Author: ishika-banerjee

  • Colombia Support India: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতকে সমর্থন! পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনার বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

    Colombia Support India: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতকে সমর্থন! পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনার বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকায় বিরাট কূটনৈতিক জয় ভারতের। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) নিহত পাকিস্তানিদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছিল কলম্বিয়া সরকার (Colombia Support India)। ভারতের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল সেই দেশে গিয়ে কলম্বিয়ার বিবৃতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। অবশেষে সেই বিতর্কিত বিবৃতি প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া। এমনটাই দাবি সে দেশে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor)। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কলম্বিয়ার বিদেশমন্ত্রী নতুন বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন।

    পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে কলম্বিয়া

    কলম্বিয়ার (Colombia Support India) বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। কাশ্মীরে কী ঘটেছিল, তা-ও বিশদে জানতে পেরেছেন। কলম্বিয়া সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের। সেখানে ছিলেন কলম্বিয়ার বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী রোসা ইয়োলান্দা ভিলাভিসেন্সিয়ো। সমাজমাধ্যমে শশী থারুর লিখেছেন, ‘‘কলম্বিয়ার মন্ত্রী রোসা এবং তাঁর সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারতের অবস্থান ওঁদের জানিয়েছি। পাকিস্তানিদের জন্য ‘আন্তরিক সমবেদনা’ প্রকাশ করে ওঁরা যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে আমরা হতাশ, ওঁদের বলেছি। মন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ওই বিবৃতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমাদের অবস্থান ওঁরা বুঝেছেন এবং সমর্থন করেছেন।’’

    শশী থারুরের ক্ষোভ

    আসলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ায়নি কলম্বিয়া। উলটে পাকপন্থী বিবৃতি দেয় বোগাতা। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত পাক নাগরিকদের পরিবারকে শোক জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল দেশটি। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তোলে দক্ষিণ আমেরিকার ওই দেশ। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান বোঝাতে কলম্বিয়ায় পৌছেই এই বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় প্রতিনিধি দল। কলম্বিয়া সরকারের আচরণে তাঁরা যে হতাশ, সে কথা সে দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখের উপরেই বলে দেন থারুররা।

    সন্ত্রাসবাদ এবং তার প্রতিরোধকারীরা এক নয়

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের(Colombia Support India) ভূমিকায় পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের একাধিক প্রথম সারির দেশ। আমেরিকা থেকে ফ্রান্স, জাপান থেকে ইন্দোনেশিয়া, একের পর এক দেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেশ করছেন ভারতের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। এর মাঝে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সেই তালিকায় ছিল কলম্বিয়াও। পাকিস্তানে নিহতদের প্রতি কলম্বিয়া সমবেদনা জানানোয় নিন্দা প্রকাশ করে শুক্রবার সে দেশের রাজধানী বোগাতায় সাংবাদিকদের থারুর বলেন, “কলম্বিয়া সরকারের প্রতিক্রিয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। তাঁরা ভারতের আক্রমণে নিহত পাকিস্তানিদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানালেন। সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন যাঁরা, তাদের জন্য নয়! আমরা কলম্বিয়ার বন্ধুদের বলতে চাই, সন্ত্রাসবাদ এবং তার প্রতিরোধকারীদের কোনওভাবেই এক করে দেওয়া যায় না। কেউ আক্রমণ করে, কেউ রক্ষা করে, এদের মধ্যে কোনও সমতা নেই। আমরা আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছি মাত্র। যদি কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তার মীমাংসার জন্য আমরা আছি।”

    একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছে ভারত

    এর পরেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বিস্তারিত বিবরণ এবং পরবর্তীকালে পাকমদতপুষ্ট জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিস্তারিত বিবরণ দেন থারুর। সংসদীয় প্রতিনিধিদল জানায়, নয়াদিল্লির কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা জড়িত ছিল। থারুরের সংযোজন, ‘আমরা কেবল আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে কলম্বিয়ার সঙ্গে কিছু বিস্তারিত কথা বলতে পেরে আমরা খুব খুশি। ঠিক যেমন কলম্বিয়া অনেক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি ভারতেও একাধিক জঙ্গি হামলা হয়েছে। আমরা বিগত প্রায় চার দশক ধরে অনেক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছি।’

