এই গরমে ভারতে ৯-১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) বাড়বে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কারণ আগামী কয়েক মাস তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতবাসী। এর জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কোথায় বিদ্যুতের পরিমাণ কী রকম

    গত বছর, ৩০ মে সারা দেশের পিক বিদ্যুৎ চাহিদা ২৫০ গিগাওয়াট অতিক্রম করেছিল, যা পূর্বাভাসের তুলনায় ৬.৩ শতাংশ বেশি ছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ প্রবাহ বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে দেশে শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ, গৃহস্থালির জন্য ২৮ শতাংশ এবং কৃষির জন্য ১৯ শতাংশ বিদ্যুত ব্যবহৃত হয়। গত দশকে গার্হস্থ্য বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বেড়েছে, বলেন দিল্লি ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের রিনিউয়েবল সিনিয়র প্রোগ্রাম লিড দিশা আগরওয়াল। ২০১২-১৩ সালে গার্হস্থ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার ছিল ২২ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ সালে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শীতলীকরণের প্রয়োজনীয়তা থেকে এসেছে।

    কেন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা

    ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে, ঘরে ঘরে এসি মেশিনের (Power consumption) ব্যবহার বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এয়ার কন্ডিশনারের বিক্রি ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। দিশা বলেন, “ভারতকে এখন দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ এবং পিক বিদ্যুৎ চাহিদায় ৯-১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে আমাদের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে যে, এই পিক চাহিদা শুধুমাত্র একটি স্বল্প সময়ের জন্য থাকবে।” তাঁর কথায়, ভারতের বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০২০-২১ সাল থেকে প্রতিবছর প্রায় ৯ শতাংশ বাড়ছে, যা গত দশকের ৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমান ছিল যে ২০২২ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতিবছর ৬ শতাংশ বাড়বে।

    বাড়ছে এসি কেনার প্রবণতা

    বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার, নীতি ও অর্থ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আভাস ঝা বলেছেন, “ভারতের তাপপ্রবাহের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে যাবে। তাই ভারত শীঘ্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ার কন্ডিশনার বাজারে পরিণত হবে। প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি এয়ার কন্ডিশনার বিক্রি হচ্ছে। ভারতের এয়ার কন্ডিশনার প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ।” তিনি জানান, “ভারতের এসি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ এসি মেশিনগুলি খুব বেশি শক্তি খরচ করে, যা আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।” আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এয়ার কন্ডিশনারের জন্য শক্তি চাহিদা তিন গুণ বেড়ে যাবে, যা আগামী ৩০ বছরে প্রতি সেকেন্ডে ১০টি নতুন এয়ার কন্ডিশনার যোগ করার সমান।

    সবার জন্যই বিদ্যুত চাই

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত সেন্টারের গবেষক রিশিকা খোসলা বলেন, “২০৫০ সালে, তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ানোর পর, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শীতলীকরণ চাহিদা ভারতের হবে। তারপর চিন, নাইজিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সবার জন্য তাপগত আরাম নিশ্চিত করা যায়, এবং পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই এটি সম্ভব। এর জন্য প্যাসিভ কুলিং পদ্ধতি, শক্তি দক্ষতা এবং ক্ষতিকর রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসগুলির ব্যবহার কমাতে হবে।”

    গরমের আশঙ্কা

    সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের গরমে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা (Power consumption) ২৭০ গিগাওয়াট ছুঁয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি বছর মার্চ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এই বছর দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানুষের ফ্যান, কুলার এবং এসি-র ব্যবহার বাড়বে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি বছর ভারতে মার্চে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়তে পারে, তার সঙ্গে চলবে তাপপ্রবাহ। দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৪ সালে, ৫ এপ্রিল ওড়িশায় প্রথম তাপপ্রবাহ দেখা দেয়, কিন্তু ২০২৫ সালে, কঙ্কন এবং উপকূলীয় কর্নাটকের কিছু অংশে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই বছরের গ্রীষ্মে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ অংশে সাধারণত উষ্ণতম তাপমাত্রা থাকবে। ১৯০১ সালের পর থেকে দেশ ২০২৫ সালে সবচেয়ে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি অনুভব করেছে, যেখানে গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক ২০.৭০ ডিগ্রির চেয়ে ১.৩৪ ডিগ্রি বেশি। মৌসম ভবন আরও বলেছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতে টানা তাপপ্রবাহ হতে পারে।

  • India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আর্থিক বৃদ্ধির হারে নতুন মাইলফলক ছুঁল ভারত। ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (India’s GDP)। ২০১৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে সেটাই বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপির সূচক। বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে এ এক অভূতপূর্ব উদাহারণ দাবি, অর্থনীতিবিদদের।