    ভারতের পাশে কলম্বিয়া

    থারুরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি পানামা এবং গুয়েনা সফরের পর বৃহস্পতিবার কলম্বিয়ায় পৌঁছয়। থারুরদের প্রতিবাদের পর কূটনৈতিক স্তরেও দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। এর পর কলম্বিয়ার (Colombia Support India) চেম্বার অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ্‌সের সেকেন্ড কমিশনের (ভারতের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সমান) প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো তোরো এবং চেম্বার অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্‌সের প্রেসিডেন্ট (ভারতের লোকসভার স্পিকারের সমান) জেমি রল সালামান্‌কার সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। থারুর জানিয়েছেন, কলম্বিয়ার এই আধিকারিকেরাও ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছেন। থারুরের পাশে দাঁড়িয়ে এর পর কলম্বিয়ার বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেন, ‘‘কী ঘটেছিল, আমরা তার ব্যাখ্যা পেয়েছি। কাশ্মীরে কী ঘটেছিল সেই সম্পর্কে এখন আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব।’’ সূত্রের দাবি, দ্রুতই ভারতের পক্ষে জোরাল বিবৃতি দেবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা বিজেপি নেতা তরণজিৎ সিং সান্ধুও জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধিদলের চাপে অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছে কলম্বিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির অবস্থান বা মতামত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, শীঘ্রই তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হতে চলেছে। পুরো বিষয়টিকে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

     

     

     

     

  • Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    Digipin: আসছে ডিজিপিন! আধার ও ইউপিআই-এর পর প্রধানমন্ত্রী মোদির পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো। আধার ও ইউপিআই-এর সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করতে চলেছে দেশের এক অন্যতম বৃহৎ ডিজিটাল গভর্নেন্স উদ্যোগ — ডিজিপিন বা ডিজিটাল পোস্টাল ইন্ডেক্স নম্বর (Digital Postal Index Number)। এটি দেশের প্রতিটি বাড়ি, দোকান, অফিস এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও একটি ইউনিক ডিজিটাল ঠিকানা দেবে। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছে ডাক বিভাগ, আর গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তত্ত্বাবধানে চলছে। লক্ষ্য একটাই — ভারতের অগোছালো ও অপরিকল্পিত ঠিকানা ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট, নিরাপদ ও সঠিক ডিজিটাল কাঠামোয় রূপান্তর করা।

    ডিজিপিন কী এবং কেন তা গুরুত্বপূর্ণ?

    ডিজিপিন একটি ১০-অক্ষরের আলফানিউমেরিক কোড, যা উপগ্রহ চিত্রভিত্তিক অবস্থানের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো — যেমন বাড়ি, দোকান, সরকারি অফিস ইত্যাদি — চিহ্নিত করবে। এটি প্রচলিত পিনকোডের মতো নয়, যেখানে একটি এলাকা জুড়ে একই পিনকোড ব্যবহৃত হয়। বরং, এটি প্রতিটি স্থাপনার নিজস্ব ডিজিটাল ঠিকানা হিসেবে কাজ করবে। এই প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতও ডিজিটাল ব্যবস্থার মূল স্রোতে আসবে। যেসব এলাকা আগে ঠিকানা না থাকার কারণে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো — যেমন জঙ্গলমহল, পাহাড়ি এলাকা, বা বস্তি অঞ্চল — সেখানেও পৌঁছবে সরকারি পরিষেবা, জরুরি উদ্ধার, স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি।

    গোপনীয়তা ও আইনি সুরক্ষা

    ডিজিপিন হবে ব্যক্তি সম্মতিভিত্তিক ব্যবস্থা। কোনো ব্যক্তি তাঁর ডিজিটাল ঠিকানা কেবল তখনই শেয়ার করবেন, যখন তিনি নিজে সম্মতি দেবেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমানে প্রচলিত ঠিকানা ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, যেখানে ই-কমার্স ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ঠিকানা সংগ্রহ ও বিক্রি করে থাকে। ডিজিপিন চালুর ফলে এই অনিয়ন্ত্রিত ঠিকানা ব্যবহারের প্রথার উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ আসবে। একইসঙ্গে ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করে অপরাধ, দুর্নীতি কিংবা সীমান্তে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা রুখতেও সাহায্য করবে এটি।

    অর্থনৈতিক সাশ্রয়

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের বর্তমান অপর্যাপ্ত ঠিকানা ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছর ১০–১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় — যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৫ শতাংশ। ডিজিপিন চালুর ফলে পরিষেবা প্রদান, পণ্য ডেলিভারি, সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও জরুরি সেবায় অভূতপূর্ব গতি আসবে। ডাক বিভাগ ইতিমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করছে। এ নিয়ে গঠিত হবে একটি বিশেষ ডিজিটাল অ্যাড্রেস বা ডিপি অথরিটি, যা পুরো ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণ করবে। এ নিয়ে আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আইন পেশ করা হতে পারে। যেভাবে আধার ভারতবাসীকে একটি আনুষ্ঠানিক পরিচয় দিয়েছে, এবং ইউপিআই ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে — ঠিক সেইভাবে ডিজিপিন ভারতের প্রতিটি বাড়িকে ডিজিটাল জাতির অংশ করে তুলবে। এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তি নয়, বরং অধিকার, অন্তর্ভুক্তি ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করার এক সাহসী পদক্ষেপ।

  • India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    India Pakistan Relation: ‘জঙ্গিদের হস্তান্তর করুন, পিওকে খালি করে দিন’ শরিফের প্রস্তাবের জবাবে ভারতের স্পষ্ট বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan Relation) আলোচনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিল নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লক ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কখনওই এক সঙ্গে চলতে পারে না। এই বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের হাতে যে দাগী সন্ত্রাসবাদীগুলির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের আমাদের হাতে তুলে দিক। তবেই আলোচনা হতে পারে।’ বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘যদি বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার আগে আমাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে দিক।’

    শরিফের প্রস্তাব নাকচ করল নয়া দিল্লি

    পাক প্রধানমন্ত্রী (India Pakistan Relation) শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি ইরান সফরের সময় বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।” শরিফ বলেন, “জল নিরাপত্তা এবং কাশ্মীর সহ দীর্ঘদিনের ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।” আন্তর্জাতিক মহলের দাবি, মূলত ইরানের রাষ্ট্রপতির চাপেই এই বুলি বলতে বাধ্য হয়েছে শরিফ। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসাথে চলতে পারে না—এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট ও স্থির। আমরা আবারও বলছি, পাকিস্তানকে সেই সন্ত্রাসীদের আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে, যাদের তালিকা আমরা বহু বছর আগে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।” তিনি আরও জানান, “জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র সেই প্রক্রিয়া এবং সময়রেখা নিয়ে—যার মাধ্যমে পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীর খালি করবে।”

    ভারতের কড়া জবাব

    জয়সওয়াল আরও বলেন, “সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ না পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসে সমর্থন বন্ধ করে।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা উদ্ধৃত করে বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসাথে চলতে পারে না, জল ও রক্ত একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।” ভারতের কড়া জবাব স্পষ্ট করে দিল, কোনো আলোচনা হতে হলে প্রথমে পাকিস্তানকে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে।

    পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ

    বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-বাংলাদেশকে একযোগে আক্রমণ করে নয়াদিল্লি। প্রতিদিনের মতোই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। সেখানেই দুই দেশকে এক সুতোয় টেনে আক্রমণ করেন তিনি। প্রথমেই ফিরিয়ে দেন শরিফের প্রস্তাব। তারপরেই নস্য়াৎ করেন ইউনূসের অযৌক্তিক দাবিকে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকেও তোপ দেগেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের বিরুদ্ধে ইউনূসের তোলা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা ও শাসন সংক্রান্ত সমস্যার দায় শুধুমাত্র সেই দেশের সরকারের উপরেই বর্তায়। যদি কেউ বলে যে বহিরাগতের কারণে বা অন্য কেউ এই অস্থিরতা তৈরি করছে। তা হলে বলব, আসলে তারা মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পাকিস্তান ঠিক যেমন নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় ভারতের দিকে ঠেলে দেয়। একই পথ অবলম্বন করেছে বাংলাদেশও। এবার সেই কৌশলকেই ভাঙল নয়াদিল্লি।

  • Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    Operation Shield: শনিতে ফের মক ড্রিল! পাকিস্তান লাগোয়া ছয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হবে ‘অপারেশন শিল্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি (India-Pak Ceasefire) সত্ত্বেও পাকিস্তান লাগোয়া রাজ্যগুলিতে হামলার হুমকি রয়েই গিয়েছে। যে কারণে বাছাই করা কিছু এলাকায় যুদ্ধপরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি বৃদ্ধি এবং সেই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মহড়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ মে সন্ধ্যায় গুজরাট (Gujarat), পাঞ্জাব (Punjab), রাজস্থান (Rajasthan), জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir), হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মক ড্রিল (Mock Drill) হবে বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তরফে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলিতে এখন প্রতি মাসেই এমন মহড়া চলবে। সেই সময় প্রশাসন যা যা নির্দেশ দেবে, তাই মেনে চলতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    কেন ‘অপারেশন শিল্ড’?

    মে মাসের শুরুতেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের মক ড্রিল হয়েছিল। ৭ থেকে ১০ মে, চার দিনব্যাপী ভারত-পাক সংঘর্ষে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের নাগাড়ে গোলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি গ্রামের। বহু ভারতীয় নাগরিকের প্রাণও গিয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এমন ঘটনা না ঘটে তাই এই ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) মহড়া শুরু করেছে ভারত। সূত্রের খবর, এই মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য আকাশপথে হামলার সময়ে কন্ট্রোল রুম এবং সতর্কতা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। এ ছাড়াও বিপর্যয় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা, অসামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার কাজ পরিচালনা এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশ কতটা প্রস্তুত তারই মূল্যায়ন করা হবে।

    কী এই ‘অপারেশন শিল্ড’?

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) হল ভারতের সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শত্রুপক্ষের বিমান হামলা, ড্রোন অনুপ্রবেশ, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ, এবং নাগরিকদের জরুরি স্থানান্তর ও সতর্কতা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা পরখ করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। একজন উচ্চপদস্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তা বলেন, “এই মহড়ার লক্ষ্য হল সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আমাদের নাগরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করা। এই অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষায় ‘বাফার জোন’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসন, রাজ্য পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স ইউনিট যৌথভাবে এই মহড়া পরিচালনা করবে।

    কেন সীমান্ত রাজ্যগুলোতে জোর?

    সীমান্তবর্তী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে এই মহড়া সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে সরকারের মূল যুক্তি হলো, এই এলাকাগুলোই সম্ভাব্য সংঘাতের প্রথম ধাক্কা সামলাবে। একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর। তাই এখানকার নাগরিক ও প্রশাসনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় করে এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে। অগ্নি নির্বাপন বাহিনী, চিকিৎসা দল এবং পুলিশ বাহিনী এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। প্রশাসন সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন মহড়ার সময় সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সব ধরনের সরকারি নির্দেশ মেনে চলে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, “এটি একটি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

    মক ড্রিলের উদ্দেশ্য কী?