    সাফল্যের খতিয়ান

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে।

    আমেরিকা-চিনকে তুলনামূলক টেক্কা

    আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার জিডিপি ১৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে, চিনের জিডিপি ১১.১ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে, যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখায়। এই দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির তুলনায় ভারতের ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি স্পষ্টতই একটি বড় অর্জন। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, ভারত (India’s GDP) শুধু নিজের অর্থনীতির আকার বাড়িয়েছে তাই নয়, বরং বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়েছে।

    চিনের কাছে বড় ধাক্কা

    আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুদ্রাস্ফীতি সমন্বিত তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুনিয়ার সেরা পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ। এই গতি বজায় থাকলে চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে জাপানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ২০২৭ সালে ভারতের কাছে হার মানবে জার্মানি। এই একই সময়ে চিনের জিডিপি ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ড্রাগনের অর্থনীতি ছিল ১১.২ লক্ষ কোটি ডলারের। এ বছরে সেটা বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরু হলে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বেজিংয়ের আর্থিক বৃদ্ধির সূচক। একটা সময়ে অবশ্য জিডিপির নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মান্দারিনভাষীদের দেশটি ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই অনুমান বাস্তবায়িত হয়নি।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০১৫ সালে ২৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি। এ বছর সেটাই বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ, গত ১০ বছরে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।

    অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান

    আইএমএফ-এর রিপোর্টে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির তুলনাও দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানির জিডিপি ২০১৫ সালে ৩.৪ লক্ষ কোটি ডলার থেকে ২০২৫ সালে ৪.৯ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি। জাপানের জিডিপি ৪.৪ লক্ষ কোটি ডলারে স্থির থাকবে, অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। ব্রিটেনের জিডিপি ২.৯ লক্ষ কোটি থেকে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে উন্নীত হবে (২৮% বৃদ্ধি), ফ্রান্সের জিডিপি ২.৪ থেকে ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৩৮% বৃদ্ধি), এবং ইটালির জিডিপি ১.৮ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার (৩৯% বৃদ্ধি) হবে। এছাড়াও, কানাডার জিডিপি ১.৬ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৪৪% বৃদ্ধি), ব্রাজিলের ১.৮ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (২৮% বৃদ্ধি), রাশিয়ার ১.৪ থেকে ২.২ লক্ষ কোটি ডলার (৫৭% বৃদ্ধি), দক্ষিণ কোরিয়ার ১.৫ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (২৭% বৃদ্ধি), অস্ট্রেলিয়ার ১.২ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (৫৮% বৃদ্ধি), এবং স্পেনের ১.২ থেকে ১.৮ লক্ষ কোটি ডলার (৫০% বৃদ্ধি) হবে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারতের বৃদ্ধির হার অন্য কোনও বড় অর্থনীতির কাছাকাছিও নেই।

    মোদি-সরকারের সাফল্য

    ভারতের (India’s GDP) এই সাফল্য় নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই অবিশ্বাস্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসূ নেতৃত্ব এবং তাঁর সরকারে প্রচেষ্টার ফল। লাভজনক অর্থনীতি, কাঠামোগত পরিবর্তন এবং বাণিজ্যিক পদ্ধতি সহজ করার ফলেই আজ মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার পর এই সাফল্য আগে কোনও সরকার পায়নি। এতে শুধু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই হচ্ছে না, একইসঙ্গে গ্লোবাল পাওয়ারহাউসগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”

  • Justice Yashwant Varma: রোজই পোড়া টাকা পাচ্ছেন সাফাই কর্মীরা! বিচারপতি বর্মাকে দায়িত্ব থেকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট

    Justice Yashwant Varma: রোজই পোড়া টাকা পাচ্ছেন সাফাই কর্মীরা! বিচারপতি বর্মাকে দায়িত্ব থেকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত আর কোনও মামলার বিচার করতে পারবেন না দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মা (Justice Yashwant Varma)। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিবৃতি জারি করে দিল্লির শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় দিল্লি হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিচারপতি যশ্বন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনের কাছে পুড়ে যাওয়া ৫০০ টাকর নোটের টুকরোওখুঁজে পেয়েছে সেখানকার সাফাইকর্মীরা।

    হিসেব-বহির্ভূত টাকাই কি পোড়ান হল?

    সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তিনি মনে করেন, আরও গভীরে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই বিচারপতির বাড়ি থেকে নগদ উদ্ধার হওয়ার পরে ঘটনায় তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল। এবার বিচারপতিকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ রাতে দিল্লিতে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) সরকারি বাংলোয় আচমকা আগুন লেগে গিয়েছিল। সে সময়ে বিচারপতি এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যেরা দমকলে খবর দেন। দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে গিয়ে বিচারপতির বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার করে। অভিযোগ, ওই টাকা হিসেব-বহির্ভূত। বিচারপতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি ওঠে। যদিও বিচারপতি বর্মা এই ঘটনাকে চক্রান্ত আখ্যা দিয়েছেন।

    অভিযোগ অস্বীকার বিচারপতির

    সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কলেজিয়ামের সদস্যরা জানান, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিচারপতিকে সরানো প্রয়োজন। এর পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নগদকাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব করেন। বিস্তারিত রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায়। সেখানে অভিযুক্ত বিচারপতির বক্তব্যও ছিল। সম্পূর্ণ রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, তাঁর তরফে বা তাঁর পরিবারের কারও তরফে স্টোর রুমে কখনও কোনও নগদ রাখা হয়নি।

    আদালত বলছে অন্য কথা

    বিচারপতি যশবন্ত বর্মার আরও দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে নগদ রাখার অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে তোলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যে ঘরে আগুন লেগেছিল এবং যেখান থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেটা আউটহাউস। বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) দাবি, কেউ এমন কোনও জায়গায় নগদ রাখে না, যেটা খোলা এবং যে কেউ সেখানে চলে যেতে পারে। যেখানে নগদ মিলেছে সেই জায়গাটি তাঁর বসবাসের জায়গা থেকে একেবারে আলাদা বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি উপাধ্যায় বলেন, “যেখানে পুড়ে যাওয়া টাকা পাওয়া গিয়েছে, সেখানে অন্য কোনও প্রবেশের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এর মানে হল যে যারা এই স্থানে নিয়মিত প্রবেশ করতে পারতেন, তাদেরই এই টাকা এখানে রাখা সম্ভব ছিল।”

    সাফাইকর্মীরা প্রতিদিনই টাকা পাচ্ছে

    ওই অঞ্চলের সাফাইকর্মীরা জানিয়েছেন, “আমরা রাস্তায় জঞ্জাল সংগ্রহ করি। ৪-৫ দিন আগে যখন এখানে পরিষ্কার করছিলাম, তখন আমরা কিছু পুড়ে যাওয়া ৫০০ টাকার টুকরো খুঁজে পাই। আমরা জানতাম না এগুলো কোথা থেকে এসেছে। আজও কয়েকটা টুকরো খুঁজে পেয়েছি।” তার সহকর্মী যিনি একই এলাকায় কাজ করেন, তিনি বলেন, “আমরা এখানে কয়েকদিন ধরে কাজ করছি, এবং এটা প্রথমবার যে এমন পুড়ে যাওয়া নোট পাওয়া গিয়েছে। আজও কিছু টুকরো খুঁজে পেয়েছি।”

    অভিযুক্ত বিচারপতির ভবিষ্যৎ

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি খন্না এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন, তাতে রয়েছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন। ইতিমধ্যে আইনমহল থেকে বিচারপতি বর্মার পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে প্রথমে দায়িত্ব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখে দেশের প্রধান বিচারপতি যদি মনে করেন, তিনি অভিযুক্তকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন। এর পরেও ওই বিচারপতি যদি পদত্যাগে রাজি না-হন, তবে সংসদের মাধ্যমে তাঁর অপসারণের জন্য প্রধান বিচারপতি সরকারকে চিঠি লিখতে পারেন। ভারতীয় সংবিধানের ১২৪(৪) ধারা অনুযায়ী, সংসদের মাধ্যমে হাই কোর্টের বিচারপতিকে অপসারণ করা যায়।

  • Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    Tavasya: ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট কমাতে সক্রিয় ভারত, নৌসেনার হাতে আসছে ‘ভীমের গদা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরীয় (Indian Navy) এলাকায় চিনের দাদাগিরি বন্ধ করতে সদা সক্রিয় রয়েছে ভারত। সেই লক্ষ্যে ভারতের নৌবাহিনী গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি (GSL) ‘তবস্যা’ (Tavasya) নামক দ্বিতীয় স্টেলথ ফ্রিগেটটি উদ্বোধন করল। এটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ (ইয়ার্ড ১২৫৯)-এর আওতায় নির্মিত। তবস্যা ভারতের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে আত্মনির্ভরতার এক বড় পদক্ষেপ। ভারতীয় নৌ-সেনায় এর অন্তর্ভুক্তি এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