    মক ড্রিল হলো একটি সিমুলেটেড প্রশিক্ষণ, যার লক্ষ্য সিভিলিয়ান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং জরুরি পরিষেবা দলগুলিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী হামলা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত করা। এই মহড়ার মাধ্যমে এয়ার রেইড সাইরেন, ব্ল্যাকআউট প্রোটোকল, নাগরিক স্থানান্তর, এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় পরীক্ষা করা হয়। ‘অপারেশন শিল্ড’-এর উদ্দেশ্য হলো সীমান্তবর্তী এলাকায় জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, যাতে তারা শত্রুপক্ষীয় হামলা বা অন্যান্য সংকটের সময় নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের মহড়া জনগণের মধ্যে আতঙ্ক প্রতিরোধ এবং সংকটকালীন পরিস্থিতিতে শান্ত ও সংগঠিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।

    ‘অপারেশন শিল্ড’-এর গুরুত্ব

    ‘অপারেশন শিল্ড’ (Operation Shield) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জরুরি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে এই মক ড্রিল সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিক এবং প্রশাসনের প্রস্তুতি জোরদার করবে। এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক সমন্বয়ই নিশ্চিত করবে না, বরং জনসাধারণের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে যে তারা যেকোনো সংকটের জন্য প্রস্তুত। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই সময়ে, এই ধরনের প্রস্তুতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

  • Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    Shehbaz Sharif: বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রহ্মোসে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাক ঘাঁটিগুলি, অবশেষে স্বীকারোক্তি শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। নিজে মুখেই এবার একথা স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শরিফ বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১০ মে ফজরের নামাজের পর ভারতে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। তবে, ভোরের আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে দূরপাল্লার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল (India-Pakistan Conflict)  বর্ষণ করা হয়েছিল। ভোরে আক্রমণের কথা মুনির আমাকে জানিয়েছিলেন।’’

    শেহবাজের ব্রহ্মোস স্বীকারোক্তি

    পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এখনও। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় সেনা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগেই দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ব্রহ্মোস ব্যবহার করে পাক সামরিক ঠিকানায় আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। তবে ব্রহ্মসের নাম না করলেও ১০ জুন সকালে পাক সেনা জানিয়েছিল, সে দেশের রাজধানী রাওয়ালপিন্ডি এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এবার ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতপর্বে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া দেশ আজরবাইজানে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিমানঘাঁটি নিশানা করে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মস ছুড়েছিল ভারত। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। পাকিস্তানের বহু প্রদেশেই আক্রমণ করে। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমান বন্দরও।’’

    নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস 

    সামরিক কৌশলগত দৃষ্টিতে তিনটি অবস্থান ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটির নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, হামলায় পাক বিমানবহরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও ১৫ মে পাক বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মাসুদ আখতার জানিয়েছিলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ মে গভীর রাতে ইসলামাবাদের ভালোরী বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের একটি ‘এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াক্স) সম্বলিত বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শেহবাজ (Shehbaz Sharif) অবশ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও বিমানঘাঁটির নাম করেননি। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছিল, পাক বায়ুসেনার রসদ সরবরাহের প্রাণকেন্দ্র নূর খানে আঘাত হেনেছে ব্রহ্মোস।

    ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে যায় পাকিস্তান

    পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রস্তাব যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। যদিও এরপর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে।

    পাকিস্তান ভাবার আগেই পদক্ষেপ ভারতের

    কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারত আঘাত হানে বলে দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তাঁর দাবি, দেশের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে ভারত। ছোড়া হয় ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র। রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দরেও ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন তিনি। ভারতের দেখাদেখি সংঘাত পর্ব নিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে পাকিস্তানও। নিজে আজেরবাইজান পৌঁছে গিয়েছেন শেহবাজ। সেখানে সহযোগী দেশগুলির সামনে বক্তৃতা করেন তিনি। জানান, সকালের নমাজ শেষ হলে ১০ মে ভারতের (India-Pakistan Conflict) উপর আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল আসিম মুনির নেতৃত্বাধীন পাক সেনার। কিন্তু তার আগে, ৯-১০ মে ভোর-রাতে ভারতের তরফ থেকে আঘাত নেমে আসে। পাক সেনা প্রতিক্রিয়ার সময় পায়নি বলেও স্বীকার করে নেন শেহবাজ। জানান, বুঝে ওঠার আগেই বিপর্যয় ঘটে যায়।

    কেন ব্রহ্মোস-হামলা

    প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের (India-Pakistan Conflict) ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, তার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ছিল। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিতে লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস এবং ইলিউশিন ইল-৭৮ রিফুয়েলারের মতো সামরিক বিমান ছিল। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে কমপক্ষে দুটি সামরিক বিমানের ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। নূর খান ছাড়াও ভারত রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানে পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। স্কার্দু, ভোলারি, জাকোবাবাদ এবং সারগোধার বিমান ঘাঁটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য সুখোই ৩০ এম কেআই জেট থেকে প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস মিসাইল ছোড়ে ভারত।

  • Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    Pak Spy in India: হিমাচলে ধৃত যুবক, পাক গুপ্তচর সন্দেহে রাজস্থানে আটক প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে (Spying for Pakistan) আটক করা হল রাজস্থানের (Rajasthan) সরকারি কর্মচারী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে। ধৃত ব্যক্তির নাম সাকুর খান মাঙ্গালিয়া (Sakur Khan Mangaliya)। বুধবার রাজস্থানের সিআইডি এবং জয়পুরের অন্যান্য বিশেষ গোয়েন্দা দল জয়সলমেরের এক সরকারি দফতর থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পাক গুপ্তচর (Pak Spy in India) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশের এক যুবককেও। নাম অভিষেক, হিমাচলেরই দেহরা এলাকার বাসিন্দা।

    প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক

    সূত্রের খবর, ধৃত সাকুর খান মাঙ্গালিয়া জয়সলমেরের বাসিন্দা। বর্তমানে রাজস্থানের কর্মসংস্থান দফতরে কর্মরত তিনি। পূর্বে তিনি কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শালে মোহাম্মদের আপ্তসহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ধৃত ব্যক্তি সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, পাক দূতাবাসের এক আধিকারিকের পাশাপাশি আইএসআইয়ের সঙ্গেও সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে সাকুরের। এই তথ্য পাওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর নজর রাখছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সাকুরের মোবাইলে একাধিক পাকিস্তানি নম্বর পেয়েছে তদন্তকারীরা। নম্বরগুলি তাঁর মোবাইলে কী করছে, সেই ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি বলেই খবর। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় অতীতে ৬-৭ বার পাকিস্তানে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন সাকুর।

    সাকুরের ফোন বাজেয়াপ্ত

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছদ্মবেশধারী পাক গুপ্তচরদের অনুসন্ধান। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোনও প্রান্তে পাকড়াও হচ্ছে পাক গুপ্তচররা। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তাঁর মোবাইলে কোনও সামরিক সম্পর্কিত ভিডিও বা সংবেদনশীল বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। তবে দাবি, ডিভাইসে থাকা অনেক তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে। সাকুরের দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সাকুরকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার সুধীর চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত থাকার বিষয়ে সদর দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সাকুরকে আটক করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় সাকুর জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ছিলেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার

    পাক গুপ্তচর (Pakistani Spy) সন্দেহে অভিষেক নামে হিমাচল প্রদেশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করছিলেন। বুধবার কাংড়া জেলার উনা-কাংড়া সীমান্তবর্তী এলাকায়, শ্রীমাতা চিন্তাপূর্ণী মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেহরা সিটি পুলিশের এসপি ময়ঙ্ক চৌধুরী জানান, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নেমেছিলাম এবং সফলভাবে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোন থেকে গুপ্তচরবৃত্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।” এসপি আরও জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-এর ধারা ১৫২-এর অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে আরও তথ্য উঠে আসে।