    তবস্যা-র ক্ষমতা

    ৩,৮০০ টনেরও বেশি ডিপ্লেসমেন্টের একটি জটিল এবং অস্ত্র-বহুল ফ্রিগেট হল ‘তবস্যা’ (Tavasya)। এটি নানা ধরণের আক্রমণাত্মক ও রক্ষামূলক অপারেশন চালানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যা ভারতকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তার কৌশলগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে। এই স্টেলথ বৈশিষ্ট্যসহ উন্নত প্রযুক্তির, উচ্চ-সহনশীল ক্ষমতা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কমব্যাট সিস্টেমে সজ্জিত ‘তবস্যা’ ভারতের সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ প্রতিরক্ষায় জোর

    ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের মোকাবিলার জন্য নৌসেনাকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে জোর দিয়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ বলেন, “তবস্যার উদ্বোধন শুধুমাত্র ভারতের নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নয়, এটি ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নেবে।” প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, ভারত সম্প্রতি যুদ্ধ জাহাজ রফতানিও করছে। এক্ষেত্রে গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।

    তবস্যা-র গুরুত্ব

    প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবের দ্বিতীয় ভীমসেনের গদার নামানুসারে জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘তবস্যা’ (Tavasya), যা ভারতীয় নৌবাহিনীর অদম্য মনোবল এবং ক্রমবর্ধমান শক্তির প্রতীক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে দুটি প্রজেক্ট ১১৩৫.৬ ফলো-অন ফ্রিগেট নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারিতে। প্রথম জাহাজ, ‘ট্রিপুট’, ২০২৪-এর ২৩ জুলাইতে উদ্বোধন করা হয়। ‘ত্রিপুট’ এবং ‘তবস্যা’ উভয়ই বহুমুখী অভিযানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারফেস, সাব-সারফেস এবং এয়ার কমব্যাট। জাহাজগুলি ১২৪.৮ মিটার লম্বা, ১৫.২ মিটার চওড়া এবং প্রায় ৩,৬০০ টন ওজনের। তারা সর্বোচ্চ ২৮ নট গতি অর্জন করতে সক্ষম। উভয় ফ্রিগেটেই বিপুল সংখ্যক দেশীয় সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং সেন্সর রয়েছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। উন্নত স্টিলথ বৈশিষ্ট্য, অস্ত্রশস্ত্র, সেন্সর এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সজ্জিত, এই জাহাজগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।

  • Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচলিত জ্বালানির ব্যবহারের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নেট জিরো ২০৩০ (Net Zero Goal by 2030) অধীনেই পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উপরে ভরসা বাড়াতে চাইছে ভারতীয় রেল। সে কারণেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় রেল। রেলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশন শক্তির প্রয়োজন হবে। ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এবং আরও ৩ গিগাওয়াট তাপ ও ​​পারমাণবিক শক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে রেল। ট্র্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে রেল।

    পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির জোগাড়

    ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এবং একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (DAE) এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট (Net Zero Goal by 2030) পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ভারতীয় রেল জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ কিনবে। অন্যদিকে, ডিএই এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা করবে।

    এছাড়াও, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থেকে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুতের জোগাড় করা হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাহায্যে জোগাড় করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই আর্থিক বছরেই ব্রডগেজ রুটে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন শেষ করবে বলে জানায় রেল দফতর। রেলের এক কর্তা বলেন, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫% ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেল সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যেখানে ডিএই এবং শক্তি মন্ত্রক শক্তি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করবে। রেলওয়ে জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে, এবং জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও কাজ শুরু করেছে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    অনুমান বর্তমানে ভারতে চলমান ৯০ শতাংশ ট্রেন এখন বিদ্যুত চালিত। বাকি ১০ শতাংশ চলে ডিজেলে। তিন বছর আগেও ৩৭ শতাংশ ট্রেন ছিল ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক নির্ভরতা বাড়ায় ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ট্রেন চালানোর জন্য খরচ আগের থেকে কমেছে। ট্র্যাকশনের জন্য ডিজেলের অধীনে রাজস্ব ব্যয় ২০২৫-২৬ সালে ৯,৫২৮.৫৩ কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ে রেলওয়ের দ্বারা ডিজেলের জন্য ব্যয় করা সর্বনিম্ন খরচ বলে আশা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এবং শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে রেলওয়ের শক্তি চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের শক্তি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রেলওয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান এবং আসন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলির কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখছে।’’

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

LinkedIn
Share