    সাধারণের ভিতরেই চর

    অভিযুক্ত অভিষেক স্থানীয়দের কাছে একজন সাধারণ যুবক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক বা উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও যোগাযোগ যন্ত্র সম্পর্কে ভাল জানতেন এবং ফোন ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারেও দক্ষ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, এই প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই তিনি ভারতের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা কাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পাকিস্তানে পাচার করছিলেন। ঠিক কী ধরনের তথ্য পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

    পাক চরের নেটওয়ার্ক

    এই গ্রেফতারির পর হিমাচলপ্রদেশে পাক গুপ্তচর চক্রের বিস্তৃতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক একা নয়। তাঁর সঙ্গে আরও কিছু লোক যোগাযোগ রাখত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এখন তাঁর কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পর হিমাচলপ্রদেশ প্রশাসন নাগরিকদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সন্দেহভাজন কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এসপি চৌধুরী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনও রকম গাফিলতি সহ্য করব না। দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

  • Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-এর (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্ন-এর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, ব্রিটিশ নাগরিক কোলবার্ন পাকিস্তানের জলবায়ু সংক্রান্ত একটি লবিং গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপর নজরদারি চালানোর কাজে লিপ্ত ছিল। এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ-এর স্ত্রী ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (IB)-এর গোপন নথিপত্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন এবং সেইসব তথ্যের অপব্যবহার করেছেন। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।”

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    হিমন্তবিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma)  দাবি করেন, কোলবার্নের পাকিস্তান সফর ‘জলবায়ু গবেষণা প্রকল্প’ বললেও, আসলে এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের স্বীকৃত একটি সফর, যার পিছনে ছিল এক সুপরিকল্পিত যোগসাজস। তিনি বলেন, “এটি নিছক সফর ছিল না বা পারিবারিক বিষয়, বরং এটি ছিল পাকিস্তানের সরকারিভাবে অনুমোদিত ও সমন্বিত একটি প্রচেষ্টা।” মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ তোলেন, “গৌরব গগৈ এবং তাঁর স্ত্রী পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতীয় নীতিনির্ধারণী স্তরে ঢুকে পড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যুক্ত হন। তারা ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।” এই বিষয়ে প্রমাণস্বরূপ হিমন্ত (Himanta Biswa Sharma) জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার এই অভিযোগের নেপথ্যে যা যা প্রমাণ পেয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরবে।

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    তবে গৌরব গগৈ এই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে এটিকে “সি-গ্রেড বলিউড সিনেমার মতো” বলে ব্যঙ্গ করেন। গগৈ স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী ১৩ বছর আগে পাকিস্তানে এক বছর কাজ করেছিলেন এবং তিনি একবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তিনি একবার তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে একটি সফরে সঙ্গ দিয়েছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতের গোপন গোয়েন্দা নথি অর্জন করলেন?” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “ওনার এই কাজ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চরম অবহেলার প্রমাণ।” শর্মার (Himanta Biswa Sharma) অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর অফিসের প্রভাব ব্যবহার করেই দম্পতি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।

    আইএসআইয়ের এজেন্ট গগৈয়ের স্ত্রী

    কংগ্রেস এখনও গগৈকে (Gaurav Gogoi)  প্রকাশ্যে সমর্থন জানাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আগেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) । এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা। গত কয়েক মাস ধরেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতার স্ত্রীর ‘পাক যোগ’ নিয়ে একটানা আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিজেপি। হিমন্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসে গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথকে পাক এজেন্ট বলে অভিযোগ তোলার পর বিজেপিও একযোগে দাবি করে, এলিজাবেথ পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। পাশাপাশি, এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও অভিযোগ করে বিজেপি।
    হিমন্তের (Himanta Biswa Sharma) দাবি, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।”

  • PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Alipurduar)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ১০১৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২টি জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশন তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রকল্পের ফলে আড়াই লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন

    বাংলার সকলকে নমস্কার জানিয়ে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি (PM Modi in Alipurduar) বলেন, “বাংলার বিকাশ ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ মজবুত ইট গড়ার দিন। আমরা মঞ্চ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সিটি গ্যাসের শুভারম্ভ করলাম। পাইপলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন। সিলিণ্ডার কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে। সিএনজি ষ্টেশনের ফলে পয়সা খরচ কম হবে। সময় বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচবে। ২০১৪ সালের আগে ৬৬ জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। এখন তা বেড়ে ৫৫০ জেলায় এই নেটওয়ার্ক গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গতি এসেছে। ২০১৬ থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে। মহিলাদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। রান্নাঘরের সম্মান বেড়েছে।”

    বাংলার বিকাশের কাজ চলছে

    একইসঙ্গে, এদিন বাংলার সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Alipurduar)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ১৪ কোটির থেকে কম এলপিজি ছিল। এখন ২১ কোটি হয়েছে। আমাদের সরকার কোণায় কোণায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মজবুত করেছে। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সরকার পাইপলাইন বিছানো থেকে সব কাজ করছে। বাংলা ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় দিক। বাংলা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কেন্দ্র সরকার দশ বছরে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা মেট্রোর উন্নতি করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উন্নতি করা হচ্ছে। বাংলার বিকাশের কাজ চলছে। এই একটা পাইপ লাইন নয়, প্রগতির একটা দিক বাংলায় বিকশিত হচ্ছে।”

    সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা

    বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Alipurduar) বিমান। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সিকিমের ভারত অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছরের পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি জাতির গর্ব বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ (DOGE) ছাড়লেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ওই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন ছাড়লেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। তবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।

    ডজ-থেকে দূরে

    বন্ধুত্বের খাতিরে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ঢেলেছিলেন বিপুল টাকা। সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিয়েছিলেন ট্রাম্পও (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন টেসলা কর্তাকে। তাঁর জন্য সরকারি দক্ষতা বিষয়ক আলাদা একটি দফতরও তৈরি করে দেন, যার দায়িত্ব ছিল ইলনের কাঁধেই। কিন্তু সুখের সংসারে চিড়। বুধবারই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি, যা সংক্ষেপে ডজ (DOGE) নামে পরিচিত, তার নেতৃত্বে ইতি টানার সময় এসেছে। মাস্ক টুইট করে জানিয়েছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডজ-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”

    ট্রাম্প-মাস্ক দূরত্ব

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ ডজ (DOGE)। এই দফতরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। ইলন মাস্ককে (Elon Musk) বিশেষ সরকারি কর্মী হিসেবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। এই পারমিটে বছরে ১৩০ দিন কোনও ব্যক্তি সরকারের জন্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডজ-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ইলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের। তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে সামিল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইলন মাস্ককে। এমনকী ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁর গাড়ি কোম্পানি টেসলাকেও বয়কট করে। কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ারেও ব্যাপক পতন হয়।

    ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতান্তর

    প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে মতান্তরই কি টেসলা প্রধান মাস্কের এই অব্যাহতির প্রধান কারণ? সদ্য আমেরিকায় জনকল্যাণমূলক কাজে ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে অভিহিত করেন। সেই বিল নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছিল মাস্কের তরফে। মাস্ক (Elon Musk), প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করে বিলটি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের বহু কর্মীর দাবি ছিল যে ট্রাম্প এই বিলে সই করার ফলে মার্কিন রাজকোষে বহু টাকা বাঁচবে। এদিকে, মাস্কের দাবি ছিল এই বিলের ফলে রাজকোষে ঘাটতি বাড়বে। সেই মাতন্তর থেকেই কি মাস্ক সরে গেলেন পদ ছেড়ে? পদত্যাগের পরও মাস্ক জানান, তিনি ডজ-এর লক্ষ্যকে সমর্থন করবেন এবং সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মাস্কের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, মাস্ক সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরোক্ষে কাজ করবেন।

LinkedIn
Share